রকৃতপক্ষে দুই পক্ষের সরাসারি ও স্পষ্ট আলোচনা না হলে বা ক্লাইন্টের মনের ভাবটি বুঝতে না পারলে অনেক ধরনের ঝামেলাই সৃষ্টি হতে পারে।
অনেক সময় প্রোজেক্ট সম্পর্কে সঠিক ধারণা নাও পেতে পারেন। ক্লাইন্ট যেটা চায় সেটা হয়তো্ আপনাকে বুঝাতে পারলো না। আপনি যা বুঝাতে চান সেটাও হয়তো তার জানা হলো না। এ ক্ষেত্রে প্রোজেক্ট অসম্পূর্ণ থেকে যেতে পারে।
অধিকন্তু অনেক সময় এই ভুলবোঝাবুঝির কারনে কাজের সময় নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। হয়তো ক্লাইন্ট আপনাকে একটি ডেমো প্রোজেক্ট বানাতে বললো, এবং আপনি অনেক বেশি সময় খরচ করলেন। এমনও হতে পারে ক্লাইন্ট আদৌ আপনাকে দিয়ে কাজটি করানোর উদ্দেশ্য ডেমো চায় নি, অনেকের কাছে ডেমো চেয়েছে শুধু নিজে সেই ডেমো গুলো মিলিয়ে অন্য কোন পরিচিত ব্যক্তিকে দিয়ে কাজটি করাবে।
সেক্ষেত্রে আপনার অনেক অনেক বেশি সময় খরচ হতে পারে। আবার কোন একটি কাজ করলেন অথচ সেটা মনের মতো না হলে টাকা নাও দিতে পারে। এরূপ ঝামেলা এড়াতে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
করনীয়
ক্লাইন্টের মনের কথা জানতে হলে বেশ কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন। মূলতঃ বেশি যোগাযোগই অনেক প্রয়োজনীয়।
১. প্রোজেক্টের ধরন, কাজের ধারা, কাজের আগ্রহ ইত্যাদি দেখেও আপনি ক্লাইন্টের অনেক কথাই জেনে নিতে পারে। ওয়েব ডেবলপার যদিও মনো বিজ্ঞানী না, তারপরেও কাজের সুবিধার জন্য হতে দোষ কি?
২. সরাসরি বসুন এবং তাকে প্রশ্ন করুন। আপনার অভিজ্ঞতাও শেয়ার করুন। দেখা যাবে অনেক না বলা কথাও বেরিয়ে আসবে। প্রোজেক্টের বর্তমান ভবিষ্যত ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করলে আপনার জন্যও কাজ করা সহজ হবে।
৩. প্রশ্নের তালিকা করে মেইল করতে পারেন। তারা মেইলের উত্তরে সেই প্রশ্নগুলোর জবাব দেবে। যদি আপনার সাথে কাজ করতে না চায় বা এমন কিছু হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে প্রশ্নের জবাবগুলো পেতে দেরী হতেও পারে।
৪. সাইটের ডিজাইনের বেপারে আপনি বা আপনার ক্লাইন্ট বা একত্রে বসে স্কেচ করতে পারেন।
আপনার ক্লাইন্ট কি ভাবছে আপনি জানেন?
৫. কিছু কিছু বিষয়ে সাজেশন বা সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। তার জবাবে হয়তো সে তার সুবিধা মতো কথাটি বলতে পারে।
৬. যোগাযোগ বাড়াতে পারেন। মাঝে মাঝে ফোনে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা করতেও পারেন। এমন কি ব্যক্তিগত আলাপও।