১. পোর্টফলিও ও ব্যবসায়ী ব্লগ
নিজের প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই একটি পোর্টফলিও থাকা বাঞ্চনীয়। নিজের পোর্টফোলিওটিতে সহজ ভাষায় সার্ভিস ও তার বিনিময়ের বেপারে স্বচ্ছ তথ্য রাখবেন। অনেকেই সম্পূর্ণ তথ্য না দিয়ে শুধু ই-মেইল করার কথা বলা থাকে যা আমি ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ করি না। ব্যক্তিগত পোর্টফলিওর বেপারে সুন্দর নির্দেশনা লিখেছেন খালিদ হাসান তার কিছু কিছু বেপার ব্যাবসয়ী পোর্টফলিওতেও রাখতে পারেন।
প্রতিটি ছোট ব্যবসায়ীরই এটি ওয়েবের সাথে একটি ব্যবসা ব্লগ থাকা দরকার, দিন দিন এটার প্রয়োজনীয়তা বেড়েই চলছে। যেকোন খোলা তথ্য শতবার মেইল না করে সাইটের এ কোন রেখে লিংকটি মেইল করলেই চলে এরকাম হাজারো প্রয়োজনীয় দিক রয়েছে। আর ব্যবসার পোর্টফলিও সাথে একটি ব্যবসা ব্লগ অংশ থাকলে দৈনন্দিন ব্যবসায়ীক কাজ কর্মের কিছু অংশ (যা সাবার জন্য উম্মুক্ত করলে সমস্যা নেই) তার আপডেট দিতে পারেন। আপনার ব্যবসায়ের উন্নতি, কাজের ধারা ও কাজ করতে গিয়ে সুবিধা অসুবিধা বর্ণনা করলে আপনি নতুন নতুন সম্পর্কও সৃষ্টি করতে পারেন। আপনার ক্লায়েন্টদের অনেকে সেই দিকে নজর দিবে। তবে ব্যবসায়ীক ব্লগে কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য মেনে চলা জরুরী বলে মনে করি।
২. যোগাযোগ
অনেকেই ই-মেইল মার্কেটিংটাকে এত বেশি গুরুত্ব দেয় যে তার সম্পর্কে লোকের খারাপ ধারণা ও স্প্যামারসুলভ ধারণা পোষণ করে। সাবাইকে এই ই-মেইল না পাঠিয়ে আলাদা আলাদা তালিকা করে মেইল পাঠাতে পারেন।
৩. সম্পর্ক সৃষ্টি
নতুন পরিচিতদের সাথে একটা সুনির্দিষ্ট সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত না করে ব্যবসার বিষয়ে কোন প্রস্তাব না দেওয়াই উত্তম। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে একটা ভাল সম্পর্ক সৃষ্টি হলে আপনার ব্যবসার খবর সে এমনিতেই নিবে। আপনাকে দুইটি জিনিস সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ধারণা থকতে হবে। তাহলো- নতুন ব্যক্তিটির সাথে কতটুকু ভাল সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে? আপনার ব্যবসায়ীক বেপারটা তার চাহিদার মধ্যে পরে কিনা? নিজের ব্লগে কারো মতামতের মাধ্যমে ভাল সম্পর্ক সৃষ্টি করা যেতে পারে।
৪. ভিন্নধর্মী গল্প
আপনার ব্লগে শুধু মাত্র ব্যবসায়ীক আলাপই তাকতে হবে এম কোন কথা নেই। লোকজন মজার ও ভিন্ন নতুন গল্প পছন্দ করে। নিজেকে একজন ব্যবসায়ী ও ব্লগে একজন মজার মানুষ হিসেবে পরিচয় দেওয়াটাকেই আমি ভাল মনে করি।
৫. ধারণা নেওয়া
আপনি যার কাছে ব্যবসায়ীক আলাপটা করতে চাইছেন প্রথমে তার সম্পর্কে জানুন। ই-মেইল ঠিকানাটি ধরে ফেসবুকে সার্চ করেও তার সম্পর্কে তথ্য পেতে পারেন। তার সাথে যোগাযোগ করে তার দৈনন্দিন কাজ সম্পর্কেও জানতে পারেন। ফেসবুক, টুইটার, চ্যাটলিস্টে সংযুক্ত হয়ে তার পর তার কাছে যে কথাটি বলা প্রয়োজন মনে করেন, যেভাবে বলা প্রয়োজন মনে করেন সেভাবে আপনার ব্যবসায়ীক উদ্যেশ্যটি উপস্থাপন করতে পারেন।
৬. যা করবেন না
বেশ কিছু বেপারে বিধি নিষেধ মেনে চলতে এবং সাবধানতা অবলম্বন করতে বলবো। অনেক সময় অনেকের সাথে যোগাযোগ করতে গিয়ে সম্পর্কটা ভাল না হয়ে খারাপের দিকে চলে যায়। আর সেটাকে সুন্দরভাবে এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ। আমি নিজে বেশ কয়েকবার এরকম পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। কখনো অনলাইনে কারো সাথে খারাপ সম্পর্ক সৃষ্টি করি নাই। কখনো সম্পর্ক খারাপ হওয়ার আগেই ফ্রেন্ড লিষ্ট থেকে বাদ দিয়েছি, কখনো হেসে কথাটিকে অন্যদিকে প্রবাহিত করেছি। তাই যে কাজগুলো করবেন না তা বলি-
কোন ক্লাইন্টকে কখনো তিরষ্কার করবেন না।
কারো ব্যক্তিগত গোপনীয় বেপারে প্রশ্ন তুলবেন না।
নিজে কোন বিষয়টি ভালভাবে না দেখে অন্যকে তার রিভিউ করতে বলবেন না।
একই ব্যবসায়ীক প্রস্তাব বারবার করবেন না।