ভিটামিন সি সাধারণ সর্দি-কাশি সারাতে পারে এ কথা বলে নোবেল বিজয়ী লিনাস পাউলিং প্রশংসা ও সমালোচনা দুটোই কুড়িয়েছিলেন। এর বহু বছর পর অর্থাৎ নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব মলিকুলার অ্যান্ড সেল বায়োলজির বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন শরীরে উৎপাদিত ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যালকে ধ্বংস করতে মিটামিন ই’র ক্ষমতা ফিরে পেতে ভিটামিন সি হাসায্য করে। ডাউনার্স গ্রোভের মিডওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইডেনসিটি লাইপোপ্রোটিনে (এইচডিএল) লিপিডের অক্সিডেশনে বাধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এন্টিঅক্সিডেন্টের ভূমিকা পালন করে।
বর্তমান পরীক্ষায় ভিটামিন সি’র অনুপস্থিতিতে অথবা উপস্থিতিতে মানুষের এইচডিএল’র সঙ্গে অক্সিডেন্ট-কিউপ্রিক আয়ন (উল২+) ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় রেখে পর্যবেক্ষণ চালানো হয়। লিপিডের অক্সিডেশনের আগে নির্দেশক হিসেবে লিপিড ডাইনস ও টিবিএআর এস ব্যবহার করা হয়। দেখা গেছে, ভিটামিন সি’র অনুপস্থিতিতে এইচডিএল-এ লিপিডের অক্সিডেশন অবিলম্বে শুরু হয়ে গেছে, খুব দ্রুত সেটা বৃদ্ধি পাচ্ছে এব এক ঘন্টার ভেতর চূড়ান্ত খারাপ পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে। আবার একই অবস্থায় যখন ভিটামিন সি’র উপস্থিতিতে এইচডিএর-এ লিপিডের অক্সিডেশন চার ঘন্টার মতো বিলম্বিত হচ্ছে। এ পর্যবেক্ষণ থেকে পাওয়া তথ্যানুসরে কার্ডওপ্রোটেক্টিভ প্রভাব বজায় রাখতে সক্ষম।
ডা. রফিক আহম্মেদ
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, অক্টোবর ৩১, ২০০৯