নিম্নমাত্রার ফ্যাট ও উচ্চমাত্রার শক্তিতে ভরপুর কলা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লুটিন, জিয়াজ্যানথিন নামের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলো দেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদানকে ধ্বংস করে। এই উপাদানগুলোর মধ্যে হলো বার্ধক্য দ্রুত আনয়নকারী ও রোগজীবাণু তৈরিকারী উপাদান। বাড়ন্ত শিশু ও অ্যাথলেট বা খেলোয়াড়, নৃত্যশিল্পী বা শারীরিক পরিশ্রম যাঁরা বেশি করেন, তাঁদের জন্য কলা যথাযোগ্য ফল। পাইরিডক্সিন, অর্থাৎ ভিটামিন ‘বি’ সিক্সে ভরপুর কলা। পাইরিডক্সিন স্নায়ু দুর্বলতা, রক্তশূন্যতা, কোমরের ব্যথা কমায়। প্রচুর পরিমাণে রক্ত তৈরি করে কাঁচা কলা। কলাতে বিদ্যমান কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ রক্তের জরুরি অংশ আরবিসির পরিমাণ বাড়ায়। গর্ভবতী, মাতৃদুগ্ধদানকালীন বা সন্তান নিতে ইচ্ছুক সময়ে ফলিক এসিড নামের উপকরণটি ভীষণ জরুরি। কলা, গরু বা ছাগলের কলিজা তাঁদের দেহে বাড়িয়ে দেয় রক্তের মাত্রা। কলার ভিটামিন ‘সি’ ত্বক, চুলকে করে উজ্জ্বল, মসৃণ। এ ছাড়া বড় কোনো অপারেশন বা কোনো কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণের পরে কাঁচা কলার স্যুপ বা কাঁচা কলার পাতলা ঝোলের (অল্প মসলার তরকারি) তরকারি রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পথ্য। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক। দেহের রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য জিঙ্ক রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
ডা. ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ২৩, ২০১১