অতি উচ্চমাত্রার ভিটামিন-এ-এর বসতি মিষ্টি কুমড়ায়। প্রায় ২৬৫০ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট ভিটামিন-এ রয়েছে এতে। ভিটামিন-এ চোখের ছানিসহ চোখের যাবতীয় অসুখগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। চোখের ছানির প্রধান চিকিৎসা হলো ছানি অপারেশন করা।তবে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, যাঁরা নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া খান, তাঁদের চোখেছানি পড়ে তুলনামূলকভাবে কম। যাঁরা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের রোগী, তাঁদের জন্যও এই সবজি ভীষণ উপকারী। কিডনির ইনফেকশনজনিত সমস্যা, মূত্রথলির কষ্ট বা গঠনগত সমস্যাতে তৈরি কষ্ট দূর করে মিষ্টি কুমড়া। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি রয়েছে। তাই ত্বকের কাটা, ছেঁড়া, ঘা, স্মল পক্স-এ যথেষ্ট জরুরি এই সবজি। তবে অ্যালার্জির সমস্যাতে এই সবজি খাওয়া অনুচিত। ত্বকের ফোসকাজনিত সমস্যা, দেহের কোথাও পুঁজ জমে গেলে সেই জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এই সবজি। পর্যাপ্ত ভিটামিন-এ, সি-এর বসতি থাকার জন্যই শিশুদের নরম খিচুড়ির সঙ্গে মিষ্টি কুমড়া ভীষণ উপকারী। রান্নার সময়মিষ্টি কুমড়া থেকে যে তেল বের হয় বা মিষ্টি কুমড়া থেকে যে তেল তৈরি হয়, তা পুরুষদের প্রোস্টেটের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখে। মিষ্টি কুমড়ার বীজেও রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও রোগ তাড়ানোর অপূর্ব ক্ষমতা। মেধা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মিষ্টি কুমড়া। তাই গর্ভবর্তী অবস্থায় মিষ্টি কুমড়া খেলে গর্ভস্থ শিশুর মেধা ও মায়ের দেহের জন্যও কল্যাণ হয়।
তবে এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা থাকার জন্য ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, যাঁরা অতিরিক্ত মোটা, তাঁরা মিষ্টি কুমড়া যত কম খেতে পারে, ততই ভালো।
ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, আগস্ট ০৭, ২০১১