অতি পরিচিত লেবু হয়তো খাবার টেবিলে না খেতে খেতেই শুকিয়ে যায়। অন্য সব ফলের ভিড়ে লেবু ভীষণ কোণঠাসা। এই সাধারণ ফলটি কিন্তু পুষ্টিগুণে টেক্কা দিতে পারে যেকোনো ফলকে।
উচ্চ রক্তচাপ কমায়
লেবু সাইট্রাস পরিবারভুক্ত। লেবুতে আছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি আর পটাশিয়াম। আছে আরও কিছু প্রয়োজনীয় উপাদান। তবে ভিটাসিন সি আর পটাশিয়াম মিলে শরীরের উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। উপরন্তু লেবুর পটাশিয়াম হূৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতাও বাড়ায়।
মানসিক চাপ
লেবুর রসের ভিটামিন সি দূর করে মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা। মানসিক বিষণ্নতায় শারীরবৃত্তীয় কারণেই ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দেখা দেয় দেহে। লেবুর রস সেটি পূরণ করে নিমেষেই। ফলে চাঙা হয়ে ওঠে মন।
সুস্থ দাঁতের জন্য
তাজা লেবুর রস দাঁতের ব্যথা উপশমে সাহায্য করে। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে লেবু খুব কার্যকর। মুখের গন্ধ রোধেও লেবুর রস কার্যকর। আর দাঁতে প্লাক জমার কারণে যে অনাকাঙ্ক্ষিত দাগ পড়ে, তা সরাতেও লেবুর রস সাহায্য করে।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়
রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে উল্লেখযোগ্য কাজ করে লেবুর রস। এটি শরীরের উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা যেমন বাড়িয়ে দেয়, তেমনি ক্ষতিকর কোলেস্টেরল রাখে নিয়ন্ত্রণে।
গলার সংক্রমণ রোধে
লেবুর রসে আছে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী এক অনন্য বৈশিষ্ট্য, যার ফলে গলাব্যথা, মুখের ঘা আর টনসিলের সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে লেবু।
সুন্দর ত্বকের জন্য
ত্বকের ক্ষত পূরণে লেবু ভারি কার্যকর। লেবু ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল হয় আরও। ত্বকের পোড়া ভাব যেমন দূর করতে পারে লেবু, তেমনি চোখের চারপাশের কালো দাগও মিলিয়ে দিতে পারে।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ০৪, ২০১১