দেশের উপকূল ঘেঁষেগড়ে ওঠা শুঁটকি-পল্লিগুলোর সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। প্রায় প্রতিদিনই এখানে তৈরি হয় মণকে মণ শুঁটকি।সমুদ্রের নোনা বাতাসে ভর করে শুঁটকির এ গন্ধ ভেসে আসে সৈকতে। শুঁটকির সঙ্গে একদমই অপরিচিত কারও কারও নাক হয়তো কুঁচকে আসে।কিন্তু শুঁটকিভক্ত মানুষের এ গন্ধটাই ভারি ভালো লাগে। বেড়ানো পর্বশেষেশুঁটকি-পল্লি ঘুরে পছন্দের শুঁটকি দিয়েএরা ভর্তি করে ব্যাগ।খাওয়া চলে বছর ঘুরে।এমন শুঁটকি শুধু সামুদ্রিক মাছেরই নয়।বাজারে স্বাদু পানির মাছেরও শুঁটকি চলে দেদার, সমুদ্রঘেঁষা শুঁটকি-পল্লিগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়েদেশের অন্যান্য অঞ্চলেও এখন শুঁটকি তৈরি হচ্ছে।বাড়ছে জনপ্রিয়তা। পুষ্টিগুণের বিচারে এই শুঁটকি খুবই উঁচু দরের।
প্রোটিন: শুঁটকিতে আছে প্রোটিন। এতে প্রায় সব ধরনের অ্যামাইনো এসিডই বিদ্যমান। মোট ১০০ গ্রাম শুঁটকিতে শতকরা ১৪ থেকে ২২ ভাগই প্রোটিন। চর্বি: প্রতি ১০০ গ্রাম মাছে শতকরা দুই ভাগের নিচে চর্বিথাকলে তাকে কম চর্বিযুক্ত মাছ বলা হয়।এক গবেষণায় দেখা যায়, এ দেশের অধিকাংশ শুঁটকি কম চর্বিযুক্ত।তাই উচ্চ রক্তচাপ বা হূদরোগে যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্যশুঁটকি হতে পারে উৎকৃষ্ট খাবার। খনিজ লবণ: তাজা মাছের তুলনায় শুঁটকিতে খনিজ লবণের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। খনিজ উপাদানগুলোর মধ্যেক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফেরাস, আয়রন উল্লেখযোগ্য।ভিটামিন: সামুদ্রিক মাছের শুঁটকিতে আছে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’। তাই শুঁটকি স্বাদে-গন্ধে যেমনটাই হোক, পুষ্টিগুণেরবিচারে শুঁটকিকে অবহেলা করার অবকাশ নেই।
সিদ্ধার্থমজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ৩০, ২০১০