মায়ের বুকের দুধের অনেক গুণ
–মায়ের দুধ শিশুর প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত ও পরিমিত পুষ্টি জোগায়।
–মায়ের দুধে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধক উপাদান রয়েছে, যা শিশু ও মা উভয়কে ওইসব রোগ থেকে রক্ষা করে।
–মায়ের দুধে শিশুর মস্তিষ্ক গঠনের বিশেষ উপাদান আছে।
–মায়ের দুধে কোনো রোগজীবাণু বা ময়লা থাকে না।
–মায়ের দুধ বিশুদ্ধ ও খাঁটি।
–মায়ের দুধ জ্বাল দিতে বা গরম করতে হয় না।
–মায়ের দুধ খাওয়াতে কোনো আনুষঙ্গিক ঝামেলা নেই, যেমন-হাঁড়ি, বোতল, জ্বালানি ইত্যাদি।
–মায়ের দুধ যখন খুশি তখন খাওয়ানো যায়।
–মায়ের দুধ খাওয়ালে শিশুর সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক গভীর হয়।
–মায়ের দুধ খাওয়ালে মায়ের গর্ভধারণে সম্ভাবনা কম থাকে।
–মায়ের দুধ খেলে শিশু পরিপুর্ণ নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে।
–শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ালে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচে।
সফলভাবে মায়ের দুধ খাওয়ানো বলতে কী বোঝায়
–শিশুকে জন্মের পরপরই অর্থাৎ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব (অন্তত আধাঘণ্টার মধ্যেই) মায়ের দুধ পান করতে দেয়া।
–শিশু জন্মের পর মায়ের বুকের শাল দুধ পান করানো।
–মায়ের দুধ পান করার আগে কোনো প্রকার অন্য খাবার না দেয়া, যেমন-কৌটার দুধ, মিশ্রির পানি, ফুটানো পানি, গ্লুকোজের পানি, মধু ইত্যাদি।
–জন্মের পরে প্রথম ছয় মাস শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানো।
–শিশুকে তার চাহিদামত বার বার মায়ের দুধ খাওয়ানো।
–ছয় মাস বয়স থেকে মায়ের দুধের পাশাপাশি বাড়িতে তৈরি অন্যান্য খাবার নরম করে খেতে দেয়া।
–কমপক্ষে দুই বছর মায়ের দুধ চালিয়ে যাওয়া।
–শিশু কিংবা মায়ের অসুস্হতার সময় মায়ের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যাওয়া।
–বোতল, চুষনী ইত্যাদি একেবারেই না দেয়া।
শিশুকে দুধ খাওয়ালে মায়ের খাবার কেমন হবে
বুকের দুধ খাওয়ানো মাকে সব ধরনের খাবার একটু পরিমাণে বেশি খেতে হবে। কোনো খাবার বাদ দেয়ার দরকার নেই। ভাত, রুটি, সব্জি, মাছ/মাংস, ফল, সালাদ ইত্যাদি সবই তিনি খেতে পারবেন। এক কথায় টক, ঝাল, মিষ্টি, তিতা, সবই খাবেন। কালো জিরা, মাছ এবং দুধ সাগু খেলে বুকের দুধ বাড়ে।
দৈনিক আমারদেশ, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০০৮