ধারা-৯৫। পূর্ববর্তী দন্ডের পর বর্ধিত দণ্ড :
কোনো ব্যক্তি ঌ৩ ধারা অনুসারে দন্ডনীয় কোনো অপরাধের জন্য সাজা পাওয়ার পর একই ধারার বিধান অমান্য করার দায়ে পুনরায় দোষী সাব্যস্ত হইলে পরবর্তী অপরাধের জন্য ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ডে, অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানায়, অথবা উভয় দণ্ডে দন্ডনীয় হইবে।
তবে শর্ত এই যে, এই ধারার উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পরবর্তী অপরাধের দুই বত্সরের অধিক কাল পূর্বে কোনো সাজা পাইয়া থাকিলে তাহা ধর্তব্য হইবে না।
ধারা-৯৬। ইন্সপেক্টরের কাজে বাধা সৃষ্টির জন্য দণ্ড :
এই আইন অনুসারে বা এই আইনবলে প্রাপ্ত ক্ষমতা প্রয়োগের সময় ইন্সপেক্টরকে কেহ ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দান করিলে, অথবা ইন্সপেক্টর তলব করা সত্ত্বেও এই আইন অনুসারে রক্ষিত কোনো রেজিস্টার বা অন্য কোনো দলিল হাজির করিতে ব্যর্থ হইলে, অথবা কোনো তথ্য গোপন করিলে বা কোনো শ্রমিককে ইন্সপেক্টরের সম্মুখে হাজির হইতে বাধা দিলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তিন মাস পর্যন্ত কারাদন্ড, অথবা পঁাচ শত টাকা পর্যন্ত জরিমানা, অথবা উভয় দণ্ডে দন্ডনীয় হইবে।
ধারা-৯৭। বে-আইনীভাবে প্রকাশ বা ফাঁস করার দন্ড :
কেবল এই আইন অনুসারে দন্ডনীয় কোনো অপরাধের জন্য রুজুকৃত অভিযোগের ক্ষেত্র ছাড়া, যে কেহ ঌ২ ধারার অধীনে নমুনা পরীক্ষার ফল কোনো ব্যক্তির নিকট প্রকাশ বা ফাঁস করিলে তিন মাস পর্যন্ত কারাদন্ডে, অথবা পাঁচ শত টাকা পর্যন্ত জরিমানায়, অথবা উভয় দণ্ডে দন্ডনীয় হইবে।
ধারা-৯৮। তথ্য প্রকাশ বা ফাঁস করার উপর বিধি-নিষেধ :
(১) কেবল এই আইন অনুসারে কর্তব্য পালনের সময় ছাড়া, চাকরিতে থাকাকালে, অথবা চাকরি ত্যাগের পর কোনো ইন্সপেক্টর সরকারি দায়িত্ব পালন উপলক্ষে লব্ধ কোনো উত্পাদনী বা বাণিজ্যিক কার্যসংক্রান্ত গোপন তথ্য কোথাও প্রকাশ বা ফাঁস করিবেন না।
(২) সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় বা উত্পাদনী প্রক্রিয়ার মালিকের লিখিত পূর্ব অনুমতি লইয়া কোনো তথ্য প্রকাশ করিলে, কিংবা এই আইন অনুসারে কিংবা অন্য কোনো আইন মোতাবেক পরিচালিত ফৌজদারী কার্যক্রম অথবা উপরোল্লিখিত কার্যক্রম মোতাবেক কোনো রিপোর্ট পেশের উদ্দেশ্যে অনুরূপ কোনো তথ্য প্রকাশ হইলে, সেই ক্ষেত্রে উপধারা (১)-এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না।
(৩) কোনো ইন্সপেক্টর উপধারা (১)-এর বিধানসূহ লংঘন করিলে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ডে, অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানায়, অথবা উভয় দণ্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
ধারা-৯৯। শ্রমিকদের অপরাধ :
(১) ১১১ ধারার বিধানসমূহ সাপেক্ষে কোনো কারখানায় নিযুক্ত কোনো শ্রমিক এই আইনের কোনো বিধান, অথবা তদানুসারে প্রণীত কোনো বিধি বা আদেশ, অথবা তদানুসারে আরোপিত কোনো কর্তব্য বা দায়িত্ব লংঘন করিলে পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দণ্ডে দন্ডনীয় হইবে।
(২) উপধারা (১) অনুসারে কৃত অপরাধের জন্য কোনো শ্রমিক দন্ডিত হইলে সংশ্লিষ্ট কারখানার মালিক বা ম্যানেজার উক্ত অপরাধ হইতে শ্রমিককে নিবৃত্ত করার জন্য যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হইয়াছে, ইহা প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তাহাদের কেহই উক্ত অপরাদের জন্য দোষী বিবেচিত হইবেন না।
ধারা-১০০। মিথ্যা সক্ষমতা সার্টিফিকেট ব্যবহারের জন্য দন্ড :
কোনো ব্যক্তি ৬৮ ধারা অনুসারে মঞ্জুরীকৃত নিজের সক্ষমতা সার্টিফিকেট অন্য কোনো ব্যক্তিকে জ্ঞাতসারে ব্যবহার করিতে দিলে বা ব্যবহার করিতে দেওয়ার চেষ্টা করিলে, অথবা কোনো ব্যক্তি অন্যের কোনো সক্ষমতা সার্টিফিকেট ব্যবহার করিলে বা ব্যবহারের চেষ্টা করিলে, সে এক মাস পর্যন্ত কারাদন্ডে, অথবা পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত জরিমানায়, অথবা উভয় দণ্ডে দন্ডনীয় হইবে।
ধারা-১০১। শিশু শ্রমিকের দুই জায়গায় কাজ করার দন্ড :
কোনো শিশু যেদিন একটি কারখানায় কাজ করিয়াছে, সেইদিন সে অপর একটি কারখানায় কাজ করিলে সংশ্লিষ্ট শিশুর
মাতা-পিতা বা অভিভাবক, অথবা তাহার নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি, অথবা তাহার মঞ্জুরী হইতে সরাসরি উপকৃত হইতেছে, এইরূপ ব্যক্তি যদি না আদালতে ইহা প্রমাণিত হয় যে, শিশুটি উপরোক্ত মাতা-পিতা বা অভিভাবকের বা নিয়ন্ত্রক ব্যক্তির সম্মতি বা প্ররোচনা বা ইচ্ছাকৃত গাফিলতি ছাড়াই দুই জায়গায় কাজ করিয়াছে, তাহা হইলে পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত জরিমানায় দন্ডনীয় হইবে।
ধারা-১০২। অংশীদারী প্রতিষ্ঠান, কোম্পানী প্রভৃতির অপরাধ :
(১) এই অধ্যায়ের বিধানসমূহ অনুসারে কৃত অপরাধের জন্য কোনো কারখানার মালিক দন্ডনীয় হওয়ার অর্থ নিম্নোক্ত ব্যক্তিবৃন্দের দণ্ডের আওতায় আসা-
(ক) অংশীদারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিসমষ্টির যৌথ মালিকানায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের বেলায় উহার প্রত্যেক অংশীদার বা সদস্য; অথবা
(খ) প্রাইভেট কোম্পানি ব্যতীত কোনো কোম্পানী হইলে উহার প্রত্যেক ডাইরেক্টর; অথবা
(গ) প্রাইভেট কোম্পানি হইলে উহার প্রত্যেক শেয়ারহোল্ডার।
তবে শর্ত এই যে, সংশ্লিষ্ট অংশীদারী প্রতিষ্ঠান, যৌথ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি যদি উহার কোনো অংশীদার সদস্য বা ডাইরেক্টরকে, অথবা প্রইভেট কোম্পানির বেলায়ও কোনো শেয়ারহোল্ডারকে, যদি বাংলাদেশের বাসিন্দা, এ অধ্যায়ের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ডাইরেক্টর হিসাবে মনোনীত করিয়া ইন্সপেক্টরকে নোটিশ পাঠাইয়া থাকে, তাহা হইলে উক্ত মনোনয়ন বাতিল হইয়াছে বা সংশ্লিষ্ট ডাইরেক্টর উক্ত দায়িত্ব ত্যাগ করিয়াছে, এই মর্মে ইন্সপেক্টর পুনঃনোটিশ না পাওয়া পর্যন্ত উপরোক্ত মনোনীত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ডাইরেক্টর বলিয়া গণ্য হইবেন।
(২) ঌ৪ ধারা অনুসারে কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধে জন্য দোষী সাব্যস্ত হইলে উহার জন্য কোনো প্রাঙ্গণ বা দালানের মালিক অর্থে কোনো অংশীদারী প্রতিষ্ঠান, যৌথ প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানি দোষী প্রতিপন্ন হইলে, এই ধারার বিধান মোতাবেক পরিচালক অর্থে মালিক বুঝিতে হইবে এবং তদআনুসারেই এই ধারার বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবে।
ধারা-১০৩। কতিপয় ক্ষেত্রে দায়-দায়িত্ব হইতে মালিক বা ম্যানেজারের অব্যাহতি :
(১) এই আইন অনুসারে কৃত কোনো অপরাধের দরুন কোনো কারখানার মালিক বা ম্যানেজার অভিযুক্ত হইলে তিনি যথাযথভাবে অভিযোগ দায়ের করিয়া সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য প্রকৃত দোষী ব্যক্তিকে অভিযোগের জন্য নির্ধারিত শুনানির সময় আদালতে হাজির করিতে পারিবেন।
(২) অপরাধের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পর কারখানার মালিক বা ম্যানেজার যদি আদালতে প্রমাণ করিতে পারেন যে, অপরাধ সংঘটন নিরোধের জন্য তিনি যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করিয়াছেন এবং তাঁহার অজ্ঞাতে এবং সম্মতি বা সমর্থন ভিন্নই অন্য ব্যক্তি অপরাধটি করিয়াছে, তাহা হইলে সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তি উক্ত অপরাধের দায়ে দন্ডিত হইবে, যেন সেই ব্যক্তিই ছিল কারখানার মালিক বা ম্যানেজার, এবং উক্ত অপরাধের দায়-দায়িত্ব হইতে মালিক বা ম্যানেজার অব্যাহতি পাইবেন।
(৩) এই আইন অনুসারে কোনো অপরাধের দরুন কার্যক্রম রুজুর পূর্বে যে কোনো সময় ইন্সপেক্টরের নিকট যদি প্রতীয়মান হয় যে-
(ক) অপরাধ সংঘটন নিরোধের জন্য কারখানার মালিক বা ম্যানেজার যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করিয়াছেন;
(খ) মালিক বা ম্যানেজারের অজ্ঞাতে এবং সম্মতি বা সমর্থন ছাড়াই এবং তাঁহাদের নির্দেশ লংঘন করিয়া অপরাধটি সংঘটিত হইয়াছে; এবং
(গ) অন্য কোনো ব্যক্তি অপরাধটি করিয়াছে; তাহা হইলে ইন্সপেক্টর সংশ্লিষ্ট উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কার্যক্রম রুজু করিবেন এবং উক্ত ব্যক্তি যেন কারখানার মালিক বা ম্যানেজার ছিল, সেই মোতাবেকই উক্ত অপরাধের জন্য দন্ডনীয় হইবে।
ধারা-১০৪। আদালত কর্তৃক আদেশ জারির ক্ষমতা :
(১) কোনো কারখানার মালিক বা ম্যানেজার এই আইন অনুসারে দন্ডনীয় কোনো অপরাধ করিবার দায়ে দন্ডিত হইলে, উক্ত দণ্ডদান ছাড়াও, আদালত লিখিত আদেশ জারি করিয়া আদেশে উল্লেখিত তারিখের মধ্যে অপরাধের ক্ষতিপূরণ দানের জন্য সংশ্লিষ্ট মালিক বা ম্যানেজারকে নির্দেশ দিতে পারিবেন, এবং অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ের প্রতিবিধান করার উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আবেদনক্রমে ক্ষতিপূরণদানের মেয়াদ বর্ধিতও করিতে পারিবেন।
(২) উপধারা (১) অনুসারে আদেশ জারির উক্ত আদেশে উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে বা বর্ধিত সময়সীমার মধ্যে কারখানার মালিক বা ম্যানেজার এই আইন অনুসারে যেই অপরাধের জন্য দন্ডপ্রাপ্ত হইয়াছেন, সে অপরাধ অব্যাহত থাকার কারণে আর দোষী সাব্যস্ত হইবে না।
(৩) নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যে উপধারা (১) অনুসারে প্রদত্ত আদালতের আদেশ পুরোপুরিভাবে পালিত না হইলে , নির্ধারিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট মালিক বা ম্যানেজার অতিরিক্ত অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং তজ্জন্য ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ডে, অথবা নির্ধারিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতিদিনের জন্য একশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা দন্ডে, অথবা উভয় দণ্ডে দন্ডনীয় হইবে।
ধারা-১০৫। চাকরিতে নিযুক্ত থাকা সম্পর্কে অনুমান :
কেবল আহার বা বিশ্রামের জন্য বিরতির সময় ছাড়া কাজ চলাকালে বা মেশিন চালু থাকিবার সময় কোনো কারখানায় যেই সব ব্যক্তিকে উপস্থিত দেখা যাইবে, বিপরীত প্রমাণ না পাওয়া পর্যন্ত, এই আইনের এবং এতদানুসারে প্রণীত বিধিমালার উদ্দেশ্য সাধনের জন্য তাহাদের প্রত্যেকে উক্ত সময় ঐ কারখানায় নিযু্ক্ত কর্মচারি বলিয়া গণ্য হইবে।
ধারা-১০৬। বয়স প্রমাণে দায়িত্ব :
(১) কোনো নির্দিষ্ট বয়সের অধিক বা কম বয়স্ক কোনো ব্যক্তির কৃত কোনো অপরাধ এই আইন অনুসারে দন্ডযোগ্য হইলে এবং আদালতের মতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দৃশ্যত উক্ত নির্দিষ্ট বয়সের অধিক বা কম বলিয়া প্রতিপন্ন হইলে, সেই ব্যক্তির বয়স নির্দিষ্ট সীমার বেশি বা কম নহে, তাহা প্রমাণের দায়িত্ব অভিযুক্ত ব্যক্তির।
(২) কোনো শ্রমিকের বয়স নির্দিষ্ট সীমার বেশি না কম, সেই সম্পর্কে সার্টিফিকেট দানকারী সার্জন কর্তৃক প্রদত্ত ঘোষণাপত্র এই আইনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংশ্লিষ্ট শ্রমিকের বয়স সম্পর্কে প্রমাণ হিসাবে গ্রাহ্য হইবে।
ধারা-১০৭। অপরাধ আমলে লওয়া :
(১) ইন্সপেক্টার কর্তৃক সরাসরি বা তাঁহার কর্তৃত্বাধীনে বা তাঁহার লিখিত পূর্ব অনুমতি ব্যতীত অন্যভাবে এই আইন অনুসারে আনীত কোনো অপরাধ সংক্রান্ত অভিযোগ কোনো আদালত আমলে লইবেন না।
তবে শর্ত এই যে, আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলা কারখানাসমূহের চীফ ইন্সপেক্টরের পূর্ব অনুমতি ছাড়া প্রত্যাহার করা যাইবে না।
(২) এই আইনের বা তদানুসারে প্রণীত কোনো বিধিমালা বা প্রদত্ত কোনো আদেশ অনুসারে কৃত কোনো অপরাধের বিচার প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নিম্ন পর্যায়ের কোনো আদালত বিচার করিবেন না।
একাদশ অধ্যায়
পরিপূরক
ধারা-১০৮। আপীল :
(১) এই আইন অনুসারে ইন্সপেক্টরের কোনো লিখিত আদেশ কোনো কারখানার ম্যানেজারের উপর জারি হইলে উক্ত আদেশ প্রাপ্তির ত্রিশদিনের মধ্যে কারখানার ম্যানেজার বা মালিক উহার বিরুদ্ধে আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল করিতে পারিবেন এবং আপীল কর্তৃপক্ষ এতদসংক্রান্ত বিধিমালা সাপেক্ষে উক্ত আদেশ বহাল, সংশোধন বা পরিবর্তন করিতে পারিবেন।
(২) এতদসংক্রান্ত বিধিমালা সাপেক্ষে প্রয়োজন মনে করিলে আপীল কর্তৃপক্ষ উপধারা (১) অনুসারে দায়েরকৃত আপীল অাবেদন দুইজন অ্যাসেসরের সহায়তায় শুনানি করিবেন এবং উক্ত অ্যাসেসরদ্বয় একজনকে আপীল কর্তৃপক্ষ ও অপরজনকে সংম্লিষ্ট শিল্পের নির্ধারিত কোনো প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা নিয়োগ করিবেন।
তবে শর্ত এই যে, অনুরূপ প্রতিনিধিত্বকারী সংস্থা কোনো অ্যাসেসর নিয়োগ না করিলে, কিংবা তাহাদের নিয়োজিত বা অ্যাসেসর আপীলের শুনানির জন্য নির্দিষ্ট সময়ে নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হইতে ব্যর্থ হইলে, আপীল কর্তৃপক্ষ যদি মনে করেন যে, যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়াই তিনি অনুপস্থিত রহিয়াছেন, তাহা হইলে উক্ত অ্যাসেসরের সাহায্য ছাড়াই, অথবা প্রয়োজন মনে করিলে কোনো অ্যাসেসরের সাহায্য ছাড়াই আপীল কর্তৃপক্ষ শুনানি চালাইয়া যাইবেন।
(৩) এই বিষয়ে সরকার প্রণীত কোনো বিধিমালা সাপেক্ষে আপীল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করিলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত যেই আদেশের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের করা হইয়াছে, তাহা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখিতে পারিবেন।
(৪) এই ধারার উদ্দেশ্যে সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন এবং কোন্ কোন্ শ্রেণীর আপীল অ্যাসেসরদের সহায়তায় শুনানি করা হইবে না, তাহা উক্ত বিধিমালায় নির্দিষ্ট করিয়া দিতে পারিবেন।
(৫) এই ধারায় ‘আপীল কতৃপক্ষ’ বলিতে সরকার, অথবা সরকার কর্তৃক এই উদ্দেশ্যে নিযুক্ত কোনো কর্তৃপক্ষকে বুঝাইবে।
ধারা-১০৯। নোটিশ প্রদর্শন :
(১) এই আইনের বা এর আওতাধীনে প্রণীত বিধিমালা অনুসারে কারখানার প্রয়োজনীয় প্রদর্শনীয় অন্যান্য নোটিশের অতিরিক্ত ইন্সপেক্টর বা সিভিলসার্জনের কার্যালয়ের ঠিকানা এবং এই আইনের ও এই আইন অনুসারে প্রণীত বিধিমালায় নির্দিষ্ট করে দেয়া সার-সংক্ষেপে একটি নোটিশের আকারে প্রত্যেক কারখানায় প্রদর্শন করিতে হইবে।
(২) এই আইন বা এতদানুসারে যে সমস্ত নোটিশ কারখানায় প্রদর্শন করা প্রয়োজন তাহা -
(ক) বাংলায় ও ইংরেজিতে, এবং যেখানে শ্রমিকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের মাতৃভাষা বাংলা নহে, সেখানে ইংরেজিতে লিখিত হইতে হইবে;
(খ) কারখানার কোনো প্রকাশ্য বা সুবিধাজনক স্থানে, অথবা প্রধান ফটকের সন্নিকটে টাঙ্গাইতে হইব; এবং
(গ) পরিষ্কার ও বোধগম্য অবস্থায় রক্ষণাবেক্ষণ করিতে হইবে।
(৩) চীফ ইন্সপেক্টর যে কোনো কারখানার ম্যানেজারের উপর লিখিত আদেশ জারি করিয়া শ্রমিকদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা কল্যাণ সম্পর্কে অন্য যেই কোনো নোটিশ বা পোস্টার কারখানায় প্রদর্শন করার নির্দেশ দিতে পারিবেন।
ধারা-১১০। নোটিস জারি ও রিটার্ন :
সরকার বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন -
(ক) এই আইন অনুসারে আদেশ জারির পদ্ধতি নির্ণয় করিয়া; এবং
(খ) এই আইনের উদ্দেশ্যে মেয়া