আপনি যখন একটি ওয়েবসাইটের ঠিকানা ব্রাউজারে লিখেন তখন কি ঘটে জানেন কি? ওয়েবসাইটের ঠিকানাটি কোন ডিএনএস (ডোমেইন নেম সারভার) এ আবস্থিত তা আইএসপিকে জিজ্ঞাসা করে। আপনার ইন্টারনেট প্রদানকারী সংস্থার কাছে বিশ্বের বিভিন্ন ডোমেইন নাম এবং তার ডিএনএস তথ্য জমা থাকে। আর এই প্রক্রিয়াটি দ্রুত করার জন্য তারা কেশ মেমরীতে এই তথ্য জমা রাখে। আপনি যখন আপনার ডোমেইন নাম লিখে দেন তখন আপনার ওয়েব হোস্টের আইপি ঠিকানাটি প্রদান করে এবং সারভারের আপনার ডোমেইনের জন্য সংরক্ষিত ফোল্ডারে প্রবেশ করে।
সেই ফোল্ডারে index.html বা default.html বা index.php বা default.php ইত্যাদি ফাইল অনুসন্ধান করে। আর এই স্ক্রিপ্টগুলো সারভারে প্রসেস হয়ে আপনার জন্য সুনির্দিষ্ট ওয়েবসাইটটি দেখায়।
চোখের পলকে হাজির হওয়া ওয়েবসাইটটি হাজির করার জন্য আইএসপিগুলো আপনার জন্য আরেকটি কাজ করে। সেটা হলো ডিএনএস তথ্যগুলো তাদের ক্যাশ মেমরীতে সংরক্ষণ করে। এক এক আইএসপি এক এক সময় পর পর ক্যাশমেমরীতথ্য গুলো আপডেট করে।
সারভার পরিবর্তনের জন্য সাধারনত ডিএনএস পরিবর্তন করার দরকার পরে। আর তখনই সাথে সাথে ওয়েবসাইটটি প্রদর্শিত না হয়ে আইএসপিগুলো আপনার ডোমেনকে আগের সারভারের আইপিতে নিয়ে যেতে পারে তখন হয় বিপত্তি। কেউ কেউ আপনার ওয়েবসাইট দেখতে পায় আবার কেউ কেউ দেখতে পায় না বা আগের সারভারে অবস্থিত পাতাগুলো দেখতে পায়।এই সময়ের দেরীকেই বলে প্রোপাগেশন ডিলে।
এজন্য দুইটি কাজ করলে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
ডোমেইন কেনার সময়ই ওয়েব হোস্টের নেমসারভার দিয়ে কেনা। তাহলে হোস্টিং একাউন্ট তৈরীর সাথে সাথে সারভারের সাথে সংযুক্ত হয়ে যাবে।
ওয়েব সারভার পরিবর্তনের সময় আপডেট বন্ধ রাখা এবং আগের সারভারের মেয়াদ শেষের আগেই সারভার পরিবর্তন করে নেওয়া। এবং ফাইল ট্রান্সফারের পর তিন দিন পর্যন্ত আগের সারভারে ফাইলগুলো রেখে দেওয়া এবং পরে তা মুছে দেওয়া। করান বেশভাগ আইএসপিগুলো ১২ থেকে ৭২ ঘন্টা পর পর তাদের ক্যাশ রি-বিল্ড করে।