১৯৬৫ সালের
শ্রমিক নিয়োগ (স্থায়ী আদেশ আইন)
[The Employment of Labour (Standing Orders) Act, 1965]
[১৯৬৫ সালের ৮ নং আইন]
[১লা সেপ্টেম্বর, ১৯৬৫]
১৯৬০ সালের শিল্প ও বানিজ্যিক নিয়োগ (স্থায়ী আদেশ) অধ্যাদেশ বাতিল এবং কতিপয় সংশোধনীসহ পুন:প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন।
যেহেতু দোকান ও বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত শ্রমিকদের চাকুরীর শর্তাবলী নিয়ন্ত্রনের জন্য ১৯৬০ সালের শিল্প ও বানিজ্যিক নিয়োগ (স্থায়ী অাদেশ) অধ্যাদেশটি বাতিল এবং কতিপয় সংশেধনীসহ পুন:প্রণয়ন করা সমীচীন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়াদির জন্য প্রয়োজন;
সেহেতু নিম্নোক্ত আইন প্রণয়ন করা হইলো:
ধারা-১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, আওতা, প্রবর্তন ও প্রয়োগ (Short title, extent, commencement and application): এই আইনকে ১৯৬৫ সালের শ্রমিক নিয়োগ স্থায়ী আদেশ আইন নামে অভিহিত করা হইবে।
(২) এই আইন সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবে।
(৩) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
(৪) ইহা প্রযোজ্য হইবে-
(ক) যে সকল দোকান বা বানিজ্য প্রতিষ্ঠানের উপর [১৯৬৫ সালের দোকান ও প্রতিষ্ঠান আইন] প্রযোজ্য, তেমন সকল দোকান ও বানিজ্যক প্রতিষ্ঠানে;
(খ) যে সকল এলাকায় [১৯৬৫ সালের দোকান ও প্রতিষ্ঠান আইন] প্রযোজ্য, সেই সকল এলাকার সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে; এবং
(গ) [বাংলাদেশের] অন্যান্য এই লাকার প্রত্যেক শিল্প প্রতিষ্ঠানে, যেই ইখানে পাঁচ বা ততোধিক শ্রমিক নিয়োজিত রহিয়াছেন অথবা পূর্ববর্তী বারো মাসের যে কোনো দিনে নিয়োজিত ছিলেন।
তবে শর্ত হচ্ছে যে ,সরকারী মালিকানাধীন এবং [সরকার] কর্তৃক প্রত্যক্ষভাবে পরিচালিত কোনো দোকানে অথবা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে অথবা শিল্প প্রতিষ্ঠানে এই আইনের বিধানসমূহ প্রযোজ্য হইবেনা এবং এই সকল প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধিমালা (Government Servant Conduct Rules) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইবেন ।
ধারা-২। সংজ্ঞাসমূহ (Definitions) :
বিষয় ও প্রসঙ্গের বিপরীত না হইলে এই আইন অনুযায়ী -
(ক) ‘শিক্ষানবিস’ অর্থ, যে ব্যক্তি কাজ শিখিতেছে এবং শিক্ষাকালীন সময়ে ভাতা পাইয়া থাকে, তাহাকে বুঝাইবে;
(খ) ‘বদলী’ অর্থ, সাময়িকভাবে অনুপস্থিত স্থায়ী বা শিক্ষানবিস শ্রমিকের জায়গায় যে শ্রমিককে নিযুক্ত করা হইয়াছে;
(গ) ‘সাময়িক শ্রমিক’ অর্থ, যেই ই শ্রমিককে সাময়িকভাবে কাজে নিযুক্ত করা হইয়াছে;
(ঘ) ‘বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান’ অর্থ, বিজ্ঞাপন প্রচার, কমিশন অথবা মাল চালান দেওয়া ধরনের ব্যবসায় নিযুক্ত প্রতিষ্ঠান, অথবা কোনো বাণিজ্যিক এজেন্সী এবং তত্সহ যেই ই কোনো কারখানা বা বাণিজ্যিক সংস্থার কেরাণীর কাজ সংক্রান্ত বিভাগ, কোনো বাণিজ্যিক বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকের সহিত ব্যবসায়ের চুক্তিতে আবদ্ধ যে কোনো ব্যক্তি কর্মচারী নিয়োগ করিয়া ব্যবসায় করিয়া থাকে, তাহার অফিস, কোনো এজেন্ট, যুক্ত স্টক কোম্পানির যে কোনো ইউনিট, যে কোনো বীমা কোম্পানি, যেই কোনো ব্যাংকিং কোম্পানি বা ব্যাংক, কোনো ব্রোকারের অফিস বা শেয়ার বাজার, কোনো ক্লাব, কোনো হোটেল বা রেস্তোরা বা খাবারের দোকান, কোনো সিনেমা বা থিয়েটার, কিংবা সরকার সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করিয়া যেই কোনো শ্রেণীর প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে এই আইনের আওতাভুক্ত বলিয়া ঘোষণা করিবেন;
(ঙ) ‘ডাইরেক্টর অব লেবার’ অর্থ, সরকার কর্তৃক উক্ত পদে নিযুক্ত অফিসার;
(চ) ‘চাকুরী হইতে অপসারণ’ অর্থ, দৈহিক বা মানসিক দিক হইতে অক্ষমতা বা ক্রমাগত অসুস্থতা বা এই ধরনের, অনুরূপ প্রকৃতির অন্য যেই কোনো কারণে যাহা অসদাচারণ নহে, মালিক কর্তৃক কোনো শ্রমিককে কর্মচ্যুত করা;
(ছ) ‘বরখাস্তকরণ’ অর্থ, অসাদচরণের জন্য মালিক কর্তৃক কোনো শ্রমিককে কর্মচ্যুত করা;
(জ) ‘মালিক’ অর্থ কোনো দোকানে, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় ও ব্যবস্থাপনায় অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি, ব্যক্তিসমষ্টি, বিধিবদ্ধ সংস্থা, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান, তাহাদের উত্তরাধিকারী বা বংশগত উত্তরাধিকারী (অবস্থানুযায়ী যেইরূপ হইবে), এবং তত্সহ নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ :-
(i) কোনো কারখানায় উহার ম্যানেজার;
(ii) কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, বা উহার পক্ষে পরিচালিত কোনো দোকানে, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত অফিসার, প্রধান নির্বাহী অফিসার; এবং
(iii) অন্য যেই কোনো দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ডাইরেক্টর, ম্যানেজার, সেক্রেটারী, এজেন্ট ব্যবস্থাপনার সহিত সংশ্লিষ্ট এবং উহার তদারক ও নিয়ন্ত্রণের জন্য মালিকের নিকট দায়ী অন্য যেই কোনো কর্মকর্তা বা ব্যক্তি;
(ঝ) ‘ধীরে কাজ করা’ অর্থ একদল শ্রমিক কর্তৃক সংঘবদ্ধভাবে উদ্দেশ্যমূলক ও ইচ্ছাকৃতভাবে স্বাভাবিক কাজের গতি বা উত্পাদন মন্থর করা এবং যাহা যান্ত্রিক গোলযোগ, যন্ত্রপাতি বিকল হওয়ার, বিজলী সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার বা খুচরা যন্ত্রপাতি বা স্বাভাবিক মাল-মশলা সরবাহের কারণে সংঘটিত হয়নি;
(ঞ) ‘শিল্প প্রতিষ্ঠান’ অর্থ কোনো কারখানা বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান, যেইখানে কোনো পণ্য উত্পাদন, সংযোজন বা প্রস্তুত করা হয়, অথবা যেইখানে ব্যবহার, পরিবহন, বিক্রয় বা চালান দেওয়ার উদ্দেশ্যে কোনো দ্রব্য বা দ্রব্যাংশ তৈয়ার করা, পরিবর্তন করা, মেরামত করা, ঝালাই করা, শ্রীবৃদ্ধি করা বা প্যাকিং করা হয়, অথবা নৌযানসহ অন্য যেই কোনো শ্রেণীর যানবাহন, যাহাকে সরকার সরকারী গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে এই আইনের আওতায় শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসাবে ঘোষণা করিবেন, এবং তত্সহ -
(i) যেই কোনো মোটর বা বাস সার্ভিস;
(ii) যেই কোনো ডক পোতাশ্রয় বা জেটি;
(iii) যেই কোনো খনি, গ্যাসফিল্ড বা তৈল উত্তোলন ক্ষেত্র,
(iv) যেই কোনো বাগান; অথবা
(v) ১৯৬৫ সালের কারখানা আইনে নির্দেশিত যেই কোনো কারখানা বুঝাইবে;
(ট) ‘শ্রম আদালত’ অর্থ, ১৯৬৯ সালের শিল্প বিরোধ অধ্যাদেশ অনুসারে গঠিত যেই কোনো আদালত ;
(ঠ) ‘লে-অফ’ অর্থ, কয়লা, বিজলী বা কাঁচামালের স্বল্পতা বা মওজুদ মালের জন্য বা যন্ত্রপাতি বিকল হওয়া বা অন্য কোনো কারণে মালিক কর্তৃক তাহার দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাস্টার রোলে নাম অন্তর্ভুক্ত রহিয়াছে, এইরূপ শ্রমিককে চাকুরীতে বহাল রাখিতে ব্যর্থতা ও অস্বীকৃতি বা অক্ষমতা প্রকাশ করা;
(ড) ‘স্থায়ী শ্রমিক’ অর্থ, স্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত শ্রমিক বা সংশ্লিষ্ট দোকানে বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত যেই শ্রমিক শিক্ষানবিসের মেয়াদ সন্তোষজনকভাবে সমাপ্ত করিয়াছে;
(ঢ) ‘বাগান’ অর্থ, সিংকোনা, রাবার, কফি বা চা উত্পাদনের উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত বাগান এবং তত্সহ চিনিকলের অধীনস্থ ইক্ষু চাষের খামার, যেইখানে উক্ত উদ্দেশ্যে পঁচিশ জন বা ততোধিক ব্যক্তিকে কাজে নিযুক্ত করা হইয়াছে;
(ণ) ‘সরকারী কর্মচারী’ অর্থ, ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ২১ ধারায় যাহাদিগকে বুঝানো হইয়াছে ;
(ত)’শিক্ষানবিস’ অর্থ, কোনো স্থায়ী পদ পূরণের জন্য অস্থায়ীভাবে কর্মে নিযুক্ত শ্রমিক, যাহার শিক্ষানবিস হিসাবে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয় নাই;
(থ) ‘ছাঁটাই’ অর্থ, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে না হইয়া অনাবশ্যকতা হেতু মালিক কর্তৃক শ্রমিকের চাকুরীর অবসান ঘটানো;
(দ) ‘দোকান’ অর্থ, ইস্ট বেঙ্গল শপ্স এ্যান্ড এস্টাব্লিশমেন্টস অ্যাক্ট, ১৯৫১ দ্বারা যেই সমস্ত দোকান বুঝানো হইয়াছে ;
(ধ) ‘অস্থায়ী শ্রমিক’ অর্থ, মূলত অস্থায়ী ধরনের কাজে নিযুক্ত শ্রমিক এবং অল্প কিছুদিন পর যাহার কাজ শেষ হইবে;
(ন) ‘ট্রেড ইউনিয়ন’ অর্থ, ১৯৬৯ সালের শিল্প সম্পর্ক অধ্যাদেশের অধীনে রেজিষ্ট্রিকৃত ইউনিয়ন;
(প) ‘মজুরী’ অর্থ, ১৯৩৬ সালের মজুরী প্রদান আইন অনুসারে সংজ্ঞায়িত মজুরী;
(ফ) ‘শ্রমিক’ অর্থ, কোনো দোকানে বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে কোনো দক্ষ, অদক্ষ, দৈহিক, কারিগরী, বাণিজ্য-সংক্রান্ত বা কেরাণীগিরী ধরনের কাজ করিবার জন্য মজুরী প্রদানের ভিত্তিতে নিযুক্ত ব্যক্তি (শিক্ষানবিশসহ), তাহার চাকুরীর শর্ত ব্যক্ত বা অব্যক্ত, যেই রূপ হইয়া থাকুক না কেন, কিন্তু নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ উহার অন্তর্গত হইবে না-
(i) প্রধানত ব্যবস্থাপনা -সংক্রান্ত প্রশাসনিক দায়িত্বে নিযুক্ত ব্যক্তি; অথবা,
(ii) তদারকির কাজে নিযুক্ত সেই ব্যক্তি, যেই ব্যক্তি তাহার দায়িত্ব হিসাবে, অথবা প্রাপ্ত ক্ষমতার বলে ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত বা প্রশাসনিক ধরনের দায়িত্ব পালন করিয়া থাকে।
ধারা-৩। চাকুরীর শর্তাবলী (Conditions of employment) :
(১) প্রত্যেক দোকানে বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের চাকুরী এবং তত্সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয় এই আইনের বিধান অনুসারে নিয়ন্ত্রিত হইবে।
তবে শর্ত এই যে, যেই কোনো দোকানে, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের বা যেই কোনো শ্রেণীর কর্মচারীদের চাকুরী নিয়ন্ত্রণের জন্য নিজস্ব বিধিমালা থাকিতে পারে, কিন্তু উক্ত বিধিমালা শ্রমিকদের নিকট এই আইনের বিধান অপেক্ষা কম অনুকূল হইলে চলিবে না।
(২) উপধারা (১)-এর শর্তে বর্ণিত ব্যবস্থা অনুসারে কোনো দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বা কোনো শ্রেণীর কর্মচারীদের চাকুরী নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে কোনো চাকুরী-বিধি থাকিলে, উহা ৩০ ধারার অধীনে নিযুক্ত ইন্সপেক্টরের নিকট উক্ত দোকানের বা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক অনুমোদনের জন্য পাঠাইবেন এবং ইন্সপেক্টরের অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত উক্ত চাকুরী-বিধি কার্যকর করা যাইবে না।
(৩) ইন্সপেক্টরের আদেশের ফলে অসন্তুষ্ট যে কোনো ব্যক্তি উক্ত নির্দেশ জারীর ত্রিশ দিনের মধ্যে চীফ ইন্সপেক্টরের নিকট আপিল করিতে পারিবেন এবং তিনি ইন্সপেক্টরের আদেশ বহাল রাখিতে, সংশোধন করিতে বা বাতিল করিতে পারিবেন।
(৪) চীফ ইন্সপেক্টরের আদেশের বিরুদ্ধে তাঁহার নির্দেশ জারির ত্রিশ দিনের মধ্যে সরকারের নিকট দ্বিতীয় আপিল করা যাইবে এবং সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হইবে।
ধারা-৪। শ্রমিকদের শ্রেণীবিভাগ এবং শিক্ষানবিশীর সময়-সীমা (Classification of workers and period of probation) :
(১) কোনো দোকানে বা বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠানে বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে চাকুরীতে নিযুক্ত শ্রমিককে তাহার কাজের প্রকৃতি ও শর্ত অনুযায়ী এবং এই আইনের বিধানমতে নিম্নোক্ত যেই কোনো শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে :
(ক) শিক্ষানবিশ (ঘ) স্থায়ী
(খ) বদলী (ঙ) শিক্ষানবিশ এবং
(গ) সাময়িক (চ) অস্থায়ী।
(২) কেরানীগিরি ধরনের কাজে নিযুক্ত হইলে শ্রমিকের শিক্ষানবিশ থাকার সময়-সীমা ছয় মাস হইবে এবং অন্য ধরনের শ্রমিকদের বেলায় উক্ত সময়-সীমা তিন মাস হইবে। ছুটির জন্য কর্ম-বিরতি, বে-আইনী ‘লক-আউট’ বা ধর্মঘট (বে-আইনী ধর্মঘট নহে) চলাচালীন সময়ও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে ।
তবে শর্ত এই যে, কোনো দক্ষ শ্রমিকের বেলায় তিন মাস শিক্ষানবিশ থাকার সময় যদি কোনো কারণে তাহার যোগ্যতা যাচাই করা সম্ভব না হইয়া থাকে, তবে সেই ক্ষেত্রে তাহাকে শিক্ষানবিশ রাখার সময়-সীমা অতিরিক্ত তিন মাস বৃদ্ধি করা যাইতে পারে।
(৩) শিক্ষানবিশ থাকার সময়-সীমার মধ্যে উপধারার বিধানমতে দক্ষ শ্রমিকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত তিন মাস কোনো শ্রমিককে চাকুরী হইতে বরখাস্ত করা হইলে একই মালিক যদি তাহাকে পরবর্তী তিন বত্সরের মধ্যে কোনো সময় চাকুরীতে নিযু্ক্ত করিয়া থাকেন, তবে স্থায়ী ভিত্তিতে নিযুক্ত না করা হইয়া থাকিলে তাহাকে শিক্ষানবিশ শ্রমিক বলিয়া গণ্য করিতে হইবে এবং তাহার মোট শিক্ষানবিশীর সময়-সীমার হিসাবের মধ্যে পূর্ববর্তী শিক্ষানবিশী সময়কালকে অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে।
(৪) কোনো স্থায়ী শ্রমিককে কোনো নূতন পদে শিক্ষানবিশ নিয়োগ করা হইলে শিক্ষানবিশী সময়কালের মধ্যে যেই কোনো সময় তাহার পুরাতন স্থায়ী পদে চলিয়া আসিতে পারে।
[১৯৯৪ সালের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং প্রশ্নের উত্তরের শেষ অংশ]।