ধারা-২০। বিচার পদ্ধতি :
(১) এই আইনের অধীন কোন অপরাধের বিচার কেবলমাত্র ধারা ২৫-এর অধীন গঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারযোগ্য হইবে।
(২) ট্রাইব্যুনালে মামলার শুনানি শুরু হইলে উহা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে একটানা চলিবে।
(৩) বিচারের জন্য মামলা প্রাপ্তির তারিখ হইতে একশত আশি দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল বিচারকার্য সমাপ্ত করিবে।
(৪) উপ-ধারা (৩)-এর অধীন সময়সীমার মধ্যে মামলার বিচারকার্য সমাপ্ত না হইলে, ট্রাইব্যুনাল মামলার আসামীকে জামিনে মুক্তি দিতে পারিবে এবং আসামীকে জামিনে মুক্তি দেওয়া না হইলে ট্রাইব্যুনাল উহার কারণ লিপিবদ্ধ করিবে।
(৫) কোন মামলার বিচারকার্য শেষ না করিয়া যদি কোন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বদলি হইয়া যান, তাহা হইলে তিনি বিচারকার্যের যে পর্যায়ে মামলাটি রাখিয়া গিয়াছেন, সেই পর্যায় হইতে তাহার স্থলাভিষিক্ত বিচারক বিচার করিবেন এবং তাহার পূর্ববতী বিচারক যে সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করিয়াছেন সেই সাক্ষীর সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণ করার প্রয়োজন হইবে না।
তবে শর্ত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে যদি বিচারক কোন সাক্ষীর সাক্ষ্য পুনরায় গ্রহণ করা অপরিহার্য বলিয়া মনে করেন, তাহা হইলে তিনি সাক্ষ্য গ্রহণ করা হইয়াছে এমন যে কোন সাক্ষীকে তলব করিয়া পুনরায় তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ করিতে পারিবেন।
(৬) ধারা ৯-এর অধীন কোন অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে, কোন আবেদনের প্রেক্ষিতে, ট্রাইব্যুনাল উপযুক্ত মনে করিলে ধর্ষিতা নারীর বা কোন সাক্ষীর জবানবন্দি রুদ্ধদ্বার কক্ষে গ্রহণ করিতে পারিবে।
(৭) কোন শিশু এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ অভিযুক্ত হইলে বা উক্ত অপরাধের সাক্ষী হইলে তাহার ক্ষেত্রে Children Act,1974 [ XXXIX of 1974] -এর বিধানাবলী যতদূর সম্ভব অনুসরণ করিতে হইবে।
[ এই ধারাটিতে কিছু সংযোজন করা হয়েছে ২০০৩ সালে ]
ধারা-২১। আসামীর অনুপস্থিততে বিচার :
(১) যদি ট্রাইব্যুনালের এই মর্মে বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকে যে,-
(ক) অভিযুক্ত ব্যক্তি তাহার গ্রেফতার বা তাহাকে বিচারের জন্য সোপর্দকরণ এড়াইবার জন্য পলাতক রহিয়াছেন বা আত্নগোপন করিয়াছেন ; এবং
(খ) তাহার আশু গ্রেফতারের কোন সম্ভাবনা নাই, তাহা হইলে ট্রাইবু্যনাল অন্তত দুইটি বাংলা দৈনিক খবরের কাগজে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লিখিত সময়, যাহা ত্রিশ দিনের বেশি হইবে না, এর মধ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিতে পারিবে এবং উক্ত সময়ের মধ্যে যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে হাজির হইতে ব্যর্থ হন, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল তাহার অনুপস্থিতিতে বিচার করিতে পারিবে।
(২) যদি কোন অভিযুক্ত ব্যক্তি ট্রাইব্যুনালে হাজির হইবার পর বা তাহাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার পর বা তাহাকে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জামিনে মুক্তি দেওয়ার পর পলাতক হন, তাহা হইলে তাহার ক্ষেত্রে উপ-ধারা (১)-এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না, এবং সেইক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল, কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, অভিযুক্ত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতে তাহার বিচার সম্পন্ন করিতে পারিবে।
ধারা-২২। ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক যে কোন স্থানে জবানবন্দি গ্রহণের ক্ষমতা :
(১) এই আইনের অধীন সংঘটিত কোন অপরাধের তদন্তকারী কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা তদন্তকারী অন্য কোন ব্যক্তি কিংবা অকুস্থলে কোন আসামীকে ধৃত করার সময় কোন পুলিশ কর্মকর্তা যদি মনে করেন যে, ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিফহাল বা ঘটনাটি নিজ কক্ষে চক্ষে দেখিয়াছেন এমন কোন ব্যক্তির জবানবন্দি অপরাধের ত্বরিত বিচারের স্বার্থে কোন ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক অবিলম্বে লিপিবদ্ধ করা প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটকে উক্ত ব্যক্তির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করিবার জন্য লিখিতভাবে বা অন্য কোনভাবে অনুরোধ করিতে পারিবেন।
(২) উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত ম্যাজিষ্ট্রেট ঘটনাস্থলে বা অন্য কোন যথাযথ স্থানে উক্ত ব্যক্তির জবানবন্দি গ্রহণ করিবেন এবং উক্তরূপে গৃহীত জবানবন্দি তদন্ত প্রতিবেদনের সহিত শামিল করিয়া ট্রাইব্যুনালে দাখিল করিবার নিমিত্ত তদন্তকারী কর্মকর্তার বা ব্যক্তির নিকট সরাসরি প্রেরণ করিবেন।
(৩) যদি উপ-ধারা (১)-এ উল্লিখিত কোন অপরাধের জন্য কোন ব্যক্তির বিচার কোন ট্রাইব্যুনালে শুরু হয় এবং দেখা যায় যে, উপ-ধারা (২)-এর অধীন জবানবন্দি প্রদানকারী ব্যক্তির সাক্ষ্য প্রয়োজন, কিন্তু তিনি মৃত্যুবরণ করিয়াছেন বা তিনি সাক্ষ্য দিতে অক্ষম বা তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া সম্ভব নহে বা তাহাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করিবার চেষ্টা এইরূপ বিলম্ব, ব্যয় বা অসুবিধার ব্যাপার হইবে যাহা পরিস্থিতি অনুসারে কাম্য হইবে না, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল উক্ত জবানবন্দি মামলায় সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করিতে পারিবে :
তবে শর্ত থাকে যে, শুধুমাত্র উক্ত সাক্ষীর সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করিয়া ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে না।
ধারা-২৩। রাসায়নিক পরীক্ষক, রক্ত পরীক্ষক, ইত্যাদির সাক্ষ্য :
সরকার কর্তৃক নিয়োজিত কোন চিকিত্সক, রাসায়নিক পরীক্ষক, সহকারী রাসায়নিক পরীক্ষক, রক্ত পরীক্ষক, হস্তলিপি বিশেষজ্ঞ আংগুলান্ক বিশারদ অথবা আগ্নেয়াস্ত্র বিশারদকে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংক্রান্ত কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে কোন বিষয়ে পরীক্ষা বা বিশ্লেষণ করিয়া প্রতিবেদন প্রদান করিবার পর বিচারকালে তাহার সাক্ষ্য গ্রহণ প্রয়োজন, কিন্তু তিনি মৃত্যুবরণ করিয়াছেন বা তিনি সাক্ষ্য দিতে অক্ষম বা তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া সম্ভব নয় বা তাহাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করিবার চেষ্টা এইরূপ বিলম্ব, ব্যয় বা অসুবিধার ব্যাপার হইবে যাহা পরিস্থিতি অনুসারে কাম্য হইবে না তাহা হইলে তাহার স্বাক্ষরযুক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট এই আইনের অধীন বিচারকালে সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণ করা যাইবে :
তবে শর্ত থাকে যে, শুধুমাত্র উক্ত প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করিয়া ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তি প্রদান করিতে পারিবে না।
ধারা-২৪। সাক্ষীর উপস্থিতি :
(১) এই আইনের অধীন বর্ণিত কোন অপরাধের বিচারের জন্য সাক্ষীর সমন বা ওয়ারেন্ট কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট সাক্ষীর সর্বশেষ বসবাসের ঠিকানা যে থানায় অবস্থিত, সেই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত সাক্ষীকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করিবার দায়িত্ব উক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার থাকিবে।
(১) উপ-ধারা (১)-এর বিধান সত্ত্বেও সাক্ষীর সমনের একটি অনুলিপি সংশ্লিষ্ট সাক্ষীকে এবং সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার বা, ক্ষেত্রমত, পুলিশ কমিশনারকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র সমেত নিবন্ধিত ডাকযোগে প্রেরণ করা যাইবে।
(৩) এই ধারার অধীন কোন সমন বা ওয়ারেন্ট কার্যকর করিতে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ইচ্ছাকৃত গাফলতি করিলে ট্রাইব্যুনাল উহাকে অদক্ষতা হিসাবে চিহ্নিত করিয়া সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
ধারা-২৫। ফৌজদারী কার্যবিধির প্রয়োগ, ইত্যাদি :
(১) এই আইন ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, কোন অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে এবং ট্রাইব্যুনাল একটি দায়রা আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন যে কোন অপরাধ বা তদনুসারে অন্য কোন অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে দায়রা আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবে।
(২) ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ব্যক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর বলিয়া গণ্য হইবেন।
ধারা-২৬। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল :
(১) এই আইনের অধীন অপরাধ বিচারের জন্য প্রত্যেক জেলা সদরে একটি করিয়া ট্রাইব্যুনাল থাকিবে এবং প্রয়োজনে সরকার উক্ত জেলায় একাধিক ট্রাইব্যুনালও গঠন করিতে পারিবে; এইরূপ ট্রাইব্যুনালনারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালনামে অভিহিত হইবে।
(২) একজন বিচারকের সমন্বয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হইবে এবং সরকার জেলা ও দায়রা জজগণের মধ্য হইতে উক্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিযুক্ত করিবে।
(৩) সরকার প্রয়োজনবোধে, কোন জেলা ও দায়রা জজকে তাঁহার দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসাবে ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিযুক্ত করিতে পারিবে।
(৪) এই ধারায় জেলা ও দায়রা জজ বলিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজও অন্তর্ভুক্ত।
ধারা-২৭। ট্রাইবুনালের এখতিয়ার :
(১) সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এমন কোন পুলিশ কর্মকর্তা বা এতদুদ্দেশ্যে সরকারের নিকট হইতে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির লিখিত রিপোর্ট ব্যতিরেকে কোন ট্রাইব্যুনাল কোন অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিবে না :
তবে শর্ত থাকে যে, যদি কোন ট্রাইব্যুনাল এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, অভিযোগকারী এই উপ-ধারার অধীন কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে কোন অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ করিবার জন্য অনুরোধ করিয়া ব্যর্থ হইয়াছেন, সেইক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনাল উত্তরূপ রিপোর্ট ব্যতিরেকে সরাসরি উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অপরাধটি বিচারার্থ গ্রহণ করিত পারিবে :
আরও শর্ত থাকে যে, উক্ত রিপোর্টে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ বা তত্সম্পর্কে কার্যক্রম গ্রহণের সুপারিশ না থাকা সত্ত্বেও, ট্রাইব্যুনাল যথাযথ এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে প্রয়োজনীয় মনে করিলে, সংশ্লিষ্ট কারণ উল্লেখপূর্বক উক্ত ব্যক্তির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিতে পারিবে।
(২) যে ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারাধীন এলাকায় কোন অপরাধ বা উহার কোন অংশ সংঘটিত হইয়াছে অথবা যেখানে অপরাধীকে বা, একাধিক অপরাধীর ক্ষেত্রে, তাহাদের যে কোন একজনকে পাওয়া গিয়াছে, সেই স্থান যে ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ারাধীন, সেই ট্রাইব্যুনালে অপরাধটি বিচারার্থ গ্রহণের জন্য রিপোর্ট বা অভিযোগ পেশ করা যাইবে এবং সেই ট্রাইব্যুনাল অপরাধটি বিচার করিবে।
(৩) যদি এই আইনের অধীন কোন অপরাধের সহিত অন্য কোন অপরাধ এমনভাবে জড়িত থাকে যে, ন্যায়বিচারের স্বার্থে উভয় অপরাধের বিচার একই সঙ্গে বা একই মামলায় করা প্রয়োজন, তাহা হইলে উক্ত অন্য অপরাধটির বিচার এই আইনের অধীন অপরাধের সহিত এই আইনের বিধান অনুসরণে একই সঙ্গে বা একই ট্রাইব্যুনালে করা যাইবে।
[ এই ধারাটিতে কিছু কিছু সংযোজন করা হয়েছে ২০০৩ সালে ]
ধারা-২৮। আপীল :
ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত আদেশ, রায় বা আরোপিত দন্ড দ্বারা সংক্ষুদ্ধ পক্ষ, উক্ত আদেশ, রায় বা দন্ডাদেশ, প্রদানের তারিখ হইতে ষাট দিনের মধ্যে, হাইকোর্ট বিভাগে আপীল করিতে পারিবেন।
ধারা-২৯। মৃত্যুদন্ড অনুমোদন :
এই আইনের অধীনে কোন ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদন্ড প্রদান করিলে সংশ্লিষ্ট মামলার নথিপত্র অবিলম্বে ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৩৭৪-এর বিধান অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরণ করিতে হইবে এবং উক্ত বিভাগের অনুমোদন ব্যতীত মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা যাইবে না।
ধারা- ৩০। অপরাধে প্ররোচনা বা সহায়তার শাস্তি :
যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা যোগান এবং সেই প্ররোচনার ফলে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হয় বা অপরাধটি সংঘটনের চেষ্টা করা হয় বা কোন ব্যক্তি যদি অন্য কোন ব্যক্তিকে এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন, তাহা হইলে ঐ অপরাধ সংঘটনের জন্য বা অপরাধটি সংঘটনের চেষ্টার জন্য নির্ধারিত দন্ডে প্ররোচনাকারী বা সহায়তাকারী ব্যক্তি দন্ডনীয় হইবেন।
ধারা-৩১। নিরাপত্তামূলক হেফাজত :
এই আইনের অধীন কোন অপরাধের বিচার চলাকালে যদি ট্রাইব্যুনাল মনে করে যে, কোন নারী বা শিশুকে নিরাপত্তামূলক হেফাজতে রাখা প্রয়োজনে, তাহা হইলে ট্রাইব্যুনাল উক্ত নারী বা শিশুকে কারাগারের বাহিরে ও সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত স্থানে সরকারী কর্তৃপক্ষের হেফাজতে বা ট্রাইব্যুনালের বিবেচনায় যথাযথ অন্য কোন ব্যক্তি বা সংস্থার হেফাজতে রাখিবার নির্দেশ দিতে পারিবে।
[ এই ধারাটির পর ৩১ক উপধারা সন্নিবেশিত করা হয়েছে ২০০৩ সালে যা ধারা ৩২ এর জায়গায় বসবে ]
ধারা-৩২।ধর্ষিতা নারী ও শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষা :
(১) ধর্ষিতা নারী ও শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে, ধর্ষণ সংঘটিত হইবার পর যথাশীঘ্য সম্ভব তাহা সম্পন্ন করিতে হইবে৷
(২) উপ-ধারা (১)-এর অধীন মেডিক্যাল পরীক্ষা যথাশীঘ্র না করা হইলে সংশ্লিষ্ট চিকিত্সকের বিরুদ্ধে কর্তব্যে অবহেলার জন্য তাহার নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দিতে পারিবে।
ধারা- ৩৩৷ বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা :
সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
ধারা- ৩৪।১৯৯৫ সনের ১৮নং আইনের রহিতকরণ ও হেফাজত :
(১) নারী ও শিশু নির্যাতন (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১৮নং আইন), অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত এতদদ্বারা রহিত করা হইল।
(২) উক্তরূপ রহিতকরণের অব্যবহিত পূর্বে উক্ত আইনের অধীন অনিষ্পন্ন মামলা সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালে এবং অনুরূপ মামলায় প্রদত্ত আদেশ, রায় বা শাস্তির বিরুদ্ধে আপীল সংশ্লিষ্ট আদালতে এমনভাবে পরিচালিত ও নিষ্পত্তি হইবে যেন উক্ত আইন রহিত করা হয় নাই।
(৩) উক্ত আইনের অধীন অপরাধের কারণে যে সমস্ত মামলার রিপোর্ট বা অভিযোগ করা হইয়াছে বা তত্প্রক্ষীতে চার্জশীট দাখিল করা হইয়াছে, বা মামলা তদন্তাধীন রহিয়াছে, সেই সমস্ত মামলাও উপ-ধারা (২)-এ উল্লেখিত আদালতে বিচারাধীন মামলা বলিয়া গণ্য হইবে।
(৪) উক্ত আইনের অধীন গঠিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতসমূহ এই আইনের অধীন গঠিত ট্রাইব্যুনাল হিসাবে গণ্য হইব