অনেক উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরী বাবা-মায়ের চেয়ে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গের সম্পর্কটিকেই গুরুত্ব দেয় বেশি। বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্কের জের ধরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দূরত্ব, ভুল বোঝাবুঝির ঘটনাও ঘটে প্রতিনিয়তই। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বন্ধুবান্ধব নয়, বরং বাবা-মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই বয়ঃসন্ধিকালের আত্মহত্যার প্রবণতা রোধ করে। বিষণ্নতায় ভোগা টিনএজারদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যায়। একবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে এমন কিশোর-কিশোরীর আবার দু-এক বছরের মধ্যে আত্মহত্যার প্রচেষ্টা চালানোর ঝুঁকিও বেশি। আমেরিকার গবেষকেরা বলেছেন, এ রকম ক্ষেত্রে সুদৃঢ় পারিবারিক বন্ধন আত্মহত্যার প্রবণতা রোধ করতে সহায়তা করে। গবেষক দলের প্রধান ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের অধ্যাপক জেমস মাজ্জা বলেন, এখানে ‘বন্ধন’ বলতে বোঝাচ্ছে, ওই কিশোর বা কিশোরীটি বাবা-মায়ের সঙ্গে কতটুকু ঘনিষ্ঠ বা নিজস্ব সমস্যা আলোচনা করার ব্যাপারে কতটুকু খোলামেলা। তিনি বলেন, এ রকম মানসিক অস্থিরতার সময় টিনএজাররা বাবা-মায়ের কাছে যতটুকু নিরাপদ বোধ করে, বন্ধুবান্ধবের কাছে ততটুকু নয়। এ সময় বাবা-মায়ের ওপরই তারা নির্ভর করতে চায় সবচেয়ে বেশি। বাবা-মায়েরও এ সময় বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব নিয়ে তাঁদের সন্তানকে সাহায্য করা উচিত। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব সুইসাইডোলজিতে এ-সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করা হয়।
হেলথ ডে নিউজ অবলম্বনে
মুনতাসীর মারুফ
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ০৮, ২০০৯