ফোলিক এসিড পানিতে দ্রবণীয় ভিটামিন বি। বর্তমানে অন্ত্রমলাশয়িক ক্যান্সার প্রতিরোধী হিসেবে এটি বিজ্ঞানীদের কাছে বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। দেহে অপর্যাপ্ত মাত্রার ফোলিক এসিডের কারণে সৃষ্ট ত্রুটিপূর্ণ কোষ বিভাজন ক্যান্সার ডেকে আনে। এক সমীক্ষায় ৪০ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ৫৬ হাজার কানাডিয়ান মহিলার খাদ্যভ্যাস মূল্যায়ন করা হয়। পরবর্তী ১০ বছর গবেষকরা তাদের অন অথবা মলাশয়িক ক্যান্সারের হার পর্যবেক্ষণ করেন। ১৯৯৩ সালের মধ্যে ৩৮৯ জন মহিলার মধ্যে অন্ত্রমলাশয়িক ক্যান্সার ধরা পড়ে। যারা সর্বোচ্চ ২০% ক্যাটাগরিতে ফোলিক এসিড ব্যবহার করেছেন তাদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২০% ক্যাটাগরিতে ফোলিক এসিড ব্যবহারকারীদের তুলনায় ৪০% কম ঝুঁকিপূর্ণ অন্ত্রমলাশয়িক ক্যান্সার পরিলক্ষিত হয়। যারা প্রতিদিন ৩৭৬ মাইক্রোগ্রাম ফোলিক এসিড ব্যবহার করেছেন তাদের অবস্থা ছিল সবচেয়ে ভাল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ১৩০,০০০ ব্যক্তি অন্ত্রমলাশয়কি ক্যান্সারে মারা যান। এটি ক্যান্সারে মৃত্যুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারণ, ফুসফুসের ক্যান্সারের মৃত্যুর পরই এর অবস্থান। অন্ত্রমলাশয়িক ক্যান্সার সংঘটনে ভূমিকা রাখে উচ্চ চর্বিযুক্ত ও নিম্ন আঁশযুক্ত খাবার এবং ধূমপান। তদুপরি, মলান্ত্রের ভূক্তভোগীদের ২৫% এমন অনেকের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সংশ্লিষ্ট যাদের একই রোগ আছে। ফোলিক এসিডের ভাল উৎস হলো শাক সবুজ পাতাযুক্ত সবজি বাধাকপি বীট সয় ময়দা সয়াবিন পূর্ণ দানাদার শস্য ডেয়ারিজাত খাদ্য সাইট্রাস জাতীয় ফল অধিকাংশ মাছ, লিভার ইত্যাদি।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০১০