বাড়ির সবার স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবতে গিয়ে নিজের স্বাস্থ্যের আবার বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছেন না তো? সন্তানের সামান্য হাঁচি-কাশিতে আপনি অস্থির। হাজব্যান্ড ডাক্তারের অ্যাপয়ন্টমেন্ট মিস করছেন কিনা তা নিয়েও আপনার বাড়তি সতর্কতা। কিন্তু নিজের শরীর নিয়েই যত রাজ্যের অনীহা। ঘর সামলাচ্ছেন আবার অফিসেও যাচ্ছেন। আরও আছে নানা ফরমালিটিস, এর মাঝে মেডিকেল চেক-আপ করাবেন, তার আর সময় কোথায়? কিন্তু শরীর তো মেশিন নয় যে সময় বুঝবে। তার গতিকে আটকায়? মাঝে বিকল তো হতেই হয়। তাই আপনাকে একটা কথা মনে রাখতে হবে, যেহেতু সংসারের সবার দায়িত্ব আপনার হাতে তাই সবার আগে আপনাকেই সুস্থ থাকতে হবে; তাহলেই না অন্যের প্রতি যত্নবান হতে পারবেন।
কী করবেন
০০ প্রথমেই মেডিকেল চেক-আপের কথা মাথায় গেঁথে নিন। বাড়ির বাকি সদস্যদের সঙ্গে নিজের চেক-আপটাকেও স্কেজিউলের অন্তর্ভুক্ত করে নিন। চেক-আপ ছুটির দিনে হলে ভালো হয়। তাতে বাড়ির অন্য সদস্যরাও উপস্থিত থাকতে পারে।
০০ চেকআপের দিন অন্য কোন অ্যাপয়ন্টমেন্ট রাখবেন না। খুব জরুরি কাজ থাকলেও মাঝখানে সময় বের করে চেক-আপ করিয়ে নিন। একজন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টেস্ট করাবেন।
০০ ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষাগুলো সময়মতো করে নিন। পাশাপাশি নিজেও ফিটনেস রেজিম মেনে চলুন, নিয়মিত এক্সারসাইজ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এতে আপনার চেক-আপের সংখ্যা নিজে থেকেই কমে যাবে।
০০ চেক-আপের রিপোর্টকে অবহেলা করবেন না। ডাক্তার যদি বিশেষ কোনো সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেন, অবশ্যই তা মেনে চলুন। কোনো ওষুধ খেতে হলে টাইম মেইনটেইন করবেন।
০০ শরীর খারাপ হলে ‘কিছু হয়নি’ বলে রোগ পুষে না রেখে ডাক্তার দেখাতে ভুলবেন না। বাড়ির সকলের মতো নিজের দিকেও সমান যত্ন দিন।
০০ টেস্ট নিয়ে দোনামোনা করবেন না। ভালো ডায়াগনস্টিক সেন্টার নির্বাচন করে টেস্টগুলো করাবেন।
মডেল কাশফিয়া
ছবি সাফাওয়াত খান সাফু
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, মে ২৫, ২০১০