বাসায় কোনো কাজ করতে গিয়ে হাত কেটে রক্ত বের হলো, কিন্তু রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পারলে চিকিৎসকের কাছে নিতে দেরি হয়ে মারাত্মক অবস্থা ঘটে যেতে পারে। এমন মুহূর্তে সাহায্যে আসবে প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স বা ফার্স্ট এইড বাক্স। একে অনেকে এমারজেন্সি বক্স হিসেবেও চেনেন।
যা থাকে প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এম এ আজাহার জানান, প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য জরুরি সরঞ্জামাদি থাকে, যা দিয়ে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষত বা আঘাত প্রাথমিকভাবে মোকাবিলা করা যায়। তুলা, গজ, স্যাভলন, অ্যান্টিবায়োটিক অয়েন্টমেন্ট, বার্ন অয়েন্টমেন্ট (ডারমাজিন, সিল ক্রিম), ব্যান্ডেজ, থার্মোমিটার, কাঁচি, ব্যান্ড এইড, আইস ব্যাগ, হট ওয়াটার ব্যাগ, ওরস্যালাইন ছাড়াও এখানে রাখতে পারেন প্যারাসিটামল (ট্যাবলেট, সাপোজিটর), ব্যথানাশক ট্যাবলেট—যেমন বিউটাপেনা। প্রেসার বা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও কিছু ওষুধ রাখতে পারেন।
কেন দরকার প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স
ঘরে কিংবা অফিসে প্রাথমিক চিকিৎসার বাক্স থাকলে তাৎক্ষণিক রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়। এতে রোগের জটিলতা কমে যায়। এর সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো একজন মানুষ নিজে নিজেই এর মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারেন। এম এ আজাহার বলেন, এটি সবার জন্য একটি উপকারী ও প্রয়োজনীয় একটা উপকরণ। পরিবার বা অফিস সব জায়গায় এর প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য এবং সবখানেই এটি থাকা উচিত। এর সাহায্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনা বা সমস্যা নিজেই সমাধান করা যায় এবং প্রয়োজনে আশপাশে অন্যকে সহযোগিতা করা যায়। এ বাক্সে নির্ধারিত ওষুধ ছাড়াও ব্যক্তিবিশেষে প্রয়োজনীয় ওষুধ অন্তর্ভুক্ত করেও এর গুরুত্ব বাড়ানো যায়; মাইগ্রেন, প্রেসার, ডায়াবেটিস প্রভৃতি রোগের ওষুধ এ বাক্সে সংযোজন করা যায়।
লক্ষ রাখুন
নির্ধারিত মেয়াদের পর পর প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সের ওষুধ বদলে ফেলুন।
প্রাথমিক চিকিৎসা বাক্সে অপ্রয়োজনীয় কিছু রাখবেন না।
এটি শিশুদের নাগালের বাইরে হাতের কাছেই রাখুন।
গজ বা ব্যান্ডেজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
প্রত্যেক রোগের ওষুধ আলাদাভাবে রাখুন।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ০৮, ২০১০