গ্রীষ্মে গরম পড়বেই। তাই বলে তো আর হাঁসফাঁস করতে করতে দিন পার করলে চলবে না। গরমেও চাই স্বাভাবিক জীবনযাপন। মেনে চলুন কিছু সাধারণ নিয়ম, উপভোগ করুন গরমটাকে।
দিনে আট গ্লাস পানি
শরীরের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন পানি। আর হজমপ্রক্রিয়া সচল রাখতে পানির কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু গ্রীষ্মের উষ্ণ আবহাওয়া শরীর থেকে পানি নিংড়ে নেয়। তাই শরীরের প্রয়োজনীয় পানির জোগান দিতে প্রতিদিন পান করুন অন্তত আট গ্লাস পানি।
ক্যাফেইন বর্জন
ক্যাফেইন শরীরকে পানিশূন্য করে ফেলে। আগুনে ঘি ঢালার মতোই ক্যাফেইন শরীর থেকে পানি বের করে দেওয়ার মাত্রা আরও ত্বরান্বিত করে। ক্যাফেইনসমৃদ্ধ কফি, কোমল পানীয় তাই এড়িয়ে চলুন গরমে।
পটাশিয়ামসমৃদ্ধ খাবার
গরমকালে সূর্য দেরিতে ডোবে। বাড়ে কর্মঘণ্টাও। অতিরিক্ত কিংবা ঘরের বাইরে বেশি সময় কাটানোর জন্য শরীর ঘেমে প্রয়োজনীয় পটাশিয়াম বেরিয়ে যায় শরীর থেকে। তাই যেসব খাবার পটাশিয়ামসমৃদ্ধ সেগুলো এ সময় বেশি করে খেতে হবে।
সবজি আর ফল
গরমে পাওয়া যায় অনেক স্বাদের মৌসুমি ফল আর নানা জাতের সবজি। এ ফলগুলো শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ তো করেই, রুক্ষ হয়ে যাওয়া শরীরে কান্তিও এনে দেয়।
তাজা খাবার
গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় খাবার। খাবার বাসি হওয়ার আগেই খেয়ে ফেলুন, অনাবশ্যক রোগ এড়ানো যাবে সহজেই।
সালাদ সব বেলায়
খাবারের শুরুটা সালাদ দিয়েই শুরু হোক। রান্নার ঝামেলা নেই, খেতেও সুস্বাদু; প্রয়োজন মেটাবে পুষ্টির। পাশাপাশি শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদাও মেটাবে।
সিদ্ধার্থ মজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ০১, ২০১১