আজ ২ নভেম্বর পালিত হচ্ছে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস। রক্তদান কোনো কঠিন বা দুঃসাহসের কাজ নয়। ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী যেকোনো সুস্থ, নীরোগ মানুষ (পুরুষের ক্ষেত্রে ওজন কমপক্ষে ৪৮ কেজি, মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪৫ কেজি) প্রতি চার মাস পরপর এক ব্যাগ রক্ত দিতে পারেন। এতে আপনার শারীরিক ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই। রক্তদানের জন্য স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়াই যথেষ্ট। তবে রক্তদানের আগেও পরে একটু বেশি পরিমাণে পানি পান করবেন। রক্তদানের পর কিছু সময় বিশ্রাম নেবেন। এরপর দৈনন্দিন স্বাভাবিক কাজ করতে কোনো বাধা নেই। একজন মানুষের শরীরে থাকে সাড়ে ৫ থেকে ৬ লিটার রক্ত। এক ব্যাগ রক্ত দান করা মানে ৩৫০ থেকে ৪৫০ মিলিলিটার রক্ত দান করা। রক্তরস বা প্লাজমার অভাব পূরণ হয়ে যায় বেশি পরিমাণ পানি পানের মাধ্যমেই। লোহিত কণিকা ১২০ দিন পরপর প্রতিস্থাপিত হয়। অর্থাৎ আপনি রক্ত দিন বা না দিন, ১২০ দিন পর সেটি মরে যায় এবং নতুন লোহিত কণিকা জন্ম নেয়। বিশুদ্ধ রক্ত পাওয়ার আশায় আমাদের দেশের মানুষ সন্ধানী, রেড ক্রিসেন্ট, অরকা, বাঁধন. কোয়ান্টাম প্রভৃতি সংগঠনের দ্বারস্থ হয়। এসব সংগঠন কিন্তু রক্ত তৈরি করে না। স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের দান করা রক্ত সরবরাহ করার মাধ্যম হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠান। মানুষ যত বেশি রক্ত দেবে, এসব সংগঠন তত বেশি বিশুদ্ধ রক্ত সরবরাহ করতে পারবে। তাই স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসুন। আপনার রক্তে বেঁচে থাকুক একটি সম্ভাবনাময় প্রাণ।
মুনতাসীর মারুফ
উপদেষ্টা, মেডিকেল কলেজ ইউনিট
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, নভেম্বর ০২, ২০১১