টমেটো একটি দৃষ্টিনন্দন শীতের সবজি। কাঁচা ও পাকা—এই দুই অবস্থাতে টমেটো খাওয়া যায়। রান্না না করলে টমেটোর যে পুষ্টিগুণ থাকে, রান্না করলে সেই পুষ্টি কিছুটা কমে যায়। ক্যালরিতে ভরপুর এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি। ভিটামিন-সি ত্বক, চুলের রুক্ষভাবে দূর করে, ঠান্ডাজনিত ঘা ভালো করে। যেকোনো চর্মরোগ, বিশেষত স্কার্ভি রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
ঠান্ডায় হাত, বিশেষত পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। ভিটামিন-সি এই ফেটে যাওয়া রোধ করে। টমেটোর ভিটামিন-এ শরীরের মাংসপেশিকে করে মজবুত, দেহের ক্ষয় রোধ করে, দাঁতের গোড়াকে করে আরও শক্তিশালী, চোখের পুষ্টি জোগায়।
টমেটোতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি প্রবেশকৃত সংক্রামক (ছোঁয়াচে) রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে। টমেটোর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে করে কয়েক গুণ বেশি শক্তিশালী, যা প্রকৃতির ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির বিরুদ্ধে লড়াই করে। চর্বিহীন টমেটোতে রয়েছে শর্করা, চিনি, অল্প পরিমাণে আমিষ। টমেটোতে থাকা শর্করা শরীরে শক্তি উৎপাদন করে।
এতে নেই কোনো খনিজ লবণ ও ভিটামিন-বি। কাঁচা বা পাকা টমেটো অল্প লবণের সঙ্গে খেলে শরীরের জন্য ভীষণ উপকার। তবে উচ্চরক্তচাপের রোগীরা রান্নায় কম লবণ খাবেন এবং কাঁচা লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। টমেটোর খোসার আঁশজাতীয় উপকরণ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। টমেটো পুষ্টিকর সবজি হলেও এর প্রধান সমস্যা, এই সবজি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। অন্য সবজির মতো রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা গেলেও এর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়। তাই টমেটো খান তাজা থাকতেই।
ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারী ০২, ২০১০