Author Topic: কাজ করুন সুস্থও থাকুন  (Read 3593 times)

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
কাজ করুন সুস্থও থাকুন
« on: January 12, 2012, 05:13:37 PM »
দীর্ঘ রাস্তা, আরও দীর্ঘ জ্যাম পেরিয়ে যেসব চাকরিজীবীকে অফিসে ঢুকেই কাজে ডুবে যেতে হয়, আজ আমরা তাঁদের কথা বলব। ফাইলে মুখ গুঁজে, কম্পিউটারে কি-বোর্ড চেপে কখন যে তাঁদের সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যায়! দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেছে, এটা তিনি টের পান তখন, যখন কাঁধের মাংসপেশিগুলোতে ব্যথা শুরু হয়। হাত অবশ হয়ে আসে কিছুটা। শরীরেও নামে ক্লান্তি। কিন্তু অফিস শেষ হতে তো ঢের বাকি। তিনি না চাইলেও বিরক্তি আর শরীরের কষ্টে মুখটা তখন তেতো হয়ে আসে।
পূর্ণ উদ্যম আর শক্তিতে অফিস সময়টা পার করতে চাইলে মেনে চলুন সামান্য কিছু নিয়মকানুন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মেডিসিন এবং রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল খায়ের মোহাম্মদ সালেক বলেন, সারাদিন একটানা কাজ না করে ক্লান্ত বোধ করলে একটু বিরতি নিন। এ সময় শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জাগিয়ে তুলতে হবে নতুন করে। এভাবে একটানা চার ঘণ্টা কাজ করা যাবে। তারপর আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আবার পূর্ণ উদ্যমে কাজ করতে পারবেন দুই থেকে তিন ঘণ্টা। এভাবে কাজ করলে শরীর যেমন ভালো থাকবে, তেমনি কাজেও আসবে গতি।
হাত: কর্মক্ষেত্রে সারাক্ষণই কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকছে হাত। একটু চাঙা হয়ে নেওয়ার জন্য হাতদুটো ছড়িয়ে দিন দেহের দুই পাশে। কনুই আর কবজি ভাঁজ করুন কয়েকবার। এবার হাত দুটি ফিরিয়ে নিয়ে যান আগের কাজে।
পা: বসে যাঁদের কাজ করতে হয় তাঁদের অনেকক্ষণ পায়ের কাজ থাকে না কোনো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পা দুটি নিস্তেজ থেকে পায়ের মাংসপেশিগুলো শক্ত হয়ে আসে। রক্ত চলাচলও হয় না ঠিকমতো। তাই পা দুটিকে কর্মক্ষম রাখতে সেলাই মেশিন যেভাবে চালায়, পায়ের পাতা সঞ্চালন করুন সেভাবে।
কোমর: দুই হাত কোমরে রেখে আস্তে ধীরে পেছনে বাঁকা হন। মনে রাখবেন, সামনে ঝুঁকবেন না কখনোই।
ঘাড়: টানা কাজ করে গেলে ঘাড়ের মাংসপেশি, কশেরুকার অস্থিসন্ধির লিগামেন্ট অসাড় হয়ে আসে। প্রতি ২০ মিনিট পরে ঘাড়ের মাংসপেশিগুলো স্ট্রেচিং করে আবার ফিরে যান কাজে।
সোহরাব হোসেন পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) ফিজিওথেরাপি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক। তিনি বলেন, যাঁরা অনেকক্ষণ একটানা বসে কাজ করেন তাঁদের সঠিক নিয়মে বসা শিখতে হবে। পায়ের পাতা, হাঁটু, কোমর ৯০ ডিগ্রি কোণে রাখতে হবে। দীর্ঘক্ষণ একটানা বসে না থেকে হেঁটে বেড়ান একটু। কিছু বিশেষ ধরনের ব্যায়াম আছে। প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের ব্যায়ামগুলো আয়ত্ত করতে যেকোনো বিশেষজ্ঞের কাছেই যাওয়া উচিত।

সুস্থ থাকুন
 ভঙ্গিগত ত্রুটি যতটা সম্ভব এড়িয়ে বসে কাজ করুন।
 লেখালেখির কাজে কাঠের সমান চেয়ারই সবচেয়ে ভালো।
 যতটা সম্ভব টেবিলের কাছে বসতে হবে।
 কোনো দিকে ঝুঁকে না বসে বসতে হবে মেরুদণ্ড সোজা করে।
 লেখার সময় দুই হাতের কনুই টেবিলের ওপর রাখুন।
 ল্যাপটপটি টেবিলের মাঝে রেখে কাজ করুন, যাতে দুই হাত ঝুলে না থাকে।
 সরাসরি সামনের দিকে তাকিয়ে কাজ করুন—কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে।
 খুব ছোট হরফে লিখবেন না, এতে ঘাড়ের ছোট ছোট মাংসপেশি শক্ত হয়ে আসে।
 দিনে অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটুন।
 ২০ মিনিট পরপর উঠে দাঁড়ান।
 লম্বা হয়ে দাঁড়ান, বসবেন আরও লম্বা হয়ে।
 সব সময় লিফট না ধরে সিঁড়ি ভেঙে উঠতে পারেন।

সিদ্ধার্থ মজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জানুয়ারী ১৮, ২০১০
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection