ঈদ শেষে ফিরছে মানুষ। যে যেভাবে পারে ফিরে আসছে তার কর্মক্ষেত্রে। যানবাহনগুলো তার ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি মানুষ নিয়ে ছুটছে গন্তব্যে। ফিরে আসা মানুষগুলোর দুর্ভোগ বাড়াতে যুক্ত হয়েছে গরম। অতিরিক্ত গরম সহ্য করতে না পেরে কেউ কেউ ঢলে পড়ছে সহযাত্রীর গায়ে। সহযাত্রীও কিংকর্তব্যবিমূঢ়। কী করবেন তিনি? এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার প্রস্তুতিটা নিয়ে নিন এখনই। প্রচণ্ড গরমে সাধারণত চার ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়।
১. হিট সিনকোপ
২. হিট ক্রাম্প
৩. হিট এক্সজশন
৪. হিট স্ট্রোক।
হিট সিনকোপ: অত্যধিক গরমে কাজ করার জন্য রোগী হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এ ক্ষেত্রে রোগীকে বিছানায় শুইয়ে দিতে হবে। প্রচুর পানি পান করাতে হবে।
হিট ক্রাম্প: অতিরিক্ত গরমে ঘামের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ লবণ বের হয়ে যাওয়ার ফলে হাত-পায়ের মাংসপেশিতে বেদনাদায়ক সংকোচন হয়। রোগীকে ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হবে। পানিতে এক গ্রাম খাদ্যলবণ মিশিয়ে আধ ঘণ্টা পর পর রোগীকে খাওয়াতে হবে। শিরাপথে নরমাল স্যালাইনও দেওয়া যেতে পারে।
হিট এক্সজশন: দীর্ঘ সময় ধরে রোদে থাকার জন্য হয়। রোগী পিপাসার্ত এবং দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া মাংসপেশির অসামঞ্জস্য সংকোচন ঘটে। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এতে রোগীকে ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হবে। প্রচুর পানি পান করাতে হবে। রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে হাইপারটনিক স্যালাইন দিতে হবে।
হিট স্ট্রোক: এটি সবচেয়ে মারাত্মক অবস্থা। এতে রোগী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মারাও যেতে পারে। রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তাপমাত্রা খুব দ্রুত বেড়ে যায় এবং শরীর থেকে ঘাম ঝরা বন্ধ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে শরীরের জামাকাপড় খুলে দিতে হবে। রোগীকে ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হবে এবং বরফ গলা পানি দিয়ে শরীর স্পঞ্জ করে দিতে হবে।
— সিদ্ধার্থ মজুমদার
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১০