তৃতীয় অধ্যায়
PART-III
তামাদির মেয়াদ গণনা
COMPUTATION OF PERIOD OF LIMITATION
ধারা-১২ ( আইনানুগ কার্যধারায় যেই পরিমাণ সময় গণনা হইতে বাদ দিতে হইবে (Exclusion of time in legal proceedings) :
উপধারা-(১) কোনো মামলা আপিল বা দরখাস্তের জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে, যেইদিন হইতে উক্ত মেয়াদ গণনা করিতে হইবে সেই দিন বাদ দিতে হইবে ।
উপধারা-(২) কোনো আপিল, আপিলের অনুমতির দরখাস্ত অথবা রায় । পুনরীক্ষণের দরখাস্তের জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে, যেই রায় সম্পর্কে অভিযোগ করা ইহবে, তাহা যেইদিন ঘোষণা করা হইয়াছে, সেইদিন এবং যেই ডিক্রী, দন্ডাদেশ বা আদেশ সম্পর্কে আপিল করা হইবে বা পুনরীক্ষণের প্রার্থণা করা হইবে, তাহার নকল গ্রহণ করিতে যেইসময় আবশ্যক, তাহা বাদ দিতে হইবে ।
উপধারা-(৩) যেইক্ষেত্রে ডিক্রী সম্পর্কে আপিল বা পুনরীক্ষণের প্রার্থণা করা হয়, সেইক্ষেত্রে উক্ত ডিক্রী যেই রায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত, সেই রায়ের নকল লইতে যেই সময় লাগে, তাহাও বাদ দিতে হইবে ।
উপধারা-(৪) কোনো রোয়েদাদ নাকচ করিবার দরখাস্তের জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে, রোয়েদাদের নকল লইতে যেই সময় লাগে, তাহা বাদ দিতে হইবে ।
ধারা-১৩ (বাংলাদেশ এবং অন্যান্য কয়েকটি এলাকা হইতে বিবাদীর অনুপস্থিতকালীণ সময় গণনা হইতে বাদ দিতে হইবে (Exclusion of time of defendants absence from bangladesh and certain other territories) :
কোনো মামলা দায়েরের জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে বাংলাদেশ বহির্ভূত কিন্তু বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রশাসিত এলাকা হইতে বিবাদীর অনুপস্থিত কাল বাদ দিতে হইবে ।
ধারা-১৪ (এখতিয়ারবিহীন আদালতে সমুদ্দেশ্যমূলক কার্যধারায় যেই সময় গণনা হইতে বাদ দিতে হইবে (Exclusion of time of proceeding bonafide in court without jurisdiction) :
(১) কোনো মামলা দায়েরের জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে, বাদী কোনো আদিম বা আপিল আদালতে বিবাদীর বিরুদ্ধে যদি অন্য একটা দেওয়ানী কার্যক্রম যথাবিহিত যত্ন সহকারে চালাইতে থাকে। তবে সেইক্ষেত্রে উক্ত মামলা ও কার্যক্রমের কারণ যদি এক্ই হয় এবং এখতিয়ারগত ত্রুটি বা অনুরূপ অন্য কোনো কারণে যেই আদালত শেষোক্ত কার্যক্রমের বিচার করিবার ক্ষমতা সম্পন্ন নহে, সেই আদালতে যদি সত্ বিশ্বাসে উহা দায়ের করা হইয়া থাকে, তবে শেষোক্ত কার্যক্রমে যেই সময় ব্যয়িত হয়, প্রথমোক্ত মামলার মেয়াদ গণনা হইতে তাহা বাদ দিতে হইবে ।
যথাযথ সতর্কতা ও সচেষ্ট প্রয়োগ সত্বেও একজন যুক্তিবান ও পরিণামদর্শী মানুষের পক্ষে যেই ধরনের ভুল হওয়া স্বাভাবিক, শুধুমাত্র ঐ ধরনের ভুলের ব্যাপারে জড়িত মামলার ক্ষেত্রেই এই ধারার বিধান অনুসারে সুবিধাদান করা যাইতে পারে । নিম্নতর আপিল আদালত যেইক্ষেত্রে যথাযথভাবে অত্র ধারার আওতায় উহার স্ববিচার ক্ষমতা প্রয়োগ করে, সেইক্ষেত্রে হাইকোর্ট উহাতে হস্তক্ষেপ করিয়া থাকেনা ।
আপিলের জন্য সময় গণনাকালে অত্র ধারাটি প্রয়োগ ঘটে না । তবে ইহার যুক্তিযুক্ত মূলনীতি এবং এই ধারায় ভাবিত পরিস্থিতি যথাসময়ে আপিল উপস্থাপন করিবার জন্য ৫ ধারার অর্থ অনুসারে পর্যাপ্ত কারণ হিসাবে সাধারণত গ্রাহ্য হইতে পারে ।
ধারা-১৫। কার্যক্রম স্থগিত থাকাকালীন সময় বাদ দিতে হইবে (Exclusion of time during which proceedings are suspended) :
(১) যেই মামলা বা ডিক্রী জারির দরখাস্ত দায়ের বা জারি কোনো নিষেধাজ্ঞা বা আদেশ দ্বারা স্থগিত রাখা হইয়াছে, তাহার জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনার সময়, যতদিন উহা নিষেধাজ্ঞা বা আদেশ বলবত্ ছিল, যেইদিন উহা প্রদত্ত হইয়াছিল এবং যেইদিন উহা প্রত্যাহার করা হইয়াছিল, তাহা বাদ দিতে হইবে।
(২) যেই মামলার জন্য বর্তমানে বলবত্ অন্য কোনো আইনের বিধান অনুসারে নোটিশ দেওয়া হইয়াছে, তাহার জন্য নির্ধারিত মেয়াদ গণনায় নোটিশের কাল বাদ দিতে হইবে।
ধারা-১৬। ডিক্রী জারির বিক্রয় রদ করিবার কার্যধারা মূলতবী থাকাকালীন সময় বাদ দিতে হইবে (Exclusion of time during which proceedings to set aside execution sale are pending) :
ডিক্রী জারির নিলামে খরিদা সম্পত্তির দখল পাইবার জন্য নিলাম খরিদ্দার কর্তৃক মামলা দায়ের করিবার জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনার সময় নিলাম রদের জন্য দায়েরকৃত কার্যধারা যতদিন চলিয়াছে, তাহা উক্ত মেয়াদ গণনা হইতে বাদ দিতে হইবে।
ধারা-১৭। মামলা করিবার অধিকার অর্জনের পূর্বে মৃত্যুর ফলাফল (Effect of death before right to sue accrues) :
(১) যেই ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি জীবিত থাকিলে একটা মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিল করিবার অধিকারী হইতো, কিন্তু সেই ব্যক্তি উক্ত অধিকার সৃষ্টি হইবার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করে, সেইক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির আইনানুগ প্রতিনিধি উক্ত মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিল করিবার যোগ্যতাসম্পন্ন হইবার সময় হইতে তামাদি মেয়াদ গণনা করা হইবে।
(২) যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি জীবিত থাকিলে তাহার বিরুদ্ধে কেহ একটা মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিল করিবার অধিকার লাভ করিতো, কিন্তু সেই ব্যক্তি উক্ত অধিকার সৃষ্টি হইবার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করে, সেইক্ষেত্রে যখন মৃত ব্যক্তির এইরূপ কোনো আইনানুগ প্রতিনিধি থাকিবে, যাহার বিরুদ্ধে বাদী মামলা দায়ের বা দরক্ষাস্ত দাখিল করিতে পারিবে, তখন হইতে তামাদি মেয়াদ গণনা করা হইবে।
(৩) সম্পত্তি প্রয়োগের অগ্রাধিকার প্রয়োগের মামলা অথবা স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত দখল বা বংশগত কোনো পদলাভ সম্পর্কিত মামলার ক্ষেত্রে উপরোক্ত (১) ও (২) উপধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য নহে।
ধারা-১৮। প্রতারণার ফলাফল (Effect of Fraud) :
যেইক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি একটা মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিল করিবার অধিকারী হয়, কিন্তু প্রতারণার মাধ্যমে তাহাকে সেই অধিকারের বিষয় অথবা যেই স্বত্বের উপর উক্ত অধিকার প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য যেই দলিল প্রয়োজনীয়, তাহা প্রতারণা করিয়া তাহার নিকট হইতে গোপন রাখা হইয়াছে, সেই সকল ক্ষেত্রে-
(ক) প্রতারণার জন্য দোষী ব্যক্তির বা তাহার সহযোগীর বিরুদ্ধে, অথবা
(খ) যেই ব্যক্তি সরল বিশ্বাসে এবং মূল্যের বিনিময় ভিন্ন অন্য প্রকারে উক্ত দোষী ব্যক্তির মাধ্যমে স্বত্ব দাবি করে, তাহার বিরুদ্ধে- ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সর্বপ্রথম যেইদিন প্রতারণার কথা জানিতে পারে, সেইদিন হইতে অথবা দলিল গোপন করা হইয়া থাকিলে, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সর্বপ্রথম যেইদিন হইতে অথবা দলিল গোপন করা হইয়া থাকিলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি সর্বপ্রথম যেইদিন দলিলটি উপস্থাপন করিতে সমর্থ হয় বা অপর পক্ষকে উহা উপস্থাপন করিবার জন্য বাধ্য করিতে পারে, সেইদিন হইতে মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিলের জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে হইবে।
ধারা-১৯। লিখিত প্রাপ্তি স্বীকারের ফলাফল (Effect of acknow-ledgement in writing) :
উপধারা-(১) যেই ক্ষেত্রে কোনো সম্পত্তি বা অধিকার সম্পর্কে মামলা দায়ের বা দরখাস্ত দাখিল করিবার জন্য নির্ধারিত তামাদির মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বেই যেই পক্ষের নিকট হইতে উক্ত সম্পত্তি বা অধিকার দাবি করা হইতেছে, সেই পক্ষ স্বয়ং অথবা যাহার মাধ্যমে তিনি উক্ত সম্পত্তির স্বত্ব বা দায় প্রাপ্ত হইয়াছেন, সেই ব্যক্তি লিখিত স্বাক্ষরিতভাবে উক্ত সম্পত্তি বা অধিকার সম্পর্কে দায় স্বীকার করেন, সেই ক্ষেত্রে উক্তরূপ স্বীকৃতি স্বাক্ষরিত হইবার সময় হইতে নূতন করিয়া মেয়াদ গণনা করিতে হইবে।
উপধারা-(২) উক্ত লিখিত স্বীকৃতিতে কোনো তারিখ না থাকিলে, উহা স্বাক্ষর করিবার সময় সম্পর্কে সাক্ষ্য দেওয়া যাইতে পারে, কিন্তু ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের বিধান সাপেক্ষে উহার বিষয়বস্তু সম্পর্কে কোনো মৌলিক সাক্ষ্য দেওয়া যাইবে না।
ব্যাখ্যা-১। ১৯ ধারার উদ্দেশ্য সাধনকল্পে স্বীকৃতি যথেষ্ট হইতে পারে, যদিও সম্পত্তি বা অধিকারের সঠিক প্রকৃতি সম্পর্কে উহাতে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ নাই, অথবা যদি উহাতে বলা হয় যে, টাকা পরিশোধ, পণ্য আপণ চুক্তি পালন বা কিছু ভোগদখলের সময় এখনও আসে নাই, অথবা যদি সংশ্লিষ্ট স্বীকৃতির সহিত টাকা পরিশোধ করিতে, পণ্য অর্পণ করিতে, চুক্তি সম্পাদন করিতে বা কিছু ভোগদখল করিবার অনুমতি দিতে অস্বীকৃতিও জ্ঞাপন করা হয়, অথবা যদি উহার সহিত শোধবাদের কোনো দাবি উপস্থাপন করা হয় অথবা যদি উহা সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি বা অধিকারের স্বত্ববান ব্যক্তি ভিন্ন অপর কোনো ব্যক্তির উদ্দেশ্যে লিখিত হয়।
ব্যাখ্যা-২। ১৯ ধারার উদ্দেশ্য সাধনকল্পে ‘স্বাক্ষরিত’ কথাটির দ্বারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি স্বয়ং বা এই ব্যাপারে যথাবিহিতরূপে তাহার নিকট হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কর্তৃক স্বাক্ষরিত বুঝাইবে।
ব্যাখা-৩। ১৯ ধারার উদ্দেশ্য সাধনকল্পে কোনো ডিক্রী জারি বা আদেশ কার্যকর করিবার দরখাস্ত একটা অধিকার সম্পর্কিত দরখাস্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
ধারা-২০। উত্তর দায় সংক্রান্ত ঋণ পরিশোধের অথবা সুদ প্রদানের ফলাফল (Effect of payment on account of debt or of interest on legacy) :
উপধারা-(১) যেইক্ষেত্রে কোনো দেনা অথবা দায়ের সুদ বাবদ নির্ধারিত মেয়াদ উত্তীর্ণ হইবার পূর্বে উক্ত দেনা বা দায় পরিশোধ করিতে দায়ী ব্যক্তি স্বয়ং বা তাহার যথাযথ ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি কোনো অর্থ প্রদান করে, সেইক্ষেত্রে উক্ত অর্থ প্রদানের তারিখ হইতে নূতন করিয়া তামাদি মেয়াদ গণনা করিতে হইবে।
তবে শর্ত থাকে যে, ১৯২৮ সালের ১লা জানুয়ারির পূর্বে সুদ পরিশোধের ক্ষেত্র ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে, যেই ব্যক্তি অর্থ প্রদান করিবে, স্বীকৃতি তাহার স্বহস্তে লিখিত ও স্বাক্ষরিত অথবা অপরের লিখিত হইলেও তত্কর্তৃক স্বাক্ষরিত হইবে।
উপধারা-(২) বন্ধকী জমির প্রাপ্তির রসিদের ফলাফল (Effect of receipt of produce of mortgage land) : যেইক্ষেত্রে বন্ধক দেওয়া জমি বন্ধক গ্রহীতার দখলে থাকে, সেইক্ষেত্রে অনুরূপ জমির খাজনা বা ফসল প্রাপ্তির রসিদ ১ উপধারার উদ্দেশ্যে অর্থ প্রদান বলিয়া বিবেচিত হইবে।
ব্যাখ্যা : দেনা বলিতে আদালতের ডিক্রী বা আদেশের অধীন প্রদেয় অর্থও বুঝাইবে।
ধারা-২১। অক্ষম ব্যক্তির প্রতিনিধি (Agent of person under disability) :
উপধারা-(১) অত্র আইনের ১৯ ও ২০ ধারায় ‘তাহার পক্ষে যথাবিহিতরূপে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি’ বলিতে অপারগতাগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে তাহার আইন সম্মত অভিভাবক, কমিটি বা ম্যানেজারকে অথবা অনুরূপ অভিভাবক, কমিটি বা ম্যানেজার কর্তৃক স্বীকৃতি স্বাক্ষর করিবার বা অর্থ প্রদান করিবার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বুঝাইবে।
উপধারা-(২) যৌথ চুক্তিকারী প্রভৃতির একজন কর্তৃক স্বীকৃতি বা অর্থ প্রদান (Acknowledgment or payment by one of several joint contractors, etc.) : উপরোক্ত ধারাগুলি কোনো বিধানবলে যৌথ চুক্তিকারী, অংশীদার, নির্বাহক বা বন্ধকগ্রহীতাগণের মধ্যে একজনের বা একাধিক জনের অথবা তাহাদের একজনের বা একাধিকজনের প্রতিনিধির স্বাক্ষরিত কোনো লিখিত স্বীকৃতির ফলে বা অর্থ প্রদানের ফলে অপরজনকে কোনো দেনার জন্য দায়ী করা যাইবে না।
উপধারা-(৩) উপেরাক্ত ধারাগুলির উদ্দেশ্য সাধনকল্পে--
(ক) হিন্দু আইনের আওতাধীন কোনো বিধান অথবা কোনো সম্পত্তিতে সীমিত স্বত্বে স্বত্ববান কোনো ব্যক্তি বা তাহার যথাবিহিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি কর্তৃক কোনো দায়েরের ব্যাপারে স্বাক্ষরিত স্বীকৃতি বা অর্থ প্রদান উক্ত দায়ের পরবর্তী উত্তরাধীকারীর প্রতিকূলে বৈধ স্বীকৃতি বা অর্থ প্রদান হিসাবে গণ্য হইবে।
(খ) যেইক্ষেত্রে কোনো অবিভক্ত হিন্দু পরিবার বা তত্পক্ষে কেহ কোনো দায়গ্রস্ত হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে উক্ত পরিবারের ম্যানেজার বা তাহার যথাবিহিত ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো প্রতিনিধি কোনো স্বীকৃতিদান বা অর্থ প্রদান করিলে তাহার সমগ্র পরিবারের পক্ষ হইতে করা হইয়াছে বলিয়া বিবেচিত হইবে।
ধারা-২২। নূতন বাদী বা বিবাদীকে কাহারও স্থলাভিষিক্ত বা পক্ষভুক্ত করিবার ফলাফল (Effect of substituting or adding new plaintiff or defendent) :
উপধারা-(১) যেইক্ষেত্রে মামলা দায়ের করিবার পর নূতন কোনো বাদী বা বিবাদীকে কাহারও স্থলাভিষিক্ত বা পক্ষভুক্ত করা হয়, সেইক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি যেই তারিখে অনুরূপ পক্ষভুক্ত হইয়াছে, তাহার জন্য মামলাটি সেই তারিখে দায়ের করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।
উপধারা-(২) যেইক্ষেত্রে মামলা মুলতবী থাকাকালে স্বত্বার্পণ বা কোনো স্বত্ব হস্তান্তরের কারণে কাহাকেও পক্ষভুক্ত বা স্থলাভিষিক্ত করা হয় অথবা যেইক্ষেত্রে বাদীকে বিবাদী কিংবা বিবাদীকে বাদীতে রূপান্তরিত করা হয়, সেইক্ষেত্রে ১ উপধারার কোনো কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।
ধারা-২৩। অবিরাম চুক্তিভঙ্গ বা অন্যায় করা (Continuing breaches and wrongs) :
যেইক্ষেত্রে অবিরাম চুক্তি ভঙ্গ করা হয় এবং যেইক্ষেত্রে অবিরাম চুক্তি নিরপেক্ষভাবে অন্যায় করা হয়, সেইক্ষেত্রে চুক্তি ভঙ্গ বা অন্যায় চলাকালীন সময়ের প্রতি মুহূর্তেই নূতন করিয়া তামাদির মেয়াদ অতিবাহিত হইতে শুরু করে।
এমন অনেক চুক্তি রহিয়াছে, যাহা ভঙ্গ হইলে প্রতিমুহূর্তে নালিশের কারণ উদ্ভব হইতে পারে। চুক্তি বহির্ভূত এমন অনেক লোকসান রহিয়াছে, যাহা প্রতিমুহূর্তে নালিশের কারণের উদ্ভব ঘটায়। এইসব ক্ষেত্রে তামাদির মেয়াদ প্রতিমুহূর্তে বৃদ্ধি পায়।
ধারা-২৪। বিশেষ ক্ষতির কারণ না হইলে যেই কাজের জন্য মামলা করা যায় না, তাহার জন্য ক্ষতিপূরণের মামলা (Suit for compensation for act not actionable without special damage) :
যেই কার্যের দ্বারা বাস্তবিক পক্ষে কোনো নির্দিষ্ট ক্ষতি সাধিত না হইলে কোনো মামলার কারণ উদ্ভুত হয় না, তদ্রূপ কার্যের দরূন ক্ষতিপূরণের মামলার জন্য যখন ক্ষতি হয়, তখন হইতে তামাদির মেয়াদ গণনা করিতে হইবে।
উদাহরণ :
‘ক’ একটা জমির উপরিভাগের মালিক। ‘খ’ ঐ জমির ভূ-গর্ভের মালিক। উপরিভাগের তাত্ক্ষণিক স্পষ্ট কোনো ক্ষতি না করিয়া ভূ-গর্ভ হইতে কয়লা খনন ও উত্তোলন করে । কিন্তু অবশেষে জমিটির উপরিভাগ ধ্বসিয়া পড়ে। এইক্ষেত্রে ‘ক’ কর্তৃক ‘খ’-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের তামাদির মেয়াদ ধ্বসিয়া পড়ার সময় হইতে শুরু হইবে।
ধারা-২৫। দলিলের উল্লিখিত সময়ের গণনা (Computation of time mentioned in instruments) :
এই আইনের উদ্দেশ্য সাধনকল্পে যাবতীয় দলিল গ্রেগরীয়ান বর্ষপঞ্জী অনুসারে প্রণীত বলিয়া বিবেচিত হইবে।
উদাহরণ :
(ক) জনৈক হিন্দু একটা অঙ্গীকার পত্রে স্থানীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে তারিখ উল্লেখ করে। অংগীকারপত্রটি ঐ তারিখ হইতে চার মাস পর পরিশোধযোগ্য। এক্ষণে[