Author Topic: মজুরী পরিশোধ আইন-১ঌ৩৬  (Read 7541 times)

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
মজুরী পরিশোধ আইন-১ঌ৩৬
« on: January 20, 2012, 08:35:39 AM »
মজুরী পরিশোধ আইন-১ঌ৩৬
[THE PAYMENT OF WAGES ACT, 1936]
[১ঌ৩৬ সালের ৪নং আইন]

[২৩শে এপ্রিল, ১ঌ৩৬]

শিল্প প্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত কতিপয় শ্রেণীর ব্যক্তিদের মজুরী প্রদান নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রণীত আইন।

যেহেতু শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহে নিযুক্ত কতিপয় শ্রেণীর ব্যক্তিদের মজুরী পরিশোধ নিয়ন্ত্রণ করা সমীচীন ;

অতএব, এতদ্বারা নিম্নোক্ত আইন প্রণীত হইলো :

 

ধারা-১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, আওতা, প্রবর্তন ও প্রয়োগ (Short title, commencement and applications) :

উপধারা-(১) এই আইনকে ১ঌ৩৬ সালের মজুরী পরিশোধ আইন নামে অভিহিত করা যাইতে পারে।

উপধারা- (২)  [ (২) সমগ্র [বাংলাদেশে] এটি কার্যকর হইবে।]

উপধারা- (৩)  [সরকার] [সরকারী গেজেটে] প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে যেই তারিখ নির্ধারণ করিবেন, সেই তারিখ হইতে ইহা কার্যকর হইবে।

উপধারা- (৪) প্রথমত কারখানার নিযুক্ত ব্যক্তি এবং (কারখানা ব্যতীত) [রেলওয়ে] প্রশাসন কর্তৃক [রেলওয়েতে] নিযুক্ত বা সরকারি বা রেল প্রশাসনের সহিত সম্পাদিত চুক্তি পূরণের উদ্দেশ্যে কোনো সাব-কন্ট্রাক্টর কর্তৃক নিযুক্ত ব্যক্তিদের মজুরী পরিশোধের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

উপধারা- (৫) উদ্দেশ্য অবহিত করিয়া [সরকারী] [সরকারী গেজেটে] তিনমাসের নোটিশ দিয়া অত্র আইনের বিধানসমূহ বা কোনো বিধান যেই কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানে বা কোনো শ্রেনীর বা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুচ্ছে নিযুক্ত যেই কোনো শ্রেণীর ব্যক্তিদের মজুরী পরিশোধের ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত করিতে পারিবেন।

উপধারা- (৬) কোনো দোকান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে ভাড়ায় বা বখশিশের বিনিময়ে দক্ষ, অদক্ষ, কায়িক, কারিগরি, ব্যবসা উন্নয়নমূলক বা করণিক কাজে নিযুক্ত ব্যক্তি, চাকরির শর্ত ব্যক্ত বা অব্যক্ত যাহাই হোক না কেন, শিক্ষানবিশসহ  যেকোনো ব্যক্তির মজুরী পরিশোধের ক্ষেত্রে অত্র আইন প্রযোজ্য হইবে। তবে  নিম্নরূপ ব্যক্তি এর অন্তর্ভুক্ত হইবে না :

(ক) ব্যবস্থাপনা বা প্রশাসনিক কর্তৃত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি,

(খ) তদারকির কাজে নিযুক্ত হয়ে ন্যস্ত ক্ষমতার প্রকৃতি বা তাহার উপর আরোপিত ক্ষমতার কারণে ব্যবস্থাপনা বা তদারকি ধরনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি।

ধারা-২। সংজ্ঞা (Definitions) :

প্রসঙ্গ বা বিষয়বস্তুতে পরিপন্থী কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে -

(i) ‘কারখানা’ (factory) বলিতে (১ঌ৬৫ সালের কারখানা আইনের ২ ধারার (চ) অনুচ্ছেদে বর্ণিত কারখানা] বুঝাইবে।

(ii) ‘শিল্প প্রতিষ্ঠান’ (industrial establishment) বলিতে বুঝাইবে যেই কোনো –

(ক) ট্রামওয়ে বা মোটর বাস সার্ভিস;

(খ) ডক, পোতাশ্রয় বা জেটি;

(গ) [১ঌ৭৬ সালের ইনল্যান্ড শিপিং অধ্যাদেশ (১ঌ৭৬ সালের ৭২ নং অধ্যাদেশ)-এ বর্ণিত অভ্যন্তরীন জাহাজ। ]

(ঘ) খনি, উত্তোলন কেন্দ্র বা তেল ক্ষেত্র;

(ঙ) বাগান;

(চ) ব্যবহার, পরিবহন বা বিক্রির উদ্দেশ্যে কোনো দ্রব্য তৈরি, সংযোজন বা উৎপন্ন হয়, এমন কারখানা বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান;

[(ছ) বিমান সংস্থা;]

 [(জ) দালান, রাস্তা, সুড়ঙ্গ, ড্রেন বা সেতু নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ, মেরামত, পরিবর্তন বা বিলুপ্তিকরণের বা সংশ্লিষ্ট কাজে বা মালামাল পরিবহন, উত্তোলন বা খালাসকরণ বা সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত সাব-কন্ট্রাক্টরসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে যেই কোনো কন্ট্রাক্টরের প্রতিষ্ঠান;]]

(iii) বাগান (Plantation) বলতে সিংকোনা,রাবার, কফি বা চা উত্‍পাদনের উদ্দেশ্যে সংরক্ষিত সম্পত্তি যেখানে সে উদ্দেশে পঁচিশ বা ততোধিক ব্যক্তিকে কাজে নিয়োজিত করা হয় তাহাকে বুঝাবে;

(iv) নির্ধারিত (Prescribed) বলিতে এ অাইনের অাওতাধীনে প্রণীত বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত বুঝাবে;

(v) রেল প্রশাসন(Rail way Administration) বলিতে ১৮৯০ সালের রেলওয়ে অাইনের (১৮৯০ সালের ৯ নং অাইন) এর ৩ ধারার ৬ উপধারায় বর্ণিত অর্থবোধক বুঝায়; এবং

(vi) মজুরী(Wages) বলিতে প্রকাশযোগ্য যেকোনো পারিতোষিক যা চাকুরীর শর্ত, ব্যক্ত বা অারোপিত যাই হোক না কেন, পূরণ সাপেক্ষে কোনো ব্যক্তিকে প্রদেয় হয় বা যাহা কাজে নিযুক্ত ব্যক্তির উপস্থিতি, ভাল কাজ বা আচরণ বা ভাল ব্যবহার এর শর্ত সাপেক্ষে নিযুক্ত ব্যক্তিকে তাহার নিযুক্তির কারণে বা কৃত কর্মের জন্য পরিশোধযোগ্য তাহাকে বুঝায় এবং যে কোনো বোনাস বা উপরে বর্ণিত ধরনের পরিশোধযোগ্য অন্যান্য অতিরিক্ত পারিতোষিক বা এরূপ ব্যক্তির চাকুরীর অবসানের দরুন যে অর্থ প্রদেয় হয় তাও ইহার অন্তর্ভূক্ত; কিন্তু নিম্নলিখিত বিষয়গুলি ইহার অনর্র্ভুক্ত হইবে না :

(ক) অাবাসিক সুবিধা,সরবরাহকৃত আলো,পানি বা চিকিত্‍সা সুবিধা বা সরকারের সাধারণ বা বিশেষ নির্দেশে বাদ দেওয়া হইয়াছে এমন সুযোগ সুবিধা বাবদ মূল্য;

(খ) কোনো পেনশন ফান্ড বা প্রভিডেন্ট ফান্ডে মালিক কতৃর্ক প্রদত্ত চাঁদা;

(গ) যেকোনো যাতায়াত ভাতা বা যাতায়াত বাবদ প্রদত্ত সুবিধার মূল্য;

(ঘ)চাকুরীর ধরনের কারণে নিযুক্ত ব্যক্তির বিশেষ ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রদত্ত অর্থ; অথবা

(ঙ) ডিসচার্জ এর কারণে প্রদেয় গ্রাচুয়িটি ।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: মজুরী পরিশোধ আইন-১ঌ৩৬
« Reply #1 on: January 20, 2012, 08:36:26 AM »
ধারা-৩। মজুরী পরিশোধের দায়িত্ব (Responsibility for payment of wages) : মালিক তত্‍কর্তৃক নিযুক্ত সকল ব্যক্তিকে আইনের অধীনে প্রাপ্য সকল মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী। শর্ত হইতেছে ,(কন্ট্রাক্টর কর্তৃক নিয়োগ ব্যতীত) নিম্নোক্ত নিযুক্ত ব্যক্তিগণ -

(ক) [কারখানার ক্ষেত্রে ১ঌ৬৫ সালের কারখানা আইনের ৬ ধারার (১) উপধারার (চ) অনুচ্ছেদ] অনুযায়ী ‘ম্যানেজার’ নামান্কিত ব্যক্তি;

(খ) শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শিল্প প্রতিষ্ঠানের তদারকি ও নিয়ন্ত্রণের জন্য মালিকের নিকট দায়ী ব্যক্তি;

(গ) রেলওয়ের ক্ষেত্রে (কারখানা ব্যতীত), রেল প্রশাসন মালিক হইবে বা রেল প্রশাসন সংশ্লিষ্ট স্থানীয় এলাকার জন্য কোনো ব্যক্তিকে এইজন্য মনোনীত করিলে এই প্রকারের নামান্কিত ব্যক্তি, মালিকের নিকট এইরূপ দায়ী ব্যক্তি বা এইরূপ মনোনীত ব্যক্তি, ক্ষেত্রবিশেষে, এই রকম পরিশোধের জন্য দায়ী থাকিবেন ।

 

ধারা-৪। মজুরী মেয়াদ নির্ধারণ (Fixation of Wage-periods) :

(১) মজুরী পরিশোধের জন্য ৩ ধারায় দায়ী ব্যক্তি যেই মেয়াদের জন্য মজুরী পরিশোধযোগ্য, তাহার সময়সীমা (অত্র আইনের মজুরী মেয়াদ বলিয়া উল্লিখিত) নির্ধারণ করিবেন।

(২) কোনো মজুরীর মেয়াদ এক মাসের অতিরিক্ত হইবে না।

ধারা-৫। মজুরী পরিশোধের সময় (Time of payment of wages) :

উপধারা- (১) নিম্নোক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির মজুরী পরিশোধ করিতে হইবে -

(ক) এক হাজারের কম লোক নিয়োগ রহিয়াছে, এমন কোনো কারখানা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে যেই মজুরী মেয়াদের জন্য      মজুরী প্রাপ্য, তাহার শেষ দিনের পর সাতদিন অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে।

(খ) [রেলওয়ে বা অন্যান্য কারখানায়] বা শিল্প প্রতিষ্ঠানে যেই মেয়াদের জন্য মজুরী প্রাপ্য, তাহার শেষ দিনের পর দশদিন অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে।

উপধারা- (২) কোনো মালিক কর্তৃক বা তাহার পক্ষ হইতে কোনো ব্যক্তির চাকুরি অবসান করা হইলে, উক্ত ব্যক্তি কর্তৃক অর্জিত মজুরী যেইদিন চাকুরির অবসান করা হইয়াছে, তাহার পরবর্তী দ্বিতীয় দিন অতিক্রান্ত হইবার পূর্বে পরিশোধ করিতে হইবে।

উপধারা- (৩) যেই কোনো [রেলওয়ে]   (কারখানা ব্যতীত) নিযুক্ত ব্যক্তি বা কোনো শ্রেণীর ব্যক্তিদের মজুরী পরিশোধের বেলায় মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে [সরকার] বিশেষ বা সাধারণ আদেশ জারির মাধ্যমে অত্র ধারার আওতা হইতে রেহাই দিতে পারিবেন।

উপধারা- (৪)  সকল প্রকার মজুরী কার্য দিবসে পরিশোধ করিতে হইবে।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: মজুরী পরিশোধ আইন-১ঌ৩৬
« Reply #2 on: January 20, 2012, 08:37:11 AM »
ধারা-৬। প্রচলিত মুদ্রা বা কারেন্সী নোট দ্বারা মজুরী পরিশোধ করিতে হইবে (Wages to be paid in current coin or currency notes) :

সকল প্রকার মজুরী প্রচলিত মুদ্রা বা কারেন্ন্সী নোট বা [ব্যাংক চেক] দ্বারা পরিশোধ করিতে হইবে।

ধারা-৭। মজুরী হইতে যা কর্তন করা যাইবে (Deductions which may be made from wages) :

উপধারা- (১) ১৮ঌ০ সালের রেলওয়ে আইন (১৮ঌ০ সালের ঌ নং আইন)-এর ৪৭ ধারার (২) উপধারার বিধান সত্ত্বেও অত্র আইন দ্বারা বা অত্র আইনের অধীনে অনুমোদিত না হইলে সকল নিযুক্ত ব্যক্তিকে কোনো প্রকার কর্তন ছাড়াই মজুরী পরিশোধ করিতে হইবে।

ব্যাখ্যা : চাকুরিরত ব্যক্তি কর্তৃক মালিক বা মালিকের প্রতিনিধিকে কোনো কিছু পরিশোধ করা হইলে, অত্র আইনের উদ্দেশ্যে, তাহা তাহার মজুরী হইতে কর্তন বলিয়া ধরা হইবে।

উপধারা- (২) কেবলমাত্র অত্র আইনের বিধান অনুসারেই চাকুরিতে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তির মজুরী হইতে কর্তন করা যাইবে। কর্তন নিম্নোক্ত প্রকারের হইতে পারিবে :

(ক) জরিমানা;

(খ) কর্তব্যে অনুপস্থিতির জন্য কর্তন;

(গ) নিযুক্ত ব্যক্তির বিশেষ তত্ত্বাবধানে অধীনস্থ মালামালের ক্ষতি সাধনের জন্য বা তাহার জবাবদিহি করিতে হয়, এমন অর্থের ক্ষতি হওয়া, খোয়া যাওয়া- যেখানে উক্ত ব্যক্তির গাফিলতি বা ত্রুটি-বিচ্যুতির জন্য উক্ত ক্ষিত বা খোয়া যাওয়ার ঘটনা ঘটে।

(ঘ) মালিক কর্তৃক আবাসিক সুযোগ প্রদান বাবদ কর্তন;

(ঙ) [সরকারের] সাধারণ বা বিশেষ নির্দেশ অনুসারে মালিক কর্তৃক সরবরাহকৃত অন্য কোনো সুযোগ-সুবিধা ও সার্ভিস বাবদ কর্তন;

ব্যাখ্যা : এরূপ অনুচ্ছেদে ‘সার্ভিস’ শব্দটি চাকুরির প্রয়োজনে মালিক কর্তৃক যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল সরবরাহ অন্তর্ভুক্ত হইবে না।

 (চ) প্রদত্ত অগ্রিম উসুলের জন্য বা অতিরিক্ত মজুরী প্রদান করা হইয়া থাকিলে তাহা সমন্বয় করিবার জন্য কর্তন;

 (ছ) চাকুরিতে নিযুক্ত ব্যক্তির প্রদেয় আয়কর বাবদ কর্তন;

 (জ) আদালতের নিদের্শ বা নির্দেশ দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক কর্তন করিবার প্রয়োজন হইলে;

 (ঝ) ১ঌ২২ সালের আয়কর আইনের (১ঌ২২ সনের ঌ নং আইন) ৫৮-ক ধারায়] বর্ণিত অপর কোনো অনুমোদিত প্রভিডেন্ট ফান্ড বা অনুমোদন বলবত থাকাকালীন এতদুদ্দেশ্যে সরকার অনুমোদিত অন্য কোনো প্রভিডেন্ট ফান্ড হইতে প্রদত্ত অগ্রিম উসুলের জন্য বা উক্ত ফান্ডের চাঁদা আদায়ের জন্য কর্তন;

(ঞ) [সরকার] অনুমোদিত সমবায় সমিতিসমূহের বা [বাংলাদেশ ডাক বিভাগ] পরিচালিত বীমা পরিকল্পে অর্থ প্রদানের জন্য কর্তন; এবং

(ট) [সরকার] অনুমোদিত কোনো যুক্ত সঞ্চয় পরিকল্পনার উন্নয়নকল্পে [বাংলাদেশ] [সরকার] বা যুক্তরাজ্য সরকারের ঋণপত্র ক্রয়ের জন্য চাকুরিতে নিযুক্ত ব্যক্তির লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে কর্তন।

ধারা-৮। জরিমানা (Fines) :

উপধারা- (১) [সরকার] বা নির্ধারিত কর্তপক্ষের পূর্ব অনুমোদিত এবং (২) উপধারায় প্রদত্ত নোটিশের দ্বারা মালিক কর্তৃক বিজ্ঞাপিত কোনো কাজ বা ক্রটি-বিচ্যুতিসমূহ ব্যতীত অন্য কোনো কারণে নিযুক্ত ব্যক্তির জরিমানা আরোপ করা যাইবে না।

উপধারা- (২) অনুরূপ কাজ বা ক্রটি-বিচ্যুতিসমূহ নির্দিষ্ট করিয়া তাহা নোটিশ আকারে চাকুরিতে নিযুক্ত ব্যক্তির কর্মস্থলের আঙ্গিনায়  বা [রেলওয়েতে] কর্মরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে (কারখানা ব্যতীত) নির্ধারিত স্থানে বা স্থানসমূহে প্রকাশ্যে বিজ্ঞাপিত করিতে হইবে।

উপধারা- (৩) জরিমানার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়া বা জরিমানা আরোপের জন্য নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ না করিয়া চাকুরিতে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তির উপর জরিমানা আরোপ করা যাইবে না।

উপধারা- (৪) একটি মজুরী মেয়াদে কোনো নিযুক্ত ব্যক্তির উপর আরোপিত জরিমানার মোট পরিমাণ উক্ত মজুরী মেয়াদে নিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রদেয় মজুরীর টাকা প্রতি [দশ] পয়সার অতিরিক্ত হইতে পারিবে না।

উপধারা- (৫) চাকুরিতে নিযুক্ত পনেরো বছরের কম বয়স্ক কোনো ব্যক্তির উপর জরিমানা করা যাইবে না।

উপধারা- (৬) কোনো নিযুক্ত ব্যক্তির নিকট হইতে কিস্তিতে বা জরিমানা আরোপের দিন হইতে ষাটদিন অতিক্রান্ত হইবার পর জরিমানা আদায় করা যাইবে না।

উপধারা- (৭) যেই কাজ বা ক্রটি-বিচ্যুতির জন্য জরিমানা আরোপ করা হয়েছে, উক্ত কাজ বা ক্রটি সংঘটনের দিনই জরিমানা আরোপ করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

উপধারা- (৮) ২ ধারায় মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তি সকল জরিমানা এবং জরিমানা আদায়ের রেকর্ড নির্ধারিত ফরমে রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ করিবেন এবং এই প্রকার সমস্ত আদায় নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত পন্থায় কারখানা বা প্রতিষ্ঠানের চাকুরিতে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কল্যাণমূলক উদ্দেশ্যে প্রয়োগ করা হইবে।

ধারা-৯। কর্তব্যে অনুপস্থিতির জন্য কর্তন (Deductions for absence from duty) :

উপধারা- (১) চাকরির শর্ত অনুযায়ী যেইখানে কাজ করিবার কথা, চাকুরিতে নিযুক্ত ব্যক্তি সেই স্থান বা স্থানসমূহে অনুপস্থিত থাকিলে অনুরূপ অনুপস্থিতি কাজ করিবার সময়কালের পূর্ণ বা আংশিক সময়ের জন্য হইলেও ৭ ধারার (২) উপধারার (খ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উক্ত অনুপস্থিতির জন্য কর্তন করা যাইতে পারে।

উপধারা- (২) অনুরূপ কর্তনের পরিমান কোনো অবস্থাতেই নিযুক্ত ব্যক্তি যেই সময়ের জন্য কাজে অনুপস্থিত ছিলেন, চাকুরির শর্ত অনুযায়ী তাহার যতক্ষণ কাজ করিবার কথা ছিল, মোট মজুরী মেয়াদের সঙ্গে তাহার অধিক অনুপাতে করা যাইবে না।

তবে শর্ত থাকে যে, দশ বা ততোধিক চাকুরিরত ব্যক্তি প্রয়োজনীয় নোটিশ (চাকুরির শর্ত মোতাবেক প্রয়োজনীয় নোটিশ) ব্যতীত এবং যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত একযোগে সংঘবদ্ধভাবে কাজে অনুপস্থিত থাকিলে [সরকার] কর্তৃক এই উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধিমালা সাপেক্ষে, অনুরূপ শর্ত মোতাবেক বা অনুরূপ নোটিশের পরিবর্তে অনধিক আটদিনের মজুরী কাটিয়া নেয়া যাইতে পারে।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: মজুরী পরিশোধ আইন-১ঌ৩৬
« Reply #3 on: January 20, 2012, 08:37:35 AM »
ধারা-১০। ক্ষয়ক্ষতির জন্য দন্ড (Deductions for damage or loss) :

উপধারা- (১) ৭ ধারার (২) উপধারার (গ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো কর্তনের ক্ষেত্রে তাহা চাকুরিতে নিযুক্ত ব্যক্তির অবহেলা বা ক্রটির দরুন মালিক ক্ষতির পরিমাণের তুলনায় বেশী হইতে পারিবে না বা উক্ত নিযুক্ত ব্যক্তিকে অনুরূপ কর্তনের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর সুযোগ না দিয়া বা অনুরূপ কর্তনের জন্য নির্ধারিত  পদ্ধতি ভিন্ন অন্যভাবে করা যাবে না।

উপধারা- (২) অনুরূপ সমস্ত কর্তন এবং আদায়ের হিসাব ৩ ধারায় মজুরী প্রদানের জন্য দায়ী ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে রেজিস্টারে রেকর্ডভুক্ত করিতে হইবে।

ধারা-১১। প্রদত্ত সার্ভিসের জন্য কর্তন (Deductions for services rendered) :

চাকরিতে নিযুক্ত ব্যক্তি যতক্ষণ তাহার চাকুরির শর্ত অনুযায়ী বা অন্যভাবে আবাসিক সুবিধা বা সুযোগ বা সার্ভিস গ্রহণ না করিয়া থাকেন, ততক্ষণ তাহা মজুরী হইতে ৭ ধারার (২) উপধারার (ঘ) ও (ঙ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো প্রকার কর্তন করা যাইবে না এবং অনুরূপ কর্তন তাহাকে প্রদত্ত আবাসিক সুবিধা বা অন্য সুযোগ বা সার্ভিসের মূল্যের তুলনায় বেশী হইতে পারিবে না এবং (ঙ) অনুচ্ছেদের অধীনে কর্তন বা  [সরকার] কর্তৃক আরোপিত শর্ত অনুসারে করিতে হইবে।

ধারা-১২। প্রদত্ত অগ্রিম উসুলের জন্য কর্তন (Deductions for recovery of advances) :

৭ ধারার (২) উপধারায় (চ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কর্তন নিম্নোক্ত শর্ত সাপেক্ষে হইতে হইবে; যথা :

(ক) চাকুরি শুরু করিবার পূর্বে অগ্রিম বাবদ প্রদত্ত অর্থ একটি পূর্ণ মজুরী মেয়াদের জন্য প্রাপ্য প্রথম মজুরী পরিশোধের সময় উসুল করিয়া লইতে হইবে, কিন্তু ভ্রমণ খরচা  (traveling allowance) বাবদ প্রদত্ত অগ্রিম উসুল করা যাইবে না।

(খ) ইতিমধ্যে অর্জিত হয় নাই, এমন মজুরী বাবদ অগ্রিম উক্ত অগ্রিম  প্রদানের সীমা  এবং উসুলের জন্য কিস্তি নির্ধারণ করিয়া সরকার কর্তৃক প্রণীত বিধিমালা সাপেক্ষে উসুল করিতে হইবে।

ধারা-১৩। সমবায় সমিতি বা বীমা পরিকল্পনায় প্রদান বাবদ কর্তন (Deductions for payments to co-operative societies and insurance schemes) :

৭ ধারার (২) উপধারার (ঞ) এবং [(ট) অনুচ্ছেদ] অনুযায়ী কর্তন [সরকার] কর্তৃক আরোপিত হইতে পারে, এমন শর্ত সাপেক্ষে করিতে হইবে।

ধারা-১৪। পরিদর্শকবৃন্দ (Inspectors) :

উপধারা- (১) [১ঌ৬৫ সালের কারখানা আইনের ঌ ধারার (২) উপধারায়] নিযুক্ত কারখানা পরিদর্শক অত্র আইনের উদ্দেশ্য তাহার নির্ধারিত স্থানীয় এলাকার সকল কারখানাসমূহের জন্য পরিদর্শক।

উপধারা- (২) রেলওয়েতে (কারখানা ব্যতীত) নিযুক্ত সকল নিযুক্ত ব্যক্তিদের  (যাহাদের উপর এই আইন প্রযোজ্য) জন্য এই আইনের উদ্দেশ্যে সরকার পরিদর্শক নিযুক্ত করতে পারিবেন।

উপধারা- (৩) অত্র আইনের উদ্দেশ্যে [সরকার] [সরকারী গেজেটে) প্রজ্ঞাপন মারফত নিজ বিবেচনায় উপযুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদেরও পরিদর্শক নিযুক্ত করতে পারিবেন এবং তাঁহাদের স্থানীয় এলাকা এবং কোন শ্রেণীর কারখানা এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানে তাঁহারা তাঁহাদের ক্ষমতা প্রয়োগ করিবেন, তাহা নির্ধারিত করিয়া দিতে পারিবেন।

উপধারা- (৪) কোনো পরিদর্শক তাহার বিবেচনানুসারে অত্র আইনের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যেই কোনো যুক্তিসঙ্গত সময়ে যেই কোনো ভবনে প্রবেশ করিতে এবং মজুরীর রেজিস্টার বা দলিলপত্র পরীক্ষা করিতে এবং সরেজমিনে বা অন্যভাবে যেই কোনো ব্যক্তির সাক্ষ্য লইতে এবং পরিদর্শকের অন্যান্য ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারিবেন।

উপধারা- (৫) সকল পরিদর্শক [দন্ডবিধির] (১৮৬০ সালের ৪৫নং আইন) মর্মানুযায়ী সরকারী কর্মচারী বলিয়া গণ্য  হইবেন।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: মজুরী পরিশোধ আইন-১ঌ৩৬
« Reply #4 on: January 20, 2012, 08:37:59 AM »
ধারা-১৫। মজুরী হইতে কর্তন বা মজুরী পরিশোধ বিলম্বজনিত দাবী এবং বিদ্বেষপূর্ণ ও বিরক্তিকর দাবির জন্য দন্ড ( Claims out of deductions from wages or delay in payment of wages and penalty for malicious or vexations claims) :

উপধারা- (১) কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় নিযুক্ত ব্যক্তির মজুরী পরিশোধের ক্ষেত্রে উক্ত মজুরী হইতে কর্তন বা মজুরী পরিশোধের বিলম্বজনিত সকল দাবির শুনানি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য [সরকার] [সরকারী গেজেটে] প্রজ্ঞাপন প্রকাশের মাধ্যমে যেই কোনো [শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান বা কোনো জেলা জজকে] উক্ত এলাকার কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করতে পারিবেন।

উপধারা- (২) অত্র আইনের বিধানের বরখেলাপ করিয়া কোনো নিযুক্ত ব্যক্তির মজুরী পরিশোধে বিলম্ব করা হইলে সংশ্লিষ্ট নিযুক্ত ব্যক্তি নিজে বা কোনো আইনজীবীর মারফত বা লিখিত দায়িত্ব প্রদানপূর্বক কোনো ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে বা অত্র আইনের অধীনে নিযুক্ত কোনো পরিদর্শক অথবা (১) উপধারায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে অন্য কোনো ব্যক্তি উপধারা- (৩) উপধারায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করিতে পারিবেন।

তবে শর্ত থাকে যে, মজুরী হইতে অনুরূপ কর্তনের তারিখ হইতে বা মজুরী যেই দিন পরিশোধযোগ্য হইয়াছে, সেই তারিখ হইতে ৬ মাসের মধ্যে আবেদন পেশ করিতে হইবে।

আরও শর্ত হচ্ছে, উল্লিখিত সময়সীমার মধ্যে আবেদন না করিবার পিছনে যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল বলিয়া আবেদনকারী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সন্তষ্ট করিতে পারিলে উল্লিখিত সময়সীমার পরেও পেশকৃত আবেদন গ্রাহ্য করা যাইতে পারে।

উপধারা-(৩) উপধারা (২)-এর অধীনে পেশকৃত আবেদন বিবেচনার জন্য গৃহীত হইলে কর্তৃপক্ষ আবেদনকারী ও মালিকের বা (৩) উপধারার অধীনে মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তির বক্তব্য শুনিবেন অথবা বক্তব্য শোনার সুযোগ দেবেন এবং প্রয়োজন হইলে অন্যান্য তদন্তানুষ্ঠানের পর অত্র আইনের অধীনে সংশ্লিষ্ট মালিক বা অন্য কোনো দায়ী ব্যক্তি কোনো দন্ড পাইয়া থাকিলে তাহার অন্যথা ব্যতীতই কর্তিত মজুরী সংশ্লিষ্ট নিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণের জন্য বা বিলম্বিত মজুরী সংশ্লিষ্ট নিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণের জন্য বা বিলম্বিত মজুরী সংশ্লিষ্ট নিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রত্যপর্ণের জন্য পরিশোধের জন্য কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় সঠিক সাব্যস্ত হইলে অন্য কোনো ক্ষতিপূরণসহ প্রদানের জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন, তবে অন্য কোনো ক্ষতিপূরণের [পরিমাণ নিযুক্ত ব্যক্তির মজুরীর পঁচিশ শতাংশের বেশী হইবে না]।

তবে শর্ত থাকে যে, কর্তৃপক্ষ যদি নিশ্চিত হন যে, নিম্নোক্ত কারণে মজুরী পরিশোধে বিলম্ব ঘটিয়াছে, তাহা হইলে উক্ত বিলম্বের জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশ দেবেন না :

(ক) নিযুক্ত ব্যক্তির পরিশোধযোগ্য মজুরীর ব্যাপারে প্রকৃত ভুল-ভ্রান্তি বা প্রকৃত কোনো বিরোধ থাকিলে; অথবা

(খ) এমন কোনো জরুরী পরিস্থিতি বা অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হইয়াছে, যাহার ফলে যুক্তিসঙ্গতভাবে চেষ্টা করা সত্ত্বেও দায়ী ব্যক্তি যথাসময়ে মজুরী পরিশোধ করিতে পারেন নাই; অথবা

(গ) মজুরী গ্রহণের জন্য উপস্থিতি হইতে বা মজুরী গ্রহণ করিতে সংশ্লিষ্ট নিযুক্ত ব্যক্তির ব্যর্থতা।

উপধারা- (৪) অত্র ধারার অধীনে আবেদন বিবেচনার জন্য নিযুক্ত কর্তৃপক্ষ যদি নিশ্চিত হন যে, আবেদনকারী দুরভিসন্ধিমূলক বা বানোয়াট বক্তব্য পেশ করিয়াছেন, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীকে অনধিক পঞ্চাশ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করিয়া উক্ত টাকা মালিককে বা মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তিকে প্রদানের নির্দেশ দিতে পারিবেন।

উপধারা-(৫) অনুরূপ মজুরী পাওয়ার অধিকারী ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদনপত্র দাখিল করিলে অত্র ধারার অধীনে পরিশোধের জন্য নির্দেশিত যেই কোনো পরিমাণ অর্থ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে সরকারী পাওনা হিসেবে উসুল করা যাইতে পারে]।

ধারা-১৬। একই শ্রেণীর অনাদায়ী ব্যক্তিদের দাবির ব্যপারে একক দরখাস্ত (Single application in respect of claims from an unpaid group) :

উপধারা-(১) একই প্রতিষ্ঠানের নিযুক্ত ব্যক্তিগণ, যাহাদের একই মজুরী মেয়াদের জন্য প্রাপ্য মজুরী ৫ ধারায় নির্ধারিত সময়ের পর অনাদায়ী রহিয়াছে, তাহাদের একই অনাদায়ী শ্রেণীভুক্ত বলিয়া গণ্য হয়।

উপধারা-(২) একই আনাদায়ী শ্রেণীভুক্ত শ্রমিকদের পক্ষে বা একই অনাদায়ী শ্রেণীভুক্ত চাকুরিরত যেই কোনো সংখ্যক ব্যক্তির ব্যাপারে ১৫ ধারায় একটি দরখাস্ত পেশ করা যাইবে এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে ১৫ ধারার (৩) উপধারায় মাথাপিছু সর্বাধিক [একশত টাকা] পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ মঞ্জুর করা যাইবে।

উপধারা-(৩) একই অনাদায়ী শ্রেণীভুক্ত চাকুরিরত ব্যক্তিদের পক্ষে ১৫ ধারায় পৃথক পৃথকভাবে পেশকৃত মুলতবী দরখাস্তসহ কর্তৃপক্ষের অত্র ধারার (২) উপধারার অধীনে একক দরখাস্ত হিসাবে বিবেচনা করিতে পারিবেন এবং তদানুসারে উক্ত উপধারার বিধানসমূহ এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে।

ধারা-১৭। আপিল (Appeal) :

উপধারা- (১) ১৫ ধারার (৩) উপধারায় প্রদত্ত নির্দেশের বিরুদ্ধে উক্ত নির্দেশ দেয়ার ত্রিশদিনের মধ্যে [শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনালে] আপীল করা যাইতে পারে :

(ক) মালিক বা ৩ ধারায় মজুরী প্রদানের জন্য দায়ী ব্যক্তি কর্তৃক যদি মোট দেয় টাকা মজুরী হিসাবে প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয় এবং ক্ষতিপূরণের পরিমাণ তিনশত টাকার বেশী হয়; অথবা

(খ) নিযুক্ত শ্রমিক কর্তৃক যদি তাহার বা অনাদায়ী শ্রেণীভুক্ত ব্যক্তিদের অনাদায়ী মজুরীর পরিমাণ পঞ্চাশ টাকার বেশী হয়; অথবা

(গ) ১৫ ধারার (৪) উপধারায় জরিমানা প্রদানের নির্দেশ দেয়া হইলে নির্দেশপ্রাপ্ত যেই কোনো ব্যক্তি কর্তৃক।

 

উপধারা- (২) (১) উপধারার বিধান ব্যতীত অন্যান্য সকল বিষয়ে ১৫ ধারার (৩) উপধারা  অথবা [(৪) উপধারায়] প্রদত্ত যেই কোনো নির্দেশ চূড়ান্ত বলিয়া বিবেচিত হইবে।

ধারা-১৮। নিযুক্ত কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা (Powers of authorities appointed) :

১৫ ধারার (১) উপধারায় নিযুক্ত প্রত্যেক কর্তৃপক্ষ সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে এবং সাক্ষীদের হাজির করিবার ব্যাপারে এবং দলিলপত্র উপস্থাপনে বাধ্য করিবার ব্যাপারে দেওয়ানী কার্যবিধির (১ঌ০৮ সালের ৫ নং আইন) অধীনে দেওয়ানী আদালতে সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী হইবেন এবং অনুরূপ কর্তৃপক্ষ সমস্ত ব্যাপারে ১ঌ৫ ধারা অনুসারে দেওয়ানী আদালত এবং ফৌজদারী কার্যবিধি (১৮ঌ৮ সালের ৫ নং আইন)-এর ৩৫তম অনুসারে আদালত বলিয়া গণ্য হইবেন।

ধারা-১ঌ। কতিপয় ক্ষেত্রে মালিকের নিকট হইতে আদায় করিবার ক্ষমতা (Power to recover from employer in certain cases) :

কখনও ১৫ ধারায় উল্লিখিত কর্তৃপক্ষ বা ১৭ ধারায় উল্লিখিত আদালত ৩ ধারার অধীনে মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী কোনো ব্যক্তির (মালিক ব্যতীত) নিকট হইতে ১৫ বা ১৭ ধারায় নির্দেশিত কোনো অর্থ আদায় করিতে ব্যর্থ হইলে সংশ্লিষ্ট দায়ী নিযুক্ত ব্যক্তির মালিকের নিকট হইতে কর্তৃপক্ষ আদায় করিবেন।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
Re: মজুরী পরিশোধ আইন-১ঌ৩৬
« Reply #5 on: January 20, 2012, 08:38:23 AM »
ধারা-২০। অত্র আইনে অপরাধের দন্ড (Penalty for offences under the Act) :

উপধারা- (১) নিযুক্ত ব্যক্তিদের মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী  যেই কোনো নিম্নবর্ণিত ধারাসমূহ, যথা ৫ ধারা এবং ৭ হইতে ১৩ ধারার যেই কোনো বিধান লংঘন করিলে (উভয় ধারাসহ) অনধিক পাঁচশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা [অনধিক ছয় মাস পর্যন্ত কারাদন্ড অথবা উভয় দন্ডে] দন্ডনীয় হইবেন।

উপধারা- (২) কোনো ব্যক্তি ৪ ধারা, ৬ ধারা অথবা ২৫ ধারা লঙ্ঘন  করিলে অনধিক দুইশত টাকা পর্যন্ত জরিমানায় দন্ডনীয় হইবেন।

ধারা-২১। অপরাধের বিচার পদ্ধতি (Procedure in trial of offences) :

[উপধারা- (১) ১৫ ধারার (১) উপধারার অধীনে নিযুক্ত কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্য কোনো আদালত অত্র আইনে দন্ডনীয় কোনো অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তির বিচার করিবেন না]।

উপধারা- (২) ১৫ ধারায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ বা শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল, যেইখানে প্রযোজ্য :

(ক) কোনো পক্ষ নিম্নোক্ত মর্মে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করিলে :

(i)  আইনের ব্যত্যয় ঘটার পিছনে কোনো যুক্তিসঙ্গত ভ্রান্তি বিদ্যমান ছিল বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পাওনা টাকার পরিমাণ নির্ধারণের ব্যাপারে কোনো যুক্তিগ্রাহ্য বিরোধ ছিল; অথবা

(ii)  মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তি আপ্রাণ চেষ্টা করা সত্ত্বেও বিশেষ কোনো জরুরী পরিস্থিতি উদ্ভব হওয়ার কারণে তাত্‍ক্ষণিকভাবে মজুরী পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন; অথবা

(iii) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মজুরীর জন্য আবেদন পেশ করিতে বা মজুরী গ্রহণে ব্যর্থ হইয়াছিলেন- তবে ২০ ধারার (১) উপধারার অধীনে দন্ডযোগ্য অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার শুরু করিবার পূর্বে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে উক্ত ব্যত্যয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।

(খ) অনুরূপ অপরাধ সংঘটনের জন্য অত্র আইনে দায়েরকৃত ঘটনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে (ক) অনুচ্ছেদের বিধান সাপেক্ষে অপরাধটি আমলে আনিবেন।

উপধারা- (৩) পরিদর্শক কর্তৃক বা পরিদর্শকের অনুমোদনসহ অভিযোগ দায়ের করা না হইলে কোনো আদালত ৪ বা ৬ ধারা লঙ্ঘন বা ২৬ ধারায় আনীত বিধিমালা লঙ্ঘন সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আমলে নিবেন না।

[শর্ত থাকে যে, কারখানাসমূহের প্রধান পরিদর্শকের পূর্ব অনুমোদন ব্যতীত আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলা প্রত্যাহার করা যাইবে না।]

উপধারা- (৪) ২০ ধারার (১) উপধারায় অপরাধের ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ করিবার সময় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ১৫ ধারার কোনো কার্যক্রমে ইতিমধ্যে আরোপিত জরিমানার বিষয়টি বিবেচনা করিবেন।

ধারা-২২।  মামলা করার বিধি-নিষেধ (Bar of suits) :

উপধারা- (১) কোনো আদালত নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে মজুরী আদায় বা কর্তিত মজুরী আদায় সংক্রান্ত মামলা বিবেচনা করিবেন না। যদি দাবীকৃত অর্থ -

(ক) ১৫ ধারার অধীনে দায়েরকৃত আবেদনের বিষয়বস্তু হইয়া থাকে, বাদী কর্তৃক ইতিমধ্যে দাখিল করা হইয়াছে এবং যদি তাহা উক্ত ধারায় নিযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট বা ১৭ ধারায় আপীল বিচারাধীন থাকিয়া থাকে; অথবা

(খ) ১৫ ধারায় প্রদত্ত কোনো নির্দেশের বিষয়বস্তু হইয়া থাকে, যদিও তা বাদীর প্রাপ্য নয়; অথবা

(গ) ১৫ ধারার কার্যক্রমে বাদীর প্রাপ্য নয় বলিয়া স্থিরীকৃত হইয়া থাকিলে; অথবা

(ঘ) যদি ৫ ধারার অধীনে দরখাস্তমূলে তাহা আদায় করা যাইত।

ধারা-২৩। চুক্তি নাকচ (Contracting out)

অত্র আইন বলবত হইবার পূর্বে বা পরে সম্পাদিত কোনো চুক্তি দ্বারা কোনো নিযুক্ত ব্যক্তি অত্র অাইনে তাহাকে চুক্তি প্রদত্ত কোনো অধিকার পরিত্যাগ করিয়া থাকেন, তবে ইহার ফলে তিনি যতটুকু হইতে বঞ্চিত হইয়াছেন, তাহা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।

 ধারা-২৪।  [বাতিল]

ধারা-২৫। অাইনের সার-সংক্ষেপ প্রদর্শন (Display by notice of abstracts of the Act) :

কোনো কারখানায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তি অত্র আইনের এবং এর অধিনে প্রণীত বিধিমালার সার-সংক্ষেপ সম্বলিত নোটিশ বাংলা ভাষায় অনুরূপ কারখানায় টাঙ্গাইয়া রাখার ব্যবস্থা করিবেন।

ধারা-২৬। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা (Rule-making power) :

উপধারা- (১) ১৫ ও ১৭ ধারায় উল্লিখিত কর্তৃপক্ষ এবং অাদালত কর্তৃক অনুসৃত পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণের জন্য [সরকার] বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

উপধারা- (২) [সরকারী গেজেটে] প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অত্র আইনের বিধানসমূহ কার্যকরকরণের জন্য [সরকার] বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

উপধারা- (৩) পূর্বোক্ত ক্ষমতাসমূহের সাধারণত ব্যাহত না করিয়া এবং বিশেষত (২) উপধারা মোতাবেক বিধিসমূহ দ্বারা-

(ক) অত্র আইন প্রয়োগের রেকর্ডপত্র, রেজিস্টার, রিটার্ন এবং নোটিশ সংরক্ষণের নির্দেশ দিতে এবং এর প্রকার নির্ধারণ করা যাইতে পারে;

(খ) চাকরিস্থলে বা আঙ্গিনায় প্রকাশ্য স্থানে উক্ত নিযুক্ত ব্যক্তিদের মজুরী হার নির্দেশিত করিয়া নোটিশ প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়া যাইতে পারে;

(গ) নিযুক্ত ব্যক্তিদের মজুরী নির্ণয়ের জন্য মালিক কর্তৃক ব্যবহৃত ওজন, পরিমাপ বা পরিমাপ যন্ত্রসমূহ নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা যাইতে পারে;

(ঘ) কোন কোন দিনে মজুরী পরিশোধ করা হইবে, তাহা জানাইবার জন্য নোটিশ দেয়ার প্রকার নির্ধারণ করা যাইতে পারে;

(ঙ) ৮ ধারার (১) উপধারার অধীনে কোনো কাজ করা বা না করার দরুন জরিমানা আরোপ করা যাইতে পারে এবং তাহা অনুমোদনের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারণ করা যাইতে পারে।

(চ) ৮ ধারায় জরিমানা আরোপ এবং ১০ ধারায় উল্লিখিত কর্তনের পদ্ধতি নির্ধারণ করিয়া দেয়া যাইতে পারে;

(ছ) ঌ ধারার (২) উপধারার শর্ত মোতাবেক যেই যেই অবস্থায় কর্তন করা যাইবে, তাহা নির্ধারণ করিয়া দেয়া যাইতে পারে;

(জ) যেই যেই উদ্দেশ্যে আদায়কৃত জরিমানা ব্যয় করা হইবে, তাহা অনুমোদন করিবার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারণ করিয়া দেয়া যাইতে পারে;

(ঝ) ১২ ধারার (খ) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত অগ্রিম প্রদানের সীমা এবং তাহা আদায়ের জন্য কিস্তির সীমা নির্ধারণ করিয়া দেয়া যাইতে পারে;

(ঞ) অত্র আইনের অধীনে কোনো কার্যক্রমের জন্য খরচার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যাইতে পারে;

(ট) অত্র আইনের অধীনে কোনো কার্যক্রমের জন্য প্রদেয় কোর্ট ফির পরিমাণ নির্ধারণ করিয়া দেয়া যাইতে পারে এবং

(ঠ) ২৫ ধারায় প্রদেয় নোটিশে প্রদর্শনযোগ্য সারাংশ নির্ধারণ করিয়া দেয়া যাইতে পারে।

উপধারা- (৪) অত্র ধারায় কোনো বিধি প্রণয়নের সময় [সরকার] এইরূপ বিধান রাখিতে পারিবেন যে, এইরূপ বিধিমালার লঙ্ঘন দুইশত টাকা জরিমানায় দন্ডযোগ্য হইবে।

উপধারা- (৫) এই ধারায় প্রণীত সকল বিধিসমূহ পূর্ব প্রকাশের শর্ত  সাপ
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection