আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ডায়াবেটিস সচেতনতা দিবস। ১৯৫৬ সালের এই দিনে জাতীয় অধ্যাপক ডা· মো· ইব্রাহিমের উদ্যোগে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
এ দিনটি ডায়াবেটিস সচেতনতা কর্মসূচিকে আরও জোরালো করার দিন, একে নতুন উদ্যমে এগিয়ে নেওয়ার দিন। ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ইব্রাহিমের মহান অবদান ্নরণ করে দেশব্যাপী এ সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার দিন।
এ ছাড়া প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়। ডায়াবেটিস সম্পর্কে বিশ্বজুড়ে সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা এর উদ্দেশ্য। রোগের কারণে মৃত্যুর যেসব কারণ রয়েছে, ডায়াবেটিস আছে সেগুলোর মধ্যে পঞ্চম স্থানে। এর কোনো নিরাময় না থাকলেও একে প্রতিরোধ করা যায় সফলভাবেই।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৮৭ সালের পর থেকে ডায়াবেটিসের কারণে মৃত্যুহার বেড়েছে ৪৫ শতাংশ। অথচ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ (স্ট্রোক), ক্যান্সার ও হৃদরোগে মৃত্যুহার কমেছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ২৪৬ মিলিয়নেরও বেশি লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। ২০২০ সালের মধ্যে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩৮০ মিলিয়নে।
ফলে বাড়ছে চিকিৎসার খরচ। কেবল প্রত্যক্ষভাবেই নয়, পরোক্ষভাবে ডায়াবেটিসের কারণে পঙ্গুত্ব, কর্মহানি ও অকালমৃত্যু হওয়ায় সামাজিক ব্যয়ও বেড়েছে। ২০ থেকে ৭৪ বছরের মধ্যে যাঁদের বয়স, তাঁদের মধ্যে অন্ধত্বের নতুন রোগী হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ ডায়াবেটিস। কিডনি নিষ্ত্র্নিয় হওয়ারও বড় কারণ ডায়াবেটিস।
যেসব পূর্ণবয়স্ক লোকের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের তুলনায় যাঁদের ডায়াবেটিস নেই, তাঁদের মৃত্যুহার হৃদরোগে অনেক কম। ডায়াবেটিস থাকলে হৃদরোগে মৃত্যুহার দুই থেকে চার গুণ বেশি। তবে আশার কথাও আছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়, প্রতিরোধও করা যায়। নিয়ম মানলে ডায়াবেটিস নিয়েও সম্পূূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায়।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০০৯