স্বাস্থ্যের কথা ভেবে যাঁরা চর্বিজাতীয় খাবার বাদ দিয়ে নিরামিষের দিকে খুব বেশি ঝুঁকছেন, শাকসবজি ও ফলমূল ছাড়া অন্য কিছুর দিকে ফিরেও তাকাচ্ছেন না, তাঁদের স্বাস্থ্য নিয়েও ঝুঁকির তথ্য দিচ্ছেন গবেষকেরা। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে, মাংসভোজীদের চেয়ে সদ্য নিরামিষাশীদের খাওয়াদাওয়ার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি হতে পারে। কারণ, মাংসভোজীদের চেয়ে তাঁদের পরিমাণে বেশি খেতে হয়। আর যাঁরা অনেক আগেই নিরামিষের পথ ধরেছেন, মাংসাশীদের চেয়ে তাঁদের ক্ষুধামান্দ্য ও বুলিমিয়ায় (বেশি খাওয়ার ফলে অসুস্থতা) আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের মিনাসোটা রাজ্যের ৩১টি বিদ্যালয়ে ১৫ থেকে ২৩ বছর বয়সী দুই হাজার ৫১৬ জনের ওপর গবেষণাটি পরিচালিত হয়। দ্য জার্নাল অব আমেরিকান ডায়েটেটিক অ্যাসোসিয়েশনের এপ্রিল সংখ্যায় গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
নিরামিষ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো-এ কথা শতভাগ সত্য। এতে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। গবেষণার প্রধান কলেজ অব সেইন্ট বেনেডিক্ট ও সেইন্ট জনস ইউনিভার্সিটির পুষ্টিবিদ রামোনা রবিনসনও তা মানেন। কিন্তু গবেষণাটিতে দেখা যায়, কিশোর ও তরুণ নিরামিষাশীরা বেশি উপকার পেতে নিরামিষ খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে তা থেকে বিপত্তি ঘটতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়, বর্তমান ও পুরোনো নিরামিষভোজীদের ২০ থেকে ২৫ ভাগের মধ্যে ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্ষতিকারক ডায়েট পিল, ল্যাকসাটিভ গ্রহণের মাত্রা বেশি। নিরামিষ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হলেও ওজন কমাতে বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করতে গিয়ে বিপত্তির সৃষ্টি হতে পারে বলে রবিনসন সতর্ক করে দিয়েছেন।
রয়টার্স অবলম্বনে
কাজী ফাহিম আহমেদ
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ০৬, ২০০৯