কোমরব্যথার চেয়ে কম হলেও ঘাড়ের দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় ভুগছে এমন রোগীর সংখ্যাও অনেক। শোয়ার সমস্যা থেকে শুরু করে মেরুদণ্ডের উপরিভাগের হাড় সরে যাওয়া, প্রদাহ যেমন-আর্থাইটিস, স্পন্ডালাইটিস, হাড়ের ক্ষয়রোগ, টিউমার প্রভৃতি কারণে ঘাড়ের ব্যথা হতে পারে। জার্মানির বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘস্থায়ী ঘাড় ব্যথার আরেকটি কারণের দিকে মনোযোগ দিতে বলেছেন। তাঁরা বলছেন, শুধু শারীরিক কারণেই নয়, মানসিক চাপ, বিশেষত বিষণ্নতা ও উদ্বেগজনিত রোগের কারণেও দীর্ঘস্থায়ী ঘাড়ব্যথার উপসর্গ দেখা দিতে পারে। বিএমসি মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিসঅর্ডার জার্নালে এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘাড়ের স্থায়ী ব্যথায় আক্রান্তদের মধ্যে ২০ শতাংশ ভুগছে বিষণ্নতা রোগে এবং ২৮ শতাংশ আক্রান্ত উদ্বেগজনিত রোগে। গবেষক মার্টিন শেরার বলেছেন, এ রোগের সুচিকিৎসার জন্য শুধু এই উপসর্গের প্রতি মনোযোগ না দিয়ে রোগীর মনোসামাজিক সমস্যার প্রকৃতিও নিরূপণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি বলেন, যাদের ঘাড়ের ব্যথার তীব্রতা যত বেশি, তাদের মনোসামাজিক সমস্যার ব্যাপারে দৃষ্টি দেওয়ার প্রয়োজনও তত বেশি। কারণ, মানসিক সমস্যার তীব্রতার সঙ্গে এ ব্যথার তীব্রতাও বাড়ে।
হেলথ ডে নিউজ অবলম্বনে
মুনতাসীর মারুফ
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ২৭, ২০০৯