জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে আমরা যে কেউ ডিপ্রেশনে বা হতাশায় ভুগতে পারি। ডিপ্রেশন বা হতাশা কোন স্থায়ী রোগ নয়। যদিও অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ডিপ্রেশনকে রোগ বলে গন্য করা হয়। কোনো কারণে দুঃখকষ্ট যখন আমাদের মনে গভীরভাবে বসে যায়, তার ফলে আমরা যখন আমাদের স্বাভাবিক কাজগুলো করতে পারি না তখনই ডিপ্রেশনের উদ্ভব হয়। দিনে দিনে এই ডিপ্রেশন ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশন বা ডিপ্রেসিভ ডিজঅর্ডার-এ রূপ নেয়। এর পরিণতি খুব ভাল নয়, তা আমাদের জানা। তাই ডিপ্রেশন উড়িয়ে দিয়ে কিভাবে স্বাভাবিক জীবন যাপন করা যায় তার কিছু টিপ্স জেনে নেয়া যাক-
০ বিষাদ কাটাতে পছন্দসই কাজে ব্যস্ত থাকুন।
০ প্রতিদিন একই রুটিনের জীবন-যাপন থেকে বেরিয়ে আসুন।
০ প্রতিদিনের রুটিনে কিছু বিনোদনের সময় রাখুন। যেটা ঘরে বসে টিভি দেখা না হয়ে সিনেমা কিংবা মঞ্চে নাটক দেখা হতে পারে।
০ যার সহচার্য ভাল লাগে তার সঙ্গে সপ্তাহে একবার আড্ডা দিন। পারলে প্রতিদিন ফোনে কথা বলুন।
০ মাঝেমধ্যে গেটটুগেদার করুন।
০ কর্মজীবী বলে বাড়ির কাজ করা হয়না অবসরে। একঘেয়ে ভাব দূর করতে ছুটির দিনে ঘরকন্যার কাজ করতে পারেন।
০ যান্ত্রিকজীবন থেকে বেরিয়ে আসতে নিজে বারন্দায় গাছ লাগাতে পারেন। কোন কারণে মন বিষন্ন হলে প্রবাসী বন্ধুর সাথে চ্যাটিং করে অন্য পরিবেশে প্রবেশ করুন। বেড়াতে যান দূরে কোথাও।
০ কাজের ব্যস্ততাকে দূরে ফেলে দু-তিন দিন সময় করে প্রকৃতির কাছাকাছি চলে যান।
০ আপনজনের সাথে নিজের আনন্দের স্মৃতিগুলো নিয়ে আলোচনা করুন। চলে যান শৈশবে।
০পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেশের বাড়িতে যেতে পারেন। নিজের শেকড় চিনতে দিন নতুন প্রজন্মকে।
০ সমর্থ হলে প্রতিবেশি কোন দেশে ট্যুর করতে পারেন।
লক্ষ্যণীয়
০ এক জায়গায় আটকে থকবেন না।
০ ইতিবাচক চিন্তা করুন।
০ আত্মমর্যাদা বৃদ্ধি করুন।
০ যেকোনো সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিঃস্বার্থ হোন
০ যেকোনো সমস্যা নিয়ে আলোচনা করুন। আলোচনার সময় নিরপেক্ষ হন।
০শেয়ার করুন। মন খুলে কথা বলুন।
০ ভাল বই, ভাল গান এবং ভাল সিনেমা দেখুন।
০ সবাইকে বন্ধু ভাবুন।
০ শপিং করুন। নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকুন। বিউটিপার্লারে যেতে পারেন।
০ খাবারের মেন্যুতে ভিন্নতা আনতে পারেন।
সূত্রঃ দৈনিক ইত্তেফাক, নভেম্বর ১০, ২০০৯