সিজন চেঞ্জের সাথে সাথে মিজলস, চিকেন পক্সের মতো ভাইরাসবাহিত অসুখ প্রায়ই দেখা যায়, নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধের বিরুদ্ধে তাই নিজেকে সব সময় সচেতন রাখা প্রয়োজন। লিখেছেন রাশেদুল হাসান শুভ
মিজলস ও চিকেন পক্সের মতো ভাইরাসবাহিত অসুখের সময় প্রথমেই প্রয়োজন ডাক্তারের সাথে কথা বলা। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ ও ভ্যাক্সিনের সঙ্গে প্রয়োজন উপযুক্ত বিশ্রাম। কোনো ধরনের সর্দি-কাশি, ঠাণ্ডা না লাগে সেই চেষ্টা করুন। হালকা খাওয়া-দাওয়া করুন। সিজনাল চেঞ্জের সাথে সাথে নিজেকে সুস্থ রাখতে ডায়েট কন্ট্রোল করুন। আর এই ডায়েটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস অনুসরণ করতে পারেন।
যে খাবার এড়িয়ে চলবেন
০০ অতিরিক্ত মিষ্টি ও ভাজা জাতীয় খাবার না খাওয়াই ভালো। এ ধরনের খাবার থেকে র্যাশ হতে পারে।
০০ রিফাইন্ড সুগার, ময়দা দিয়ে তৈরি বিস্কুট, কেক, পেস্ট্রি, তেলে ভাজা, সিঙ্গারা কম খাওয়ার চেষ্টা করুন।
০০ প্রসেসড নুডুলস, প্যাকেজড ফুড এড়িয়ে চলুন।
০০ অতিরিক্ত চা, কফি খাবেন না, সাথে সাথে অ্যালকোহলও কম গ্রহণ করুন।
যে খাবার গ্রহণ করতে পারেন
শরীরের জন্য এ সময় ফল ও সবজির কোনো বিকল্প নেই। লাল, সবুজ, হলুদ, কমলাসহ বিভিন্ন রঙের ফল গ্রহণ করতে পারেন। রোজ ৩টি করে ফল গ্রহণ করতে পারলে খুব ভালো হয়। ফল ও সবজির মধ্যে কুমড়া, গাজর, আম, পেঁপে, আনারস, টমেটো, তরমুজ, স্ট্রবেরি, বেগুন, বিট, পালংশাক, লেটুসপাতা, বেদানা, কালো আঙ্গুর, মেথিশাক গ্রহণ করা যেতে পারে। ফল ও সবজি রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী।
০০ বীজের মধ্যে সুস্থ থাকার প্রায় সব ধরনের উপাদানই রয়েছে। তাই বীজসমেত খাবার যেমন হোল গ্রেন ফুড, সব রকমের ডাল খান। হার্টের অসুখ হাই ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস কোলেস্টেরল, প্রস্টেট ক্যানসারের মতো অসুখ প্রতিরোধেও শক্তিশালী এই ধরনের খাবার। জিঙ্ক, ভিটামিন-ই, পটাশিয়াম, প্রোটিন ও অত্যাবশক ফ্যাটি অ্যাসিড সংবলিত বীজসমেত খাবার শসা, তিল, কুমড়া, কাজুবাদাম, আখরোট ও খেজুর বেশ উপকারী।
রসুনে যথেষ্ট পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবেও রসুন খুব ভালো কাজে দেয়। তাই প্রতিদিন কাঁচা অথবা অল্প সিদ্ধ করা রসুন খেতে পারেন।
০০ সহজপাচ্য ও সুস্বাদু খাবার খেতে শুরু করুন। খিদে না পেলে বা খেতে ইচ্ছে না করলে এই সময় হার্বাল টি (আদা ও মধু দিয়ে তৈরি চা) সুপ, ফলের রস খেতে পারেন।
০০ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড-সমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ, ফ্ল্যাক্স সিড ইমিউন সিস্টেম বুস্ট-আপ করতে সাহায্য করে বিধায় সপ্তাহে কয়দিন এই খাবার গ্রহণ করতে পারেন। ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি ওমেগা ৩ সমৃদ্ধ কডলিভার অয়েল বাচ্চাদের ইনফেকশন হওয়া প্রতিরোধ করতে ভীষণ কাজে লাগে।
০০ জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার যেমন রান্না করা অয়স্টার (শামুক), হোল গ্রেন ফুড, দুধ, দই রোগ প্রতিরোধ করে। সারা দিনে গাজরের জুস ১ কাপ খেতে পারলে খুব ভালো হয়।
০০ রোগ ও ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে ভিটামিন ই ও ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।
০০ যথেষ্ট পরিমাণে পানি খান। এতে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা রোধ করতে পারবেন। সেই সাথে জ্বরও নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, মে ২৫, ২০১০