সাধারণের একটা ধারণা আছে যে, মহিরাদের হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি পুরুষের তুলনায় কম। এ কথা অনেকটাই সত্য, তবে তা সারা জীবনের জন্য নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, মাসিক বন্ধ হয়ে যাবার পর মহিলাদের হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি পুরুষদের মতোই বাড়তে থাকে। সাম্প্রতিককালে হার্ট এ্যাটাক তথা করোনারি হৃদরোগ পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের মৃত্যু ও ভোগান্তির অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক কিছু উপাদান একটা নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ বয়স পর্যন্ত মহিলাদের হার্ট এ্যাটাক থেকে নিরাপত্তা দান করে থাকে। নিরাপত্তাদানকারী দিকগুলো হচ্ছে- মেয়েলি হরমোন ইস্ট্রোজেন, যা মহিলাদের মাসিক বন্ধ হওয়া বা রজঃনিবৃত্তির আগ পর্যন্ত রক্তে উচ্চমাত্রায় বিদ্যমান থাকে। এ হরমোন করোনারি রক্তনালীকে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী উপাদানের মাত্রা এবং কার্যকারিতা সীমিত রাখে। ইস্ট্রোজেন করোনারি রক্তনালীকে প্রসারিত রাখে এবং তাতে রক্তে জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। ফলে করোনারি ধমনীর তথা হৃদপিন্ডের রক্ত প্রবাহ থাকে অনেকটা নির্বিঘ্ন। তবে রজঃনিবৃত্তির সাথে সাথে রক্তের ইন্ট্রোজেনের মাত্রা হ্রাস পেতে থাকে এবং প্রাকৃতিক নিরাপত্তা ধীরে ধীরে অপসারিত হয়। এভাবে ষাটোর্ধ মহিলারা হার্ট এ্যাটাকে আক্রান্ত হয়।
ডা. প্রবীর কুমার দাশ
সহকারী অধ্যাপক, কার্ডিওলজি বিভাগ, কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, জুন ২০, ২০০৯