• Welcome to Daffodil Computers Ltd..
 

News:

Daffodil Computers Limited is a leading It solution & education solution public company with a good relation to customers it has earned big respect from clients

Main Menu

মায়ের দুধই শিশুর শ্রেষ্ঠ খাবার

Started by bbasujon, January 13, 2012, 08:32:11 AM

Previous topic - Next topic

bbasujon

১-৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ
মায়ের দুধই শিশুর শ্রেষ্ঠ খাবার

আগামী ১-৭ আগস্ট পালিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ। আর ১ আগস্ট হচ্ছে মাতৃদুগ্ধ দিবস। এবার মাতৃদুগ্ধ দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো 'দুর্যোগ মোকাবিলায় মায়ের দুধ সর্বশ্রেষ্ঠ খাদ্য ও পানীয়'।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, মায়ের দুধ নবজাতক শিশুর জন্য আদর্শ পুষ্টিকর খাবার। এতে সংক্রামক ব্যাধির আক্রমণ অনেক কমে যায়। মায়েদের স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। পুনর্গর্ভধারণের দূরত্বও বেড়ে যায়। সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবেও জাতি উপকৃত হয়।
এসব সুফল পেতে হলে প্রথম ছয় মাসে নিরবচ্ছিন্ন মায়ের দুধ পান করাতে হবে। এর মানে হচ্ছে মায়ের দুধ ছাড়া শিশুকে কোনো খাবার বা পানি কিছুই দেওয়া যাবে না। ঘন ঘন বাধাহীনভাবে বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে হবে।
এ জন্যই সব মাতৃসেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য সফল মায়ের দুধ খাওয়ানোর ১০টি পদক্ষেপ অবশ্য প্রতিপাল্য হিসেবে গণ্য হয়।
কেন বাচ্চাকে শুধু মায়ের দুধ জন্মের পর প্রথম ছয় মাস খাওয়াতে হবে, এটা বোঝা খুবই জরুরি, যেভাবে যে অনুপাতে বাচ্চার খাদ্য উপাদান থাকা দরকার, তা শুধু মায়ের দুধেই আছে। গরুর দুধ মায়ের দুধের বিকল্প হতে পারে কি না-এ প্রশ্ন অনেক মা-ই করে থাকেন। এর সরাসরি উত্তর হচ্ছে 'না'। কারণ গরুর দুধ ও মায়ের দুধে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়ে গেছে। গরুর দুধে শর্করার পরিমাণ (৪·৬ গ্রাম/ ১০০ মিলিলিটার) মায়ের দুধের (৭·৪ গ্রাম/১০০ মিলিলিটার) প্রায় অর্ধেক। স্মেহ পদার্থ প্রায় কাছাকাছি হলেও গরুর দুধে সম্পৃক্ত স্মেহ পদার্থের পরিমাণ বেশি। আমিষ গরুর দুধে বেশি। এমন আমিষ গরুর দুধে থাকে যেগুলো সহজপাচ্য নয়। মস্তিষ্কের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় টরিন থাকে মায়ের দুধে। শরীরের তরলের আণবিক চাপ বজায় রাখার ক্ষেত্রেও মায়ের দুধ গরুর দুধের চেয়ে অনেক বেশি উপযোগী। প্রয়োজনীয় ভিটামিনও মায়ের দুধে গুরুর দুধের চেয়ে বেশি। কাজেই কোনো বিবেচনায়ই গরুর দুধ বা কৃত্রিম দুধ মায়ের দুধের চেয়ে বেশি উপযোগী হতে পারে না।

মায়ের দুধের উপকারিতা
শিশুর জন্য
সংক্রমণ প্রতিরোধঃ ইমিউনো গ্লোবিউলিন ও অন্যান্য সংক্রমণ প্রতিরোধী পদার্থ মায়ের দুধে থাকে। এর সঙ্গে থাকে ল্যাকটোব্যাসিলাস, যা বাইফি ডাস্‌ নামের একরকম জীবাণু জন্মানোর জন্য প্রভাবক। এই জীবাণু ক্ষতিকর জীবাণুকে বাড়তে দেয় না।
অ্যালার্জি থেকে সুরক্ষাঃ মায়ের দুধের আমিষ বাচ্চার সুপরিচিত বলে তা কোনো অ্যালার্জি সৃষ্টি করে না। মায়ের দুধের দস্তা ও অসম্পৃক্ত দীর্ঘসূত্র ফ্যাটি এসিড বাচ্চার প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলে।
এ ছাড়া মায়ের দুধে পালিত বাচ্চাদের নি্নোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা গেছেঃ — আক্নিক মৃত্যুর হার কমে যাওয়া — শিশুর ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ও কর্ণপ্রদাহ কম হওয়া — টিকার দ্রুত কার্যকারিতা — দুধের বোতলজনিত দাঁতের সমস্যা থেকে মুক্তি — মানসিক, আবেগিক ও সামাজিক উন্নতি — উচ্চমাত্রার বুদ্ধিমত্তা।

মায়ের জন্য
জন্মের সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাকে মায়ের দুধ দিলে পিটুইটারি গ্রন্থি নিঃসৃত অক্সিটসিন জরায়ুকে সংকুচিত করে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে। ঘন ঘন মায়ের দুধ খাওয়ালে মাসিক পুনরায় শুরু হতে দেরি হয় এবং পরবর্তী গর্ভধারণ বিলম্বিত হয়।
মায়ের আরও যেসব সুবিধা দেখা যায় সেগুলো হলোঃ — গর্ভ-পরবর্তী বিষণ্নতা কমে যায়। — আবেগিক বন্ধনের কারণে শিশু নির্যাতন কমে যায়। — রাতে খাওয়ানো, ভ্রমণে খাওয়ানো সহজ হয়ে যায়। — আর্থিক বা অন্য কারণে বাচ্চার দুধ থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

সমাজের জন্য
খরচের দিক থেকে দুধের কৌটার খরচ অনেক বেশি। ক্ষেত্রভেদে শিশুকে কৌটার দুধ খাওয়াতে দুই থেকে তিন হাজার টাকা মাসে লাগবে, যা কোনো কোনো পরিবারের সারা মাসের আয়ের সমান। খরচ বাঁচাতে গিয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে যা খাওয়ানো হয় তাকে দুধ না বলে দুধের পানি বলাই শ্রেয়। কৃত্রিম দুধ না দেওয়ায় বেঁচে যাওয়া দুধ, তৈজস ও জ্বালানি খরচ পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য ব্যয় করা সম্ভব। মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকায় চিকিৎসা পরামর্শ, ওষুধ, ল্যাব পরীক্ষা ও হাসপাতালে ভর্তির খরচ বেঁচে যায়।

কখন শুরু করবেন দুধ খাওয়ানো
জন্মের পর যত দ্রুত সম্ভব, সাধারণত এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ দিতে হবে। স্বাভাবিক নড়াচড়া, সজাগ থাকা, দুধ টানা ও কান্না দিয়েই বোঝা যাবে শিশু দুধ দিলে নিতে পারবে!

কীভাবে খাওয়াবেন?
দুধ খাওয়ানোর জন্য মায়ের দেয়ালে ঠেস দিয়ে বসাই উত্তম। বাচ্চার শরীর থাকবে মায়ের এক হাতের ওপর, আরেক হাত থাকবে মাথার নিচে। বাচ্চার শরীর মিশে থাকবে মায়ের শরীরের সঙ্গে। কোনোমতেই যাতে ঘাড় বাঁকা না হয়। বাচ্চার মুখ থাকবে পুরা খোলা। বাচ্চার থুতনি, মায়ের স্তন স্পর্শ করবে। নিচের ঠোঁট উল্টো করে খোলা থাকবে।

বাচ্চা যথেষ্ট দুধ পাচ্ছে কি-না
অনেক মা-ই বলেন তাঁর সন্তান যথেষ্ট দুধ পাচ্ছে না। আসলে যাচাই করে দেখতে হবে নিচের বিষয়গুলো।
– ২৪ ঘণ্টায় অন্তত আট বার দুধ খাবে।
– দুধ টানার গতি একবার খাওয়ার মধ্যেই কখনো কমবে, কখনো বাড়বে।
– দুবার খাওয়ার মধ্যে সচেতন ও সন্তুষ্ট থাকবে।
– পেশি দৃঢ় থাকবে এবং ত্বক থাকবে স্বাভাবিক।
– ছয় থেকে আটবার প্রস্রাব হবে ২৪ ঘণ্টায়।
– নিয়মিত ওজন বৃদ্ধি।
– মায়ের স্তন খালি হওয়ার অনুভূতি।
এগুলো ঠিক থাকলে বুঝতে হবে দুধ না পাওয়ার ধারণাটি অমূলক। যে মায়েদের সন্তান জন্মের অব্যবহিত পরেই কর্মস্থলে যোগ দিতে হয়, তাঁরা বুকের দুধ চিপে বের করে রেখে যেতে পারেন।
প্রথমে স্তনের ওপর বুড়ো আঙ্গুল ও তর্জনী রেখে পেছনে টানতে হবে। তারপর আবার সামনের দিকে আনতে হবে। তারপর চিপে দুধ বের করতে হবে। এ ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

কিছু সাধারণ সমস্যা
– স্তনের বোঁটা ফেটে যাওয়াঃ সাময়িকভাবে নিঃসৃত দুধ দেওয়া লাগতে পারে। দুধের বোঁটায় ভ্যাসলিন অথবা নিঃসৃত দুধ লাগালেই যথেষ্ট।
– স্তনে দুধ জমে যাওয়াঃ হাত দিয়ে অথবা পাম্প দিয়ে ঘন ঘন দুধ বের করে নেওয়া এবং সাময়িক পানি কম খাওয়া হচ্ছে এর সমাধান।
– বাচ্চা দুধ টানতে না পারলেঃ তালুকাটা বাচ্চা দুধ টানতে না পারলে লম্বা হাতার চামচ দিয়ে খাওয়াতে হয়।
– স্তনের বোঁটা ভেতরে ঢুকে থাকলেঃ হাত দিয়ে স্তনের বোঁটা টানতে হবে। বাচ্চাকে বারবার দুধ টানতে দিলেই সে তা পাবে।

বাচ্চার মায়ের দুধ না পাওয়া
মা যদি সত্যি বাচ্চাকে দুধ দিতে আগ্রহী থাকেন, তাহলে মায়ের দুধ না পাওয়া প্রায় অসম্ভব ও অবাস্তব ব্যাপার। গর্ভফুলের অংশবিশেষ ভেতরে থেকে গেলে তা দুধ নিঃসরক প্রোল্যাক্টিন হরমোনকে নিবৃত্ত করে। কোনো কোনো সময় পরিবেশগত কারণে দুধ নিঃসরণের অবচেতন ক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে। মায়ের যথেষ্ট বিশ্রাম, পারিবারিক আবহাওয়া, দক্ষ যত্নের মাধ্যমে এটা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। বাচ্চা যথাযথভাবে দুধ না টানলেও দুধ কম হতে পারে। এ জন্য সঠিক অবস্থানে, সঠিকভাবে দুধ টানতে দিতে হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে কালিজিরা অথবা ডমপেরিডনজাতীয় ওষুধ দুধ বাড়ার জন্য কার্যকর হতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো হলে নবজাতক মৃত্যুর হার ২২ শতাংশ কমানো সম্ভব। শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে বছরে ৩৭ হাজার নবজাতকের জীবন রক্ষা পাবে। জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ৪৩ শতাংশ নবজাতক জন্মের এক ঘণ্টার মধ্যে মায়ের দুধ পায়। অথচ জন্মের পর প্রথম ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৬০ হাজার নবজাতক বছরে মারা যায়। এ ছাড়া প্রতিবছর জন্মের পর প্রথম ২৮ দিনে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার নবজাতক মারা যায়। এই ভয়াবহ চিত্র দেখলেই বোঝা যায় জন্মের পরপর শিশুকে মায়ের দুধ দেওয়া কতটা জরুরি।

বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য দশটি পদক্ষেপ
– বুকের দুধ খাওয়ানোর ব্যাপারে একটি লিখিত নীতিমালা থাকবে, যা নিয়মিতভাবে সব স্বাস্থ্যসেবার কর্মীকে অবহিত করতে হবে।
– স্বাস্থ্যসেবার কর্মীকে এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
– সব গর্ভবতী মাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সুফল ও ব্যবস্থাপনা অবহিত করতে হবে।
– জন্মের আধ ঘণ্টার মধ্যে শিশুকে বুকের দুধ দেওয়ার জন্য মায়েদের সহযোগিতা করতে হবে।
– শিশুকে কীভাবে বুকের দুধ খাওয়াতে হয় এবং মায়েরা শিশুদের কাছে না থাকাকালীন অবস্থায় কীভাবে তা চালিয়ে যাওয়া যায়, তা মায়েদের শেখাতে হবে।
– নিতান্তই চিকিৎসার প্রয়োজন ব্যতীত শিশুকে বুকের দুধ ছাড়া অন্য কোনো খাবার বা পানীয় দেবেন না।
– মা ও শিশুকে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা একই সঙ্গে থাকতে দিন।
– শিশুর চাহিদামতো বুকের দুধ খাওয়ান।
– বুকের দুধে অভ্যস্ত শিশুদের কোনো কৃত্রিম টিট, বোসিফাইয়ার, ডামি দেবেন না।
– শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সহযোগী দল গঠনে উৎসাহ দিন। মা হাসপাতাল বা ক্লিনিক ছেড়ে যাওয়ার সময় এসব দলের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার জন্য বলে দিন। সূত্রঃ ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যৌথ ঘোষণা

সফলভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোর কিছু নির্দেশিকা
– জন্মের পরপরই শিশুকে প্রথম শালদুধ খাওয়ান। এতে পুষ্টি ছাড়াও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা থাকে। এটি প্রথম টিকার কাজ করে। বাচ্চাকে মায়ের সঙ্গে এক বিছানায় রাখতে হবে।
– গর্ভবতী মাকে তাঁর পুষ্টি এবং শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য বেশি খাবার দিতে হবে। স্বাভাবিক খাবারের চেয়ে রোজ এক মুঠো চাল, এক চামচ ডাল, এক চামচ তেল, এক মুঠো শাকসবজি ও সম্ভব হলে পাকা কলা খেতে হবে। বেশি পানি পান করতে হবে।
– শিশুর ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধই যথেষ্টঃ যতক্ষণ চায়, ততক্ষণ বুকের দুধ দিন। দুই দিকের বুক থেকে দুধ দিন।
– শিশুর ছয় মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার ও এর সঙ্গে খিচুড়ি দিন। তবে বোতলে অন্যখাবার দেবেন না।
– যেকোনো অসুখে বুকের দুধ ও অন্যান্য খাবার বারবার খেতে দিন।

দরকার পরিবারের সহায়ক ভূমিকা
– মায়ের প্রয়োজনীয় পৃষ্টি ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে পরিবারের রয়েছে বিরাট ভূমিকা।
– বুকের দুধ খাওয়ালে সৌন্দর্যহানি হয় না। গর্ভকাল থেকে দুধ খাওয়ানোয় সমর্থন দিন।
– দুধ খাওয়ানোর উপযোগী পরিবেশ গড়ে তুলুন।

শিশুর খাদ্য বিধান অধ্যাদেশ
শিশুখাদ্য বাজারজাতকরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী মায়ের দুধের বিকল্প অথবা সহায়ক শিশুখাদ্যের পাত্রের গায়ে পরিষ্কার বাংলায় আকর্ষণীয়ভাবে লেখা থাকতে হবে শিশুর জন্য মায়ের দুধই সর্বোৎকৃষ্ট। শিশুখাদ্যের কোনো বিজ্ঞাপনে শিশুর অথবা বোতলের ছবি ব্যবহার করা যাবে না। বিজ্ঞাপন উপহারসামগ্রী প্রদান অথবা অন্য কোনো উপায়ে কোনো ব্যক্তি মায়ের দুধের বিকল্প খাদ্যের ব্যবহার সম্প্রসারণের কোনো উদ্যোগ নিতে পারবে না। মায়ের দুধ খাওয়ানো অবশ্যই একটি অপরিহার্য জরুরি উদ্যোগ। এতে অবহেলার কোনো সুযোগ নেই। ব্যক্তি ও পরিবারের সঙ্গে রাষ্ট্রকেও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। মাতৃত্ব ছুটি বাড়িয়ে অন্তত এক বছর করা জরুরি। কর্মক্ষেত্রেও গড়ে তুলতে হবে বুকের দুধ খাওয়ানোর উপযোগী পরিবেশ।

কিছু জিজ্ঞাসা ও উত্তর
সব মা কি বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন?
উত্তরঃ হ্যাঁ। প্রত্যেক মা-ই বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন।
সব মায়ের কি পর্যাপ্ত বুকের দুধ হয়?
উত্তরঃ মায়েরা শিশুর চাহিদা অনুযায়ী দুধ দিলে পর্যাপ্ত বুকের দুধ তৈরি হবে। মায়ের নিজের ওপর আস্থাই আসল।
বুকের দুধ কি নষ্ট হতে পারে?
উত্তরঃ না। বুকের দুধ নষ্ট হয় না। বুকের দুধ সর্বদাই বিশুদ্ধ। শিশুর জন্য নিরাপদ।
বোতলে দুধ খাওয়ানো কি শিশুর জন্য বিপজ্জনক?
উত্তরঃ খুবই বিপজ্জনক! এতে অপুষ্টি ও ডায়রিয়া হতে পারে!

মাহবুব মোতানাব্বি
সহকারী অধ্যাপক, শিশু বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
সূত্রঃ প্রথম আলো, জুলাই ২৯, ২০০৯
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection