Author Topic: গরমে দই খান  (Read 3693 times)

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
গরমে দই খান
« on: January 12, 2012, 05:15:35 PM »
দুগ্ধজাত সব খাবারের মধ্যে দই হলো সবচেয়ে সহজপাচ্য। দুধের সব পুষ্টিগুণ দইয়ের ভেতর থাকে। অনেকে মনে করেন, দই চর্বিবিহীন খাদ্য। আসলে তা নয়, এতে দুধের সমানই চর্বি থাকে। ১০০ গ্রাম টক দই থেকে আমিষ পাওয়া যায় তিন গ্রাম। চর্বি চার গ্রাম ও ৬০ ক্যালরি থাকে। মিষ্টি দইয়ে চিনি মেশানো হয় বলে আরও ৪০ ক্যালরি বেশি পাওয়া যায়। তবে অন্যান্য উপাদান একই থাকে।

দুধ পাকস্থলীতে গিয়ে বিশ্লিষ্ট হয় দইয়ে। তাহলে দেখা যাচ্ছে, দুধ পান করার পর দই হয়ে যায় বলে দইকে প্রি ডাইজেস্টেড দুধ বলা যেতে পারে। যাঁদের দুধ হজম হয় না, তাঁরা দই খেলে দুধের সমান উপকার পাবেন। বিশেষ করে গর্ভবতী ও স্তন্যদায়ী মায়েদের দুধ একান্ত প্রয়োজন। এদিকে দইয়ের মধ্যে স্ট্রেপটো কক্কাস থার্মোফিলাস নামে একধরনের ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এই ব্যাকটেরিয়াতে যাদের এলার্জি রয়েছে, তারা দই খেলে গলার স্বর ভাঙতে পারে। সর্দি থাকলে তাও বেড়ে যেতে পারে। তবে এটা ঠান্ডা দইয়ের বেলায় নয়, সাধারণ তাপমাত্রার দইয়েও এই সমস্যা হতে পারে। দইয়ের সঙ্গে মাংসের একটা সম্পর্ক আছে। এটা ‘মিট টেন্ডারাইজার’ হিসেবে কাজ করে। আবার মাছ-মাংস বেশি বা অধিক গুরুপাক খাবার খেলে, তা থেকে শরীরে ‘পিউট্রিফ্যাকটিক’ নামের যে ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন হয়, যা শরীরে ক্ষতি করতে পারে, সেটা প্রতিরোধ করার জন্য দই ভীষণ উপকারী। এ কারণে বিয়েবাড়িতে শেষ পাতে দইয়ের প্রচলন যেমন স্বাস্থ্যসম্মত, তেমনি বিজ্ঞানসম্মতও বটে।

আখতারুন নাহার আলো
প্রধান পুষ্টি কর্মকর্তা, বারডেম
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মার্চ ২৩, ২০১১
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection