তৃতীয় খণ্ড
রেজিস্ট্রেশনযোগ্য দলিল পত্রাদি সম্পর্কিত
ধারা-১৭ (যে সমস্ত দলিলপত্রের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক)
উপধারা-(১) নিম্নলিখিত দলিলপত্রাদি রেজিস্ট্রি করিতে হইবে; যদি উহা ঐ জিলায় অবস্থিত সম্পত্তি সম্পর্কে সম্পাদিত হয় এবং যদি উহা ১৮৬৪ সালের ১৬ নং আইন অথবা ১৮৬৬ সালের রেজিস্ট্রেশন আইন অথবা ১৮৭১ সালের রেজিস্ট্রেশন আইন অথবা ১৮৭৭ সালের রেজিস্ট্রেশন আইন কার্যকরী হইবার দিনে বা উহার পরে সম্পাদিত হয় ।
(ক) স্থাবর সম্পত্তির দানপত্র ।
(কক) মুসলমানদের ব্যক্তিগত আইন (শরিয়ত) অনুযায়ী প্রদত্ত হেবা সম্পর্কিত ঘোষণা,.২০০৪ সনের ২৫ নং আইন দ্বারা সংশোধিত ।
(খ) উইল ছাড়া অন্যান্য দলিলপত্র যাহা কোনো স্থাবর সম্পত্তিতে বর্তমান বা ভবিষ্যতে কায়েমী বা সম্ভাব্য কোনো অধিকার স্বত্ব বা সুযোগ-সুবিধা জন্মায়, ঘোষণা করে, অর্পণ করে, সীমাবদ্ধ করে বা নিঃশেষিত করে ।
ব্যাখ্যা : কোনো বন্ধকী দলিল হস্তান্তরের ক্ষেত্রে যে অর্থের বিনিময়ে হস্তান্তর দলিল সম্পাদিত হয়, রেজিস্ট্রেশনের জন্য উহাই মুল্য বলিয়া বিবেচিত হইবে ।
(গ) উইল ছাড়া অন্যান্য দলিলপত্র যাহা কোনো অধিকার, স্বত্ব বা সুযোগ-সুবিধা জন্মানোর ঘোষণা, অর্পণ, সীমাবদ্ধকরণ বা নিঃশেষিত হইবার প্রতি বিনিময়মূল্য স্বরূপ কোনো কিছুর প্রাপ্তি বা প্রদান স্বীকার ।
(গগ) সম্পত্তি হস্তান্তর আইন, ১৮৮২ এর ধারা ৫৯ অনুযায়ী বন্ধকী দলিল,.২০০৪ সনের ২৫ নং আইন দ্বারা সংশোধিত ।
(ঘ) স্থাবর সম্পত্তির বত্সরান্তের অথবা এক বত্সরের ঊর্ধ্বে কোনো মেয়াদী ইজারা বা বাত্সরিক খাজনার শর্তে ইজারার দলিল ।
(ঙ) উইল ছাড়া অন্যান্য দলিলপত্র যাহা কোর্টের ডিক্রি বা হুকুমনামা অথবা কোনো বিচার নিষ্পত্তির হস্তান্তর বা অর্পণ করে এবং যখন ঐরূপ ডিক্রি, হুকুমনামা বা বিচার নিষ্পত্তিতে কোনো স্থাবর সম্পত্তিতে বর্তমান বা ভবিষ্যত কায়েমী বা সম্ভাব্য কোনো অধিকার, স্বত্ব সুযোগ সুবিধা জন্মায়, ঘোষণা করে, অর্পণ করে, সীমাবদ্ধ করে বা নিঃশেষিত করে ।
তবে কোনো জিলা বা জিলার অংশে সম্পাদিত কোনো ইজারাকে যদি উক্ত ইজারার মেয়াদ ৫ বত্সরের উর্ধ্বে না হয় বা উহার বাত্সরিক খাজনা ৫০ টাকার বেশি না হয় তবে সরকার সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি দিয়া এই উপধারা আওতামুক্ত করিতে পারেন ।
(চ) স্ব-স্ব ব্যক্তিগত ধর্মীয় আইন অনুযায়ী প্রাপ্য ওয়ারিশী স্থাবর সম্পত্তি বন্টন বিষয়ক দলিল,.২০০৪ সনের ২৫ নং আইন দ্বারা সংশোধিত ।
(ছ) রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ এর ধারা ৯৬ অনুযায়ী আদালতের আদেশ মোতাবেক বিক্রয় দলিল,.২০০৪ সনের ২৫ নং আইন দ্বারা সংশোধিত ।
উপধারা-(২) (১) উপধারা খ এবং গ দফার কোনো কিছু নিম্নলিখিত ক্ষেত্রসমূহে ব্যবহৃত হইবে না ।
(১) কোনো প্রকারের সোলেনামা; অথবা
(২) জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর শেয়ার সংক্রান্ত কোনো দলিল, যদিও উক্ত কোম্পানির সম্পত্তির সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাগ স্থাবর সম্পত্তি হয়; অথবা
(৩) উপরোক্ত কোম্পানির ইস্যুকৃত কোনো ডিবেঞ্চার, যাহা কোনো স্থাবর সম্পত্তিতে কোনো প্রকারে অধিকার স্বত্ব, সুযোগ-সুবিধা জন্মায় না, ঘোষণা করে না, অর্পণ, সীমাবদ্ধ করে না বা নিঃশেষিত করে না; তবে যতদুর পর্যন্ত সিকিউরিটি হোল্ডার কোনো রেজিস্ট্রিকৃত দলিল দ্বারা উপরোক্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদত্ত হয়, যেই দলিলে উক্ত কোম্পানি উহার স্থাবর সম্পত্তির সম্পূর্ণ বা আংশিক অথবা উক্ত সম্পত্তিতে কোনো প্রকারে স্বার্থ ডিবেঞ্চার হোল্ডারের সুবিধার্থে ট্রাস্ট মারফত ট্রাস্ট্রীয়দের নিকট বন্ধক দেয়, সমর্পণ করে বা অন্য কোনো প্রকারের হস্তান্তর করে; অথবা
(৪) কোনো কোম্পানির ইস্যুকৃত কোনো ডিবেঞ্চার পৃষ্ঠাংকন করা বা অন্যের নিকট হস্তান্তর করা; অথবা
(৫) কোনো দলিল যাহাতে ১০০ টাকা বা উহার অধিক মূল্যের কোনো স্থাবর সম্পত্তিতে কোনো প্রকারের অধিকার, স্বত্ব বা স্বার্থ জন্মায় না, ঘোষণা করে না, অর্পণ করে না, সীমাবদ্ধ করে না বা নিঃশেষিত করে না কিন্তু মাত্র যদি অপর কোনো দলিল প্রাপ্তির অধিকারে জন্মায়, যাহার সম্পাদনের কোনো প্রকার অধিকার, স্বত্ব বা স্বার্থ জন্মায়, ঘোষণা করে, অর্পণ করে, সীমাবদ্ধ করে বা নিঃশেষিত করে; অথবা
(৬) কোর্টের কোনো ডিক্রি বা হুকুমনামা যাহাতে মোকদ্দমার বিষয়বস্তু ছাড়া অন্য কোনো স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কে কোনো প্রকার সোলেনামা সম্পাদিত হয় বা হইবে বলিয়া প্রকাশিত হয়, ঐ ডিক্রি বা হুকুমনামা ছাড়া; অথবা
(৭) সরকার কতৃর্ক মঞ্জুরকৃত কোনো স্থাবর সম্পত্তি; অথবা
(৮) রেভিনিউ অফিসারকৃত কোনো বাটোয়ারা দলিল; অথবা
(৯) ১৮৭১ সনের ল্যান্ড ইমপ্রুফমেন্ট আইন বা ১৮৮৩ সনের ল্যান্ড ইমপ্রুফমেন্ট ঋণ বা আইন অনুসারে প্রদত্ত ঋণের কোনো হুকুমনামা বা আনুসংগিক সিকিউরিটি দলিল পত্রাদি; অথবা
(১০) ১৮৮৪ সনের কৃষি ঋণ আইনবলে প্রদত্ত ঋণের কোনো হুকুমনামা বা উক্ত আইনবলে প্রদত্ত ঋণ পরিশোধের জামিনস্বরূপ কোনো দলিলপত্রাদি; অথবা
(১১) বন্ধকী দলিলের পৃষ্ঠে বন্ধকী টাকার সম্পূর্ণ বা আংশিক টাকা পাইয়া উসুল লেখা বা বন্ধক সম্পর্কিত প্রাপ্য টাকার উসুল দেওয়া কোনো রসিদ, যদি ঐ রসিদ দ্বারা বন্ধক সমাপ্তি না বুঝায়; অথবা
(১২) সিভিল বা রেভিনিউ অফিসার কতৃর্ক প্রকাশ্য নিলামে বিক্রীত সম্পত্তির খরিদ্দারের দেওয়া কোনো বায়নানামা ।
(১৩) যেই ক্ষেত্রে কোনো ইজারা দলিল রেজিস্ট্রি হইয়াছে সেক্ষেত্রে উহার প্রতিলিপিও রেজিস্ট্রি করিতে হইবে ।
ব্যাখ্যা : (বাতিল) ২০০৪ সনের ২৫ নং আইন দ্বারা বিলুপ্ত ।
উপধারা-(৩) ১৮৮২ সালের ১লা জানুয়ারির পরে সম্পাদিত এবং উহার দ্বারা প্রদত্ত নয়৷ এইরূপ পোষ্যপূত্র গ্রহণ করিবার ক্ষমতাপত্র রেজিস্ট্রেশনযোগ্য হইবে ।
ধারা ১৭ (ক) (বিক্রয় চুক্তি (বায়নানামা) ইত্যাদি রেজিস্ট্রিকরণ বিষয়ক)
(১) এই আইনে অথবা অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহাই থাকুক না কেন কোনো স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য চুক্তি (বায়না) পত্র অবশ্যই লিখিত, পক্ষগণের দ্বারা সম্পাদিত ও রেজিস্ট্রিকৃত হইতে হইবে ।
(২) উপধারা (১) অনুযায়ী সম্পাদিত চুক্তি (বায়না) পত্র সম্পাদনের ৩০ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রির জন্য দাখিল করিতে হইবে এবং দলিল রেজিস্ট্রির যাবতীয় বিধানাবলী এই ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে ।২০০৪ সনের ২৫ নং আইন দ্বারা সংশোধিত ।
ধারা ১৭ (খ) ( ক ধারা কার্যকর হইবার পূর্বে সম্পাদিত কিন্তু অরেজিস্ট্রিকৃত চুক্তিপত্র (বায়নানামা) সম্পর্কিত বিধানাবলী )
উপধারা-(১) যে ক্ষেত্রে ১৭ (ক) ধারা কার্যকর হইবার পূর্বে কোনো চুক্তিপত্র (বায়নানামা) সম্পাদিত হইয়াছে কিন্তু রেজিস্ট্রি হয় নাই-
(ক) যেই ক্ষেত্রে উল্লিখিত ধারা কার্যকর হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে পক্ষগণ-
(i) চুক্তিপত্র (বায়না) আওতাধীন স্থাবর সম্পত্তির বিক্রয় দলিল রেজিস্ট্রির জন্য উপস্থাপন করিবেন, অথবা
(ii) সম্পাদিত চুক্তিপত্র (বায়নানামা) রেজিস্ট্রির জন্য দাখিল করিবেন; অথবা
(খ) তামাদির বিষয়ে অন্য কোনো আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন (ক) দফায় নির্ধারিত সময় সীমা অতিক্রান্ত হইবার পরবর্তী ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে চুক্তিপত্রের (বায়না) সংক্ষুব্ধ কোনো পক্ষ উহা বলবত্ অথবা বাতিল করণার্থে মামলা দায়ের করিবেন, ব্যর্থতায় চুক্তি বাতিল হইবে ।
উপধারা-(২) ১৭ (ক) কার্যকর হওয়ার পূর্বেই সংশ্লিষ্ট স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের নিমিত্তে সম্পাদিত বিক্রয় চুক্তির (বায়নার) ভিত্তিতে দেওয়ানী আদালতে কোনো মামলা দায়ের হইয়া থাকিলে উপধারা (১) এর বিধান প্রযোজ্য হইবে না ।
ধারা-১৮ ( যে সমস্ত দলিলপত্রের রেজিস্ট্রিকরণ ঐচ্ছিক )
১৭ ধারা অনুসারে যে সকল দলিলপত্র রেজিস্ট্রিযোগ্য নহে, অত্র আইন অনুসারে সেই সকল দলিল ও রেজিস্ট্রি করা যাইতে পারে ।
ধারা-১৯ (রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের অবোধ্য ভাষার দলিলপত্র)
যদি রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের অবোধ্য ভাষায় লিখিত বা জিলায় সচরাচর ব্যবহৃত নয় এইরূপ কোনো ভাষায় লিখিত কোনো দলিল রেজিস্ট্রিকরণের জন্য উপস্থিত করা হয় এবং জিলায় সচরাচর ব্যবহৃত ভাষায় উক্ত দলিলের হুবহু অনুবাদ এবং একটি হুবহু নকলও ঐ দলিলের সঙ্গে না থাকে, তবে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার রেজিস্ট্রি করিতে অস্বীকার করিবেন ।
ধারা-২০ (অন্তবতী লাইন, শূন্য স্থান, মুছিয়া-ফেলা লেখা কিংবা পরিবর্তন সম্বলিত দলিল)
উপধারা-(১) যদি কোনো দলিলে অন্তবর্তী লাইন, শূন্য স্থান, মুছিয়া-ফেলা কিংবা কোনো রকম পরিবর্তন থাকে এবং দলিল সম্পাদনকারী উক্ত অন্তবর্তী লাইন, শূন্য স্থান, মুছিয়া-ফেলা লেখা অথবা পরিবর্তন তাঁহার নিজের দস্তখত দ্বারা এস্টেস্ট না করেন, তবে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার তাঁহার ইচ্ছানুযায়ী দলিলটি রেজিস্ট্রি করিতে অস্বীকার করিতে পারেন ।
উপধারা-(২) যদি কোনো রেজিস্ট্রি অফিসার ঐরূপ কোনো দলিল রেজিস্ট্রি করেন, তবে রেজিস্ট্রিকরণের সময় উক্ত অন্তবর্তী লাইন, শূন্য স্থান, মুছিয়া ফেলা লেখা এবং পরিবর্তন সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট খতিয়ানে টীকা লিপিবদ্ধ করিবেন ।
ধারা-২১ (সম্পত্তি ও মানচিত্র বা পরিকল্পনার বিবরণ)
উপধারা-(১) উইল ছাড়া স্থাবর সম্পত্তি সম্পর্কিত অন্য কোনো প্রকার দলিলে যদি উপযুক্তরূপে সম্পত্তিটি সনাক্ত করিবার জন্য সম্পত্তির বিবরণ না থাকে, তবে উহা রেজিস্ট্রিকরণের জন্য গ্রহণ করা হইবে না ।
উপধারা-(২) শহরের অবস্থিত ঘরবাড়ির ক্ষেত্রে উহার সম্মুখে যেই রাস্তা বা গলি (নির্দিষ্ট করিতে হইবে) অবস্থিত ঐ রাস্তা বা গলির উত্তরে কিংবা অন্য কোনো দিকে এবং উহার বর্তমান এবং অতীত দখলকার এবং যদি ঐ রাস্তা বা গলিতে অবস্থিত ঘরবাড়িসমুহে নম্বরের ব্যবস্থা থাকে তবে উহার নম্বর দ্বারা বর্ণিত করিতে হইবে ।
উপধারা-(৩) অন্যান্য ঘরবাড়ি এবং জমির ক্ষেত্রে উহার নাম, যদি কিছু থাকে, কোনো এলাকায় অবস্থিত এবং উহাতে অবস্থিত অতিরিক্ত কোনো জিনিস, রাস্তা এবং অন্য কোনো সরকারি ম্যাপ বা সার্ভে মারফত বর্ণনা করিতে হইবে ।
উপধারা-(৪) উইল ছাড়া কোনো সম্পত্তির নকশা বা পরিকল্পনা সম্বলিত অন্য প্রকারের দলিলের সহিত যদি উক্ত নকশা বা পরিকল্পনার হুবহু একটি নকল, অথবা যদি ঐ সম্পত্তি বিভিন্ন জিলায় অবস্থিত হয়, তবে যতগুলি জিলায় উহা অবস্থিত, উক্ত নকশা বা পরিকল্পনা ততগুলি নকল যদি না থাকে, তবে দলিলটি রেজিস্ট্রিকরণের জন্য গ্রহণ করা হইবে না ।
ধারা-২২ (সরকারি মানচিত্র বা জরীপের উল্লেখক্রমে গৃহ এবং জমির বিবরণ)
উপধারা-(১) যখন সরকারের মতে শহরে অবস্থিত ঘরবাড়ি ছাড়াও অন্যান্য ঘরবাড়ির বর্ণনা সরকারি নকশা বা জরীপের মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব, তখন সরকার ২১ ধারাতে উদ্দেশ্যাবলীর জন্য এই আইনের এই মর্মে বিধি প্রণয়ন করিতে পারে যে, ঐ সমস্ত ঘরবাড়ির এবং জমি উপরিউক্ত ভাবে বর্ণিত হইতে হইবে ।
উপধারা-(২) (১) উপধারা অনুযায়ী প্রণিত কোনো বিধি দ্বারা যদি অন্য কোনো প্রকার শর্ত আরোপিত না হয়, তবে কেবল ২১ ধারার (২) বা (৩) উপ-ধারার শর্তাবলী অপূরণের জন্যই কোন দলিল রেজিস্ট্রিকৃত হইবার অধিকার হইতে বঞ্চিত হইবে না, যদি উক্ত দলিলের বর্ণনা হইতে ঐ দলিল সম্পর্কিত উপযুক্তভাবে সনাক্ত করা যায় ।
ধারা-২২ক (হস্তান্তর দলিল)
উপধারা-(১) অত্র আইনের বিধান মোতাবেক বাধ্যতামূলকভাবে রেজিস্ট্রিযোগ্য যে কোনো দলিলে পক্ষগণের অভিপ্রায়ের প্রতিফলনের জন্য প্রয়েজনীয় তথ্যাদি, সম্পত্তির পূর্ণ বিবরণ এবং হস্তান্তরের প্রকৃতি অন্তর্ভুক্ত করিতে হইবে ।
উপধারা-(১) দাতা ও গ্রহিতাগণের ছবি আঠা দ্বারা দলিলের প্রথম পাতায় আটকাইয়া দিতে হইবে, এবং উহার উপর আড়াআড়িভাবে পক্ষগণের নিজ নিজ দস্তখত এবং বাম হাতের বৃদ্ধাংগুলির টিপ প্রদান করিতে হইবে ।
উপধারা-(৩) রেজিস্ট্রেশন (সংশোধনী আইন), ২০০৪ কার্যকর হওয়ার ৩ (তিন) মাসের মধ্যে সরকার দলিলের নমুনা ফরম (গঠন ও আকার) নির্ধারণক্রমে উহা গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার করিবেন ।২০০৪ সনের ২৫ নং আইন দ্বারা সংশোধিত ।