Author Topic: সরকারী কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৭&#  (Read 5425 times)

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
সরকারী কর্মচারী (বিশেষ বিধান)

অধ্যাদেশ, ১৯৭৯

------------------------------------------------------------------

নম্বর ১১৬-পাব গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কতৃর্ক প্রণীত নিম্নোক্ত অধ্যাদেশ ২২শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৯ সালে এতদ্বারা সকলের অবগতির জন্য প্রকাশ হইলঃ

যেহেতু, সরকারী কর্মচারীদের মধ্যে শৃংখলা রক্ষার জন্য বিশেষ বিধানাবলী প্রণয়ন করা প্রয়োজন;

এক্ষণে, তাই ২০শে আগস্ট, ১৯৭৫ এবং ৮ই নভেম্বর, ১৯৭৫-এর ফরমান অনুযায়ী এবং ফরমানবলে প্রদত্ত ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি অনুগ্রহপূর্বক এই অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারি করেন ।

ধারা-১ (সংক্ষিপ্ত শিরোনাম )

এই অধ্যাদেশ সরকারী কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ, ১৯৭৯ বলিয়া অভিহিত হইবে ।

ধারা -২ ( অন্য কোনো আইন, ইত্যাদির বিধান থাকা সত্ত্বেও এই অধ্যাদেশের কার্যকারিতা )

অন্য কোনো আইন, বিধি, প্রবিধিতে সরকারী কর্মচারী এবং সরকারী কর্মচারীদের চাকুরীর শর্তাবলী সম্পর্কিত বিষয়ে যাহাই বর্ণিত থাকুক না কেন, তাহা সত্ত্বেও এই অধ্যাদেশ কার্যকর হইবে ।


ধারা -৩ ( অপরাধসমূহ )

যেকোনো সরকারী কর্মচারী-

(ক) এমন কোনো কাজে নিয়োজিত থাকেন যাহার ফলে অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয় বা শৃংখলা ব্যাহত হয় বা কোনো সরকারী কর্মচারীর কর্তব্য সম্পাদনের বিঘ্ন ঘটে, অথবা

(খ) অন্যদের সহিত সংঘবদ্ধভাবে হউক বা না-ই হউক কোন সরকারী কর্মচারী নিজে ছুটি ব্যতীত বা কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতীত অনুপস্থিত থাকেন অথবা কর্তব্য সম্পাদনের অন্যভাবে বিরত থাকেন বা ব্যর্থ হন, অথবা

(গ) অন্য কোনো সরকারী কর্মচারীকে অনুপস্থিত থাকিতে বা বিরত থাকিতে বা তাহার কর্তব্যকর্ম সম্পাদন না করিতে প্ররোচিত বা অন্য যেকোনো উপায়ে নিবৃত্ত করেন, অথবা

(ঘ) অন্য কোনো সরকারী কর্মচারীকে তাহার কর্তব্যকর্মে উপস্থিত হইতে অথবা কর্তব্য কর্মসম্পাদন করিতে বাধাদান করেন, তাহা হইলে তিনি ৪ ধারায় উল্লেখিত যেকোনো দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন ।


ধারা-৪ (দণ্ড বা শাস্তি ০

এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী নিম্নোক্ত দণ্ড আরোপের বিধান রহিয়াছেঃ

(ক) চাকুরী হইতে বরখাস্ত,

(খ) চাকুরী হইতে অব্যাহতি,

(গ) পদ বা বেতন হ্রাসকরণ ।


ধারা -৫ ( তদন্ত ও শাস্তি )

(১) কোনো সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে এই অধ্যাদেশের ৩ ধারায় বর্ণিত অপরাধের জন্য কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কতৃর্পক্ষ বা নিয়োগকারী কতৃর্পক্ষের সাধারণ বা বিশেষ আদেশের দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি অভিযোগনামা প্রণয়ন করিবেন এবং অভিযোগনামার সহিত নোটিশ প্রদান করিয়া নোটিশ জারির তারিখ হইতে সর্বনিম্ন দুই দিনের এবং সর্বোচ্চ পাঁচ দিনের মধ্যে কেন এই অধ্যাদেশবলে তাহাকে দণ্ড প্রদান করা হইবে না তাহার কারণ দর্শাইতে বলিবেন এবং সেই সাথে ব্যক্তিগত শুনানিতে আগ্রহী কিনা তাহাও জানাইতে বলিবেন ।

(২) অভিযুক্ত সরকারী কর্মচারী কোনো কারণ দর্শাইলে তাহা বিবেচনার পর এবং ব্যক্তগতভাবে শুনানিতে হাজির হইলে শুনানি গ্রহণের পর নিয়োগকারী কতৃর্পক্ষ বা যে ব্যক্তি অভিযোগনামা প্রণয়ন করেন তিনি যদি তাহাকে দোষী বলিয়া মনে করেন অথবা অভিযুক্ত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারণ দর্শাইয়া কোনো জবাব প্রদান না করিলে নিয়োগকারী কতৃর্পক্ষ বা যে ব্যক্তি অভিযোগনামা প্রণয়ন করেন তিনি উক্ত সরকারী কর্র্মচারীর উপর আরোপযোগ্য শাস্তি নির্দিষ্ট করিয়া দিয়া পুনরায় নোটিশ জারি করিবেন এবং এই নোটিশ জারির তিন দিনের মধ্যে প্রস্তাবিত শাস্তি তাহাকে কেন প্রদান করা হইবে না তাহার কারণ দশাইতে বলিবেন ।

(৩) উপরোক্ত উপধারায় প্রদত্ত নোটিশের জবাব পাওয়া গেলে তাহা বিবেচনার পর অথবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অভিযুক্ত কারণ দর্শাইয়া কোনো জবাব প্রদান না করিলে নিয়োগকারী কতৃর্পক্ষ উপরোক্ত ২ উপধারায় বর্ণিত প্রস্তাবিত শাস্তি অভিযুক্ত সরকারী কর্মচারীর উপর আরোপ করিতে পারেন ।

(৪) এই ধারা অনুযায়ী নোটিশ বৈধভাবে জারি করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে যদি অভিযুক্তের নিকট নোটিশ বিলি করা হয় অথবা তাহার সর্বশেষ বাসস্থানের নিকটে সহজে দৃষ্টিগোচর হয় এমন স্থানে নোটিশ টানাইয়া জারি করা হয় অথবা কমপক্ষে দুইটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় তাহা প্রকাশ করা হয় ।

ধারা -৬ (আপিল এবং পুনর্বিবেচনা )

(১) একজন সরকারী কর্মচারী যাহাকে এই অধ্যাদেশের আওতায় দণ্ড প্রদান করা হইয়াছে তিনি দণ্ডাদেশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে উক্ত আদেশের বিরুদ্ধে নিয়োগকারী কতৃর্পক্ষের পরবর্তী ঊর্দ্ধতন কতৃর্পক্ষের নিকট অাপিল করিতে পারেন । আপিল কতৃর্পক্ষ এই আপিলের উপর যেরূপ প্রয়োজন বলিয়া মনে করিবেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন ।

(২) রাষ্ট্রপতি যেখানে নিয়োগকারী কতৃর্পক্ষ, সেইক্ষেত্রে যে সরকারী কর্মচারীর উপর উক্ত বিধির আওতায় দণ্ড আরোপ করা হইয়াছে তিনি দণ্ডাদেশ প্রাপ্তির ৩০ কার্য দিবসের মধ্যে উক্ত দণ্ডাদেশ পুনর্বিবেচনা করিবার জন্য রাষ্ট্রপতির নিকট আবেদন পেশ করিতে পারেন । এইক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি যেরূপ উপযুক্ত মনে করিবেন সেইরূপ আদেশ দিতে পারেন ।

(৩) উপবিধি (১)-এর আওতায় আপিলের উপর প্রদত্ত আদেশ অথবা উপবিধি (২) এর আওতায় আবেদনের উপর প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে ।

ধারা-৭ ( আদালতের আওতাবহির্ভুতকরণ )

এই অধ্যাদেশের যেকোনো বিধানের আওতায় গৃহীত কোনো কাযর্ক্রম বা আদেশ সম্পর্কে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না ।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection