Author Topic: টাউট আইন, ১৮৭৯ টাউট সম্পর্কিত আইন একত্রীকর  (Read 5439 times)

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
টাউট আইন, ১৮৭৯

টাউট সম্পর্কিত আইন একত্রীকরণ ও

সংশোধনের নিমিত্ত আইন

[১৮৭৯ সনের ১৮নং আইন]

(২৯শে অক্টোবর, ১৮৭৯)

------------------------------------------------------------------

 

প্রথম অধ্যায়

প্রারম্ভিক

 

ধারা-১ ( সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রারম্ভ, স্থানীয় সীমা )

এই আইনকে ১৮৭৯ সনের টাউট আইন নামে অভিহিত করা যাইতে পারে, এবং ইহা ১৮৮০ সনের ১লা জানুয়ারি তারিখে বলবত হইবে ।

ইহা সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য ।

 

ধারা-২ (বাতিল করা হইয়াছে )

 

ধারা-৩ ( দফায় ব্যাখ্যা )

বিষয় বা প্রসঙ্গে প্রতিকূল কিছু না থাকিলে এই আইনে 'বিচারক' বলিতে বুঝায় প্রত্যেক দেওয়ানী ও ফোজদারী আদালতে সভাপতিত্বকারী বিচারক, তিনি যে উপাধিতেই অখ্যায়িত হউক না কেনঃ

''অধঃস্তন আদালত'' বলিতে ১৮৬৫ সনের ১১নং আইন অধীনে গঠিত স্মল কটেজ কোর্টসহ ডিভিশনের অধীনে সব অধঃস্তন আদালতকে বুঝায়;

'রাজস্ব অফিস' সাময়িকভাবে বলবত্‍ যেকোনো আইন অধীনে ভূমির মালিক এবং তাহাদের প্রজা বা প্রতিনিধি সম্পর্কিত মামলার বিচারকারী সকল আদালতকে (দেওয়ানী আদালত ব্যতীত) অন্তর্ভুক্ত করে ।

''আইনী পেশাধারী'' (লিগ্যাল প্রাকটিশনার) অর্থ একজন এডভোকেট, রাজস্ব এজেন্টঃ

''টাউট'' বলিতে এইরূপ ব্যক্তিকে বুঝাইবে-

(ক) যেকোনো আইন পেশাধারীর নিকট হইতে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে যেকোনো আইন ব্যবসায় কোনো আইন পেশাধারীর কর্ম সংগ্রহ করে, অথবা যেকোনো আইন পেশাধারী কিংবা কোনো আইন ব্যবসায় স্বার্থসম্পন্ন ব্যক্তির নিকট তাহাদের যেকোনো একজনের নিকট হইতে পারিশ্রমিকের বিনিময়ে আইন পেশাধারীর কর্ম সংগ্রহ করার প্রস্তাব দেয়; অথবা

(খ) যে এইরূপ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে দেওয়ানী, ফৌজদারী অথবা রাজস্ব আদালতের পরিপার্শ্বে অথবা রেল স্টেশনে; জাহাজের যাত্রী উঠানামার মঞ্চে অস্থায়ী বাসস্থানে বা জনসাধারণের আশ্রয়ের অন্যান্য স্থানে ঘন ঘন আসা-যাওয়া করে; অথবা

(গ) যে, ৩৬-ক ধারার বিধানের অধীনে এই আইনের উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট ডিভিশন বা ক্ষেত্রমত প্রধান রাজস্ব নিয়ন্ত্রণকারী কতৃর্পক্ষ কতৃর্ক প্রণীত বিধিমালা অনুসারে আউট হিসাবে গণ্য মর্র্মে ঘোষিত ।

 

ধারা -(৪ - ২৭ )(দ্বিতীয় হইতে ষষ্ঠ অধ্যায়) লিগ্যাল প্রকটিশনার ও বার কাউন্সিল এ্যাক্ট ১৯৬৫-এর ৫১ ধারা ৫/২/১৯৬৬ই হইতে) বাতিল করা হইয়াছে ।

 

ধারা-২৮ - ৩১ ( লিগ্যাল প্রাকটিশনার ফী এ্যাক্ট, ১৯২৬ দ্বারা) বাতিল করা হইয়াছে )

 

ধারা -৩২ - ৩৫  (সপ্তম অধ্যায়) (লিগ্যাল প্রাকটিশনার ও বার কাউন্সিলের এ্যাক্ট, ১৯৬৫ দ্বারা ৫/২/২৯৬৬ইং তারিখ হইতে) বাতিল করা হইয়াছে ।

 

ধারা -৩৬ ( টাউটদের তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করার ক্ষমতা )

(১) সুপ্রীম কোর্ট, জেলা জজ, দায়রা জজ, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং কালেক্টরের নিম্নে নহে এইরূপ প্রত্যেক রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রত্যেকেই তাহাদের বা স্ব-স্ব আদালতের এবং উহার অধঃস্তন আদালতের, যদি থাকে) সাধারণ খ্যাতির বা অন্যভাবের সাক্ষ্য হইতে অভ্যাসগতভাবে টাউট হিসাবে কাজ করে এই মর্মে তাহার বা তাহাদের নিজের (অথবা ২-ক ধারার বিধান অনুসারে কোনো অধঃস্তন আদালতের) সন্তুষ্টিতে টাউটদের তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করিতে পারেন এবং সময় সময় এইরূপ তালিকা পরিবর্তন ও সংশোধন করিতে পারেন ।

ব্যাখ্যা : আইন পেশাজীবি হিসাবে কোনো আদালতে বা রাজস্ব অফিসে আইন ব্যবসা করিতে অধিকারী এইরূপ ব্যক্তিদের সমিতি কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে বিশেষভাবে আহবান করা সভায় উপস্থিত অধিকাংশ সদস্য কতৃর্ক গৃহীত সিদ্ধান্ত দ্বারা কোনো ব্যক্তিকে টাউট বা টাউট নহে মর্মে ঘোষণা এই উপধারার উদ্দেশ্যে সাধারণ খ্যাতির সাক্ষ্য হিসাবে গণ্য হইবে ।

(২) কোনো ব্যক্তির নাম এইরূপ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হইবে না যদি না তাহাকে এইরূপ অন্তভূক্তির বিরুদ্ধে শুনানির সুযোগ দেওয়া হয় ।

(২-ক) (১) উপধারার অধীনে টাউটদের তালিকা প্রণয়ন ও প্রকাশ করিতে ক্ষমতাসম্পন্ন কোনো কতৃর্পক্ষ উহার অধঃস্তন কোনো আদালতে টাউট মর্মে অভিযোগ করা হইয়াছে বা সন্দেহ করা হইয়াছে । এইরূপ কোনো ব্যক্তির নাম পাঠাইয়া তাহার সম্পর্কে তদন্ত করার জন্য উক্ত আদালতকে নির্দেশ দিতে পারেন এবং এইরূপ অধঃস্তন আদালত তত্পর ঐরূপ ব্যক্তির আচরণের উপর তদন্ত অনুষ্ঠান করিবেন এবং (২) উপধারায় ব্যবস্থিত অনুসারে এইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তিকে কারণ দর্শানোর সুযোগ দিয়া আদেশ প্রদানকারী কতৃর্পক্ষের নিকট উহার (অধঃস্তান আদালতের) সন্তুষ্টিতে টাউট প্রমাণিত প্রত্যেক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রতিবেদন দিবেন; এবং ঐরূপ কোন কর্তৃপক্ষ তদকতৃর্ক প্রণীত এবং প্রকাশিত তালিকায় এইরূপ কোনো ব্যক্তির নাম অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবেন ।

তবে শর্ত এই যে, নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পূর্বে এইরূপ কোনো ব্যক্তি উক্ত কতৃর্পক্ষের নিকট উপস্থিত হইয়া শুনানির ইচ্ছা প্রকাশ করিলে কতৃর্পক্ষ তাহাকে শুনানি দিবেন ।

(৩) এইরূপ প্রত্যেক তালিকার অনুলিপি সংশ্লিষ্ট সকল আদালতে টাঙ্গানো থাকিবে ।

(৪) এইরূপ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত কোনো ব্যক্তিকে আদালত বা বিচারক সাধারণ বা বিশেষ আদেশবলে আদালতের পরিপার্শ্ব হইতে বহিষ্কার করিতে পারেন ।

এইরূপ তালিকা অন্তর্ভৃক্ত কোনো ব্যক্তি টাউট হিসাবে কার্য করিলে সে তিন মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে ।

(৭) (৪) উপধারা অধীনে কোনো আদালতে পরিপার্শ্ব হইতে বহিষ্কার করা হইয়াছে এইরূপ প্রত্যেক ব্যক্তি আদালতে প্রিসাইডিং অফিসার হইতে লিখিত অনুমতি ব্যতীত কোনো আদালতের পারিপার্শ্বে ঢুকিলে বা তাহাকে দেখা গেলে (৬) উপধারার অর্থে টাউট হিসাবে কার্য করিতেছে মর্মে গণ্য হইবে ।

তবে শর্ত এই যে, কোনো ব্যক্তি আদালতে কোনো মামলার পক্ষ থাকিলে বা আদালতের পরোয়ানা দ্বারা আদালতে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশিত হইলে এই উপধারা প্রযোজ্য হইবে না ।

(৮) কোনো আদালতে প্রিসাইডিং অফিসার লিখিত আদেশ দ্বারা এইরূপ কোনো টাউটকে আদালতের পরিপার্শ্ব হইতে গ্রেফতার করার জন্য আদেশ নামোল্লিখিত ব্যক্তিকে নির্দেশ দিতে পারেন । এইরূপ টাউট তদনুসারে গ্রেফতার করা যাইবে এবং অবিলম্বে উক্ত অফিসারের সম্মুখে উপস্থিত করা হইবে ।

যদি উক্ত টাউট তাহার অপরাধ স্বীকার করে সেক্ষেত্রে তাহার আটক, বিচার ও শাস্তির বেলায় ১৮৯৮ সনের ফৌজদারী কার্যবিধি ৪৮০ ও ৪৮১ ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে ।

যদি উক্ত টাউট তাহার অপরাধ স্বীকার না করে উক্ত কার্যবিধির ৪৮২ ধারা তাহার আটক বিচার ও শাস্তির ক্ষেত্রে একইভাবে প্রযোজ্য হইবে ।

 

ধারা-৩৬-ক ( বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা )

(১) এই আইনের সহিত সঙ্গতি রাখিয়া সুপ্রীমকোর্ট সময় সময় নিম্নলিখিত ব্যাপারে বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারেন; যথাঃ

(ক) এডভোকেট ও মোক্তার দ্বারা করণিক নিয়োগ,

(খ) যেই পদ্ধতি এবং শর্তসাপেক্ষে এই সমস্ত করণিকদের লাইসেন্স মঞ্জুর হইবে;

(গ) এইরূপ লাইসেন্সের জন্য ফী (যদি থাকে) প্রদেয়হইবে; এবং

(ঘ) যে সমস্ত শর্তের অধীনে এডভোকেট ও মোক্তারদের অধীনে কর্মরত লাইসেন্সবিহীন ব্যক্তিদের কে এই আইনের উদ্দেশ্যে টাউট হিসাব গণ্য করা হইবে ।

(২) প্রধান রাজস্ব নিয়ন্ত্রক কতৃর্পক্ষ রাজস্ব এজেন্টদের করণিকদের (১) উপধারায় উল্লেখিত বিষয়সমূহ সম্পর্কে এই আইনের সহিত সঙ্গতি রাখিয়া সময় সময় বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন ।

(৩) এই ধারার অধীনে প্রণীত সমস্ত বিধিমালা অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিতে হইবে এবং অনুমোদনের পর ঐগুলি অফিসিয়াল গেজেটে প্রকাশ করিতে হইবে এবং প্রকাশিত হইবার পর এইভাবে কার্যকর হইবে যেন এই আইনে বিধিবদ্ধ করা হইয়াছে ।

 

ধারা -(৩৭ - ৪১৷ ) (লিগ্যাল প্রাকটিশনারস এ্যান্ড বার কাউন্সিল এ্যাক্ট, ১৯৬৫ দ্বারা ৫/২/৬৬ইং বাতিল করা হইয়াছে ।

 

ধারা-৪২ (১৯৩৮ সনের ১নং আইন দ্বারা বাতিল করা হয় )

প্রথম তফসিল (১৯৩৮ সনের ১নং আইন) দ্বারা বাতিল করা হয় ।

দ্বিতীয় তফসিল (লিগ্যাল প্রাকটিশনার এবং বার কাউন্সিল এ্যাক্ট দ্বারা) বাতিল করা হয়
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection