Daffodil Computers Ltd.
E-Health / Protect Your Health => For All / Others => Topic started by: bbasujon on January 12, 2012, 06:08:54 PM
-
মরুভূমির ফল খেজুর। কিন্তু এ দেশে রয়েছে নানা প্রজাতির খেজুর। প্রচুর পরিমাণে চিনি, শর্করা, চর্বি ও আমিষ রয়েছে এই ফলে। তাই নিয়মিত খেজুরের মৌসুমে যাঁরা এই ফল খান, তাঁদের স্বাস্থ্য ভালো হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। দীর্ঘদিন অতিরিক্ত কোষ্ঠকাঠিন্য হলে মলদ্বারে নানা রকম অসুখ হয়। মলদ্বার ফেটে ভেতরে ইনফেকশন বা ঘা হয়। অনেক সময় মলদ্বার দিয়ে রক্ত বের হয়।
তুলনামূলকভাবে শক্ত খেজুরকে পানিতে ভিজিয়ে (সারা রাত) সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। পেটের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে খেজুর। এই ফল হজমক্ষমতা বাড়ায়। মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে। ফলে বদহজম দূর হয়।
গরম ঠান্ডাজনিত জ্বর বা সংক্রামক জ্বর, মূত্রথলির ইনফেকশন, যৌনরোগ, গনোরিয়া, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠান্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্টের বিরুদ্ধে লড়াই করে খেজুর। দীর্ঘদিন ধরে নেশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য এই ফল ভীষণ উপকারী। কারণ, খেজুরে রয়েছে উচ্চমাত্রার শর্করা, ক্যালরি ও ফ্যাট। নেশাকারী ব্যক্তিদের শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গই ক্ষয় হয়ে যায়। এ ক্ষয় রোধ করে খেজুর। বাসায় তৈরি করা ঘিয়ে খেজুর ভেজে ভাতে মিশিয়ে খেলে পাতলা মানুষের স্বাস্থ্য ভালো হয় দ্রুত। স্নায়ুতন্ত্র বা মস্তিষ্ককে প্রাণবন্ত করার জন্য এই ফলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। যাঁরা প্রচুর পরিমাণে দৈহিক পরিশ্রম করেন, তাঁদের জন্য খেজুর আশীর্বাদস্বরূপ। একই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে শক্তি দেয়। বাজারের প্যাকেট করা খেজুর খাওয়াই ভালো। প্যাকেটছাড়াখেজুর পরিহার করুন।
ডা. ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১১