E-Health / Protect Your Health > E- Health For Women

গ্লুকোজ চ্যালেঞ্জ টেস্ট

(1/1)

bbasujon:
গর্ভধারণের ছয়-সাত মাসের মধ্যে গ্লুকোজ চ্যালেঞ্জ টেস্ট করানো উচিত। আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপটে রোগী বা গর্ভবতী মাকে এমনিতেই বাড়ির বাইরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নানা প্রতিকূলতা থাকে। তাই এই টেস্ট বা পরীক্ষা করাতে রোগীকে খালি পেটে বা খাওয়ার দুই ঘণ্টা পর আসতে হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। গর্ভবতী মাকে খাওয়ার আগে হোক বা পরে, ৫০ গ্রাম গ্লুকোজ খাওয়ানোর এক ঘণ্টা পর রক্তের শর্করা বা গ্লুকোজ পরীক্ষা করালেই হলো। রক্তের শর্করা সাত দশমিক এক মিলি মোল পার লিটারের ওপরে হলে তার টেস্ট পজিটিভ। তখন তাকে পরবর্তী সময়ে খালি পেটে ৭৫ গ্রাম গ্লুকোজ খাওয়ানোর দুই ঘণ্টা পর রক্তের শর্করা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিতে হবে। রিপোর্ট সাত দশমিক আট মিলি মোল পার লিটার বা তার বেশি হলে আমরা তাকে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগী হিসেবে শনাক্ত করতে পারি। চিকিৎসার শুরুতেই মিষ্টিজাতীয় খাবার বাদ রেখে এক হাজার ৮০০ কিলোক্যালোরি খাবার দিতে হবে। প্রয়োজনে রোগীর উচ্চতা অনুযায়ী তা বাড়ানো বা কমানো যেতে পারে। এ খাবারের পর রক্তের শর্করা পাঁচ মিলি মোল থেকে সাত মিলি মোলের মধ্যে না থাকলে দেরি না করে ইনসুলিন দ্বারা চিকিৎসা করাতে হবে।

১· গর্ভবতী মা, যাদের পরিবারের অন্য কারও ডায়াবেটিস আছে,
২· বারবার গর্ভকালীন নানা রকম জটিলতা দেখা দেয়, যেমন-
ক· বারবার গর্ভপাত হয়ে যাচ্ছে,
খ· গর্ভকালীন বাচ্চা মারা যাচ্ছে,
গ· বাচ্চার ওজন চার কিলোগ্রামের ওপরে হচ্ছে,
ঘ· মায়ের ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে অতিমাত্রায় বেড়ে যাচ্ছে

এসব গর্ভকালীন ডায়াবেটিস রোগীকে ইনসুলিন দ্বারা চিকিৎসা করিয়ে ৩৯ সপ্তাহে ডেলিভারি করার বা বাচ্চা প্রসবের পরামর্শ দিতে হবে, প্রয়োজন হলে অবশ্যই অপারেশন করতে হবে। অপারেশনের পর সুস্থ শিশুর স্বার্থে অবশ্যই একজন নবজাতক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

উৎসঃ দৈনিক প্রথম আলো, ০৫ ডিসেম্বর ২০০৭
লেখকঃ ডা· এ এ এম তাহের

Navigation

[0] Message Index

Go to full version