আমাদের কাছে একটি পরিচিত ফলবরই। বাংলাদেশেই রয়েছে এর বিভিন্ন প্রজাতি। বরইয়ের ভিটামিন ‘সি’ গলার ইনফেকশনজনিত অসুখ (যেমন: টনসিলাইটিস, ঠোঁটের কোণে ঘা, জিহ্বাতে ঠান্ডাজনিত লালচে ব্রণের মতো ফুলেযাওয়া, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া) দূর করে। যকৃতের ওপর বরইয়ের কর্মতর্যাপরতা অনেক বেশি। বরই যকৃতের কাজ করার শক্তিকে বাড়িয়েদেয়।এই ফলটির রস অ্যান্টি-ক্যানসার ড্রাগ হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে।অর্থার্যা এই ফলে রয়েছে ক্যানসার সেল, টিউমার সেল, লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার অসাধারণ শক্তি। উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই ফল যথেষ্ট উপকারী। রক্ত বিশুদ্ধকারক হিসেবে এই ফলের গুরুত্ব অপরিসীম। ডায়রিয়া, ক্রমাগত মোটা হয়ে যাওয়া, রক্তের হিমোগ্লোবিন ভেঙে রক্তশূন্যতা তৈরি হওয়া, ব্রঙ্কাইটিস—এসব অসুখ দ্রুত ভালো করে বরই।
রুচি বাড়ানোর জন্যও এই ফলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মৌসুমি জ্বর, সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে গড়ে তোলে প্রতিরোধ। নিদ্রাহীনতা দূর করে এই ফল। স্ট্রেস হরমোনের নিঃসরণের মাত্রা কমায় বরই। স্ট্রেস হরমোন মানুষের মনে অবসাদ আনে, দুঃখ-কষ্টের পরিমাণ বাড়িয়ে নিদ্রাহীনতা তৈরি করে। বরইয়ের খোসা খাবার হজমে সাহায্যকরে।শুকানো বরই যথেষ্ট পুষ্টিকর, কিন্তু টাটকার তুলনায় এতে পুষ্টির পরিমাণকম। উচ্চমানের ভিটামিন ‘এ’র বসতি রয়েছে বরইয়ে। আর ওজন নিয়ন্ত্রণ ও কোলস্টেরল কমানোর জন্য রয়েছে এর চমকপ্রদ ক্ষমতা।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ০৬, ২০১১