দুষ্টু দুষ্টু চোখে নবজাতক যদি আপনার দিকে তাকায়, সে অনুভূতি ভোলার নয়। তার যত্নেরও রয়েছে নানা দিক। কোনটা তার শরীরের জন্য ভালো আর কোনটা ক্ষতিকর, এটা আপনাকে বুঝতে হবে।
নবজাতকের চুল রাখবেন কি না-এ নিয়েও চিন্তায় পড়েন মা-বাবা। বাড়ির গুরুজনেরা তো বলেই থাকেন, বাচ্চার জ্নের সাত দিনের মধ্যে চুল ফেলতে হয়। আবার অনেকে এও বলেন, বাচ্চার চুল ফেলে দিলে তার মাথার স্মায়ুগুলোর ক্ষতি হবে। কী করা উচিত?
এ ব্যাপারে কথা বললেন নবজাতক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ড· মাহবুব মোতানাব্বি।
নবজাতকের চুল কাটা
ড· মাহবুব জানান, বাচ্চা বা নবজাতকের চুল কাটার ব্যাপারে সে রকম কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে চুল ফেলতে হবে। আবার চুল ফেললে স্মায়ুর ক্ষতি হবে, এ রকম কোনো কথাই সত্য নয়। যদি নবজাতক গরমে জ্নে তো চুল কেটে ফেলা ভালো। আবার শীতে ব্যাপারটা ঠিক উল্টো হবে। শীতে নবজাতককে ঠান্ডার হাত থেকে চুল অনেকখানিই বাঁচাবে।
এ সময় বাচ্চার চুল বা মাথার বাড়তি কোনো যত্নের দরকার পড়ে না। তবে অনেক সময়ই নবজাতকের মাথার চামড়া উঠে যেতে পারে। এটিও নানা কারণে হয়। ফাঙ্গাসের আক্রমণে, অ্যালার্জির প্রভাবে বা অন্য কোনো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এ ধরনের রোগ হয়। চামড়া ওঠা রোগ দেখা দেওয়ামাত্র চিকিৎসকের পরামর্শমতো চিকিৎসা নেওয়া উচিত। সরিষার তেল বাচ্চার মাথায় লাগানো উচিত নয়, তবে বাচ্চাদের ব্যবহারোপযোগী অন্য যে তেলগুলো বাজারে পাওয়া যায়, সেগুলো লাগানো যেতে পারে। সপ্তাহে এক দিন বাচ্চাকে বেবি শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করা যেতে পারে।
জন্মের পর থেকে তিন-চার মাস এভাবেই বাচ্চার পরিচর্যা করা উচিত।
লক্ষ রাখুন
– নবজাতককে কখনোই ঠান্ডা লাগতে দেবেন না।
– নবজাতককে তেল বা শ্যাম্পু ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিতে পারেন।
– তেল বা শ্যাম্পুতে সমস্যা হলে এগুলোর ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে।
– সন্তানের ভালো-মন্দ চিকিৎসকের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিন। গুরুজনের মতাদর্শে বিশ্বাসী হবেন না।
সূত্রঃ দৈনিক প্রথম আলো, জুন ২৪, ২০০৮