১০০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম!
স্মার্টফোনে চার্জ দেওয়ার জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তারবিহীন বা ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম। এখন পর্যন্ত ফাস্ট চার্জিং ১২৫ ওয়াট পর্যন্ত দেখা গেলেও ওয়্যারলেস ফাস্ট চার্জিং পিছিয়ে পড়ে আছে। নামকরা সব স্মার্টফোন কম্পানি আগামী বছর ১০০ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম বাজারে আনতে চাইছে। জানাচ্ছেন আফরিন তৃষা
একটি চার্জিং ডকের মাধ্যমে ফোনে চার্জ দেওয়ার পদ্ধতিই হলো ‘ওয়্যারলেস চার্জিং’। তারবিহীন এই চার্জিং সিস্টেমে কোন ফোন কত দ্রুত চার্জ হয়, এ নিয়ে এক অদৃশ্য প্রতিযোগিতা প্রায় সব নামকরা স্মার্টফোন কম্পানির মাঝেই চলমান। দ্রুত চার্জিং সিস্টেমে দুই বছর ধরে হুয়াওয়ে ও শাওমি অন্যদের তুলনায় বেশ এগিয়ে। এখন পর্যন্ত ফাস্ট চার্জিং ১২৫ ওয়াট পর্যন্ত দেখা গেলেও পিছিয়ে আছে ওয়্যারলেস ফাস্ট চার্জিং। অপো ও হুয়াওয়ে এখন পর্যন্ত ৪০ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম বাজারে এনেছে। এদিকে এ বছরই অপো আবার ঘোষণা দিয়েছে ৬৫ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম আনার। শুধু তা-ই নয়, প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে নাকি নামকরা সব স্মার্টফোন কম্পানি আগামী বছর ১০০ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম বাজারে ছাড়ার জন্য কাজ করছে।
এই ওয়্যারলেস চার্জারগুলোর যেমন সুবিধা আছে, তেমনি এগুলোর কিছু অসুবিধাও আছে। এগুলোর কার্যক্ষমতা এখনো গতানুগতিক চার্জারের মতো হয়ে ওঠেনি। এর ফলে চার্জিংয়ের গতি অনেকটাই কমে যায়। অন্যান্য চার্জারের তুলনায় এগুলোতে তাপও নিঃসৃত হয়ে থাকে বেশি।
এদিকে ব্যাটারির চার্জিং সাইকলের দিক থেকে দেখতে গেলে অপোর ১২৫ ওয়াট চার্জিং সিস্টেমে ৮০০ চার্জিং সাইকল অতিক্রম হলেই ব্যাটারি ৮০ শতাংশ দুর্বল হয়ে পড়ে আর ৬৫ ওয়াট চার্জিং সিস্টেমে ৮০০ চার্জিং সাইকল অতিক্রম হলেই ব্যাটারি ৯০ শতাংশ দুর্বল হয়ে পড়ে।
তারযুক্ত চার্জিং ব্যবস্থাতেই যদি ব্যাটারির এই দশা হয়ে থাকে তাহলে ১০০ ওয়াট ওয়্যারলেস চার্জিং ব্যবস্থায় ব্যাটারির পারফরম্যান্স কত দিন ধরে রাখা সম্ভব এটিও চিন্তার বিষয়।
যদিও ফোন কম্পানিগুলো এই চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করার জন্য চেষ্টার কোনো কমতি রাখছে না। এর পরও এখন পর্যন্ত সমস্যাবিহীন ওয়্যারলেস চার্জিং সিস্টেম কোনো কম্পানিই বাজারে আনতে পারেনি।Source:
https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/10/18/966740