অত্যাবশ্যক পণ্যসামগ্রী
আইন, ১৯৫৬
[THE CONTROL OF ESSENTIAL COMMODITIES ACT, 1956]
[১৯৫৬ সালের ১নং আইন]
(২২শে সেপ্টেম্বর, ১৯৫৬)
------------------------------------------------------------------
কিছু সংখ্যক পণ্যের উত্পাদন, ব্যবহার, রক্ষণ, মওজুদ, চলাচল, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ, বিলি-বন্দেজ, অর্জন, ব্যবহারের অথবা উপভোগের এবং ব্যবসায় ও বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা প্রদানের নিমিত্তে একটি আইন ।
যেহেতু বাংলাদেশের মধ্যে কিছু পণ্যের উত্পাদন, ব্যবহার রক্ষণ, মওজুদ, চলাচল, পরিবহন, বিতরণ, বিলি-বন্দেজ, অর্জন, ব্যবহার অথবা ভোগের এবং ব্যবসায় ও বাণিজ্যের নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা প্রদান সমীচীন, সেইহেতু নিম্নোক্ত আইন করা হইলঃ
ধারা-১ ( সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, আওতা এবং প্রারম্ভ )
(১) অত্র আইন ১৯৫৬ সালের অত্যাবশ্যক পণ্য নিয়ন্ত্রণ, আইন হিসাবে অভিহিত হইবে ।
(২) ইহা সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবে ।
(৩) ইহা তাত্ ক্ষণিকভাবে কার্যকর হইবে ।
ধারা-২ ( সংজ্ঞা )
বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী না হইলে, এই আইনে-
(ক) 'অত্যাবশ্যক পণ্য' বলিতে নিম্নলিখিত পণ্যসামগ্রীর যেকোনোটিকে বুঝায়ঃ
(১) খাদ্য সামগ্রী,
(২) তুলা ও পশমী বস্ত্র সামগ্রী;
(৩) পেপার বোর্ড, পাল্প বোর্ড, ওয়াল বোর্ড, ফাইবার বোর্ড, স্ট্র বোর্ড, বক্স বোর্ড, সেলুসাস ওয়াডিং, সেলুলার ফিল্মস এবং অনুরূপ অন্যান্য উপাদান যাহা সম্পূর্ণ বা প্রধারণতঃ উদ্ভিদ আঁশ বা পাম্প বা উভয়ই ঐ সমস্ত আঁশ বা পাম্প দ্বারা প্রস্তুত দ্রব্যসহ কাগজ; কিন্তু এই সমস্ত বস্তুর কোনটাই অন্তর্ভুক্ত করে না;
(৪) যন্ত্রচালিত যানবাহন উহার খুচরা অংশ এবং উহার জন্য টায়ার এবং টিউব;
(৫) কয়লা;
(৬) লোহা ও ইস্পাত;
(৭) অভ্র;
(৮) ইনজেকসনের ব্যবহৃত ঔষধসহ ভেষজ দ্রব্য বা উপাদান এবং ঔষধ;
(৯) গ্যাসসহ রাসায়নিক দ্রব্য;
(১০) তার ও কেবলসসহ বৈদ্যুতিক ও রেডিওর দ্রব্যসামগ্রী এবং যন্ত্রপাতি;
(১১) চিকিত্সার ও অস্ত্রোপচারের যন্ত্র ও যন্ত্রপাতিসমূহ;
(১২) বৈজ্ঞানিক ও গবেষণাগারে সরঞ্জামসহ কাঁচ বস্তু;
(১৩) কৃত্রিম সিল্ক সুতা;
(১৪) সাইকেল উহার খুচরা অংশ এবং উহার জন্য টায়ার ও টিউব;
(১৫) দিয়াশলাই;
(১৬) কাঠ;
(১৭) স্যানিটারী এবং পানি সরবরাহের বস্তুসমূহ;
(১৮) শিশু এবং রোগীর খাদ্য এবং সমজাতীয় বস্তুসামগ্রী;
(১৯) সিমেন্ট;
(২০) সিগারেট;
(২১) সার;
(২২) চর্বি;
(২৩) টর্চ সেল;
(২৪) এই প্রকার অন্যান্য পণ্যসামগ্রী যাহা সরকার অফিসিয়াল গেজেটে বিজ্ঞপ্তি দ্বারা অত্র আইনের উদ্দেশ্যে অত্যাবশ্যক পণ্যসামগ্রী মর্মে ঘোষণা করিতে পারেন;
(খ) 'খাদ্য সামগ্রী' (Food stuff) ভোজ্য তৈল বীজ এবং তৈলসমূহ অন্তর্ভুক্ত করিবে;
(গ) 'প্রজ্ঞাপিত আদেশ' বলিতে অফিসিয়াল গেজেটে প্রজ্ঞাপিত কোন আদেশ বুঝায়; এবং
(ঘ) 'কাগজ' (Paper) নিউজপ্রিন্ট অন্তর্ভুক্ত করে ।
ধারা-৩ ( অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উত্পাদন সরবরাহ বিতরণ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণের নিমিত্ত ক্ষমতা )
(১) অত্যাবশ্যক পণ্য রক্ষণাবেক্ষণ বা সরবরাহ বাড়ানোর যাহা ন্যায্য বিতরণ এবং ন্যায্যা মূল্যের প্রাপ্তিকে নিশ্চিত করে যতদূর পর্যন্ত প্রয়োজন বা সমীচীন প্রতীয়মান হয় সরকার প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা উত্পাদন ব্যবহার রক্ষণ, সঞ্চয়, চলাচল পরিবহন, সরবরাহ, বন্টন, বিলি-বন্দেজ, ব্যবহার অথবা উপভোগ এবং ব্যবসা ও বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের নিমিত্তে ক্ষমতা প্রদান করিতে পারেন ।
(২) ১ উপধারায় প্রদত্ত ক্ষমতার সাধারণত্বের হানি না করিয়া উহার অধীনে প্রদানকৃত আদেশে বিধান করিতে পারে-
(ক) লাইসেন্স, পারমিট বা অন্যভাবে অত্যাবশ্যক পণ্য উত্পাদন বা প্রস্তুত নিয়ন্ত্রণের;
(খ) অত্যাবশ্যক পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের মূল্য নিয়ন্ত্রণের;
(গ) লাইসেন্স, পারমিট বা অন্যভাবে অত্যাবশ্যক পণ্য সঞ্চয়, পরিবহন, বন্টন, বিলি-বন্দেজ, অর্জন, ব্যবহার বা উপভোগ নিয়ন্ত্রণের;
(ঘ) বিক্রির জন্য রাখা অত্যাবশ্যক পণ্যের বিক্রি ঠেকাইয়া রাখা নিষিদ্ধকরণ;
(ঙ) কোনো ব্যক্তির মওজুদ থাকা অত্যাবশ্যক পণ্যের মওজুদের সম্পূর্ণ বা আংশিক অত্যাবশ্যক পণ্য এইরূপ মূল্যে এবং এই সমস্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের নিকট বা এই রকম পরিস্থিতিতে যেমন আদেশে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হইবে বিক্রি করিতে নির্দেশ দিবার;
(চ) আদেশ প্রদানকারী কতৃর্পক্ষের মতে খাদ্যসামগ্রী বা বস্ত্র বিষয়ের কোনো বাণিজ্যিক বা আর্থিক কারবার বা যদি অনিয়ন্ত্রিত হয়, জনস্বার্থের ক্ষতিকর হইবার সম্ভাবনা থাকিলে নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধকরণের;
(ছ) অত্যাবশ্যক পণ্যের উত্পাদন, সরবরাহ বা বন্টনের ব্যবসা ও বাণিজ্যের সহিত সম্পৃক্ত ব্যক্তিগণকে তাহাদের কারবার সম্পর্কে এইরূপ খাতাপত্র, হিসাব ও নথি রাখিতে ও পরিদর্শনের নিমিত্ত দাখিল করিতে এবং এই ব্যাপারে আদেশে উল্লেখিত মতে এই সমস্ত তথ্য সরবরাহ করার জন্য আবশ্যকবোধ করিতে পারেন ।
(জ) বিশেষতঃ বাড়িতে যানবাহন জলযানে এবং উড়োজাহাজে প্রবেশ ও তল্লাশি, ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি কতৃর্ক এইরূপ অত্যাবশ্যক পণ্যের তল্লাশি যেই সম্পর্কে এই সমস্ত ব্যক্তির বিশ্বাসের কারণ আছে যে আদেশ লংঘিত হইয়াছে বা হইতেছে বা লংঘিত হইতে পারে, বা এই সম্পর্কিত কোনো নথি লাইসেন্স পারমিট বা অন্যান্য দলিল মঞ্জুর বা ইস্যু ফী দাবিকরণ এবং উপরোক্ত বিষয়ের কোনটির নিয়ন্ত্রণ বা নিষিদ্ধকরণের নিমিত্ত তথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহসহ কোন আনুষঙ্গিক ও সম্পূরক বিষয়ের;
(৩) ১ উপধারায় প্রদত্ত আদেশে সরকার বা কর্মকর্তার এবং সরকারের কতৃর্পক্ষসমূহকে ক্ষমতা ন্যস্ত এবং দায়িত্ব অর্র্পণ করিতে পারেন ।
(৪) অত্যাবশ্যক পণ্যের উত্পাদন এবং সরবরাহ ঠিক রাখা বা বৃদ্ধ করার জন্য যতদূর পর্যন্ত প্রয়োজন প্রতীয়মান হয় সরকার কোনো (ব্যক্তিকে এতদপর যেমন কতৃর্ত্বপ্রাপ্ত নিয়ন্ত্রক বলা হইয়াছে) আদেশে বিশেষভাবে উল্লেখিত পণ্যের উত্পাদন ও সরবরাহের নিমিত্ত সংস্থার সম্পূর্ণ বা যেকোনো অংশের ব্যাপারে সেই সমস্ত নিয়ন্ত্রণের কার্য প্রয়োগ করার জন্য ক্ষমতা প্রদান করিবেন যেমন আদেশে বর্ণিত হইবে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত এই উপধারায় কোনো শিল্পকারখানা বা ইহার অংশ সম্পর্কে আদেশ বলবত থাকিবেঃ
(ক) যতদূর সম্ভব আদেশে সুনির্দিষ্টভাবে দেওয়া বিধান ব্যতীত কতৃর্ত্ব প্রাপ্ত নিয়ন্ত্রক সরকারের যেকোনো নির্দেশ (সে যাহাই হউক) অনুসারে তাহার কর্তব্য পালন করিবেন যে অত্র আইনের বিধানের সঙ্গে বা কোনো আণ্ডারটেকারের কার্যাবলী নির্ধারণ করে এমন অন্য কোনো দলিলের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ কোনো নির্দেশ দেবার কোনো ক্ষমতা থাকিবে না এবং
(খ) আদেশের বিধান অনুসারে দেওয়া কতৃর্ত্বপ্রাপ্ত নিয়ন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে সংস্থা সার্বিক বা আংশিক পরিচালিত হইবে এবং সংস্থার ব্যবস্থাপনার কার্যের সহিত জড়িত যেকোনো ব্যক্তি এইরূপ যেকোনো নির্দেশ পালন করিবেন ।
ধারা -৪ ( ক্ষমতা অর্পণ )
সরকার প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা নির্দেশ দিতে পারেন যে নির্দেশে উল্লেখিত বিষয় এবং শর্তসাপেক্ষে (যদি থাকে) ৩ ধারার অধীনে আদেশ তৈরির ক্ষমতা; নির্দেশে উল্লেখিত মতে কর্মকর্তার বা সরকারের অধঃস্তন কর্তৃপক্ষ দ্বারা সম্পাদিত হইবে ।
ধারা-৫ ( অন্যান্য প্রণীত আইনের সহিত আদেশের অসঙ্গতির ফল )
অত্র আইন ব্যতীত অন্য যেকোনো প্রণীত আইনের বিধানের বা অত্র আইন ব্যতীত কোনো আইনের অনুবলে কোনো দলিলের সহিত অসঙ্গত হইলেও ৩ ধারায় কৃত কোনো আদেশের কার্যকারিতা বলবত্ থাকিবে ।
ধারা -৬ ( দণ্ডসমূহ )
(১) যদি কোনো ব্যক্তি ৩ ধারায় কৃত কোনো বিধান লংঘন করে সে ৩ বত্সর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে এবং যদি আদেশের এই রকম বিধান থাকে যেকোনো আদালত লংঘনের বিচারকালে যেই সম্পত্তি সম্পর্কে আদেশ লংঘিত হইয়াছে মর্মে আদালত সন্তুষ্ট হইবেন তাহা সরকার বাজেয়াফত করার নির্দেশ দিতে পারিবেন ।
শর্ত এই যে, লংঘন যেখানে খাদ্যবস্তু সম্পর্কিত এবং আদেশের এতদপক্ষে যে সম্পর্কে স্পষ্ট বিধান আছে, আদালত সেইরূপ নির্দেশ দিবেন, যদি না আদালত লিখিতব্য কারণে এইরূপ বিবেচনা করেন যে নির্দেশ সম্পর্কিত সম্পূর্ণ বা ক্ষেত্রবিশেষ, আংশিকের জন্য প্রদান করা উচিত নহে ।
(২) ৩ ধারায়কৃত আদেশ লংঘিত এমন কোনো সম্পত্তি কোনো জলযান যানবাহন বা প্রাণীর মালিক বহন করিলে, যদি বহনজনিত লেনদেন লংঘন সম্পর্কিত হয় এবং সে যদি জানত বা বিশ্বাস করার মত কারণ থাকে যে লংঘন সংঘটিত হইতেছে সেই আদেশ লংঘন করা হইয়াছে গণ্য হইবে এবং যেইক্ষেত্রে লংঘিত আদেশটি সম্পত্তি সম্পর্কিত যাহার সম্পর্কে আদেশে (উক্ত সম্পত্তি) বাজেয়াফতির কথা আছে, ১ উপধারায় শাস্তির অতিরিক্ত জলযান যানবাহন বা প্রাণী সরকারের বাজেয়াফাত হইবে ।
(৩) যদি কোনো ব্যক্তি ৩ (৪) ধারায় প্রদত্ত নির্দেশ পালন করিতে ব্যর্থ হয় সে ৩ বত্সর পর্যন্ত কারাদণ্ডে বা জরিমানায় বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে ।
ধারা-৭ ( প্রচেষ্টা এবং অপসহায়তা (মদদ) দান )
কোনো ব্যক্তি ৩ ধারার আদেশ লংঘনের চেষ্টা করিলে বা লংঘনে বা লংঘনে অপসহায়তা করিলে সে ঐ আদেশ লংঘন করিয়াছে গণ্য হইবে ।
ধারা -৮ ( কর্পোরেশনের অপরাধ )
৩ ধারার আদেশ লংঘনকারী যদি কোনো কোম্পানী বা কোনো কর্পোরেশন হয়, সেইক্ষেত্রে উহার প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা ঐ প্রকার লংঘনের দায়ে দোষী হইবে যদি না সে প্রমাণ করিতে পারে যে তাহার অজ্ঞাতে লংঘিত হইয়াছে বা লংঘন প্রতিরোধে সেই সব রকমের প্রজ্ঞার ব্যবহার করিয়াছে ।
ধারা-৯ ( মিথ্যা বিবরণী )
যদি কোন ব্যক্তি-
(১) ৩ ধারার আদেশে কোন বিবরণী প্রস্তুত করিতে বা কোন তথ্য প্রদান করিতে বলার প্রেক্ষিতে বিবরণী প্রস্তুত করে বা কোন তথ্য প্রদান করে যাহা বস্তুনিষ্ঠভাবে মিথ্যা এবং সে জানে বা মিথ্যা বিশ্বাস করার মত যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে বা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করে না; বা
(২) উপরে বর্ণিত এইরূপ কোনো বিবরণী কোন বই খাতায়, হিসাব, নথিতে, ঘোষণায়, রিটানে বা অন্য দলিলের প্রস্তুত করে যাহা এইরূপ কোন আদেশ দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ বা যোগানোর জন্য তাহাকে আবশ্যক বোধ করা হইয়াছিল সে ৩ বত্সরের কারাদণ্ডে বা জরিমানায় বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে ।
ধারা -১০ ( অপরাধের আমল গ্রহণ )
১৯৬০ সালের দণ্ডবিধির ২১ ধারার সংজ্ঞা মতে পাবলিক সারভেন্ট এইরূপ ব্যক্তি কর্তৃক অপরাধ গঠন করে সেইরূপ ঘটনার লিখিত প্রতিবেদন ব্যতীত কোনো আদালত অত্র আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ আমলে নিবেন না ।
ধারা -১১ ( সংক্ষিপ্ত বিচারের ক্ষমতা )
১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধি ২৬০ (১) ধারার অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচারের জন্য সাময়িকভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো ম্যাজিস্ট্রেট বা ম্যাজিস্ট্রেটগণ এতদপক্ষে বাদী দরখাস্ত করিলে উক্ত আইনের ২৬২ ধারার বিধানমতে অত্র আইনের অধীনে যেকোনো অপরাধের বিচার করিবেন ।
ধারা-১২ ( জরিমানা সম্পর্কে বিশেষ বিধান )
ফৌজদারী কার্যবিধির ৩২ ধারায় যাহাই থাকুক না কেন ৩ ধারার আদেশ লংঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত কোন ব্যক্তিকে এতদপক্ষে বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কতৃর্ক এক হাজার টাকার উর্র্ধ্ধে জরিমানা করা বৈধ হইবে ।
ধারা-১৩ ( আদেশসমূহ সম্পর্কে অনুমান )
(১) অত্র আইনের দ্বারা বা অধীনে ন্যস্ত ক্ষমতাবলে কৃত কোনো আদেশ সম্পর্কে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন তোলা যাইবে না ।
(২) যেইক্ষেত্রে কোনো আদেশ এই আইনের অধীনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রণীত এবং স্বাক্ষরিত মর্মে বুঝায়, ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের অর্থে কোনো আদালত ধরিয়া লইবেন যে ঐ কতৃর্পক্ষের দ্বারাই এইরূপ করা হইয়াছে ।
ধারা -১৪ ( কতিপয় ক্ষেত্রে প্রমাণের দায়িত্ব )
যেইক্ষেত্রে ৩ ধারার আদেশ দ্বারা কোন ব্যক্তিকে কোন কাজ করিতে নিষেধ করা হইয়াছিল তাহা লংঘন করায় বা বৈধ কতৃ॔ত্ব বা কোন পারমিট, লাইসেন্স বা অন্যান্য দলিল ব্যতীত কোন মালামাল অধিকারে রাখার জন্য তাহার বিরুদ্ধে মামলা করা হয় সেইক্ষেত্রে তাহার কতৃ॔ত্ব পারমিট, লাইসেন্স বা অন্যান্য দলিল ছিল উহা প্রমাণের দায়িত্ব তাহার৷
ধারা -১৫ ( অত্র আইনের আধীনকৃত কাজের হেফাজত )
(১) ৩ ধারার আদেশের প্রেক্ষিতে সরল বিশ্বাসের কৃত বা সম্পাদনের অভিপ্রায়ের জন্যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন মামলা বিচার বা অন্য কোন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাইবে না৷
(২) ৩ ধারার আদেশের প্রেক্ষিতে সরল বিশ্বাসে কৃত কাজের বা কাজ সম্পাদনের অভিপ্রায়ের জন্য কোনো ক্ষতি হইলে বা ক্ষতির সম্ভাবনা থাকিলে সরকারের বা উহার কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা, বিচার বা অন্য কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না ।
ধারা -১৬ ( রহিতকরণ ও ব্যতিক্রম )
এতদ্বারা ১৯৫৬ সালের অত্যাবশ্যক পণ্য নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ (১৯৫৬ সালের ই,পি, অধ্যাদেশ নং ১০) রহিত করা হইল ।
(২) যতক্ষণ না অত্র আইনের অধীনে সরকার বা সরকারের কতৃর্ত্বপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা কোনো আদেশ ইস্যু করেন, এইরূপ রহিত করা হইলেও ১৯৫৬ সালের অত্যাবশ্যক পণ্য অধ্যাদেশ (১৯৫৬ সালের ১০নং অধ্যাদেশ)-এর অধীনে কৃত কোনো আদেশকৃত বলিয়া গণ্য এবং অত্র আইন চালুর পূর্বে পর্যন্ত এবং অত্র আইনের অনুরূপ বিধান দ্বারা কৃত কোনো আদেশ বলিয়া গণ্য হইবে এবং চালু হওয়ার পূর্বে পর্যন্ত এইরূপ আদেশের অধীনে কৃত যাবতীয় নিয়োগ মঞ্জুরকৃত লাইসেন্স ও পারমিট এবং জারিকৃত নির্দেশ বলবত থাকিবে এবং অত্র আইন অনুসারে কৃত, মঞ্জুর ও জারি বলিয়া গণ্য হইবে যেন ঐ অধ্যাদেশ চালুর তারিখে অত্র আইন কার্যকর হইয়াছে ।