অধিকাংশ ব্যবসায়ী ছোট ওয়েবসাইটে কম ভিজিটর থাকে এবং অনেকক্ষেত্রেই সার্চ ইঞ্জিনের তুলনায় অফলাইন থেকে আসা ভিজিটর বেশি হয়। ভিজিটিং কার্ড বা নেমপ্লেটে ইত্যাদি থেকে দেখে লোকজন সাইটে ভিজিট করে এবং সুনির্দিষ্ট কয়েক ধরনের ক্রেতা বেশি ভিজিট করে।
কোন একটি হোটেল বুকিং ওয়েবসাইটে হয়তো হোটেলের রিজার্ভেশন সংক্রান্ত তথ্য, থাকার পরিবেশ ও খরচের বেপারগুলো দেখতে চাইতে পারে। যোগাযোগের তথ্য জানতে চাইতে পারে। রিয়েল-স্টেট ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে অনেক সময় বিভিন্ন প্রশ্ন জাগতে পারে ক্রেতার মনে যা ফোন করে জেনে নিলে তার পক্ষে সুবিধা হয়। এজন্য সেই সাইটগুলোতে যোগাযোগের বেপারটা একটু বেশি-ই গুরুত্বপূর্ণ। সহজে আপনাকে খুজে পাওয়ার জন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে।
ব্যবসায়ী ওয়েবসাইটের যোগাযোগ সহজকরণ
ব্যাবসায়ী ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় বেশি প্রাধান্য পায়।
১. নিজস্ব ই-মেইল ব্যবহার করা
২. নিজের প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা সমুহকে উপস্থাপন করা
৩. ব্যান্ডিং এর স্ট্যান্ডার্ড
৪. বিক্রয় বৃদ্ধি
এছাড়াও বেশ কিছু বিষয় সংশ্লিষ্ট থাকতে পারে। তবে ব্যাবসায়ীক ওয়েবসাইট থেকে ভাল সারা পেতে চাইলে সাইট ডিজাইনে বেশ কিছু পদ্ক্ষেপ নেওয়া উচিৎ বলে মনে করি।
১. সাইটের হেডারে ফোন নম্বর ও ই-মেইল ঠিকানা যুক্ত করতে পারেন। ফোন নম্বরটা ক্লাইন্ট হয়তো তার মোবাইলে সংরক্ষন করে রাখতে পারে এবং প্রয়োজনের সময় সরণ করতে পারে।
২. ম্যাসেঞ্জার বা সামাজিক নেটওয়ার্কে আপনার প্রফাইল লিংক প্রকাশ করলে সুবিধা হয়। অনেকেই ফেসবুকে অভ্যস্ত। আবার অনেকে ইয়াগু ম্যাজেঞ্জারে বেশি সময় থাকে, কেউ বা টুইটারের । আর তাই কয়েকধরনের আইডির মাধ্যমে যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে পারেন।
৩. সহজ একটি কোটেশন ফর্ম যুক্ত করে রাখতে পারেন। সেখান থেকে আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। রেজিষ্ট্রেশনের ঝামেলামুক্ত সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করাই ভাল।
৪. যোগাযোগ পাতাটি একটু উন্নত করে গড়ে তুলুন। আপনার সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে অফিসের ঠিকানা সম্পূর্ণ লিখুন, গুগল ম্যাপ এমবেড করে দিন যাতে সহজে খুজে পায়। একাধিক ফোন ও ই-মেইল নম্বর দিন যাতে একটি নম্বর ব্যস্ত থাকলেও আরেকজনের সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
৫. সাইট আপডেট রাখুন। অনেক সময় ফোন নম্বর, ই-মেইল ও অফিস ঠিকানা পরিবর্তন হতে পারে। আর সেটা অবশ্যই সাইটে পরিবর্তন করতে ভুলবেন না। সাইটের বানান সতর্কতা ও মাসম্পন্ন পরিচ্ছন্ন ডিজাইন আপনার ব্যবসায়ী ওয়েব আয়ের একটি নতুন পথ হতে পারে।