Daffodil Computers Ltd.

Create your Own Website => Web Hosting & Domain => Topic started by: bbasujon on January 11, 2012, 08:22:28 AM

Title: Website creation before
Post by: bbasujon on January 11, 2012, 08:22:28 AM
   
ওয়েবসাইট তৈরির আদ্যপান্ত

নিজের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের তথ্যকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার জন্য সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো ইন্টারনেট। আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিজের তথ্যগুলো তুলে ধরার জন্য দরকার হয় ওয়েবসাইট। শুধু নিজের তথ্যই নয়, ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজের প্রয়োজনীয় ছবি-ভিডিও বা যেকোন ফরম্যাটের ফাইলও সহজে পৌছে দিতে পারেন অন্যের কাছে। কিন্তু এ ওয়েবসাইট করার জন্য দরকার ডোমেইন নাম এবং হোস্টিং। আর সর্বশেষ একজন ডিজাইনার এবং ডেভলপারকে দিয়ে সাইটটি তৈরি করে নেয়া। যারা এ বিষয়ে ভালো বোঝেন না তাদের জন্য এটি ব্যাপক ঝামেলারও বটে!
'একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য মূলত তিনটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। প্রথমে নিজের পছন্দসই একটি ডোমেইন নাম কেনা, এরপর তথ্যগুলো অনলাইনে আপলোড করে অন্যদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য হোস্টিং কেনা এবং সর্বশেষ ব্রাউজার পড়তে পারে এমন ভাষায় কনটেন্টগুলোকে তুলে ধরা।
 
ডোমেইন নাম নির্বাচন
একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তির ওয়েবসাইট তৈরিতে প্রথম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো ডোমেইন নাম নির্বাচন করা। 'ধরুণ আপনার অফিসে কারো আসা দরকার। এক্ষেত্রে উনাকে অবশ্যই আপনার অফিসের ঠিকানা জানতে হবে। নতুবা উনি আসতে পারবেন না। ওয়েবসাইটের ডোমেইন নামও এই অফিসের ঠিকানার মতোই। কেউ যদি আপনার অফিসের তথ্যাবলি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে চায় তবে তাকে আপনার অফিসের ওয়েবসাইটটির ঠিকানা ধরে আসতে হবে। আর ওয়েবসাইটের এ ঠিকানাটিই মূলত আপনার ব্যাবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ডোমেইন নাম। সাধারণত এটি প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে মিল রেখে কিনে থাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।’ জানালেন ডোমেইন এবং হোস্টিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইনক্রেডিবল ল্যাবের প্রধান নির্বাহী ইমতিয়াজ মাহমুদ। যেমন প্রিয়'র ওয়েবসাইটের ঠিকানা: priyo.com - এ নামটিই মূলত একটি ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম। ডোমেইন নামের মধ্যেও বেশকিছু ভাগ রয়েছে। যেমন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ডোমেইন নাম সাধারণত ডটকম দিয়ে শেষ হয়(যেমন microsoft.com)। আবার সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইট সাধারণত ডট ওআরজি (যেমন: un.org) দিয়ে শেষ হয়। তবে ইন্টারনেটে ডটকম ডোমেইন ই সবচেয়ে জনপ্রিয়।
ইমতিয়াজ মাহমুদ জানান, তবে ডোমেইন কেনার সময় ব্যবহারকারীর পছন্দই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ডোমেইন নাম ছোট এবং ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের নামের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা উচিৎ। এতে করে ভিজিটররা প্রতিষ্ঠানের নাম মনে করেই ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারবে।
ওয়েব হোস্টিং
ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেম কেনার পরেই যে বিষয়টি আসে সেটি হলো ওয়েব হোস্টিং। ওয়েব হোস্টিং মূলত অনলাইনে ব্যবহারকারীর কনটেন্ট আপলোড করার সার্ভার। এ সার্ভারেই ওয়েবসাইটের মালিককে বিভিন্ন তথ্য আপলোড করতে হয় এবং এখান থেকেই ভিজিটররা সেসব তথ্য দেখতে পারেন। ওয়েবসাইটের ডোমেইন নামকে যদি একটি অফিসের ঠিকানা হিসাবে ধরা হয় তবে হোস্টিং হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের অফিস বিল্ডিং, রুম, আসবাব পত্র সহ অন্যান্য জিনিসপত্র। এক্ষেত্রে একজন ওয়েবসাইটের মালিক যত মেগাবাইট ওয়েব হোস্টিং কিনবেন তিনি কেবল ততটুকই তথ্য আপলোড করতে পারবেন। এটি অনেকটাই এরকম- একজন ব্যবসায়ী যতবড় গোডাউন ভাড়া নিচ্ছেন ততটুকুই কেবল মালামাল রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। ওয়েব হোস্টিং বিভিন্ন কোয়ালিটির হয়ে থাকে। আবু হুরাইরা ফয়সাল জানান, হোস্টিং সেবা প্রোভাইডারের ‘সার্ভার কোর’এবং অন্যান্য কনফিগারেশন-এর উপর নির্ভর করে উক্ত প্রতিষ্ঠানের হোস্টিং কতটুকু মান সম্পন্ন।
 
ওয়েবসাইট ডিজাইন
ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম এবং হোস্টিং কেনার পর ওয়েবসাইট তৈরির পরবর্তী ধাপ হলো ওয়েবসাইটটি ডিজাইন করা। ব্যবহারকারীর রুচি অনুযায়ী সাধারণত ওয়েবসাইট ডিজাইন করে থাকেন ডিজাইনার-রা। আর যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড কালার আছে তারা সেসব রঙ্গেই রাঙ্গিয়ে থাকে ওয়েবসাইটগুলোকে। ওয়েবের লগো হিসাবে নিজেদের ব্র্যান্ড লগোই সাধারণত ব্যবহার করা হয় এসব ক্ষেত্রে। সব ওয়েবসাইট ডিজাইনিং এবং ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান সাধারণত এসব সাইট গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করে থাকে। স্বাধীন (ফ্রিল্যান্স) ওয়েবসাইট ডেভেলপার ইউনুস হোসেন জানান, যারা কম বাজেটের মধ্যে ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তারা ওয়ার্ডপ্রেস এবং জুমলা সহ ওপেনসোর্স কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা সিএমএস ব্যবহার করতে পারেন। আর ওয়েবসাইট ডিজাইনের আগে অবশ্যই ডেভেলপারকে আপনার চাহিদাগুলো ভালোভাবে বলতে হবে। তাহলে ডেভেলপারই নিজ থেকে পছন্দ করে নিতে পারবে উপযুক্ত ওয়েবসাইট প্লাটফর্মটি।
সেবা দেয় যারা
ইন্টারনেটে ডোমেইন নাম নিয়ন্ত্রন করে ইন্টারনেট কর্পোরেশন ফর অ্যাসাইন নেমস এন্ড নাম্বারস বা আইসিএএনএন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন সাপেক্ষেই বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান ডোমেইন নাম নিবন্ধণ করতে পারে। এর মধ্যে গোড্যাডি, নেটওয়ার্ক সল্যুশন এবং নেমচিপ আমাদের দেশে সবচেয়ে আলোচিত। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকেই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যেকেউ অনলাইনে ডোমেইন কিনতে পারেন। ডোমেইন বিক্রি করার পাশাপাশি এ প্রতিষ্ঠানগুলো হোস্টিং সেবাও প্রদান করে। তাই এদের কাছ থেকেই হোস্টিং নেয়া যেতে পারে। ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী এদের বিভিন্ন ধরণের হোস্টিং প্যাকেজ রয়েছে। তবে সরাসরি ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কেনার চেয়ে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকেই ডোমেইন হোস্টিং কেনার পরামর্শ অধিকাংশ ওয়েব ডেভেলপারের। তাদের মতে, কোন ধরণের সমস্যায় পড়লে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাৎক্ষণিকভাবে সমস্যা সমাধান করার সুযোগ থাকেনা। একটি নির্দিষ্ট মাধ্যম দিয়েই কেবল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়, যা বেশ সময় সাপেক্ষ। অনেক সময় ওয়েবসাইটের মালিক এসব প্রতিষ্ঠানের সাপোর্ট টিমকে বোঝাতেই পারেন না ওয়েবসাইটটির প্রকৃত সমস্যা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকেই বরং ভালো সেবা পাওয়া যায়। বাংলাদেশী অনেক প্রতিষ্ঠানই বড় বড় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ডোমেইন রিসেলার হিসাবে ডোমেইন নাম বিক্রি করে থাকে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই এসব প্রতিষ্ঠানের হোস্টিং সেবাও রিসেলার হিসাবে বিক্রি করে। অনেক প্রতিষ্ঠানেরই আবার যুক্তরাজ্য বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে নিজস্ব সার্ভার রয়েছে। তবে যে প্রতিষ্ঠান থেকেই কিনুন না কেন, ইন্টারনেটে উক্ত প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসেবা সংক্রান্ত তথ্য ও রিভিউ দেখে নিবেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন হোস্টিং ফোরামের পাশাপাশি এখন বাংলা ভাষায়ও হোস্টিং সংক্রান্ত আলাপ আলোচনা করার ফোরাম রয়েছে। সেখানেও আলোচনা করে পছন্দের প্রতিষ্ঠান থেকে হোস্টিং কিনতে পারেন।
বাংলাদেশী হোস্টিং এবং ডোমেইন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠগুলো হলো আরফিটেক, ইথি, স্টারহোস্ট, এবিএইচওয়ার্ল্ড, ইকরা, টেকনোবিডি, জিয়নবিডি এবং ফর্নিক্স সফট তালিকায় শীর্ষে রয়েছে।
 
হোস্টিং কেনার আগে বিবেচ্য
হোস্টিং কেনার আগে ব্যবহারকারীকে বেশকিছু বিষয় মাথায় রাখতে হয়। ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালো জানেন এমন সব ব্যাক্তিরা ওয়েব হোস্টিং কেনার আগে নিন্মোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনার কথা বলেছেন।
১.যার যেমন সার্ভার প্রয়োজন
ওয়েবসাইটের হোস্টিং কেনার আগে নিজের বাজেট নির্ধারণ করে নিবেন। যেসমস্ত প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট দিনে প্রচুর ভিজিট হয় এবং একই সাথে কয়েক হাজার ভিজিটর ওয়েবসাইটে থাকে সেগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণত ডেডিকেটেড সার্ভার কিনতে হয়। ডেডিকেটের সার্ভারের জন্য প্রতিমাসে দেড়শ থেকে ছয়শ ডলার পর্যন্ত গুনতে হয়। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে কম সংখ্যক ভিজিটর আসবেন এবং একসঙ্গে অল্প সংখ্যক ভিজিটর সাইটে থাকেন সেসব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শেয়ারড সার্ভার ব্যবহার করা যাবে। শেয়ারড সার্ভারে খরচও অনেক কম হয়ে থাকে। সাধারণত প্রতিবছর মাত্র ২০০ টাকা থেকে শেয়ারড সার্ভারের হোস্টিং কেনা যায়। মধ্যম সারির এবং ছোট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শেয়ারড সার্ভারই সবচেয়ে উত্তম।
২.ডিস্ক স্পেস
সার্ভারের পরে হিসাব করতে হয় ডিস্ক স্পেস। ব্যাক্তিগত আর ছোট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ৫০ মেগাবাইট থেকে ২০০ মেগাবাইট হোস্টিংই যথেষ্ঠ। যেসব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে একটু বেশি পরিমাণ ছবি আপলোড করতে হবে সেগুলোর হোস্টিং ২৫০ থেকে ৫০০ মেগাবাইটই যথেষ্ঠ। ফ্রিল্যান্স ওয়েব ডেভেলপার তাওহিদুল ইসলাম রাজিব জানান, অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রয়োজনের অতিরিক্ত ওয়েব হোস্টিং নিচ্ছেন। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখতে হবে প্রয়োজনের বেশি ওয়েব হোস্টিং নিলে কোন অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায় না, বরং ব্যবহারকারীর অতিরিক্ত কিছু টাকা নষ্ট হয়। তাছাড়া পরবর্তীতে আরোও হোস্টিং স্পেসের প্রয়োজন হলে তো প্যাকেজ বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
৩.প্রতিষ্ঠান দেখে হোস্টিং কেনা
ডোমেইন এবং হোস্টিং স্পেস কেনার আগে অবশ্য ভালো প্রতিষ্ঠানের সেবার মান যাচাই করে নেয়া উচিৎ। নতুবা পরবর্তীতে কাংখিত সেবা না পাওয়া গেলেও সাধারণত কিছু করার থাকেনা। আর ওয়েবসাইটের মালিক নিজে এর কারিগরি বিষয়গুলো না জানার কারণে কোন সমস্যা হলেও এটি ঠিক করতে পারেন না। এজন্য হোস্টিং ও ডোমেইন কেনার পর উক্ত প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সাপোর্ট দিবে কি না সেটিও যাচাই করে নিতে হবে। আর সাপোর্টের জন্য ব্যবহারকারীকে অতিরিক্ত কোন টাকা পরিশোধ করতে হবে কি না, বা হলেও সেটি কত পরিমাণ সেটি নির্দিষ্ট করে নিতে হবে।
৪.কন্ট্রোল প্যানেল
ওয়েবসাইটে কোন পরিবর্তন আনা বা কোন সেবা পরিবর্তন করার জন্য প্রয়োজন ওয়েবসাইট কন্ট্রোলপ্যানেল। আবার ডোমেইনটিকে অন্য প্রতিষ্ঠানের সাইটে হোস্ট করার জন্যও ডোমেইন কন্ট্রোল প্যানেলের প্রয়োজন। এজন্য যে প্রতিষ্ঠান থেকে সেবাটি নিবেন সেখান থেকে অবশ্যই ডোমেইন এবং হোস্টিংয়ের পূর্ণ কন্ট্রোল প্যানেল (ইউজারনেম-পাসওয়ার্ড) নিজের কাছে রাখবেন। অনেক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের জোর করে নিজ প্রতিষ্ঠানে ধরে রাখার জন্য কন্ট্রোল প্যানেল প্রদান করে না। এই ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলোকে এড়িয়ে চলা উচিৎ।
 
নিতে পারেন বাংলাদেশী ডোমেইনও
আন্তর্জাতিক টপ লেভেল ডোমেইনগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশী ব্যবহারকারীদের জন্যও আলাদা টপলেভেল ডোমেইন (.বিডি) রয়েছে। যেমন বাংলাদেশী কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নিজ নামে এই ডোমেইন কিনতে চান সেক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামের শেষে ডটকম ডট বিডি যুক্ত হবে। এতে করে বোঝা যাবে সাইটটি বাংলাদেশী কোন প্রতিষ্ঠানেরই। বিটিসিএল এ ডোমেইনগুলো নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এখান থেকে এ ডোমেইনের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। নিবন্ধন ফর্মটি ডাউনলোড করা যাবে এখান থেকে। বাংলাদেশী ডোমেইন নিবন্ধণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমেও এ ডোমেইন কেনার সুযোগ রয়েছে। তবে বাংলাদেশী .বিডি ডোমেইনের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনেক সমস্যা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়েবসাইট বিশেষজ্ঞরা। বিটিসিএল-এর সার্ভার সমস্যার কারণে কয়েকমাস আগে সার্চ ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল, ইয়াহু এবং এইসএসবিসি ব্যাংকের বাংলাদেশ ওয়েবসাইট সহ প্রায় অর্থশত ওয়েবসাইটের ডোমেইন নাম সিস্টেম বা ডিএনএস পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন অজ্ঞাতনামা হ্যাকাররা। ফলে সাইটগুলো হ্যাকারদের নির্দিষ্ট করা ওয়েভসাইটগুলোতে রিডাইরেক্ট হয়ে গিয়েছিল।
খরচাপাতি
প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী ওয়েবসাইটের খরচ নির্ভর করে। তবে ডোমেইন এবং হোস্টিংয়ের খরচ সব প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই অভিন্ন। কেবল ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টেই একেক চাহিদার ক্ষেত্রে একেক রকম বিল হয়ে থাকে। অনলাইন থেকে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ডোমেইন কিনলে খরচ ১০ থেকে ১৫ ডলার পর্যন্ত পড়ে। তবে বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানগুলো ৬০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকার মধ্যেই ডোমেইন বিক্রি করে থাকে। আর হোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে মধ্যম ও ছোট প্রতিষ্ঠানের খরচ পড়ে বছরে ২০০ টাকা থেকে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত। আর বাংলাদেশী টপলেভেল ডোমেইন কিনতে দুইবছরের জন্য খরচ ১৫০০ টাকা। আর ওয়েবসাইট ডিজাইনের ক্ষেত্রে খরচ পড়ে ৫০০০ টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত পড়তে পারে। ছোট প্রতিষ্ঠান বা যেসব প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট নিয়মিত আপডেট করার প্রয়োজন পড়েনা তারা স্ট্যাটিক ডিজাইন করিয়ে নিতে পারেন। তবে যেসব ওয়েবসাইট নিয়মিত আপডেট করার প্রয়োজন তাদের অবশ্যই ডাইনামিক ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। ডায়নামিক ওয়েবসাইট তৈরি করলে সাইটগুলো যেকেউ সহজে আপডেট করতে পারেন। সাইট আপডেট করার জন্য প্রোগ্রামিং জানার দরকার পড়েনা।