General Category > Law of Bangladesh

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০

(1/2) > >>

bbasujon:
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০

[১৯৯০ সনের ২০নং আইন]

------------------------------------------------------------------

 

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ এবং মাদকাসক্তদের চিকিত্সা ও পুনর্বাসনকল্পে প্রণীত আইন; যেহেতু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ এবং মাদকাসক্তদের চিকিত্সা ও পুনর্বাসনকল্পে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনী; সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ

 

ধারা -১ (সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন)

(১) এই আইন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ নামে অভিহিত হইবে ।

(২) ইহা ১৩৯৬ বাংলা সালের ১৯শে পৌষ মোতাবেক ১৯৯০ সালের ২রা জানুয়ারি হইতে কাযর্কর হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

 

ধারা -২ ( সংগা )

বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইন-

(ক) ''অধিদফতর'' অর্থ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর;

(খ) ''এ্যালকোহল'' অর্থ স্পিরিট এবং যেকোনো ধরনের মদ বা পাঁচ শতাংশের অধিক এ্যালকোহল যুক্ত যেকোনো তরল পদার্থ ইহার অন্তর্ভুকক্ত হইবে;

(গ) ''চিকিত্‍সা অর্থ: Medical and Dental Council Act, 1980 (xvi of 1980)-এর Section 2-এর Clause (I) ও (m)-এ সংজ্ঞায়িত registered dentists ও registered medical Practitioner এবং Bangladesh Veterinary Practitioner Ordinance, 1982 (xxx of 1982)-এর Section 2(g) সত্যায়িত registered Veterinary Practitioner ইহার অর্ন্তুভুক্ত হইবে;

(ঘ) ''ডিস্টিলারী'' অর্থ এ্যালকোহল তৈয়ারির যেকোন কারখানা;

(ঙ)''তফসিল'' অর্থ এই আইনের অধীনের সহিত সংযুক্ত যেকোনো তফসিল;

(চ) ''পারমিট'' অর্থ এই আইনের অধীন প্রদত্ত পারমিট;

(ছ) 'পাস' অর্থ এই আইনের অধীন প্রদত্ত পাস;

(জ) 'বিধি' অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;

(ঝ) 'বোর্ড' অর্থ এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড;

(ঞ) 'ব্রিউয়ারী'' অর্থ বিয়ার জাতীয় মাদকদ্রব্য প্রস্তুত যেকোন কারখানা বা কেন্দ্র;

(ট) 'মহা-পরিচালক' অর্থ এই আইনের অধীন নিযুক্ত মহা-পরিচালক;

(ঠ) 'মাদকদ্রব্য' অর্থ প্রথম তফসিলে উল্লেখিত যেকোনো দ্রব্য;

(ড) 'ক-শ্রেণীর মাদকদ্রব্য'' ''খ-শ্রেণীর মাদকদ্রব্য'' ও 'ঘ-এর শ্রেণীর মাদকদ্রব্য অর্থ প্রথম তফসিলে উল্লিখিত যথাক্রমে ক-শ্রেণীর মাদকদ্রব্য, খ-শ্রেণীর মাদকদ্রব্য ও গ-শ্রেণীর মাদকদ্রব্য;

(ঢ) 'মাদকাসক্ত' অর্থ শারীরিক বা মানসিকভাবে মাদকদ্রব্যের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তি বা অভ্যাস বশে মাদকদ্রব্য ব্যবহারকারী;

(ণ) 'মাদকাসক্তি' 'নিরাময় কেন্দ্র' অর্থ এই আইনের অধীনে স্থাপিত বা ঘোষিত মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র;

(ত) 'লাইসেন্স' অর্থ এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স;

(থ) 'স্থান' বলিতে যেকোনো বাড়িঘর, যানবাহন স্থিতাবস্থায় বা চলমান যেভাবেই থাকুক না কেন এবং বিমান বন্দর, সামদ্রিক বন্দর ও বৈদেশিক ডাকঘর, বহিরাগমন চেক পোস্ট ও শুল্ক ফাঁড়ি ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে ।

 

ধারা-৩ ( আইনের প্রাধান্য )

আপাততঃ বলবত অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন এই আইন ও এই আইনের অধীন প্রণীত কোনো বিধির বিধানাবলী কার্যকর থাকিবে ।

ধারা -৪( জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড প্রতিষ্ঠা )

(১) এই আইনের উদ্দেশ্যে পূরণকল্পে জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড নামে একটি বোর্ড থাকিবে ।

(২) বোর্ড নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে৷ যথাঃ

    (ক) 'স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী, যিনি উহার চেয়ারম্যানও হইবেন;

    (খ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

    (গ) (১৯৯৩ সনের ৩০ নং আইন দ্বারা বিলুপ্ত);

    (ঘ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

    (ঙ) শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

    (চ) তথ্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

    (ছ) সমাজকল্যাণ ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বা বিভাগে দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

    (জ) অর্থ মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

    (ঝ) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

    (ঞ) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে মন্ত্রী;

    (ট) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

    (ঠ) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় বা বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী;

    (ড) সচিব, আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়;

    (ডড) সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়;

    (ঢ) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন প্রখ্যাত সমাজ সেবক;

    (ণ) সরকার কতৃর্ক মনোনীত একজন প্রখ্যাত লোক হিতৈষী ব্যক্তি;

    (ত) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক;

    (দ) সরকার কর্তৃক মনোনীত একজন প্রখ্যাত চিকিত্‍সক বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ;

    (ধ) মহা-পরিচালক, যিনি বোর্ডের সচিব হইবেন ।

(৩) উপধারা (২)-এ উল্লিখিত কোনো মন্ত্রণালয় বা বিভাগে যদি মন্ত্রী না থাকেন, তাহা হইলে ঐ মন্ত্রণালয় বা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী যদি থাকেন, বোর্ডের সদস্য হইবেন ।

(৪) বোর্ডের কোনো মনোনীত সদস্য তাঁহার মনোনয়নের তারিখ হইতে দুই বত্‍সরের জন্য সদস্যপদে বহাল থাকিবেন ।

তবে শর্ত থাকে যে, সরকার যেকোনো সময় তাঁহার মনোনয়ন বাতিল করিতে পারিবে ।

(৫) সরকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগ্যে কোনো মনোনীত সদস্য স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন ।

 

ধারা -৫ ( বোর্ডের দায়িত্ব ও কর্তৃব্য )

বোর্ডের নিম্নরূপ দায়িত্ব ও কর্তৃব্য থাকিবে; যথাঃ

(ক) মাদবদ্রব্য সৃষ্ট সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া রোধকল্পে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়ন এবং উহা বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ;

(খ) মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহের জন্য যেকোনো ধরনের গবেষণা বা জরিপ পরিচালনা;

(গ) মাদকদ্রব্য উত্‍পাদন, সরবরাহ, ব্যবহার ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন;

(ঘ) মাদকাসক্তদের চিকিত্‍সা ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ;

(ঙ) মাদকদ্রব্যের কুফল সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও প্রচারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ;

(চ) মাদকদ্রব্য সংক্রান্ত বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সহিত যোগাযোগ স্থাপন এবং এতদসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন; এবং

(ছ) উপরিউক্ত দায়িত্ব পালন ও কর্তব্য সম্পাদনের জন্য যেকোন ব্যবস্থা গ্রহন ।

 

ধারা-৬ ( সভা )

(১) এই ধারায় অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে বোর্ড উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে ।

(২) বোর্ডের সকল সভা উহার চেয়ারম্যান কর্তৃক নির্ধারিত স্থানে ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে ।

(৩) চেয়ারম্যান বোর্ডের সকল সভায় সভাপতিত্ব করিবেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে তত্‍কর্তৃক মনোনীত বোর্ডের অন্য কোনো সদস্য সভাপতিত্ব করিবেন।

(৪) বোর্ডের মোট সদস্যদের এক-চতুর্থাংশের উপস্থিতিতে উহার সভার কোরাম গঠিত হইবে ।

(৫) বোর্ড গঠনে কোনো ত্রুটি রহিয়াছে বা উহাতে কোনো শূন্যতা রহিয়াছে শুধুমাত্র এই কারণে বোর্ডের কোনো কার্য বা কার্যধারা বেআইনী হইবে না বা তত্‍সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করা যাইবে না ।

 

ধারা-৭ ( জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড )

তহবিল: (১) মাদকদ্রব্য ব্যবহারের কুফল সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করা এবং মাদকাসক্তদের চিকিত্‍সা  ও পুনর্বাসন করার প্রয়োজনে সরকারী সাধারণ বাজেট বরাদ্দের অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহের লক্ষ্যে জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ড তহবিল নামে একটি স্বতন্ত্র তহবিল গঠন করিতে পারিবে ।

(২) উক্ত তহবিলে নিম্নবর্ণিত অর্থ জমা হইবে । যথাঃ

(ক) সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;

(খ) কোনো বিদেশী সরকার বা সংস্থা বা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা কতৃর্ক প্রদত্ত অনুদান;

(গ) কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কতৃর্ক প্রদত্ত অনুদান;

(ঘ) কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;

(ঙ) অন্য কোন উত্‍স হইতে প্রাপ্ত অর্থ;

(৩) তহবিলে জমাকৃত অর্থ কোনো তফসিলী ব্যাংকে রাখা হইবে ।

(৪) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও ফরমে তহবিল রক্ষণ ও উহার অর্থ ব্যয় করা যাইবে ।

(৫) বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতি ও কর্তৃপক্ষের দ্বারা তহবিলের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষিত হইবে ।

(৬) তহবিল নিরীক্ষা কতৃর্পক্ষ তহবিল সংক্রান্ত যাবতীয় বহি ও অন্যান্য দলিল নিরীক্ষা করিতে পারিবে এবং প্রয়োজনবোধে বোর্ডের যেকোন এবং অধিদফতরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবে ।

(৭) তহবিলের হিসাব নিরীক্ষার পর নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষ সরকারের নিকট নিরীক্ষা প্রতিবেদন পেশ করিবে ।

 

ধারা -৮( মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর )

(১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর নামে একটি অধিদফতর স্থাপন করিবে ।

(২) বোর্ডের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অধিদফতর সহায়তা প্রদান করিবে এবং বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য অধিদফতর দায়ী থাকিবে ।

 

ধারা -৯ ( এ্যালকোহল ব্যতীত মাদকদ্রব্যের উত্পাদন ইত্যাদি নিষিদ্ধ )

(১) এ্যালকোহল ব্যতীত মাদকদ্রব্যের চাষাবাদ, উত্পাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন, পরিবহন, আমদানি, রফতানি, সরবরাহ, ক্রয়-বিক্রয়, ধারণ, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন ও ব্যবহার করা যাইবে না ।

(২) কোনো মাদকদ্রব্যের উত্পাদনে ব্যবহৃত হয় এই প্রকার কোনো দ্রব্য বা উদ্ভিদের চাষাবাদ, উত্পাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন, আমদানি, রফতানি, সরবরাহ, ক্রয়-বিক্রয়, ধারণ, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন ও ব্যবহার করা যাইবে না ।

(৩) উপধারা (১) ও (২)-এ যাহা কিছু থাকুক না কেন, উক্ত উপধারা দ্বয়ে উল্লেখিত কোনো মাদকদ্রব্য, দ্রব্য বা উদ্ভিদ কোনা আইনের অধীন অনুমোদিত কোনো ঔষধ প্রস্তুতের জন্য বা কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য প্রয়োজন হইলে উহা এই আইনের অধীন প্রদত্ত-

(ক) লাইসেন্স বলে উত্পাদন প্রক্রিয়াজাতকরণ, আমদানি, রফতানি, সরবরাহ, ক্রয়-বিক্রয়, ধারণ, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ ও প্রদর্শন করা যাইবে;

(খ) পারমিটবলে ব্যবহার করা যাইবে;

(গ) পাস বলে বহন বা পরিবহন করা যাইবে ।

 

ধারা -১০ (এ্যালকোহল উত্পাদন ইত্যাদি সম্পর্কে বিধান )

(১) এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স ব্যতিরেকে কোনো ব্যক্তি-

(ক) কোনো ডিস্টিলারী বা ব্রিউয়ারী স্থাপন করিতে পারিবেন না;

(খ) কোনো এ্যাকোহল উত্পাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, বহন, পরিবহন, আমদানি, রফতানি, সরবরাহ, ক্রয়-বিক্রয়, ধারণা, সংরক্ষণ, গুদামজাতকরণ, প্রদর্শন ও ব্যবহার করিতে পারিবেন না;

(গ) কোনো এ্যালকোহল ঔষধ তৈরির উপাদান হিসাবে ব্যবহার করিতে পারিবেন না ।

(২) এই আইনের অধীন প্রদত্ত পারমিট ব্যতীত কোনো ব্যক্তি এ্যালকোহল পান করিতে পারিবেন না; এবং চিকিত্সার প্রয়োজনে অন্যূন সিভিল সার্জন বা মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের কোনো সহযোগী অধ্যাপকের লিখিত ব্যবস্থাপত্রের ভিত্তি ব্যতীত কোনো মুসলমানকে এ্যালকোহল পান করার জন্য পারমিট দেওয়া যাইবে না ।

(৩) উপধারা (২)-এর অধীন প্রদত্ত ব্যবস্থাপত্র যে রোগের চিকিত্সার জন্য এ্যালকোহল ব্যবহার করা আবশ্যিক সেই রোগের নাম উল্লেখ করিতে হইবে এবং উক্তরূপ আবশ্যকতা সম্পর্কে ব্যবস্থাপত্রে চিকিত্সকের প্রত্যয়ন থাকিতে হইবে ।

(৪) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো বিদেশী নাগরিক লাইসেন্স প্রাপ্ত বারে বসিয়া এ্যালকোহল পান করিতে পারিবেন ।

(৫) কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী বিদেশী নাগরিক বা শুল্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত পাসবইধারী বা প্রচলিত ব্যাগেজ রুলস-এর দ্বারা স্বীকৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে, ক্ষেত্রমত এ্যালকোহল আমদানি, রফতানি, ক্রয়, বহন, সংরক্ষণ বা পানের ব্যাপারে এই ধারায় কোন কিছু প্রযোজ্য হইবে না ।

 

ধারা -১১ ( লাইসেন্স ইত্যাদি প্রদান)

(১) এই আইনের অধীন প্রদেয় লাইসেন্স, পারমিট ও পাস, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ফরমে, শর্তে এবং ফী প্রদান করিলে মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদূদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা কতৃর্ক প্রদান করিতে পারিবেন ।

(২) উপধারা (১)-এর অধীন কোনো লাইসেন্স, পারমিট বা পাস-এর মেয়াদ উহাতে উল্লিখিত শর্তে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অথবা উহা প্রদানের তারিখ হইতে সংশ্লিষ্ট অর্থ বত্সর শেষ হওয়া পর্যন্ত বলবত থাকিবে ।

তবে শর্তে থাকে যে, এই আইনের কোনো বিধান বা লাইসেন্সের শর্ত লংঘন করা না হইলে কোনো ল্যাবরেটরী, ডিস্টিলারী বা ব্রিউয়ারীর জন্য প্রদত্ত লাইসেন্স, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফী প্রদানে বত্সর ভিত্তিক নবায়ন করা যাইবে ।

 

ধারা -১২ ( লাইসেন্স ইত্যাদি প্রদানের ব্যাপারে বিধিনিষেধ)

(১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন লাইসেন্স বা পারমিট পাইবার যোগ্য হইবে না, যদি-

(ক) তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন তিন মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাঁহার মুক্তিলাভের পাঁচশত টাকার অধিক অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং দণ্ডের টাকা আদায় করার পর তিন বত্সরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে;

(খ) তিনি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধের জন্য আদালত কতৃর্ক দণ্ডিত হন;

(গ) তিনি এই আইনের অধীন প্রদত্ত লাইসেন্স বা পারমিটের কোনো শর্ত ভঙ্গ করেন এবং সেজন্য তাহার উক্ত লাইসেন্স বা পারমিট বাতিল হইয়া যায় ।

 

ধারা -১৩ ( মাদকদ্রব্যের ব্যবস্থাপত্র সম্পর্কে বিধিনিষেধ )

(১) মহা-পরিচালকের নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে লিখিত অনুমোদন ব্যতিরেকে কোন চিকিত্সক 'ক' শ্রেণীর বা 'খ' শ্রেণীর কোনো মাদকদ্রব্য ঔষধ হিসাবে ব্যবস্থাপত্র দিতে পারিবেন না ।

(২) চিকিত্সক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি 'গ' শ্রেণীর কোনো মাদকদ্রব্য ঔষধ হিসাবে ব্যবস্থাপত্র দিতে পারিবেন না ।

(৩) উপধারা (১) বা (২)-এর অধীন প্রদত্ত ব্যবস্থাপত্রের ভিত্তিতে একবারের অধিক মাদকদ্রব্য ক্রয় করা যাইবে না ।

 

ধারা -১৪ ( মাদকদ্রব্যের দোকান সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা )

(১) কোনো জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ কমিশনার যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, তাঁহার এখতিয়ারাধীন কোনো এলাকায় আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে কোনো মাদকদ্রব্যের দোকান সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা প্রয়োজন তাহা হইলে তিনি লিখিত আদেশ দ্বারা অনধিক পনের দিনের

bbasujon:
ধারা -১৬ ( মাদকাসক্তের চিকিত্সা )

(১) যদি মহা-পরিচালক বা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতা প্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা জানিতে পারেন যে, কোনো ব্যক্তি মাদকাসক্ত হওয়ার করাণে প্রায়শঃ অপ্রকৃতিস্থ থাকেন এবং তাঁহাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরাইয়া আনিবার জন্য অনতিবিলম্বে তাঁহার চিকিত্সা করা প্রয়োজন, তাহা হইলে মহা-পরিচালক বা উক্ত কর্মকর্তা লিখিত নোটিশ দ্বারা মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে চিকিত্সার্থে কোনো উপযুক্ত চিকিত্সকের নিকট বা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে নিজেকে সমর্পণ করিবার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন ।

(২) যদি উপধারা (১)-এর অধীন প্রদত্ত নোটিশ উল্লেখিত ব্যক্তি উহার মর্মার্থ বুঝিতে অক্ষম হন, তাহা হইলে নোটিশটি তাহার অভিভাবক বা তত্ত্বাবধায়কের উপর জারি করিতে হইবে এবং যাহার উপর নোটিশটি জারি করা হইবে তিনি মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে চিকিত্সার্থে কোনো চিকিত্‍সকের নিকট বা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে হাজির করিবেন ।

(৩) উপধারা (১) বা (২)-এর অধীন নোটিস প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে নোটিশের নির্দেশ মান্য করা না হ্ইলে নোটিস প্রদানকারী কর্মকর্তা উক্ত সময় অতিক্রান্ত হইবার পর সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা মুখ্য মহানগর হাকিমের নিকট মাদকাসক্ত ব্যক্তির বাধ্যতামূলক চিকিত্সার নির্দেশ দেওয়ার জন্য আবেদন করিতে পারেন ।

(৪) উপধারা (৩)-এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা মুখ্য মহানগর হাকিম লিখিত নোটিশ দ্বারা মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে কোনো বাধ্যতামূলকভাবে চিকিত্সার জন্য কোনো নির্দিষ্ট চিকিত্সক বা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হইবে না তজ্জন্য ব্যক্তিগতভাবে বা কোনো প্রতিনিধির মাধ্যমে হাজির হইয়া, নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাইবার জন্য মাদকাসক্ত ব্যক্তি বা ক্ষেত্রমত তাহার তত্ত্বাবধায়ক বা অভিভাবককে নির্দেশ দিবেন।

(৫) উপধারা (৪)-এর অধীন নির্দেশ পাওয়ার পর যথাসময়ে কারণ দর্শানো হইলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা মুখ্য মহানগর হাকিম অনধিক পনের দিনের মধ্যে মাদকাসক্ত ব্যক্তি বা ক্ষেত্রমতে তাহার তত্ত্বাবধায়ক বা অভিভাবক বা তাহার প্রতিনিধি এবং উপধারা (৩)-এ উল্লেখিত আবেদনকারীকে শুনানি দেওয়ার পর মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে, আদেশ দ্বারা, আদেশে উল্লেখিত চিকিত্সকের নিকট বা মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে বাধ্যতামূলক চিকিত্সার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন বা তাহার চিকিত্সার জন্য দাখিলকৃত আবেদনটি বাতিল করিতে পারিবেন ।

(৬) উপধারা (৪)-এর অধীন নোটিস প্রাপ্ত ব্যক্তি যদি যথাসময়ে কারণ দর্শাইতে ব্যর্থ হন; তাহা হইলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা মুখ্য মহানগর হাকিম উপধারা (৩)-এর অধীন প্রাপ্ত আবেদন বিবেচনার পর মাদকাসক্ত ব্যক্তির বাধ্যতামূলক চিকিত্সার জন্য নির্দেশ দিতে পারিবেন অথবা আবেদনটি বাতিল করিতে পারিবেন ।

(৭) উপধারা (৫) বা (৬)-এর অধীন চিকিত্সার জন্য আদেশ জারির সাত দিনের মধ্যে যদি মাদকাসক্ত ব্যক্তি আদেশে উল্লেখিত চিকিত্সকের নিকট বা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে চিকিত্ সার্থে উপস্থিত না হন বা তাহাকে উপস্থিত করানো না হয় তাহা হইলে উপধারা (৩)-এ উল্লিখিত আবেদনকারী কর্মকর্তা মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে চিকিত্সার্থে উক্ত চিকিত্সকের নিকট বা মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে, প্রয়োজনবোধে বলপ্রয়োগ করিয়া হাজির করাইবার ব্যবস্থা করিতে পারিবেন ।

(৮) এই ধারার অধীন বাধ্যতামূলক চিকিত্সার যাবতীয় খরচ ও ব্যয় সরকার বহন করিবে ।

 

ধারা -১৭ ( মাদকাসক্তি সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ )

(১) যদি কোনো পরিবারের কোনো সদস্য মাদকাসক্ত হন, তাহা হইলে তত্সম্পর্কে উক্ত পরিবারের কর্তা বা অন্য কোনো বয়ো:জ্যেষ্ঠ ব্যক্তি মহাপরিচালক বা তদধীন কোন কর্মকর্তাকে অবহিত করিবেন ।

(২) কোন চিকিত্সক যদি এইরূপ মনে করেন যে, তাহার চিকিত্‍সাধীন কোনো ব্যক্তি মাদকাসক্ত এবং তজ্জন্য চিকিত্সার প্রয়োজন, তাহা হইলে তিনি মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় চিকিত্সার পরামর্শ দিবেন এবং এই চিকিত্সার প্রয়োজনীয়তার কথা লিখিতভাবে মহাপরিচালককে অবহিত করিবেন ।

 

ধারা ১৮ ( মাদক শুল্ক )

(১) দ্বিতীয় তফসিলে উল্লেখিত হারে সকল প্রকার উত্পাদিত এ্যালকোহলের উপর শুল্ক নামে এক প্রকার শুল্ক আরোপ করা হইবে ।

(২) উপধারা (১)-এর অধীন আরোপিত শুল্ক বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে মহাপরিচালক বা তদধীন কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর কর্তৃক আদায় করা হইবে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত খাতে উহা জমা করা হইবে ।

 

ধারা-১৯ ( ধারা ৯-এর বিধান লংঘনের দণ্ড )

(১) কোনো ব্যক্তি নিম্ন টেবিলের কলাম (২)-এ উল্লেখিত কোনো মাদকদ্রব্য সম্পর্কে ধারা ৯-এর উপধারা (১) বা (২)-এর চাষাবাদ সম্পর্কিত বিধান ব্যতীত, কোনো বিধান লংঘন করিলে তিনি উক্ত মাদকদ্রব্যের বিপরীতে টেবিলের কলাম (৩)-এ উল্লেখিত দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন; যথাঃ

 

ক্রমিক নং
   

 মাদকদ্রব্যের নাম
   

দণ্ড
১    হেরোইন, কোকেন এবং কোকা উদ্ভূত মাদক দ্রব্য    (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ২৫ গ্রাম হইলে অন্যূন ২ বত্সর এবং অনূর্ধ ১০ বত্সর কারাদণ্ড।

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২৫ গ্রাম-এর উর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ।
২    পেথিডিন, মরফিন ও ট্রেট্রাহাইড্রোক্যানাবিনল    (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ গ্রাম হইলে অন্যূন্য ২ বত্সর এবং অনূর্ধ ১০ বত্সরের কারাদণ্ড ।

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ১০ গ্রাম-এর উর্র্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ।
৩    অপিয়াম, ক্যানাবিস; রেসিন বা অপিয়াম উদ্ভূত মাদকদ্রব্য    (ক) মাদবদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ২ কেজি হইলে অন্যূন ২ বত্সর এবং অনূর্ধ্ব ১০ বত্সর কারাদণ্ড ।

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ২২ কেজির ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ।
৪    মেথাডন    (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫০ গ্রাম হইলে অন্যূন ২ বত্ সর এবং অনূর্ধ্ব ১০ বত্সর কারাদণ্ড ।

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫০ গ্রাম-এর ঊর্ধ্বে হইলে মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ।
৫    ক- শ্রেণীর অন্যান্য মাদকদ্রব্য    অন্যূন ২ বত্সর এবং অনূর্ধ্ব ১৫ বত্সর কারাদণ্ড ।
৬    এ্যাবসলিউটি এ্যালকোহল, শোধিত সুরাসার, বিলাতী মদ, দেশী মদ, বিয়ার    (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ১০ লিটার হইলে অন্যূন ৬ মাস এবং অনূর্ধ্ব ৩ বত্সর কারাদণ্ড ।
৭    গাজা বা যেকোন ভেষজ ক্যানবিস    (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫ কেজি হইলে অন্যূন ৬ মাস এবং অনূর্ধ্ব ৩ বত্সর কারাদণ্ড ।

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ কেজির ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৩ বত্সর এবং অনূর্ধ্ব ১৫ বত্সর কারাদণ্ড ।
৮    যেকোন প্রজাতির ক্যানাবিস গাছ    (ক) ক্যানাবিস গাছের সংখ্যা অনূর্ধ্ব ক্যানাবিস গাছ ২৫ টি হইলে অন্যূন ৬ মাস এবং অনূর্ধ্ব ৩ বত্সর কারাদণ্ড ।

(খ) ক্যানাবিস গাছের সংখ্যা ২৫টির বেশি হইলে অন্যূন ৩ বত্সর এবং অনূর্ধ্ব ১৫ বত্‍সর কারাদণ্ড ।
৯    ফেনসাইক্লি আইন, মেথাকোয়ালন এলএসডি বারবিরেটস এ্যামফিটামন অথবা এই গুলির যেকোনটি দ্বারা প্রস্তুত মাদকদ্রব্য ।    (ক) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ অনূর্ধ্ব ৫ গ্রাম হইলে অন্যূন ৬ মাসের এবং অনূর্ধ্ব ৩ বত্সরের কারাদণ্ড ।

(খ) মাদকদ্রব্যের পরিমাণ ৫ গ্রাম-এর ঊর্ধ্বে হইলে অন্যূন ৫ বত্সর এবং অনূর্ধ্ব ১৫ বত্‍সর কারাদণ্ড ।
১০    খ- শ্রেণীভূক্ত অন্যান্য মাদকদ্রব্য    অন্যূন ৫ মাস অনূর্ধ্ব ৫ বত্সর কারাদণ্ড ।
১১    গ- শ্রেণীভূক্ত মাদকদ্রব্য    অনূর্ধ্ব এক বত্সর বা অনূর্ধ্ব ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ড।

 

(২) কোনো ব্যক্তি ক-শ্রেণীর কোনো মাদবদ্রব্যের চাষাবাদ করিলে, তিনি অন্যুন্ ২ বত্সর এবং অনূর্ধ্ব ১৫ বত্সর কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।

(৩) কোনো ব্যক্তি 'খ' ও 'গ' শ্রেণীর কোনো মাদকদ্রব্যের চাষাবাদ করিলে, তিনি অন্যূন ২ বত্সর এবং অনূর্ধ্ব ১০ বত্সরের কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন ।

(৪) উপধারা (১)-এর টেবিলে, ক্রমিক নং (১১) ব্যতীত, উল্লেখিত প্রত্যেক অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট অপরাধী উহাতে উল্লিখিত দণ্ডের অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন ।

(৫) এই ধারায় উল্লেখিত কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হইয়া দণ্ড ভোগ করিবার পর যদি কোনো ব্যক্তি পুনরায় উল্লিখিত কোনো অপরাধ করেন, তাহা হইলে উক্ত অপরাধের দণ্ড মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড না হইলে, তিনি উক্ত অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ যে কারাদণ্ড রহিয়াছে উহার দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।

 

ধারা -২০ ( মাদকদ্রব্য উত্পাদনে ব্যবহারযোগ্য যন্ত্রপাতি ইত্যাদি রাখার দণ্ড )

এই আইনের অধীনে প্রদত্ত লাইসেন্স প্রাপ্ত নহেন এইরূপ কোনো ব্যক্তির নিকট বা তাহার দখলকৃত কোনো স্থানে যদি মাদকদ্রব্য উত্পাদনে ব্যবহারযোগ্য কোনো যন্ত্রপাতি সাজ-সরঞ্জাম বা উপকরণ পাওয়া যায়, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ২ বত্সর এবং অনূর্ধ্ব ১৫ বত্সর কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন ।

 

ধারা -২১ (অপরাধ সংঘটনে গৃহ বা যানবাহন ইত্যাদি ব্যবহার করিতে দেওয়ার দণ্ড )

কোনো ব্যক্তি যদি সজ্ঞানে এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ সংঘটনের জন্য তাহার মালিকানাধীন বা দখলীয় কোনো বাড়িঘর জায়গা-জমি, যানবাহন, যন্ত্রপাতি বা সাজ-সরঞ্জাম ব্যবহার করিতে অনুমতি দেন, তাহা হইলে তিনি অনূর্ধ্ব ৫ বত্সর কারাদণ্ডে বা অর্থদণ্ডে বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।

 

ধারা -২২ ( লাইসেন্স ইত্যাদি ব্যতিরেকে কাজ করিবার দণ্ড )

যদি কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন প্রদেয়-

(ক) লাইসেন্স ব্যতিরেকে ধারা ৯ (৩) (ক)-এ উল্লেখিত কোনো কিছু করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ২ বত্সর এবং অনূর্ধ্ব ১০ বত্সরের কারাদণ্ডে  দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন;

(খ) পারমিট বা পাস ব্যতিরেকে ধারা ৯ (৩) (খ) বা (গ)-এ উল্লেখিত কোন কিছু করেন, তাহা হইলে অনূর্ধ্ব ২ বত্সরের কারাদণ্ডে বা পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন;

(গ) লাইসেন্স ব্যতিরেকে ধারা ১০ (১)-এ উল্লেখিত কোনো কিছু করেন, তাহা হইলে তিনি অন্যূন ২ বত্সর এবং অনূর্ধ্ব ১০ বত্সরের কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং উহার অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন ।

(ঘ) পারমিট ব্যতিরেকে ধারা ১০ (২)-এ উল্লেখিত কিছু করেন, তাহা হইলে অনূর্ধ্ব ২ বত্সর কারাদণ্ডে বা পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।

 

ধারা-২৩  (লাইসেন্স ইত্যাদির শর্ত ভঙ্গ করার দণ্ড )

(১) কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন প্রদত্ত--

(ক) কোনো লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করিলে তিনি অনূর্ধ্ব পাঁচ বত্সরের কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব দশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।

(খ) পারমিট বা পাশের কোনো শর্ত ভঙ্গ করিলে, তিনি অনূর্ধ্ব দুই বত্সরের কারাদণ্ডে বা পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।

(২) ধারা -১৩-এর অধীনে মহাপরিচালক কর্তৃক নির্ধারিত বিধিনিষেধ লংঘন করিয়া ব্যবস্থাপত্র প্রদান করিলে তিনি অনধিক ১ বত্সর কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।

 

ধারা -২৪ (বেআইনী ও হয়রানিমূলক তল্লাশি ইত্যাদি দণ্ড )

যদি এই আইনের অধীন তল্লাশী, আটক বা গ্রেফতার করিবার ক্ষমতা সম্পূর্ণ কোনো কর্মকর্তা-

(ক) সন্দেহ করিবার যুক্তিসঙ্গত কারণ ব্যতিরেকে এই আইনের অধীন তল্লাশির কোনো স্থানে প্রবেশ করেন এবং তল্লাশি চালান;

(খ) অযথা বা হয়রানিমূলকভাবে এই আইনের অধীন বাজেয়াপ্ত ভাবে কোনো বস্তু তল্লাশি করিবার নামে কোনো সম্পদ আটক করেন;

(গ) অযথা বা হয়রানিমূলক কোনো ব্যক্তিকে তল্লাশি করেন এবং গ্রেফতার করেন; তাহা হইলে অনূর্ধ্ব এক বত্সর কারাদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।

bbasujon:
ধারা -২৫ (অপরাধ সংঘটনের প্ররোচনা ইত্যাদির দণ্ড )

কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটনে কাহাকেও প্ররোচনা দিলে বা সাহায্য করিলে বা কাহারও সহিত যড়যন্ত্রে লিপ্ত হইলে, অপরাধ সংঘটিত হউক বা না-হউক, তিনি অন্যূন ৩ বত্সর এবং অনূর্ধ্ব ১৫ বত্সর কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন ।

 

ধারা -২৬ ( শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় নাই, এই রকম অপরাধের দন্ড )

কোনো ব্যক্তি যদি এই আইন বা কোনো বিধির এমন কোনো বিধান লংঘন করেন যাহার জন্য উহাতে স্বতন্ত্র কোনো দণ্ডের ব্যবস্থা নাই, তাহা হইলে তিনি উক্ত অপরাধের জন্য অনূর্ধ্ব ১ বত্সর কারাদণ্ডে বা অনূর্ধ্ব ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ।

 

ধারা-২৭ ( লাইসেন্স ইত্যাদি বাতিল )

(১) এই আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, যদি কোনো ব্যক্তি তাহাকে প্রদত্ত লাইসেন্স, পারমিট বা পাসের কোনো শর্ত ভঙ্গ করেন, বা যদি কোনো লাইসেন্স পারমিট বা পাসধারী ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধের জন্য অথবা অন্য কোনো আইনের অধীন বিচারার্থে গ্রহণীয় কোনো অপরাধের জন্য দণ্ডিত হন, তাঁহা হইলে লাইসেন্স, পারমিট বা পাস প্রদানকারী কর্মকর্তা তাহাকে কারণ দর্শানোর সুযোগ প্রদান করিয়া তাহার লাইসেন্স, পারমিট বা পাস বাতিল করিতে পারিবেন ।

(২) উপধারা (১)-এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশের দ্বারা কোনো ব্যক্তি সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে-

(ক) আদেশটি যদি মহাপরিচালকের অধঃস্তন কোনো কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, মহাপরিচালেকর নিকট;

(খ) আদেশটি যদি মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, সরকারের নিকট, আপিল করিতে পারিবেন;

(৩) উপধারা (২)-এ উল্লিখিত আপীল কতৃর্পক্ষের রায় চূড়ান্ত হইবে এবং উহার বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা দায়ের করা যাইবে না ।

 

ধারা -২৮ ( লাইসেন্স ইত্যাদি সাময়িকভাবে স্থগিতকরণ )

(১) ২৭ ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন লাইসেন্স, পারমিট বা পাস প্রদানকারী কোন কর্মকর্তার নিকট যদি ইহা প্রতীয়মান হয় যে, তত্ কর্তৃক প্রদত্ত কোনো লাইসেন্স, পারমিট বা পাসের শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করা হইতেছে না বা উহার শর্তাবলী লংঘন করা হইতেছে, তাহা হইলে উক্ত কর্মকর্তা লিখিত আদেশ দ্বারা, এই আইনের অধীন অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ সাপেক্ষে, লাইসেন্স পারমিট বা পাসটি অনূর্ধ্ব ষাট দিনের জন্য, সাময়িকভাবে স্থগিত করিতে পারিবেন ।

(২) কোনো ব্যক্তি উপধারা (১)-এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশের দ্বারা সংক্ষুদ্ধ হইলে তিনি আদেশ প্রাপ্তির তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে-

(ক) আদেশটি যদি মহাপরিচালকের অধঃস্তন কোনো কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, মহাপরিচালকের নিকট;

(খ) আদেশটি যদি মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, সরকারের নিকট, আপিল করিতে পারিবেন ।

(৩) উপধারা (২)-এ উল্লিখিত আপিল কর্তৃপক্ষের রায় চূড়ান্ত হইবে এবং উহার বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা দায়ের করা যাইবে না ।

 

ধারা-২৯ ( কোম্পানী কর্তৃক অপরাধ সংঘটন )

এই আইনের অধীন কোনো বিধান লংঘনকারী ব্যক্তি যদি কোম্পানী হয়, তাহা হইলে উক্ত কোম্পানীর মালিক, পরিচালক, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা এজেন্ট বিধানটি লংঘন করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করিতে পারেন যে, উক্ত লংঘন তাঁহার অজ্ঞাতসারে হইয়াছে অথবা উক্ত লংঘন রোধ করিবার জন্য তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছেন ।

ব্যাখ্যা- এই ধারায়-

(ক) ''কোম্পানী'' বলিতে কোনো সংবিধিবদ্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষ বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান ও সমিতি বা সংগঠনকে বুঝাইবে;

(খ) বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ''পরিচালক'' বলিতে উহার কোন অংশীদার বা পরিচালনা বোর্ডের সদস্যকেও বুঝাইবে ।

 

ধারা -৩০ ( অপরাধ সম্পর্কে অনুমান )

যদি কোনো ব্যক্তির নিকট বা তাহার দখলকৃত বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো স্থানে কোনো মাদকদ্রব্য বা মাদকদ্রব্য প্রস্তুতে ব্যবহার যোগ্য সাজ-সরঞ্জাম বা যন্ত্রপাতি বা মাদকদ্রব্য প্রস্তুতের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো বস্তু বা উপাদান পাওয়া যায় এবং যদি উহা এই আইনের কোনো ধারা লংঘনকারী হয়, তাহা হইলে তিনি উক্ত ধারা লংঘন করিয়াছেন বলিয়া আদালত অনুমান করিতে পারিবেন, এবং তিনি যে উহা করেন নাই উহা প্রমাণের দায়িত্ব তাহার উপর বর্তাইবে ।

bbasujon:
ধারা -৩১ ( অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ )

অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন দণ্ডনীয় সকল অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণীয় অপরাধ হইবে ।

 

ধারা-৩২ ( প্রবেশ ইত্যাদির ক্ষমতা )

মহাপরিচালক বা তাঁহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিধির বিধান সাপেক্ষে--

(ক) কোনো লাইসেন্স বলে মাদকদ্রব্য প্রস্তুত বা গুদামজাত করা হইয়াছে বা হইতেছে এই রকম যেকোনো স্থানে যেকোনো সময় প্রবেশ করিতে এবং উহা পরিদর্শন করিতে পারিবেন;

(খ) লাইসেন্সবলে প্রস্তুতকৃত বা সংগৃহীত মাদবদ্রব্য বিক্রয়ের জন্য যে দোকানে রাখা হইয়াছে সেই দোকানে দোকান খোলা রাখার সাধারণ সময়ে, প্রবেশ করিতে পারিবেন এবং উহা পরিদর্শন করিতে পারিবেন;

(গ) দফা (ক) ও (খ)-তে উল্লিখিত স্থান বা দোকানে-

(১) রক্ষিত হিসাব বহি বা রেজিস্টার পরীক্ষা করিতে পারিবেন;

(২) প্রাপ্ত মাদবদ্রব্য, মাদবদ্রব্য প্রস্তুতের সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি ও তৈজষপত্র পরীক্ষা, ওজন ও পরিমাপ করিতে পারিবেন;

(৩) প্রাপ্ত বাটখারা, পরিমাপ যন্ত্র বা পরীক্ষা যন্ত্র পরীক্ষান্তে ত্রুটিপূর্ণ পাওয়া গেলে বা বিবেচিত হইলে উহা আটক করিতে পারিবেন ।

 

ধারা-৩৩ (বাজেয়াফতযোগ্য মাদকদ্রব্য ইত্যাদি )

(১) এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইলে যে মাদকদ্রব্য, সাজ-সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, উপকরণ, আধার, পাত্র, মোড়ক, যানবাহন বা অন্য কোনো বস্তু সম্পর্কে বা সহযোগে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে সেইগুলি বাজেয়াফতযোগ্য হইবে ।

(২) উপধারা (১)-এর অধীন বাজেয়াফতযোগ্য মাদকদ্রব্যের সহিত যদি কোনো বৈধ মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের সময় পাওয়া যায় তাহা হইলে মাদকদ্রব্যও বাজেয়াফতযোগ্য হইবে ।

(৩) এই ধারায় যাহা কিছুই থাকুক না কেন, উপধারা (১)-এ উল্লিখিত কোনো অপরাধ সংঘটনের জন্য যদি কোনো সরকারী বা সংবিধিবন্ধ সরকারী কর্তৃপক্ষের কোনো যানবাহন বা সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়, তাহা হইলে উহা বাজেয়াফতযোগ্য হইবে না ।

 

ধারা-৩৪ ( বাজেয়াফতকরণ পদ্ধতি )

(১) এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ বিচারকালে আদালত যদি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, আটককৃত কোনো বস্তু ধারা ৩৩-এর অধীন বাজেয়াফতযোগ্য, তাহা হইলে আদালত অপরাধ প্রমাণিত হউক বা না হউক-

(ক) বস্তুটি মাদকদ্রব্য হইলে বাজেয়াফত করার আদেশ দিবেন;

(খ) বস্তুটি মাদকদ্রব্য না হইলে বাজেয়াফত করার আদেশ দিতে পারিবেন না ।

(২) যদি কোনো ক্ষেত্রে ধারা ৩৩-এর অধীন বাজেয়াফতযোগ্য কোনো বস্তু আটক করা হয় কিন্তু উহার সহিত সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে পাওয়া না যায়, তাহা হইলে মহা-পরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা, যিনি বস্তুটি আটককারী কর্মকর্তার উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হইবেন, লিখিত আদেশ দ্বারা উহা বাজেয়াফত করিতে পারিবেনঃ

তবে শর্ত যে, উক্তরূপ বাজেয়াফতির আদেশ প্রদানের পূর্বে বাজেয়াফতির বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপনের সুযোগ দেওয়ার জন্য বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে নোটিশ জারি করিতে হইবে এবং নোটিশ উল্লিখিত সময়ের মধ্যে, যাহা নোটিশ জারির তারিখ হইতে অন্যূন পনের দিন হইতে হইবে, আপত্তি উত্থাপনকারীকে শুনানির যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিতে হইবে ।

(৩) কোনো ব্যক্তি উপধারা (২)-এর অধীন প্রদত্ত কোনো আদেশের দ্বারা সংক্ষুদ্ধ হইলে, তিনি আদেশপ্রাপ্তির তারিখ হইতে ত্রিশ দিনের মধ্যে-

(ক) আদেশটি যদি মহাপরিচালকের অধঃস্তন কোনো কর্মকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত হইয়া থাকে, মহাপরিচালকের নিকট;

(খ) আদেশটি যদি মহাপরিচালক কতৃর্ক প্রদত্ত হইয়া থাকে, সরকারের নিকট, অাপিল করিতে পারিবেন ।

(৪) উপধারা (৩)-এ উল্লিখিত আপিল কতৃর্পক্ষের রায় চূড়ান্ত হইবে এবং উহার বিরুদ্ধে আদালতে কোনো মামলা দায়ের করা যাইবে না ।

ধারা -৩৫ ( বাজেয়াফত বা আটককৃত দ্রব্যাদির নিষ্পত্তি বা বিলিবন্দেজ )

এই আইনের অধীন বাজেয়াফতযোগ্য কোনো দ্রব্যের বাজেয়াফতির আদেশ প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে দ্রব্যটি মহাপরিচালকের নিকট হস্তান্তর করিতে হইবে এবং মহাপরিচালক উহা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে, ব্যবহার, হস্তান্তর বা ধ্বংস করিবার বা অন্য কোনো প্রকারে উহার বিলিবন্দেজের ব্যবস্থা করিবেন ।

bbasujon:
ধারা -৩৬ ( পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশি ইত্যাদির ক্ষমতা )

(১) মহাপরিচালক বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা পুলিশের পরিদর্শক বা তদুর্ধ্ব কোনো কর্মকর্তা বা কাস্টমসের পরিদর্শক বা সমমান সম্পন্ন বা তদুর্ধ্ব কোনো কর্মকর্তা, বা বাংলাদেশ রাইফেলস্-এর অধঃস্তন বা তদূর্ধ্ব কোনো কর্মকর্তার এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ কোনো স্থানে সংঘটিত হইয়াছে, হইতেছে বা হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তাহা হইলে অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, তিনি যে কোনো সময়-

(ক) উক্ত স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি করিতে পারিবেন এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হইলে বাধা অপসারণের জন্য দরজা-জানালা ভাঙ্গাসহ যেকোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন;

(খ) উক্ত স্থানে তল্লাশিকালে প্রাপ্ত অপরাধ সংঘটনের ব্যবহার্য মাদকদ্রব্য বা বস্তু, এই আইনের অধীন আটক বা বাজেয়াফতযোগ্য বস্তু এবং এই আইনের অধীন আটক বা বাজেয়াফতযোগ্য বস্তু এবং এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোনো দলিল, দস্তাবেজ বা জিনিসপত্র আটক করিতে পারিবেন;

(গ) উক্ত স্থানে উপস্থিত যেকোনো ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করিতে পারিবেন;

(ঘ) উক্ত স্থানে উপস্থিত কোনো ব্যক্তিকে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ করিয়াছেন বা করিতেছেন বলিয়া সন্দেহে গ্রেফতার করিতে পারিবেন ।

(২) উপধারা (১)-এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোনো স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি পরিচালনা না করিলে অপরাধ সম্পর্কিত কোনো বস্তু নষ্ট বা লুপ্ত হইবার বা অপরাধী পালাইয়া যাইবার সম্ভাবনা আছে বলিয়া উক্ত উপধারায় উল্লিখিত কোনো কর্মকর্তার বিশ্বাস করিবার সঙ্গত কারণ থাকিলে অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিনি উক্ত সময়ের মধ্যে উক্ত স্থানে প্রবেশ ও তল্লাশি করিতে পারিবেন ।

 

ধারা -৩৭ ( দেহ তল্লাশির জন্য বিশেষ পরীক্ষা )

এই আইনের অধীন কোনো তদন্ত বা তল্লাশী পরিচালনাকালে কোনো কর্মকর্তার যদি ইহা বিশ্বাস করিবার যথেষ্ট কারণ থাকে যে, কোনো ব্যক্তি তাহার শরীরের কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে মাদকদ্রব্য লুকাইয়া রাখিয়াছেন, তাহা হইলে, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, তিনি তাহাকে তাহার শরীরের এক্সরে করিবার বা মূত্রসহ অন্য যেকোনো প্রকার প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করিবার জন্য নিজকে সমর্পণ করিতে নির্দেশ দিতে পারিবেন এবং উক্ত নির্দেশ অমান্য করিলে নির্দেশ প্রদানকারী কর্মকর্তা তাহাকে নির্দেশ পালনে বাধ্য করার জন্য প্রয়োজনবোধে বলপ্রয়োগসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন ।

 

ধারা -৩৮ (আটক ইত্যাদি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিতকরণ )

এই আইনের অধীন কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হইলে বা কোনো বস্তু আটক করা হইলে, গ্রেফতারকারী বা আটককারী কর্মকর্তা তাহা সম্পর্কে লিখিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাহার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবিলম্বে অবহিত করিবেন এবং প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি মহাপরিচালকের নিকট প্রেরণ করিবেন ।

 

ধারা -৩৯ ( মহাপরিচালক ইত্যাদির তদন্তের ক্ষমতা )

(১) এই আইনের অধীন অপরাধ তদন্তের ব্যাপারে মহাপরিচালেকর থানার ভারপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তার ক্ষমতা থাকিবে ।

(২) সরকার সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, মহাপরিচালকের অধঃস্তন কোন কর্মকর্তাকে এই আইনের অধীন অপরাধ তদন্তের জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত একজন কর্মকর্তার ক্ষমতা প্রদান করিতে পারিবে ।

 

ধারা-৪০ (পরোয়ানা জারির ক্ষমতা )

(১) মহাপরিচালক অথবা সরকার হইতে এতদূদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধঃস্তন কোনো কর্মকর্তা অথবা কোনো প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের যদি এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে-

(ক) কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ করিয়াছেন;

(খ) এই আইনের অধীন অপরাধ সংক্রান্ত কোনো বস্তু বা উহা প্রমাণের জন্য প্রয়োজনীয় কোনো দলিল, দস্তাবেজ বা কোনো প্রকার জিনিসপত্র, কোনো স্থানে বা ব্যক্তির নিকট রক্ষিত আছে;

তাহা হইলে, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, তিনি উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করিবার জন্য বা উক্ত স্থানে দিনে বা রাতে যেকোনো সময় তল্লাশির জন্য পরোয়ানা জারি করিতে পারিবেন ।

(২) উপধারা (১)-এর অধীন প্রদত্ত কোনো পরোয়ানা যাহার নিকট পাঠানো হইবে উহা কার্যকর করিবার ব্যাপারে তাহার ধারা ৩৬-এর উল্লেখিত কর্মকর্তাদের সমস্ত ক্ষমতা থাকিবে

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

Go to full version