General Category > Law of Bangladesh

রেজিষ্ট্রেশন আইন

<< < (2/3) > >>

bbasujon:
ষষ্ঠ খণ্ড

রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দলিলপত্রাদি দাখিল সম্পর্কে

ধারা-৩২ (রেজিস্ট্রি করার জন্য যে সমস্ত লোক দলিল দাখিল করিবেন)

৮৯ ধারায় উল্লিখিত ক্ষেত্র ছাড়া এই আইনে রেজিস্ট্রিকরণযোগ্য প্রত্যেক দলিল, উহার রেজিস্ট্রিকরন বাধ্যতামূলক বা ঐচ্ছিক হউক না কেন, নিম্নবর্ণিত ব্যক্তি দ্বারা দাখিল করিতে হইবে ।

(ক) দলিল সম্পাদন কারী বা দলিলের দাবিদার এমন কোনো ব্যক্তি অথবা কোনো ডিক্রি বা হুকুমনামার নকলের ক্ষেত্রে উক্ত ডিগ্রি বা হুকুমনামার দাবিদার, অথবা

(খ) উপরিউক্ত ব্যক্তিগণের প্রতিনিধি বা তাহাদের কোনো মনোনীত ব্যক্তি, অথবা

(গ) অতঃপর বর্ণিত পদ্ধতিতে সম্পাদিত এবং যথার্থ প্রমাণিত 'আম-মোক্তারনামা' দ্বারা ঐ সকল ব্যক্তি কতৃর্ক ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি বা কোনো মনোনীত ব্যক্তি ।

ধারা-৩৩ (৩২ ধারায় বর্ণিত উদ্দেশ্যাবলীর জন্য আমলযোগ্য আম-মোক্তারনামা )

উপধারা-(১) ৩২ ধারার উদ্দেশ্যে কেবল নিম্নলিখিত আম-মোক্তারনামাগুলিই স্বীকৃত হইবে ।

(ক) কোনো ব্যক্তি যদি আম-মোক্তারনামা সম্পাদনকালে দেশের কোনো অংশে বাস করে এবং তথায় এই আইন বলবত্‍ থাকে, তবে যেই জিলায় বা উপজিলায় ঐ ব্যক্তি বাস করে এসেই জিলার বা উপজিলার রেজিস্ট্রার বা সাব-রেজিস্ট্রারের সম্মুখে সম্পাদিত এবং তাহাদের দ্বারা যথার্থতা প্রমাণিত আম-মোক্তারনামা;

(খ) যদি আম-মোক্তারনামাদাতা উপরিউক্ত সময়ে দেশ ছাড়া অন্য কোথাও বাস করেন, তবে কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে সম্পাদিত এবং তাঁহার দ্বারা যথার্থতা প্রমাণিত আম-মোক্তারনামা;

(গ) যদি আম-মোক্তারনামাদাতা উপরিউক্ত সময়ে দেশে বাস না করেন, তবে কোনো নোটারী পাবলিক বা কোনো কোর্ট, জজ, ম্যাজিস্ট্রেট বা সরকারের কোনো প্রতিনিধির সম্মুখে সম্পাদিত এবং তাহাঁদের দ্বারা যথার্থতা প্রমাণিত আম-মোক্তারনামা ।

তবে নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণকে আম-মোক্তারনামা সম্পাদনার্থে কোনো রেজিস্ট্রি অফিস বা কোর্টে (ক) এবং (খ) দফার বর্ণনা, অনুযায়ী উপস্থিত হইবার প্রয়োজন হইবে না ।

(i) যেই সমস্ত ব্যক্তি শারীরিক অক্ষমতাহেতু কোনো বিপদ বা সাংঘাতিক অসুবিধা এড়াইয়া ঐরূপ উপস্থিত হইতে অসমর্থ;

(ii) যেই সমস্ত ব্যক্তি ফৌজদারী বা দেওয়ানী আইনের বিধানে জেলে আবদ্ধ, এবং

(iii) যেই সমস্ত ব্যক্তি আইন অনুযায়ী আদালতে হাজির হইতে রেহাই প্রাপ্য ।

উপধারা-(২) ঐ সমস্ত ব্যক্তির বেলায় ক্ষেত্রবিশেষের রেজিস্ট্রি সাব-রেজিস্ট্রার বা ম্যাজিস্ট্রেট যদি সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত আম-মোক্তারনামা স্বেচ্ছায় আম-মোক্তানামা সম্পাদন করিয়াছেন, তবে তাঁহার ব্যক্তিগত হাজিরা ছাড়াই উক্ত আম-মোক্তারনামা সহিমোহরযুক্ত করিতে পারিবেন ।

উপধারা-(৩) স্বেচ্ছায় সম্পাদিত হইয়াছে কিনা, ইহার সাক্ষ্য লইবার জন্য রেজিস্ট্রার সাব-রেজিস্ট্রার অথবা ম্যাজিস্ট্রেট আম-মোক্তারনামাদাতা বলিয়া কথিত ব্যক্তির বাসস্থানে কিংবা যদি জেলে আবদ্ধ থাকেন, তাহা হইলে সেই জেলে নিজে যাইয়া তাঁহার জবানবন্দি গ্রহণ করিতে পারেন অথবা তাঁহার জবানবন্দি গ্রহণ করিবার জন্য কমিশন করিতে পারেন ।

উপধারা-(৪) যখন কোনো আম-মোক্তারনামা পূর্ববর্ণিত ব্যক্তি এবং কোর্টের সম্মুখে সম্পাদিত হইয়াছে বা তাঁহাদের দ্বারা যথার্থতা প্রমাণিত বলিয়া পরিস্কার বুঝা যায়, তখন উহা দাখিল করিলেই প্রমাণিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং অতিরিক্ত কোনো প্রমাণের প্রয়োজন হইবে না ।

ধারা-৩৪ (রেজিস্ট্রিকরণের পূর্বে রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের তদন্ত)

উপধারা-(১) এই অধ্যায়ের বিধানসমূহে এবং ৪১, ৪৩, ৪৫, ৬৯, ৭৫, ৭৭, ৮৮ এবং ৮৯ ধারার বিধান সাপেক্ষে এই আইন অনুযায়ী কোনো দলিল রেজিস্ট্রি করা হইবে না, যদি উক্ত দলিলের সম্পাদনকারী বা পূর্ববর্ণিত পদ্ধতিতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো প্রতিনিধি, মনোনীত ব্যক্তি বা এজেন্ট দলিল দাখিল করিবার জন্য ২৩, ২৪, ২৫ এবং ২৬ ধারায় অনুমোদিত সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রি অফিসারের নিকট হাজির না হন ।

    তবে শর্ত থাকে যে, ঐরূপ ব্যক্তিগণ বিশেষ প্রয়োজন বা অনিবার্য কারণে উপস্থিত না হইতে পারেন, তবে রেজিস্ট্রার, যেইক্ষেত্রে উপস্থিত হইবে ৪ মাসের বেশি বিলম্ব না হইয়াছে, সেইক্ষেত্রে যথাযথ রেজিস্ট্রিকরণ ফিসের অনুর্ধ্ব ১০ গুণ জরিমানা এবং ২৫ ধারায় বর্ণিত অতিরিক্ত জরিমানা যদি কিছু হয়, ধার্য করিয়া দলিল-পত্রাদি রেজিস্ট্রি করিতে পারেন ।

উপধারা-(২)  (ক) উপধারা মোতাবেক হাজিরা একই সময়ে বা বিভিন্ন সময়ে হইতে পারে ।

উপধারা-(৩) উহার পরে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার-

(ক) ঐরূপ দলিল পত্রাদি সম্পাদনকারী বলিয়া কথিত ব্যক্তিগণের দ্বারা সম্পাদিত হইয়াছে কিনা, উহার খোঁজ-খবর লইবেন;

(খ) তাঁহার সম্মুখে উপস্থিত ব্যক্তির পরিচয় সম্বন্ধে এবং তাহাদের দলিল সম্পাদন সম্পর্কে নিজে সন্তুষ্ট হইবেন;

(গ) তাঁহার সম্মুখে উপস্থিত কোনো প্রতিনিধি মনোনীত ব্যক্তি বা এজেন্টের উক্তরূপ উপস্থিত হইবার অধিকার সম্বন্ধে নিঃসন্দেহ হইবেন ।

উপধারা-(৪) (ক) উপধারায় বর্ণিত নির্দেশের জন্য দরখাস্ত সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট করিতে হইবে, যিনি উহা তাঁহার সঙ্গে প্রযোজ্য হইবে না ।

ধারা-৩৫ (দলিল সম্পাদনে স্বীকৃতি এবং অস্বীকৃতি সম্পর্কিত পদ্ধতি)

উপধারা-(১) (ক) রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের সম্মুখে যদি দলিল সম্পাদনকারী ব্যক্তিগণ স্বয়ং উপস্থিত হয় এবং তাহারা রেজিস্ট্রারের নিকট ব্যক্তিগত ভাবে পরিচিত হয় অথবা তিনি যদি অন্য কোনো প্রকারে সন্তুষ্ট হন যে, তাহারাই প্রকৃত ব্যক্তি এবং তাহারা সকলে যদি উক্ত দলিলের সম্পাদন তাহাদের দ্বারা হইয়াছে বলিয়া স্বীকার করে, অথবা

(খ) যদি কোনো ব্যক্তি তাহার প্রতিনিধি বা মনোনীত ব্যক্তি বা এজেন্ট দ্বারা হাজিরা দেয় এবং উক্ত ব্যক্তিগণ যদি দলিল সম্পাদন স্বীকার করে; অথবা

(গ) সম্পাদনকারী ব্যক্তি মৃত হইলে তাহার প্রতিনিধি বা মনোনীত ব্যক্তি রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের নিকট হাজির হইয়া যদি দলিল সম্পাদন স্বীকার করে, তবে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার ৫৮ হইতে ৬৯ ধারা নির্দেশ মোতাবেক উক্ত দলিল রেজিস্ট্রি করিবেন ।

উপধারা-(২) রেজিস্ট্রিকারী অফিসার সেই সমস্ত ব্যক্তি তাঁহার সম্মুখে হাজির হইয়াছে তাহাদের প্রকৃত পরিচয় সম্পর্কে নিজের সন্তুষ্টির জন্য অথবা এই আইনের অভিপ্রায় অনুযায়ী অন্য কোনো উদ্দেশ্যে তাহাদের যে-কোনো একজনের জবানবন্দি গ্রহণ ও পরীক্ষা করিতে পারেন ।

উপধারা-(৩) (ক) যাহার দ্বারা উক্ত দলিল সম্পাদিত হইয়াছে বলিয়া মনে হয় এইরূপ কোনো ব্যক্তি যদি দলিল সম্পাদন অস্বীকার করে, অথবা

(খ) রেজিস্ট্রিকারী অফিসারের সম্মুখে উপস্থিত কোনো ব্যক্তিকে যদি নাবালক, আহাম্মক বা উন্মাদ বলিয়া মনে হয়; অথবা

(গ) সম্পাদনকারী ব্যক্তি মৃত হইলে তাহার প্রতিনিধি বা মনোনীত ব্যক্তি এ দলিল সম্পাদন অস্বীকার করে,

তবে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার উক্ত অস্বীকারকারী, উপস্থিত বা মৃত ব্যক্তি সম্পর্কিত দলিল রেজিস্ট্রি করিতে অস্বীকার করিবেন । অবশ্য উক্ত অফিসার যদি রেজিস্ট্রার হন, তবে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার দ্বাদশ পরিচ্ছেদে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিবেন ।

    তবে শর্ত থাকে যে, সরকার সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি দিয়া ঘোষণা করিতে পারেন যে, উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত কোনো সাব-রেজিস্ট্রার যেই সকল দলিলের সম্পাদন অস্বীকৃতি হইয়াছে, সেইগুলির ক্ষেত্রে এই উপধারা এবং দ্বাদশ পরিচ্ছেদের উদ্দেশ্যে রেজিস্ট্রার হিসাবে গণ্য হইবে ।

bbasujon:
সপ্তম খণ্ড

দলিল সম্পাদনকারী ও সাক্ষীগণকে হাজির হইতে বাধ্যকরণ সম্পর্কিত

ধারা-৩৬ (সম্পাদনকারী বা সাক্ষীগণের উপস্থিতি যেইক্ষেত্রে প্রয়োজন সেইক্ষেত্রে পদ্ধতি)

যদি কোনো ব্যক্তি রেজিস্ট্রিকরণযোগ্য কোনো দলিল হাজির করে বা উক্ত দলিলে কোনো প্রকার দাবিদার হয় এবং উপরিউক্ত দলিল রেজিস্ট্রিকরণের জন্য প্রয়োজনবোধে যদি অপর কোনো ব্যক্তিকে হাজির করিতে বা সাক্ষী দেওয়াইতে ইচ্ছা প্রকাশ করে, তবে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার ইচ্ছা করিলে এই মর্মে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী কোনো অফিসার বা কোর্টের নিকট উক্ত ব্যক্তিকে রেজিস্ট্রি অফিসে নিজে বা তাহার ক্ষমতা প্রাপ্ত এজেন্টকে হাজির হইতে সময় জারির জন্য অনুরোধ করিতে পারেন । সমনে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম, হাজির হইবার তারিখ ও সময় সম্পর্কে উল্লেখ থাকিবে ।

ধারা-৩৭ (অফিসার বা আদালত সমন দিবেন ও জারি করাইবেন)

উক্ত অফিসার বা কোর্ট এরূপ ক্ষেত্রে দেয় চাপরাশির ফি প্রাপ্ত হইলে উক্ত ব্যক্তিদের উপর যথাযথ সমন দিবেন এবং তাহা জারি করিবার ব্যবস্থা করিবেন ।

ধারা-৩৮ (রেজিস্ট্রি অফিসে হাজির হইতে রেহাই প্রাপ্ত ব্যক্তিবৃন্দ)

উপধারা-(১) (ক) কোনো ব্যক্তি শারিরিক অক্ষমতাহেতু কোনো বিপদ বা সাংঘাতিক অসুবিধা এড়াইয়া রেজিস্ট্রিকরণ অফিসে হাজির হইতে অসমর্থ হইলে; অথবা,

(খ) ফৌজদারী বা দেওয়ানী মামলা প্রসঙ্গে জেলে আবদ্ধ থাকিলে, অথবা,

(গ) আইন অনুসারে কোর্টে হাজির হওয়া হইতে রেহাই প্রাপ্ত হইলে, এবং

পরবর্তী শর্তাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে তাহাদের নিজেদের হাজিরার প্রয়োজন না হইলে তাহাদিগকে হাজির হইতে হইবে না ।

উপধারা-(২) ঐ সমস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার নিজে তাহাদের বাড়িতে অথবা যেই জেলে আবদ্ধ আছে সেখানে যাইবেন অথবা তাহার জবানবন্দি গ্রহণের জন্য কমিশন করিবেন ।

ধারা-৩৯ (সমন, কমিশন ও সাক্ষী সম্পর্কিত আইন)

দেওয়ানী মোকদ্দমায় সমন, কমিশন, সাক্ষীদের হাজির হইতে বাধ্যকরণ এবং তাহাদের প্রাপ্য সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সময়ের প্রচলিত আইন ইতিপূর্বে বর্ণিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে এই আইনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো সমন, কমিশন এবং হাজির হওয়ার জন্য সমনপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে হুবহু প্রযোজ্য হইবে

bbasujon:
অষ্টম খণ্ড

উইল এবং পোষ্যপুত্র গ্রহণের ক্ষমতাপত্র রেজিস্ট্রিকরণের জন্য দাখিল সম্পর্কিত

ধারা-৪০ (উইল এবং পোষ্যপুত্র গ্রহণের ক্ষমতাপত্র দাখিল করিবার অধিকারসম্পন্ন ব্যক্তিবৃন্দ)

উপধারা-(১) উইলকারী নিজে বা তাহার মৃত্যুর পর উইলে 'একজিকিউটর' হিসাবে বা অন্য প্রকারের দাবিদার হিসাবে কোনো ব্যক্তি উক্ত উইল রেজিস্ট্রিকরণের জন্য কোনো রেজিস্ট্রার বা সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে পারেন ।

উপধারা-(২) পোষ্যপুত্র গ্রহণের ক্ষমতা প্রদানকারী অথবা ক্ষমতা প্রদত্ত ব্যক্তি অথবা পোষ্যপুত্র নিজে উক্ত ক্ষমতাপ্রাপত্র রেজিস্ট্রিকরণের জন্য কোনো রেজিস্ট্রার বা সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট দাখিল করিতে পারেন ।

 

ধারা-৪১ (উইল এবং পোষ্যপুত্র গ্রহণের ক্ষমতাপত্র রেজিস্ট্রিকরণ)

উপধারা-(১) উইল অথবা পোষ্যপুত্র গ্রহণের ক্ষমতাধর উইলকারী বা পোষ্যপুত্র গ্রহণের ক্ষমতা প্রদানকারী কতৃর্ক দাখিলকৃত হইলে অন্যান্য দলিলপত্রের মতই রেজিস্ট্রি করিতে হইবে ।

উপধারা-(২) দাখিল করিতে অধিকারী অন্য কোনো ব্যক্তি কতৃর্ক উইল বা পোষ্যপুত্র গ্রহণের ক্ষমতাপত্র দাখিলকৃত হইলে রেজিস্ট্রিকারী অফিসার যদি নিম্নলিখিত বিষয়ে সন্তুষ্ট হন যে,-

    (ক) উইল বা পোষ্যপুত্র গ্রহণের ক্ষমতাপত্র উইলকারী বা ক্ষমতাদাতা কতৃর্ক সম্পাদিত হইয়াছে;

    (খ) উইলকারী বা পোষ্যপুত্র গ্রহণের ক্ষমতা প্রদানকারী সত্য সত্যই মৃত;

    (গ) ৪০ ধারা মোতাবেক দাখিল করিতে অধিকারী ব্যক্তি দ্বারাই উক্ত উইল বা পোষ্যপুত্র গ্রহণের ক্ষমতাপত্র দাখিল করা হইয়াছে, তবে উহা রেজিস্ট্রিকৃত হইবে  ।

bbasujon:
নবম খণ্ড
উইল জমা রাখা সম্পর্কে

ধারা-৪২ (উইল জমা দেওয়া)

উপধারা-(১) কোনো উইলকারী বা নিজে তাঁহার যথাযথ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো এজেন্ট দ্বারা তাঁহার উইল খামে-বন্ধ ও সীল-মোহরযুক্ত করিয়া কোনো রেজিস্ট্রারের নিকট জমা রাখিতে পারেন । উক্ত খামের উপর তাঁহার নাম ও তাঁহার এজেন্টদের নাম (যদি কেহ থাকে) এবং উহা কি প্রকারের দলিল, উহার উল্লেখ থাকিবে ।

ধারা-৪৩ (উইল জমা দেওয়ার পরবর্তী পদ্ধতি)

উপধারা-(১) উক্ত খাম পাইবার পর রেজিস্ট্রার যদি সন্তুষ্ট হন যে, গচ্ছিতকারী ব্যক্তিই উইল সম্পাদনকারী কিংবা তাঁহার এজেন্ট, তাহা হইলে তিনি উপরিউক্ত খামের উপর লিখিত বিষয়বস্তু হুবহু নকল ৫নং রেজিস্ট্রার বহিতে রাখিবেন এবং ঐ বহিতে ও উক্ত খামের উপর দাখিল করা ও জমা লইবার সময়, দিন, মাস ও বছর, যেই ব্যক্তি উইল সম্পাদনকারী বা তাহার এজেন্টকে সনাক্ত করিতেছেন তাহার নাম এবং সীলের উপর গঠনযোগ্য কিছু লিখিত থাকিলে তাহা লিখিয়া রাখিবেন ।

উপধারা-(২) অতঃপর রেজিস্ট্রার তাঁহার অগ্নিনিরোধক বাক্সে উক্ত সীলমোহর যুক্ত খাম আবদ্ধ করিয়া রাখিবেন ।

ধারা -৪৪ (৪২ ধারা অনুযায়ী জমাকৃত সীলমোহরযুক্ত লেফাফা প্রত্যাহার)

    উইলকারী যদি জমা-রাখার খাম ফিরাইয়া লইতে চান, তবে তিনি নিজে বা তাঁহার ক্ষমতাপ্রাপ্ত এজেন্ট জমা গ্রহণকারী রেজিস্ট্রারের নিকট আবেদন করিতে পারেন । রেজিস্ট্রার যদি সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনকারীই উইল সম্পাদনকারী বা তাঁহার এজেন্ট, তাহা হইলে তিনি উক্ত খাম ফিরাইয়া দিবেন ।

ধারা-৪৫ (জমাকারী ব্যক্তির মৃত্যুর পরবর্তী কার্যক্রম)

উপধারা-(১) ৪২ ধারা মোতাবেক সীলমোহরযুক্ত 'খাম' গচ্ছিত রাখিয়াছেন এমন কোনো উইল সম্পাদনকারীর মৃত্যুর পরে উক্ত উইল খুলিবার জন্য যদি জমা গ্রহণকারী রেজিস্ট্রারের নিকট কেহ আবেদন করেন এবং রেজিস্ট্রার যদি উইল সম্পাদনকারীর মৃত্যু সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হন, তবে আবেদনকারীর সম্মুখে উক্ত খাম খুলিবেন এবং আবেদনকারীর খচরে ৩নং বহিতে উক্ত উইলের বিষয়বস্তু নকল করাইবেন এবং গচ্ছিত উইল উইলকারীর মনোনীত ব্যক্তি বা তাহার প্রতিনিধির নিকট অর্পণ করিবেন ।

উপধারা-(২) গচ্ছিত উইল বিষয়ে উইলকারী বা অন্য কোনো ব্যক্তি কতৃর্ক ৪৪ ধারা বা একই ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী যদি কোনো পদক্ষেপ গৃহিত না হয়, তাহা হইলে ঐ উইল বা গচ্ছিত খাম বিলিবন্দোবস্ত বিষয়ে অতঃপর যে বিধান দেওয়া হইয়াছে, রেজিস্ট্রারে তাহা অনুসরণ করিবেন ।

ধারা-৪৬ (কতিপয় আইন এবং আদালতের ক্ষমতা সংরক্ষণ)

উপধারা-(১) ইতিপূর্বে বর্ণিত অত্র আইনের কোনো বিধান ১৯২৫ সালের উত্তরাধিকার আইনের কোনো বিধানকে বা উইল হাজির করিবার আদেশ দিতে কোর্টের ক্ষমতা ক্ষুন্ন করিবে না ।

উপধারা-(২) উক্তরূপ কোনো আদেশ হইলে এবং ৪৫ ধারা মোতাবেক উইলের কোনো নকল পূর্বেই করা না হইয়া থাকিলে রেজিস্ট্রার খাম খুলিবেন এবং ৩ নং বহিতে উইলের নকল করাইবেন এবং উক্ত নকলে উপরিউক্ত আদেশ অনুসারে মূল দলিল কোর্টে লওয়া হইয়াছে বলিয়া মন্তব্য রাখিবেন ।

ধারা-৪৬-ক( উইলসূহ ধ্বংস করিয়া ফেলা)

 উপধারা-(১) ১৯৬২ সালের রেজিস্ট্রিকরণ (সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স বলবত্‍ হওয়ার সময় যে উইল রেজিস্ট্রারের নিকট জমা ছিল এবং তত্পর যে উইল জমাকৃত হইয়াছে, সেই সকল উইল অতঃপর বর্ণিত পদ্ধতিতে ধ্বংস করিয়া ফেলা হইবে, যদি-না ধ্বংস করিবার পূর্বে উক্ত উইল রেজিস্ট্রিকৃত হয় ।

উপধারা-(২) ১৯৬২ সালের রেজিস্ট্রিকরণ (সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স বলবত্‍ হওয়ার পরবর্তী বছরের পহেলা জুলাই এবং তত্পরবর্তী প্রতিবছর পহেলা জুলাই জমাকারী বা তাঁহার মনোনীত ব্যক্তির নিকট ডাকযোগে নোটিশ প্রেরণ করিয়া জমাকারীর হাল ঠিকানা জানিতে চাহিবেন এবং তদুত্তরে প্রাপ্ত ঠিকানা লেফাফার উপর ও রেজিস্ট্রার বহিতে লিপিবদ্ধ করিবেন ।

উপধারা-(৩) অনুরূপ নোটিশ প্রদানের ফলে বা অন্য কোনোরূপে রেজিস্ট্রার যদি সন্তুষ্ট হন যে উইলকারীর মৃত্যু হইয়াছে তবে রেজিস্ট্রার তাঁহার খাতাপত্রে উইলকারীর মৃত্যুর কথা লিপিবদ্ধ ও যেই তথ্যের ভিত্তিতে উহা করা হইল উহার প্রকৃতি লিপিবদ্ধ করিয়া একজন বিচার বিভাগীয় অফিসারের (মুনসেফ অপেক্ষা নিম্ন পদের নহে) উপস্থিতিতে লেফাফা খুলিবেন৷ অতঃপর উক্ত উইলের কোনো এ্যাক্সিকিউটর থাকিলে তাঁহার অফিসারদ্বয় উইলের সুবিধাভোগী অপর যেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে স্থির করিবেন তাহাদের নিকট উইলের অস্তিত্ব সম্পর্কে সংবাদ দিবেন এবং জানাইবেন যে, ছয় মাসের মধ্যে উইল রেজিস্ট্রার ব্যবস্থা করা না হইলে উহা ধ্বংস করিয়া ফেলা হইবে ।

উপধারা-(৪) নোটিশ-প্রদত্ত সময়ের সীমা অতিক্রান্ত হউক বা না হউক, ১৯১৭ সালের নথি ধ্বংসকরণ আইন (১৯১৭ সালের ৫নং আইন) অনুসারে উইল যথার্থই ধ্বংস না করা পর্যন্ত অনুরোধ জ্ঞাপনের অধিকারসম্পন্ন ব্যক্তির অনুরোধক্রমে উপযুক্ত খরচাদি গ্রহণে উইল রেজিস্ট্রি করা যাইবে ।

bbasujon:
নবম খণ্ড
উইল জমা রাখা সম্পর্কে

ধারা-৪২ (উইল জমা দেওয়া)

উপধারা-(১) কোনো উইলকারী বা নিজে তাঁহার যথাযথ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো এজেন্ট দ্বারা তাঁহার উইল খামে-বন্ধ ও সীল-মোহরযুক্ত করিয়া কোনো রেজিস্ট্রারের নিকট জমা রাখিতে পারেন । উক্ত খামের উপর তাঁহার নাম ও তাঁহার এজেন্টদের নাম (যদি কেহ থাকে) এবং উহা কি প্রকারের দলিল, উহার উল্লেখ থাকিবে ।

ধারা-৪৩ (উইল জমা দেওয়ার পরবর্তী পদ্ধতি)

উপধারা-(১) উক্ত খাম পাইবার পর রেজিস্ট্রার যদি সন্তুষ্ট হন যে, গচ্ছিতকারী ব্যক্তিই উইল সম্পাদনকারী কিংবা তাঁহার এজেন্ট, তাহা হইলে তিনি উপরিউক্ত খামের উপর লিখিত বিষয়বস্তু হুবহু নকল ৫নং রেজিস্ট্রার বহিতে রাখিবেন এবং ঐ বহিতে ও উক্ত খামের উপর দাখিল করা ও জমা লইবার সময়, দিন, মাস ও বছর, যেই ব্যক্তি উইল সম্পাদনকারী বা তাহার এজেন্টকে সনাক্ত করিতেছেন তাহার নাম এবং সীলের উপর গঠনযোগ্য কিছু লিখিত থাকিলে তাহা লিখিয়া রাখিবেন ।

উপধারা-(২) অতঃপর রেজিস্ট্রার তাঁহার অগ্নিনিরোধক বাক্সে উক্ত সীলমোহর যুক্ত খাম আবদ্ধ করিয়া রাখিবেন ।

ধারা -৪৪ (৪২ ধারা অনুযায়ী জমাকৃত সীলমোহরযুক্ত লেফাফা প্রত্যাহার)

    উইলকারী যদি জমা-রাখার খাম ফিরাইয়া লইতে চান, তবে তিনি নিজে বা তাঁহার ক্ষমতাপ্রাপ্ত এজেন্ট জমা গ্রহণকারী রেজিস্ট্রারের নিকট আবেদন করিতে পারেন । রেজিস্ট্রার যদি সন্তুষ্ট হন যে, আবেদনকারীই উইল সম্পাদনকারী বা তাঁহার এজেন্ট, তাহা হইলে তিনি উক্ত খাম ফিরাইয়া দিবেন ।

ধারা-৪৫ (জমাকারী ব্যক্তির মৃত্যুর পরবর্তী কার্যক্রম)

উপধারা-(১) ৪২ ধারা মোতাবেক সীলমোহরযুক্ত 'খাম' গচ্ছিত রাখিয়াছেন এমন কোনো উইল সম্পাদনকারীর মৃত্যুর পরে উক্ত উইল খুলিবার জন্য যদি জমা গ্রহণকারী রেজিস্ট্রারের নিকট কেহ আবেদন করেন এবং রেজিস্ট্রার যদি উইল সম্পাদনকারীর মৃত্যু সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হন, তবে আবেদনকারীর সম্মুখে উক্ত খাম খুলিবেন এবং আবেদনকারীর খচরে ৩নং বহিতে উক্ত উইলের বিষয়বস্তু নকল করাইবেন এবং গচ্ছিত উইল উইলকারীর মনোনীত ব্যক্তি বা তাহার প্রতিনিধির নিকট অর্পণ করিবেন ।

উপধারা-(২) গচ্ছিত উইল বিষয়ে উইলকারী বা অন্য কোনো ব্যক্তি কতৃর্ক ৪৪ ধারা বা একই ধারার (১) উপধারা অনুযায়ী যদি কোনো পদক্ষেপ গৃহিত না হয়, তাহা হইলে ঐ উইল বা গচ্ছিত খাম বিলিবন্দোবস্ত বিষয়ে অতঃপর যে বিধান দেওয়া হইয়াছে, রেজিস্ট্রারে তাহা অনুসরণ করিবেন ।

ধারা-৪৬ (কতিপয় আইন এবং আদালতের ক্ষমতা সংরক্ষণ)

উপধারা-(১) ইতিপূর্বে বর্ণিত অত্র আইনের কোনো বিধান ১৯২৫ সালের উত্তরাধিকার আইনের কোনো বিধানকে বা উইল হাজির করিবার আদেশ দিতে কোর্টের ক্ষমতা ক্ষুন্ন করিবে না ।

উপধারা-(২) উক্তরূপ কোনো আদেশ হইলে এবং ৪৫ ধারা মোতাবেক উইলের কোনো নকল পূর্বেই করা না হইয়া থাকিলে রেজিস্ট্রার খাম খুলিবেন এবং ৩ নং বহিতে উইলের নকল করাইবেন এবং উক্ত নকলে উপরিউক্ত আদেশ অনুসারে মূল দলিল কোর্টে লওয়া হইয়াছে বলিয়া মন্তব্য রাখিবেন ।

ধারা-৪৬-ক( উইলসূহ ধ্বংস করিয়া ফেলা)

 উপধারা-(১) ১৯৬২ সালের রেজিস্ট্রিকরণ (সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স বলবত্‍ হওয়ার সময় যে উইল রেজিস্ট্রারের নিকট জমা ছিল এবং তত্পর যে উইল জমাকৃত হইয়াছে, সেই সকল উইল অতঃপর বর্ণিত পদ্ধতিতে ধ্বংস করিয়া ফেলা হইবে, যদি-না ধ্বংস করিবার পূর্বে উক্ত উইল রেজিস্ট্রিকৃত হয় ।

উপধারা-(২) ১৯৬২ সালের রেজিস্ট্রিকরণ (সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স বলবত্‍ হওয়ার পরবর্তী বছরের পহেলা জুলাই এবং তত্পরবর্তী প্রতিবছর পহেলা জুলাই জমাকারী বা তাঁহার মনোনীত ব্যক্তির নিকট ডাকযোগে নোটিশ প্রেরণ করিয়া জমাকারীর হাল ঠিকানা জানিতে চাহিবেন এবং তদুত্তরে প্রাপ্ত ঠিকানা লেফাফার উপর ও রেজিস্ট্রার বহিতে লিপিবদ্ধ করিবেন ।

উপধারা-(৩) অনুরূপ নোটিশ প্রদানের ফলে বা অন্য কোনোরূপে রেজিস্ট্রার যদি সন্তুষ্ট হন যে উইলকারীর মৃত্যু হইয়াছে তবে রেজিস্ট্রার তাঁহার খাতাপত্রে উইলকারীর মৃত্যুর কথা লিপিবদ্ধ ও যেই তথ্যের ভিত্তিতে উহা করা হইল উহার প্রকৃতি লিপিবদ্ধ করিয়া একজন বিচার বিভাগীয় অফিসারের (মুনসেফ অপেক্ষা নিম্ন পদের নহে) উপস্থিতিতে লেফাফা খুলিবেন৷ অতঃপর উক্ত উইলের কোনো এ্যাক্সিকিউটর থাকিলে তাঁহার অফিসারদ্বয় উইলের সুবিধাভোগী অপর যেই ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে স্থির করিবেন তাহাদের নিকট উইলের অস্তিত্ব সম্পর্কে সংবাদ দিবেন এবং জানাইবেন যে, ছয় মাসের মধ্যে উইল রেজিস্ট্রার ব্যবস্থা করা না হইলে উহা ধ্বংস করিয়া ফেলা হইবে ।

উপধারা-(৪) নোটিশ-প্রদত্ত সময়ের সীমা অতিক্রান্ত হউক বা না হউক, ১৯১৭ সালের নথি ধ্বংসকরণ আইন (১৯১৭ সালের ৫নং আইন) অনুসারে উইল যথার্থই ধ্বংস না করা পর্যন্ত অনুরোধ জ্ঞাপনের অধিকারসম্পন্ন ব্যক্তির অনুরোধক্রমে উপযুক্ত খরচাদি গ্রহণে উইল রেজিস্ট্রি করা যাইবে ।

Navigation

[0] Message Index

[#] Next page

[*] Previous page

Go to full version