Recent Posts

Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 10
41
দেশের বাজারে আসছে হুয়াওয়ে ওয়াচ ফিট


https://www.dolphin.com.bd/

বাংলাদেশের বাজারে নতুন স্মার্টওয়াচ আনছে হুয়াওয়ে। ওয়াচ ফিট নামের এই ঘড়িটি ১২ অক্টোবর থেকে হুয়াওয়ের অনুমোদিত বিক্রয় কেন্দ্রে পাওয়া যাবে। দেশের বাজারে এই ওয়াচ ফিটের দাম ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৯৯৯ টাকা।

হুয়াওয়ে ওয়াচ ফিটের ডিসপ্লে রাউন্ডেড রেক্টাঙ্গুলার। এর আকার ১.৬৪ ইঞ্চি। এতে অ্যামোলিড এইচডি ডিসপ্লে দেওয়া হয়েছে। এটি স্মার্টওয়াচ হলেও ডিভাইসটিতে ফিটনেসের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘুমের সময় কব্জিতে এই ওয়াচ পরে থাকলে ব্যবহারকারী হৃদস্পন্দন পর্যবেক্ষণ করবে। হার্ট রেট পরিমাপের জন্য হুয়াওয়ের নিজস্ব ট্রুসিন ৪ দশমিক শূন্য এবং ট্রুস্লিপ ২ দশমিক শূন্য প্রযুক্তির সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে। ঘুমের অবস্থা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, শ্বাস-প্রশ্বাসের গুণগতমান বিশ্লেষণ এবং রেস্টিং হার্ট রেট ও রক্তে অক্সিজেন প্রবাহসহ রিয়েল টাইম হার্ট রেট পর্যবেক্ষণ করবে। ডিভাইসটি থেকে ২৪ ঘণ্টায় হার্টরেটের একটি ইনফোগ্রাফিক ডাটা পাওয়া যাবে।

হুয়াওয়ের পরিবেশক স্মার্ট টেকনোলজিস বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশি গ্রাহকদের জন্য হুয়াওয়ে সব সময় চেষ্টা করে উদ্ভাবনী পণ্য দিয়ে গুণগতমান সম্পন্ন অভিজ্ঞতা দিতে। আমাদের সর্বশেষ পণ্য ওয়াচ ফিট তেমনই অভিজ্ঞতা দেবে গ্রাহকদের। আমরা সব সময় চেষ্টা করব দেশের গ্রাহকদের স্মার্ট লাইফ উপহার দিতে।’

ওয়াচটি ব্যবহারকারীকে পার্সোনাল ট্রেইনারের মতো স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দিক-নির্দেশনা দেবে। এর ইন্টেলিজেন্ট প্রযুক্তি ৪৪টি শারীরিক ভঙ্গি শনাক্ত করতে পারে। যার মাধ্যমে ১২টি আলাদা ওয়ার্কআউট পূরণ করা যাবে। গ্যাজেটটির স্ট্যান্ডআপ রিমাইন্ডার ব্যবহারকারীদের সব সময় অ্যাকটিভ রাখতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। ফলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। অন্যান্য ফিটনেস ফিচার হিসেবে আছে এনিমেটেড ফিটনেস কোর্স। ওয়াচটিতে অসংখ্য ভিন্নধর্মী ওয়াচ ফেস ডিজাইন অপশন রয়েছে। যা হুয়াওয়ের ওয়াচ ফেস স্টোর থেকে নামিয়ে নেওয়া যাবে।

স্মার্ট টেকনোলজির হুয়াওয়ের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শুভংকর গোলদার জনি বলেন, ‘হুয়াওয়ে ওয়াচ ফিট বাংলাদেশের বাজারে এই বাজেটের মধ্যে পাওয়া সেরা স্মার্টওয়াচ। এটি ব্যবহারকারীর কব্জিতে স্টাইল যুক্ত করার পাশাপাশি ব্যক্তিগত ফিটনেস প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করবে।’


Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/10/08/963558
42
Mac PC / ট্যাবলেটের হালচাল
« Last post by sabuj on October 11, 2020, 01:00:29 PM »
ট্যাবলেটের হালচাল


একসময় ল্যাপটপের বিকল্প হিসেবে উত্থান হয়েছিল ট্যাবলেট পিসি ওরফে ট্যাবের। প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলো বেশ নজর দিয়েছিল সেসব দিকে। কী অ্যানড্রয়েড, কী আইওএস অপারেটিং সিস্টেম—জনপ্রিয় হয়েছিল বেশ কিছু ট্যাবও। কিন্তু বড় পর্দার স্মার্টফোন এসে ট্যাবকে একপ্রকার হটিয়েই দিল বাজার থেকে। বিশ্বের বাজারেই বা কী অবস্থা ট্যাবের? খোঁজখবর নিয়ে জানাচ্ছেন এস এম তাহমিদ

২০১০ সালে বাজারে এসেছিল বিশ্বের প্রথম আইপ্যাড। তার মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল আধুনিক ট্যাবলেটের যুগ। এরপর অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেটের মাধ্যমে পুরোদমে বাড়তে শুরু করে এই বাজার। সঙ্গে যোগ হয় ব্ল্যাকবেরি ও পামওএসচালিত ট্যাবলেট, মাইক্রোসফটও উইন্ডোজচালিত সারফেস ট্যাবলেটের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় নাম লেখায়। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ছিল ট্যাবলেটের স্বর্ণযুগ। বছরে ২২ কোটিরও বেশি ইউনিট ট্যাবলেট কিনেছিল ব্যবহারকারীরা। সেই সময় স্মার্টফোনের ডিসপ্লের সাইজ ছিল ৩ থেকে ৪.৫ ইঞ্চি, ৭-৯ ইঞ্চি ডিসপ্লের ট্যাবলেটই ছিল চলার পথে খবর বা বই পড়ার জন্য আদর্শ। এরপর ধীরে ধীরে ফোনের আকৃতি বৃদ্ধি পেতে থাকে, স্যামসাং বাজারে নিয়ে আসতে থাকে গ্যালাক্সি নোট ও মেগা সিরিজের সব ট্যাবলেট। ফোনের দিকেই ঝুঁকে পড়ে ক্রেতারা, অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেটের বাজার প্রায় শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত টিকে যায় অ্যাপলের আইপ্যাড, মাইক্রোসফটের সারফেস সিরিজ এবং স্যামসাংয়ের অ্যানড্রয়েডকে আমূল বদলে নিজস্ব সংস্করণে তৈরি গ্যালাক্সি ট্যাব।

যেখানে আজ ল্যাপটপের ওজন এক কিলোগ্রামেরও কম, তার মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে ১০ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ ও টাচস্ক্রিন, সেখানে ট্যাবলেট আলাদা করে কেনার প্রয়োজনীয়তা নেই বললেই চলে। বই পড়তে হলে ই-বুক রিডার কেনাই শ্রেয়, আর বাকি কাজের জন্য স্মার্টফোন তো আছেই। ফলে ট্যাবলেট নির্মাতাদের নতুন করে ভাবতে হয়েছে কিভাবে তাদের ডিভাইসগুলো আকর্ষণীয় করে তোলা যায়। দ্রুতই স্যামসাং এবং পরবর্তী সময়ে মাইক্রোসফট আবিষ্কার করে, ট্যাবলেটের ডিসপ্লেতে স্টাইলাস বা পেন ব্যবহারের সুবিধা দিলে শিল্পীরা তাঁদের ক্যানভাস হিসেবে ট্যাবলেট ব্যবহার করতে পছন্দ করছেন। ফলে জন্ম নেয় গ্যালাক্সি ট্যাব নোট এবং বর্তমানে এস সিরিজ, মাইক্রোসফট সারফেস প্রো সিরিজের জন্য তৈরি করে সারফেস পেন এবং একসময় অ্যাপলও তাদের স্টাইলাস বর্জনের নীতি বাদ দিয়ে অ্যাপল পেন্সিলের ব্যবহার শুরু করে আইপ্যাডে। ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহারের জন্য ডিসপ্লে সাইজ বাড়িয়ে ১০ থেকে ১৩ ইঞ্চি করা হয়, মাইক্রোসফট তৈরি করে ১৫ ইঞ্চি ট্যাবলেট-ল্যাপটপ হাইব্রিড।

তবে শুধু শিল্পীরাই নন, শিশু ও বৃদ্ধদেরও পছন্দ বড়সড় ডিভাইস—সেটা দ্রুতই অ্যামাজন আবিষ্কার করে। যার ফলে তারা বাজারে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি শুরু করে তাদের ফায়ার ট্যাবলেট। ছোটখাটো গেম খেলা, শিক্ষামূলক ও কার্টুন ভিডিও দেখা থেকে শুরু করে ঘরের স্মার্ট ডিভাইস নিয়ন্ত্রণ এবং পুরো পরিবারের ভিডিও কলের যন্ত্র হিসেবে ফায়ার ট্যাবলেট সবার মনে স্থান করে নেয়। অবশ্য আজ সেই স্থানটির জন্য লেনোভো, গুগল ও নেস্ট মিলে ব্যাটারিহীন, সরাসরি বিদ্যুত্চালিত এবং সব সময়ই চালু ট্যাবলেট ডিভাইস তৈরি শুরু করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে স্মার্ট ডিসপ্লে। তবে এ ধরনের ডিভাইসকে ট্যাবলেট না বলে বরং ইন্টারঅ্যাকটিভ টেলিভিশন বলাই শ্রেয়। স্যামসাং এ বাজারের জন্য ‘গ্যালাক্সি ভিও’ নামের একটি ট্যাবলেট তৈরি করেছিল, যার ডিসপ্লে ছিল ২২ ইঞ্চি, যা কি না ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেট। অবশ্য সেটি বাজার ধরতে পারেনি মোটেই।

তবে এসব ব্যবহারের ফলে ট্যাবলেট বাজার একেবারে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যায়। প্রতিবছর এখনো ১০ কোটি থেকে ১৫ কোটি ইউনিট ট্যাবলেট বিক্রি হয়ে থাকে, যদিও তার মধ্যে অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেটের সংখ্যা বেশ কম আর অর্ধেকের বেশি বাজার আইপ্যাডের দখলে। অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেটের বাজারের বেশির ভাগ দখল করে আছে স্যামসাং, এর পরই আছে লেনোভো এবং তারপর হুয়াওয়ে। সারফেস এবং অন্যান্য উইন্ডোজ ট্যাবলেট ও হাইব্রিডের বাজারও একেবারে মন্দ নয়। অ্যামাজন ফায়ার সিরিজের ট্যাবলেটগুলোর বিক্রি আছে আইপ্যাড ও উইন্ডোজ ট্যাবলেটের মাঝামাঝি।

এ বছরের শুরুতেই বিশ্বের অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে কভিড-১৯। প্রতিটি দেশে চলছে লকডাউন, বাসায় বসে কাজ করছেন চাকরিজীবীরা, আর ছাত্র-ছাত্রীদের করতে হচ্ছে অনলাইনে দূরশিক্ষণ। ফলে প্রায় সারা দিনই ভিডিও কলে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে সবাইকে, যার জন্য ট্যাবলেট আদর্শ ডিভাইস। ফলে প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে ট্যাবলেট বিক্রি। তবে মজার বিষয়, অ্যাপলের বিক্রি আশানুরূপ বাড়েনি। উল্টো অ্যানড্রয়েড ও অ্যামাজন ট্যাবলেট বিক্রি বাড়ার ফলে অ্যাপলের বাজার ৫৬ শতাংশ থেকে ৪৮ শতাংশে নেমে এসেছে। সবচেয়ে বেশি বিক্রি বেড়েছে স্যামসাং ও অ্যাপলের, আর তৃতীয় অবস্থানে আছে মাইক্রোসফট এবং অন্য নির্মাতারা।

বিগত বছরগুলোতে ট্যাবলেট বাজারে প্রতিটি নির্মাতার বেশ কয়েক মডেলের ট্যাবলেট পাওয়া গেলেও ধীরে ধীরে বেশির ভাগ কম্পানিই ট্যাবলেট তৈরি থেকে সরে আসায় ক্রেতাদের পছন্দ অনেকটাই কমে গেছে। হুয়াওয়ে, স্যামসাং, লেনোভো ও অ্যামাজনের বাইরে আর তেমন কোনো নির্মাতা অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেট নিয়ে কাজ করছে না। যারা বাজেটের মধ্যে ট্যাবলেট খুঁজছে তাদের জন্য অ্যামাজন ফায়ার ৭, ফায়ার ৮ এইচডি ও ফায়ার ১০ এইচডি হতে পারে আদর্শ। হাইডেফিনিশন ডিসপ্লে, মাঝারি মানের পারফরম্যান্স এবং মাত্র চার হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু এই ট্যাবলেটগুলো শিশুদের জন্যও উপযোগী। কেননা প্লাস্টিক বডির এই ডিভাইসগুলো সহজে ভাঙার আশঙ্কা নেই, আবার দামে সাশ্রয়ী হওয়ায় নষ্ট হয়ে গেলেও বড় ক্ষতি হবে না। সমস্যা দুটি। প্রথমত, অ্যামাজন ট্যাবলেট দেশে সরাসরি বিক্রি হয় না এবং পাওয়া দুষ্কর। আর দ্বিতীয় সমস্যা, ট্যাবলেটগুলোতে গুগল প্লেস্টোর নেই। অ্যামাজন অ্যাপ স্টোরে থাকা অ্যাপের মধ্যেই ডিভাইসগুলো সীমাবদ্ধ।

স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব এস৬ লাইট ও ট্যাব এ হতে পারে বাজেট ক্রেতাদের জন্য আদর্শ। ট্যাবলেটগুলোর মূল্য ১২ হাজার টাকা থেকে শুরু, হাইডেফিনিশন ডিসপ্লে এবং কোয়াডকোর প্রসেসরসমৃদ্ধ ডিভাইসগুলো ভিডিও কল এবং ই-বুক ও ডকুমেন্ট পড়ার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। ডিভাইসগুলোর মধ্যে গুগল প্লেুেস্টার আছে এবং বাংলাদেশের বাজারে সহজেই পাওয়া সম্ভব। তবে গেম খেলা বা কোনো ধরনের ভারী কাজ করার জন্য ট্যাবলেটগুলো একেবারেই যথেষ্ট নয়। বিশেষ করে ট্যাব এ মডেলটিতে ১০৮০পি ডিসপ্লেও দেওয়া হয়নি, তাই ফুল এইচডি ভিডিও দেখেও মজা পাওয়া কষ্টকর।

ট্যাবলেটের বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয় মডেলগুলোর মূল্য নেহাত কম নয়। অ্যাপলের সপ্তম ও অষ্টম প্রজন্মের আইপ্যাড, তৃতীয় প্রজন্মের আইপ্যাড এয়ার ও আইপ্যাড প্রো মডেলগুলো এখনো ট্যাবলেটের বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয়, এর পরই আছে গ্যালাক্সি ট্যাব এস৭ এবং এস৭ প্লাস এবং মাইক্রোসফটের আছে সপ্তম প্রজন্মের সারফেস প্রো ও সারফেসবুক। প্রতিটি ট্যাবলেটের মূল্য ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু প্রতিটি ট্যাবলেটের ফিচার বাজেট ট্যাবলেটের চেয়ে অনেক এগিয়ে, অনেক ক্ষেত্রে এ ট্যাবলেটগুলো দিয়ে ল্যাপটপের কাজ সহজেই চালানো সম্ভব।

আইপ্যাডের ক্ষেত্রে আইপ্যাডওএস অন্য ট্যাবলেটের চেয়ে ডিভাইসগুলোকে এগিয়ে রেখেছে। চাইলেই একসঙ্গে দুই থেকে তিনটি অ্যাপ স্ক্রিন স্প্লিটের মাধ্যমে চালানো সম্ভব। আইপ্যাডের জন্য, বিশেষ করে টাচস্ক্রিনের জন্য উপযোগী করে তৈরি মাইক্রোসফট অফিস ও অ্যাডবি অ্যাপগুলো ল্যাপটপের বেশির ভাগ কাজই সহজে করার সুবিধা দিয়ে থাকে। আইপ্যাডের সঙ্গে ব্যবহারের জন্য কি-বোর্ডগুলো চমৎকার এবং সবচেয়ে বড় ফিচার অ্যাপল পেন্সিল। অত্যন্ত কম লেটেন্সির স্টাইলাসটি আঁকাআঁকি করার জন্য অদ্বিতীয়।

অ্যানড্রয়েড ট্যাবলেটের মধ্যে সেরা বলা যেতে পারে ‘গ্যালাক্সি ট্যাব এস৭ প্লাস’। সর্বশেষ ফ্ল্যাগশিপ প্রসেসর, প্রচুর র‌্যাম এবং বাজারের সেরা ডিসপ্লে-সংবলিত ডিভাইসগুলো ল্যাপটপের চেয়ে কোনো দিক দিয়ে কম নয়। সবচেয়ে বড় কথা, স্যামসাং ডেস্ক ইন্টারফেস ট্যাবলেটের মধ্যে একাধিক অ্যাপ একসঙ্গে চালানো খুবই সহজ। ট্যাবলেটের সঙ্গে থাকা কি-বোর্ড কাভার টাইপ করার জন্য খুবই কার্যকর, সঙ্গে আছে গ্যালাক্সি এস পেন ব্যবহার করে আঁকাআঁকি করার সুবিধা।

সারফেস সিরিজের ডিভাইসগুলোর ব্যাপার আলাদা। ইন্টেল প্রসেসরচালিত ট্যাবলেটগুলো পূর্ণাঙ্গ উইন্ডোজ চালাতে সক্ষম। তাই চাইলে ল্যাপটপ ও ডেস্কটপের সব সফটওয়্যার এতে চালানো সম্ভব। সঙ্গে আছে সারফেস পেন ব্যবহার করে ডিজাইন করার সুবিধা। সমস্যা একটিই, উইন্ডোজ টাচ ইন্টারফেসের জন্য ডিজাইন করা নয়।

দিনশেষে ট্যাবলেট কিনতে হলে মাঝারি মূল্যের গ্যালাক্সি ট্যাব বা অ্যাপলের আইপ্যাডই সবার পছন্দের তালিকায় থাকা উচিত।


Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/10/11/964344
43
৯০ মিনিটে করোনা সনাক্ত করবে এই যন্ত্র


https://www.dolphin.com.bd/

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে করোনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট পাওয়া সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। রিপোর্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত রোগীকে 'আক্রান্ত' বলা যাবে না। ততদিনে তিনি আরও অনেকের মাঝে ভাইরাস ছড়াতে পারেন। সমস্যা সমাধানে বিজ্ঞানীরা এমন একটি যন্ত্র তৈরি করেছেন, যেটি দ্রুত পরীক্ষা করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা যাবে মাত্র ৯০ মিনিটে। খবর বিবিসি বাংলার।

লন্ডনের ইমপিরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, ছোট্ট একটা কম্প্যুটার চিপ কীভাবে ল্যাবরেটরির কাজ করবে এবং করোনাভাইরাসের বর্তমান পরীক্ষায় সংক্রমণ শনাক্ত করে যে ফল পাওয়া যাচ্ছে এই পদ্ধতিও ঠিক একই ফল দেবে। পার্থক্য হলো এই যন্ত্র ফল দিতে সময় নেবে মাত্র ৯০ মিনিট। ইংল্যান্ডের আটটি হাসপাতাল এই যন্ত্র ব্যবহার করে করোনাভাইরাস বহনকারী রোগীদের সফলভাবে এবং দ্রুত শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

ডিএনএনাজ নামে একটি সংস্থা এই যন্ত্রটি তৈরি করছে। তারা বলছে, কেউ যদি গলা বা নাকের ভেতর থেকে সোয়াব বা নমুনা নিতে পারে, তাহলেই সে এই যন্ত্রটি ব্যবহার করতে পারবে। একটি নীল রংএর কাট্রিজ বা আধারের মধ্যে সোয়াবটা রাখতে হবে, যার ভেতর পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক আছে। আধারটি এরপর জুতার বাক্সের আকারের ছোট একটি যন্ত্রের ভেতর ঢুকিয়ে দিতে হবে, যে যন্ত্র ওই নমুনা বিশ্লেষণ করবে। ওই আধারটি একবার ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হবে।

বিসির বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সংবাদদাতা জেমস গ্যালাহার লিখেছেন, এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেট মাইক্রোবে। সেখানে বলা হয়েছে ৩৮৬ জনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা নমুনা ডিএনএনাজ কম্পানির যন্ত্র দিয়ে এবং পাশাপাশি প্রচলিত ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দুটি পরীক্ষার ফলাফল তুলনা করা হয়েছে।

ইমপিরিয়াল কলেজের অধ্যাপক গ্রেয়াম কুক বলেছেন, 'দুটি পরীক্ষার ফলাফল দেখা গেছে একইরকম, যা খুবই আশ্বস্ত হবার মত। বিশেষ করে যখন একটা নতুন প্রযুক্তি আপনি বাজারে আনার চেষ্টা করছেন তখন ফলাফলে তারতম্য না থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ," বলেছেন । অনেক পরীক্ষায় দেখা গেছে, হয়ত সেটা দ্রুত করা যাচ্ছে কিন্তু ফলাফল নির্ভরযোগ্য নয়, আবার কোনটায় ফলাফল নির্ভুল কিন্তু সময় লাগছে, কিন্তু এ ক্ষেত্রে দুটোই সফলভাবে অর্জিত হয়েছে।'

ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় যেখানে বলা হচ্ছে রোগীর ভাইরাস নেই, এই যন্ত্রের পরীক্ষাতেও সেই ফলই এসেছে। ল্যাব পরীক্ষা যেখানে বলছে রোগীর ভাইরাস আছে, দ্রুত সময়ের এই পরীক্ষা ৯৪% ক্ষেত্রে একই রেজাল্ট দিয়েছে। এখানে সমস্যা একটা রয়েছে। সেটা হল একটা বাক্স-যন্ত্র দিয়ে একবারে শুধু একটা নমুনাই পরীক্ষা করা সম্ভব। কাজেই কোন প্রতিষ্ঠান যদি একটি বাক্স ব্যবহার করে তাহলে সারা দিনে প্রায় ১৬টার বেশি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে না।

অধ্যাপক কুক বলেছেন, 'যেসব ক্ষেত্রে আপনার দ্রুত জানা প্রয়োজন কেউ সংক্রমিত কিনা এবং একটা দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া যেখানে জরুরি, সেখানে এই যন্ত্র খুবই উপযোগী হবে।' তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, গত সপ্তাহে এই যন্ত্র ব্যবহার করে একজন রোগী কোভিড-১৯ আক্রান্ত কিনা তা দ্রুত জানা সম্ভব হয়েছে এবং সাথে সাথে ডেক্সামেথাসোন এবং রেমডেসিভির ওষুধ দিয়ে তার চিকিৎসা শুরু করে দেয়া সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেছেন, এই যন্ত্র হাসপাতালগুলোর জন্য ভবিষ্যতে খুবই উপযোগী হবে। কারণ এটা ব্যবহার করে খুব দ্রুত তারা শনাক্ত করতে পারবে হাসপাতালে ভর্তি হতে আসা রোগী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নাকি তিনি সাধারণ ফ্লু বা শ্বাসযন্ত্রের অন্য ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বড় বড় জায়গায় যেখানে অনেক মানুষের সমাগম হবে সেখানে পরীক্ষার জন্য এই যন্ত্র হয়ত সঠিক হবে না। যেমন ফুটবল স্টেডিয়ামে। সেখানে হয়তো ৬০ হাজার দর্শক সমাগম হবে, সবাইকে পরীক্ষা করতে গেলে সেখানে ৬০ হাজার যন্ত্র প্রয়োজন হবে। কিন্তু ছোট ভেন্যুতে বা যেখানে অল্প লোক জড়ো হবে, সেখানে এই যন্ত্র অবশ্যই দ্রুত সংক্রমণ শনাক্ত করতে কার্যকর।

ইংল্যান্ডের অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারইক, যারা এই গবেষণার সাথে যুক্ত নয়, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক লরেন্স ইয়ং বলেছেন এই উদ্ভাবন 'সৃজনশীল' এবং কেউ ভাইরাস বহন করছেন কিনা তা দ্রুত জানতে পারলে সেটা রোগীর দ্রুত চিকিৎসার জন্য যেমন সহায়ক হবে, তেমনি ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতেও এটা খুবই সাহায্য করবে। তবে সব বিজ্ঞানীই বলেছেন এই যন্ত্র ছোট পরিমণ্ডলে উপকারী হবে। কিন্তু মারাত্মক এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকারগুলোকে গণহারে পরীক্ষার ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে হবে।


Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/09/18/956776
44
এক চার্জে ৪ দিন চলবে টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ার স্মার্টফোন


https://www.dolphin.com.bd/

দেশের বাজারে হংকং-ভিত্তিক মোবাইল ফোন নির্মাতা টেকনোর স্পার্ক সিরিজের সবশেষ সংযোজন স্মার্টফোন ‘টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ার’ নিয়ে এসেছে ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেড। ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার বিশাল ব্যাটারির টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ার ফোনটি ওশেন ব্লু এবং ক্লাউড হোয়াইট এই দুটি ট্রেন্ডি রঙে পাওয়া যাচ্ছে।

টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ার ফোনটিতে রয়েছে ৬০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার বিশাল ব্যাটারি। যা একবার পুরোপুরি চার্জে টানা ৪ দিন ব্যবহার করা এবং ৩৫ দিন স্ট্যান্ডবাই সুবিধা পাওয়া যাবে। এই স্মার্টফোনের বিশাল ব্যাটারি আপনাকে যেমন সঙ্গ দেবে তেমনি দীর্ঘ সময় ধরে ফোনটি দিয়ে কাজ, পড়াশোনা বা বিনোদনও উপভোগ করা যাবে। সীমিত বাজেটের মধ্যে সুবিশাল ব্যাটারি স্মার্টফোন কিনতে চাইলে টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ার হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।

ট্রানশান বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজওয়ানুল হক বলেন, বাংলাদেশের বাজারে টেকনো মোবাইল ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাই এবার প্রযুক্তিবান্ধব তরুণ প্রজম্মের সব রকম প্রয়োজন বুঝেই টেকনো নিয়ে এসেছে নতুন হ্যান্ডসেট স্পার্ক ৬ এয়ার। ফোনটিতে রয়েছে বিশাল ব্যাটারি ও বড় ডিসপ্লে। এ ছাড়া নতুন নতুন ফিচার এবং সাশ্রয়ী দামের কারণে স্পার্ক ৬ এয়ার ক্রেতাবান্ধব ফোন হয়ে উঠবে আশা করছি।

ফোনে ৯০.৬ অনুপাতের স্ক্রিন-টু-বডির ৭ ইঞ্চি বড় ডট নচ এইচডি+ডিসপ্লেও রয়েছে। যাতে ৭২০ বাই ১৬৪০ পিক্সেলের নেটিভ রেজ্যুলিউশন পাওয়া যাবে। বড় ডিসপ্লে হলেও ফোনটি অনেক আরামদায়ক। টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ারের ২জিবি+৩২ জিবি সংস্করণের দাম ৯,৯৯০ টাকা এবং ৩জিবি+৬৪জিবি সংস্করণের দাম ১০,৯৯০ টাকা।

কোয়াড ফ্ল্যাশ লাইট সেটআপসহ ১৩এমপি এআই ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা রয়েছে। ১৩ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা সেন্সর ছাড়াও এতে একটি ২ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর ও একটি থার্ড এআই লেন্স। পেছনের ক্যামেরায় রয়েছে এফ ১.৮ অ্যাপারচার ও কোয়াড ফ্ল্যাশ লাইট সেটআপ। সেলফি তোলার জন্য টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ারে রয়েছে একটি ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা।

টেকনো স্পার্ক ৬ এয়ারে রয়েছে অক্টাকোর প্রসেসর এবং ৩ জিবি র‌্যাম ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ। ফোনটি কোয়াড কোর প্রসেসরের ২ জিবি র‌্যাম ও ৩২ জিবি রমের অন্য আরেকটি সংস্করণেও পাওয়া যাচ্ছে।

অ্যান্ড্রয়েড ১০ চালিত টেকনোর সবশেষ ফোনটিতে হাইওএস ৬.২ এ অডিও শেয়ার রয়েছে। মিউজিক উপভোগ, হোয়াটসঅ্যাপ কল রেকর্ড, স্ট্যাটাস সেভার, সার্ভার প্যানেল ভি ২.০, ওয়াইফাই শেয়ার ছাড়াও রয়েছে আরো অনেক সুবিধা। এতে স্ক্রিন বা ফোনকে স্পর্শ না করে কলগুলো রিসিভ করার সুবিধাও রয়েছে।


Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/09/27/959703
45
ল্যাপটপ থেকে ফ্রিজ- সব চলবে এই এক ডিভাইসে!

কোথাও হয়তো ঘুরতে গেছেন। সঙ্গে আছে প্রয়োজনীয় ল্যাপটপ থেকে শুরু করে হরেক রকম গ্যাজেট। এসব চার্জ করা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। এসবের জন্য তো আর ভাগে ভাগে এত আর পাওয়াব্যাংকও সঙ্গে নিয়ে ঘোরাঘুরি করা যাবে না। আর এ জন্য আছে ‘পাওয়ার স্টুডিও ৩০০’।

রেডিওয়ের মতো এই ডিভাইস দিয়ে ল্যাপটপ https://www.dolphin.com.bd/laptop.html থেকে শুরু করে ছোটখাটো ফ্রিজ পর্যন্ত চালানো যাবে।  দাম পড়বে ১৯৯ থেকে ৪১৯ ডলার।     

সূত্র : ম্যাশাবল


Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2020/09/29/960426
46
পুরনো ফোনটিকে বানিয়ে ফেলুন সিসি ক্যামেরা !!


স্মার্টফোনের দুনিয়ায় আগের পুরনো মোবাইলগুলো আর ব্যবহার করা হয় না। আবার প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে সব সময় হ্যাকিং আর পিশিং এর ভয়ে আসল চোরের কথা আমরা ভুলেই যাই। ঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আপনি পুরনো বাতিল ফোনটিকে সিকিউরিটি ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। পদ্ধতিগুলো জেনে নিন।

১. প্রথমেই প্রয়োজন একটি ফোন প্রয়োজন। এর সবকিছু নষ্ট থাকলেও ক্যামেরাটি ভালো থাকতে হবে। বাড়ির বাইরে যে স্থান দেখতে চান, তার দিকে তাক করে রাখুন মোবাইলের ক্যামেরাটি। ব্যস, হয়ে গেছে সিকিউরিটি ক্যামেরা।

২. যারা অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করেন, তারা 'সেলিয়েন্ আই' নামের অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন। দারুণ কাজের অ্যাপ। এটি আপনার ক্যামেরার ফ্রেমে যেকোনো নড়াচড়া ধরবে এবং মেসেজ করে তা পাঠিয়ে দেবে। এর সঙ্গে ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে হাতে থাকা ফোনটিতে সহজে মেসেজ দেখতে পারবেন।

৩. নতুন বা পুরনো আইফোন দিয়ে আরো বেশি সুবিধা পেতে পারেন। 'সেলিয়েন্ট আই' এর মতোই অ্যাপ রয়েছে আইফোনে। ক্যামেরায় নড়াচড়া ধরা পড়লে তা রেকর্ড করবে অ্যাপটি।

৪. নিরাপত্তার পরিধি আরো বাড়াতে চাইলে মোবাইল দিয়ে তেমন কাজ হবে না। কারণ, নির্দিষ্ট পরিসর মোবাইলের ক্যামেরায় ধরা পড়বে। আরো দূর পর্যন্ত দেখতে সিসি ক্যামেরা প্রয়োজন হবে। সূত্র : ফক্স নিউজ


Source: https://www.kalerkantho.com/online/info-tech/2015/01/25/179810
Video: https://www.facebook.com/banglafastactive/videos/267339614413498/
47
নেটফ্লিক্সের গ্রাহকদের ভ্যাট কাটা শুরু


নেটফ্লিক্সের মতো সম্প্রচারমাধ্যমের গ্রাহক হলে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপ হয়। ভ্যাট আইনে এই খাতে ভ্যাট আরোপ করা হয়। এত দিন এই খাতের গ্রাহকদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিল পরিশোধের সময় ভ্যাট কাটা হতো না। চলতি মাস থেকে এই সেবার ওপর ভ্যাট কাটা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকের কার্ডধারীদের কাছে মুঠোফোনে ভ্যাট কাটার খুদে বার্তা পাঠাচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো। সেখানে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী এ ধরনের সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।

ভ্যাট আইন অনুযায়ী, এস-০৪৩ সেবা কোডের আওতায় ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে। এই কোডের মাধ্যমে টেলিভিশন ও অনলাইন সম্প্রচারমাধ্যমে অনুষ্ঠান সরবরাহকারীদের সেবার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। এর ফলে নেটফ্লিক্সের মতো গ্রাহকেরা ভ্যাটের আওতায় এলেন। এখন থেকে প্রতি মাসে গ্রাহকের কার্ড থেকে বিল পরিশোধ করার সময় ভ্যাটও দিতে হবে। তাই এ ধরনের অনলাইন সাবস্ক্রিপশনে আগের চেয়ে খরচ বাড়ল। আপনার বিল যদি ১০০ টাকা হয়, তাহলে ব্যাংক আপনার কাছ থেকে ভ্যাটসহ ১১৫ কেটে রাখবে।
এনবিআরের এক কর্মকর্তা জানান, অনেক দিন ধরেই এই খাত থেকে ভ্যাট আদায়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। আদায় করা সম্ভব হয়নি।

Source: https://www.prothomalo.com/business/industry/%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%95%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%9F-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81

Website: https://www.dolphin.com.bd/
48
‘শেখ আবু তাহের’ এর মৃত্যুতে আমি নিবেদিত এক সদস্যকে হারিয়েছি


আমার জীবনের প্রথম নিয়োগকৃত টিম মেম্বার ‘শেখ আবু তাহের’, যিনি আমার ব্যবসা শুরুর প্রথম থেকেই আমার সাথে ছিলেন, তিনি আমাদেরকে ছেড়ে এই পৃথিবী থেকে চলে গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার এই আকস্মিক মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না কিন্তু আমরা জানি নিয়তির বিধানকে আমরা কেউ খন্ডাতে পারবো না। তিনি আজ আমাদের ছেড়ে চলে যাবার পর আমি অনুভব করতে পারলাম যে আবু তাহের সাহেব আমাদের ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রতি কত বড় অবদান রেখে গেছেন যা আমি কখনই অস্বীকার করতে পারবো না।

এই গোটা লকডাউন সময়টিতে তিনি বাড়িতে তার পরিবারের কাছে না গিয়ে অফিসেই অবস্থান করেছিলেন। কিছুদিন আগে লকডাউন খোলার পর তিনি বাড়িতে ফিরে যান আর এটিই বোধহয় তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। বাড়িতে যাবার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার পূর্বে থেকে ডায়বেটিকস ও কিছুটা অ্যাজমার সমস্যা ছিল। গতকাল সকালে তার শ্বাস-কষ্ট শুরু হলে তাকে চাঁদপুরে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেখানকার কোন হাসপাতাল তাকে ভর্তি করতে চায় না ফলে বাধ্য হয়ে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় কিন্তু ঢাকা আসার পথেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আমি যখন তার অসুস্থতার খবর পাই তখন আমি তার সাথের লোকদেরকে জানাই তাকে ঢাকায় নিয়ে আসতে এবং তার চিকিৎসার জন্য সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে, সেই সাথে আমি তাদেরকে এটাও নিশ্চিত করি যে তার যে কোন প্রয়োজনে যেন আমাকে সরাসরি জানানো হয় ও তার চিকিৎসায় যেন কোন প্রকার ত্রুটি না থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে আমি যখন তার মৃত্যুর খবর পাই তখন আমি সাথে সাথে স্তব্ধ হয়ে পড়ি। এমন একজন মানুষের মৃত্যু আমার কাছে কোন ভাবেই প্রত্যাশিত ছিল না এবং আমি কোন ভাবেই তা মেনে নিতে পারছিলাম না কারণ এই পৃথিবীতে আজকে আমার সফলতার পিছনে থাকা মানুষদেরকে যদি আমার স্বরণ করতে হয় তবে শেখ আবু তাহের নামটি অবশ্যই আসবে এবং আমি তার প্রতি আজীবন ঋণী।

আমি কেন তার প্রতি ঋণী, সেটি চিন্তা করতে গিয়ে আজ যখন তার স্মৃতি রোমান্থন করি, তখন ফিরে যাই সেই সময় গুলোতে যখন আমি আমার প্রথম ব্যবসা শুরু করেছিলাম। আমার মনে আছে, এরশাদের সময়ে যখন জরুরী অবস্থা ঘোষনা করা হয়েছিল তখন আমি ছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। জরুরী অবস্থার কারণে আমি যখন আমার আত্মীয়ের বাসায় ছিলাম, সেখানেই আমার সাথে পরিচয় হয় তাহের সাহেবের। তিনি তখন মাদ্রাসায় পড়াশোনা শেষ করে ঢাকায় চাকরী খুঁজছিলেন। তিনি আমাকে মামা বলে ডাকতেন। যেহেতু ছাত্রজীবন থেকেই আমার পরিকল্পনা ছিল ব্যবসা করার, তাই তিনি আমাকে একদিন বলেছিলেন “যদি কখনো ব্যবসা শুরু করেন, তবে আমার কথাটা একটু খেয়াল রেখেন। আমাকে একটা চাকরী দিয়েন”। সম্ভবত তিনি সেই সময় কথাগুলো আমাকে মজা করেই বলেছিলেন কিন্তু আমি পড়াশোনা শেষ করে যখন ব্যবসায় নামি ও অফিস বুক করি তখন সর্বপ্রথম আমার তার কথাই মনে পড়ে ও আমি সাথে সাথে তার সাথে যোগাযোগ করি। তিনি যখন আমার সাথে দেখা করতে আসেন, আমি তাকে বলি যে আমার একজন সাপোর্টিং মেম্বার লাগবে কিন্তু যেহেতু আমি নতুন ব্যবসা শুরু করছি তাই খুব বেশি বেতন আমি দিতে পারবো না। অফিসে থাকার ব্যবস্থা, খাওয়া ও কিছু পকেট খরচ আমি তাকে দিতে পারবো এবং পরবর্তীতে আস্তে আস্তে বেতন বাড়বে। আমার প্রস্তাব শুনে তিনি কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছাড়াই এক কথায় রাজি হয়ে গেলেন এবং সেই দিন থেকেই আমার সাথে কাজে লেগে গেলেন। আমার ঠিক মনে নেই, সেই দিনটি হবে ১৯৯০ সালের মে মাসের কোন একটি দিন এবং ঠিক সেদিন থেকে আজ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩০ বছর তিনি ড্যাফোডিল ফ্যামিলির সাথেই ছিলেন।

তখন আমার অফিসের ঠিকানা ছিল ১০১/এ গ্রিন রোড। সেখান থেকেই তাহের সাহেবকে নিয়ে শুরু হলো আমাদের ড্যাফোডিল এর যাত্রা। তখন আমি ব্যাচেলর হবার কারণে আমার প্রায় গোটা দিনটিই নির্ঘুম কাটতো অফিসে কাজ করতে করতে। আর সেই সময়টিতে আমার সর্বক্ষণের সাথী ছিল তাহের সাহেব। আমার চা খাওয়া, খাওয়া-দাওয়া বা অন্যান্য যে কোন বিষয় নিয়ে আমাকে কখনো চিন্তা করতে হয়নি। প্রতিটি মুহূর্তে এমন কোন সাপোর্ট নেই যা তার কাছ থেকে আমি বা প্রতিষ্ঠান পায়নি। তিনি তার চাকরীর প্রথম দিন থেকেই অফিসেই ঘুমাতেন এবং তখন থেকে এই ৩০টি বছর তিনি অফিসেই কাটিয়েছেন। অফিসই ছিল তার কাছে বাসা। তিনি যে তার ফ্যামিলি নিয়ে ঢাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকবেন, এমন কোন চিন্তাই কখনো তার মাথায় আসেনি। আমি নিজেই কয়েকবার তাকে বলেছিলাম ফ্যামিলি নিয়ে থাকতে কিন্তু তিনি উত্তরে শুধু আমাকে একটি কথাই বলেছিলেন যে তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অফিসেই থাকতে চান। আল্লাহ তার এই ইচ্ছাটি কবুল করেছেন। আমার মনে আছে, ১৯৯২ সালের শেষের দিকে যখন আমি একটি ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই তখন আমি বেশ কিছু সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম। ঠিক সেই সময় আমার অনেক টিম মেম্বার ড্যাফোডিল ছেড়ে চলে যায়। আবার তখন অনেকে ছিল যারা আমাকে ছেড়ে যায়নি এবং আজ পর্যন্ত তারা ড্যাফোডিল ফ্যামিলির সাথেই রয়েছে। তাহের সাহেব ছিলেন তাদেরই একজন। সেই সময়টিতে আমি একবার তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, তিনিও ড্যাফোডিল ছেড়ে চলে যাবেন কিনা। জবাবে তিনি বলেছিলেন, এই প্রতিষ্ঠানেই তিনি তার জীবনের শেষ পর্যন্ত কাটিয়ে দিতে চান। ঠিক একই কথা তিনি ১৯৯৮ সালের কোন একটি দিনেও কথা প্রসংগে আমাকে পুনরায় বলেছিলেন। যাইহোক, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে তাহের সাহেব আমাদের সাথে থাকতে থাকতে কখন যে আমাদেরই একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে গেছেন সেটি কখনো অনুভবই করিনি; কিন্তু আজ তিনি চলে যাবার পর বুঝতে পারছি কতটা শূণ্যস্থান সৃষ্টি হয়েছে তার মৃত্যুতে।

তাহের সাহেবের সাথে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ‘ড্যাফোডিল কম্পিউটারস’ এর বার্ষিক সাধারণ সভায় (AGM) তিনি কোরান তেলাওয়াত করতেন। তিনি যেহেতু মাদ্রাসায় পড়েছেন তাই আমরা যখন নামাজে দাঁড়াতাম তিনিই ইমামতি করতেন। তাহের সাহেব যখন তার ছেলেকে চাঁদপুর স্কুলে ভর্তি করান, তখন তিনি আমার কাছে এসেছিলেন পরামর্শ করার জন্য এবং আমিও তখন তাকে নিশ্চিন্ত করি যে তার ছেলেকে আমরা দেখে রাখবো। তিনি তার বড় মেয়ের বিয়ের সময় আমার কাছে আসেন তার মেয়ের বিয়ের আমন্ত্রন জানাতে। দুর্ভাগ্যবশত বিয়ের তারিখে আমার দেশের বাহিরে একটি জরুরী প্রোগ্রাম থাকায় আমি তার মেয়ের বিয়েতে উপস্থিত হয়ে তার অনুরোধ রাখতে পারিনি কিন্তু আমি আমার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি তার মেয়ের বিয়ে উপলক্ষ্যে আমার সকল প্রকার দ্বায়িত্ব পালন করতে। আমার সকল পুরনো বন্ধুরা তাহের সাহেবকে চিনতো। তারা যখনই আমার সাথে দেখা করতে আসতো; তারা সর্বদা তাহের সাহেবের কথা জিজ্ঞেস করতো যে, তিনি এখনো ড্যাফোডিলে আছেন কিনা। মনে পড়ে যেদিন আমরা অনেক বড় আয়োজন করে ড্যাফোডিল ফ্যামিলির যাত্রা শুরু করি, তখন প্রথম ‘ফ্যামিলি ডে’ তেই আমি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আমাদের প্রতিষ্ঠানের যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় টিম মেম্বার, তাদেরকে নানান রকম উপহার দিয়েছিলাম। তাহের সাহেবকে আমরা উপহার হিসেবে প্রতিষ্ঠান থেকে পবিত্র হজ্বে পাঠিয়েছিলাম। আল্লাহর প্রতি প্রার্থনা করছি, তিনি যেন তাহের সাহেবের হজ্বটি কবুল করে নেন এবং সেই সাথে আল্লাহ যে আমাকে এত বড় একটি অমূল্য সুযোগ দান করেছিলেন তাহের সাহেবকে হজ্বে পাঠানোর, সেই জন্য আল্লাহর নিকট আমি শোকরিয়া আদায় করছি।

আজ তাকে নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে হঠাৎ করেই মনে একটি খেয়াল আসলো যে, আমি কেন তাকে নিয়েই আমার প্রথম ব্যবসা শুরু করেছিলাম। কি এমন ছিল তার মধ্যে? তাহের সাহেবের ব্যবহার খুব ভাল ছিল। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তাম ও আত্মীয়ের বাসায় এসেছিলাম, তিনি ছিলেন আমার থেকে বয়সে ২/৩ বছর বড় কিন্তু তবুও আমার প্রতি তার ব্যবহার ছিল অত্যন্ত অমায়িক। তিনি খুব সহজ সরল ও হাসি খুশি মানুষ ছিলেন। তার চাহিদাও ছিল খুব অল্প এবং অল্পতেই খুশি থাকার এক অসাধারণ গূণ ছিল তার। ‘ড্যাফোডিল কম্পিউটারস’ এর প্রত্যেকের নিকট তিনি ছিলেন একজন গার্জিয়ান যিনি সকল বিপদে আপদে সবাইকে দেখে রাখতেন। আমার মনে আছে তিনি আমার সাথে অফিসে খুব কমই দেখা করতে আসতেন। হয়তো ২/৩ বছরে এক বার দেখা করতেন আর এখন যেহেতু আমি ‘ড্যাফোডিল কম্পিউটারস’ এ বসি না তাই তার সাথে আমার তেমন একটা দেখাও হত না। ঠিক ৪/৫ মাস আগে তার সাথে আমার শেষ দেখা হয়েছিল। তিনি আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি আমার সামনে সর্বদাই বেশ লাজুক আর হাস্যজ্জল থাকতেন। ঐ দিন আমি তাকে দেখে বেশ জলি ভাবেই বলেছিলাম, “কি তাহের সাহেব, কেমন আছেন?” তিনিও বেশ অমায়িকভাবে উত্তর দেন, “জ্বী স্যার ভালো। আপনি ভালো আছেন?”। আমি ফের তাকে বলেছিলাম, “আপনি আমার সাথে এত লজ্জা পান কেন? তাহের সাহেব, আপনি আর আমি কিন্তু এক সাথেই শুরু করেছিলাম। আপনার সাথে আমার অনেক স্মৃতি”। এই কথা শুনে তিনি শুধু হেসে বলেছিলেন, “থ্যাঙ্ক ইউ স্যার। আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ”।

তাহের সাহেব এমনই এক মানুষ ছিলেন যে তিনি আমাদের সাথে যোগদানের পর থেকে আজ পর্যন্ত আমাকে কখনই ‘ড্যাফোডিল কম্পিউটারস’ এর সিকিউরিটি নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি বা এ নিয়ে আমি কাউকে কখনো কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করিনি শুধু মাত্র তাহের সাহেবের সততা ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার ভালবাসার কারণে। আমরা সব সময় নিশ্চিন্ত ছিলাম এই ভেবে যে, তাহের সাহেব তো আছেন। তার মৃত্যুর পর তার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে গিয়ে জানলাম, তার পরিবার খুব চেয়েছিল যে তাহের সাহেব যেন ঈদে বাড়িতে যান এবং তাকে যখন ফোন করে বাড়িতে আসতে বলা হয় তখন তিনি শুধু বলেছিলেন যে অফিসের সব স্টাফরা ছুটিতে বাড়িতে আছে। অফিসে কেউ নেই তাই তিনি কিভাবে অফিস খালি রেখে চলে যাবেন? এই কারণে তিনি নিজে দ্বায়িত্ব নিয়ে অফিসে থেকে গেছেন অফিসের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে। একজন মানুষের কাছে তার পরিবারের থেকে দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য যে কতটা বড় সেটি তাহের সাহেবকে দেখে আমরা বুঝতে পারি। তাই আজ তার এই সকল স্মৃতি ও অবদান গুলো নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে আমি আমার মনে জেগে ওঠা প্রশ্নটির উত্তর পেয়ে যাই যে, কেন আমি তাকে আমার জীবনের প্রথম টিম মেম্বার হিসেবে নিয়োগ করেছিলাম।

তার মৃত্যুর পর স্বাভাবিকভাবেই অনেককে দেখলাম আমাকে মেসেজ পাঠাতে, ফেসবুকে তাকে নিয়ে লিখতে, ছবি পোস্ট করতে ইত্যাদী। কিন্তু আমার একবারও মনে হয়নি যে আমিও অন্যদের মত ফেসবুকে তাকে নিয়ে কিছু পোস্ট করি। আমার প্রথমেই মনে হয়েছে এমন অবস্থায় আমার প্রথম দ্বায়িত্বটা কি? আমার এই মুহূর্তে এখন ঠিক কি করা উচিত? অতঃপর তার মৃত্যুর খবর শোনার সাথে সাথে আমি তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে খোঁজ নেই যে তাহের সাহেবের এখন বর্তমান অবস্থান কোথায় ও তার সাথে তার পরিবারের কে কে আছে। জানতে পারলাম তার স্ত্রী সাথেই আছেন। তারা তখন তাহের সাহেবকে নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। আমি তার স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বললাম, তাকে স্বান্তনা দিলাম। তাহের সাহেবের ছেলে-মেয়েদের খোঁজ খবর নিলাম। আমি তার স্ত্রীকে নিশ্চিন্ত করলাম যে, যেহেতু তার ছেলেটি আমাদের প্রতিষ্ঠানেই আছে, সুতরাং আমি যতদিন বেঁচে আছি ও ড্যাফোডিল যতদিন টিকে আছে, ইনশাল্লাহ তার ছেলেকে আমরা দেখবো ও ভাল করে পড়াশোনা করাবো।

তারপর একজন মুসলমান হিসেবে আমি আমার যে দ্বায়িত্ব, সেটি পালন করলাম। আমি ২ রাকাত নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করলাম এবং আমরা যে তার মত একজন সৎ ও সুন্দর মনের একটি মানুষকে আমাদের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে পেয়েছি তার জন্য আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করলাম। সেই সাথে আল্লাহর কাছে নিজের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলাম কারণ একজন মানুষ আমার সাথে তার জীবনের দীর্ঘ ৩০ বছর কাজ করেছে, এই সময় গুলোতে হয়তো আমি নিজের অজান্তেই তার সাথে অনেক ভুল করেছি, অনেক সময় চাইলেও ভাল ব্যবহার করতে পারিনি, হয়তো আমার কোন কথা বা কাজে তিনি মনে কষ্ট পেয়েছেন কিন্তু প্রকাশ করেননি। যেহেতু আজ তার কাছে আমার ক্ষমা চাওয়ার কোন সুযোগ নেই, তাই আল্লাহ যেন আমাকে ক্ষমা করে দেন সেই সাথে তিনি যেন আবু তাহেরের সকল দোষ ত্রুটি ক্ষমা করে দিয়ে তাকে বেহেশত নসিব করেন।

অবশেষে বলতে চাই যে মানুষ হিসেবে আমাদের নিজ নিজ যে দ্বায়িত্বগুলো আছে সেগুলো আমাদেরকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করা উচিত। তাহের সাহেব যত দিন আমাদের মাঝে বেঁচে ছিলেন তিনি তার ৩০ বছরের প্রফেশনাল লাইফের একটি দিনও দ্বায়িত্বে অবহেলা করেননি। যার কারণে তিনি তার মৃত্যুর পরেও আমাদের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকবেন। তিনি তার কাজের প্রতি দ্বায়িত্বশীল ছিলেন বিধায় আমিও তার প্রতি আমার দ্বায়িত্ব ও কর্তব্যে অটল থেকেছি। আমি এখন সকলের উদ্দেশ্যে তাহের সাহেবকে নিয়ে লিখছি কিন্তু তার আগে আমি আমার দ্বায়িত্বগুলো পালন করেছি। তার পরিবার, ছেলে-মেয়ে ও তার মৃত্যু পরবর্তী সকল প্রকার অফিশিয়াল দায়-দ্বায়িত্ব সম্পর্কিত আমার যা যা করণীয়, আমি তা আমার সাধ্য মত করেছি। তাই সকলের উদ্দেশ্যে আমার শুধু একটি কথাই বলার আছে, প্রযুক্তির এই যুগে আমরা যত আপডেট ও আপগ্রেড হচ্ছি, আমরা ততই অনুভূতিশূণ্য হয়ে পড়ছি। আমরা আজ ভুলতে বসেছি আমাদের প্রিয় ও কাছের মানুষদের প্রতি আমাদের দ্বায়িত্ব-কর্তব্যের কথা। তাই যারা আমাদের সাথে আছেন তারা যেন ভালো থাকেন এবং যারা আজ আমাদের সাথে নেই তাদের পরিবার যেন ভালো থাকে, সেই চেষ্টাতেই যেন আমরা কাজ করে যাই, সকলের প্রতি এই হোক আমার প্রত্যাশা।
49
Internet / 3G update speed summary
« Last post by bbasujon on October 01, 2013, 12:38:37 PM »
অনেকের অনেকের হয়তো মাথায় ঘুরপাক
খাচ্ছে 3G, 3.5g, 3.9G এসব কি,
আসলে আমাদের দেশে 2G থেকে 3G প্রথম
তো তাই ঘুরপাক খাওয়া স্বাভাবিক
তবে জেনে অবাক হবেন পৃথিবীর
কয়েকটি দেশে ইতি মধ্য 4G বা LTE চালু হয়ে গিয়েছে, যাহোক 2G, 3G, 4G, LTE
প্রযুক্তি ও এর গতিসীমা নিয়ে কিছু তথ্য
আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল ।
3g :
► 2G = GSM (Global System for
Mobile) গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল
► 2.5G = GPRS (General Packet Radio
Service) জেনারেল প্যাকেট রেডিও সার্ভিস
* জিপিআরএস প্রতি সেকেন্ডে 56-114 kbit
ডাটা প্রদান করতে সক্ষম
► 2.75G = EDGE (Enhanced Data Rate
for GSM Evolution) উন্নত ডাটা রেট GSM বিবর্তনের জন্য
EDGE : প্রতি সেকেন্ডে 400kbit পর্যন্ত
ডাটা প্রদান করতে সক্ষম ।
► 3G = (Third Generation) তৃতীয়
প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা ।
যা WCDMA-(UMTS) প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়,
WCDMA = (Wideband Code Division
Multiple Access) ওয়াইডব্যান্ড কোড
ডিভিশন মাল্টিপল অ্যাকসেস
* যার গতি EDGE চেয়ে বেশী
► 3.5G HSDPA (High Speed Downlink Packet
Access) হাই স্পিড ডাউনলিংক প্যাকেট
অ্যাক্সেস ,
HSDPA এর মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে 7.2 Mbit
ডাটা পাওয়া সম্ভব
HSUPA (High Speed Uplink Packet Access) হাই স্পিড আপলিংক প্যাকেট এক্সেস
HSUPA প্রতি সেকেন্ডে 5.8 mbit আপলোড
স্পীড পাওয়া যায় ।
► 3.75G
HSPA (High Speed Packet Access) হাই
স্পিড প্যাকেট এক্সেস HSPA
প্রযুক্তিতে প্রতি সেকেন্ডে 21থেকে 28
mbit স্পিড পাওয়া সম্ভব
Lte :
► 3.8G, 3.85G, 3.9G (Pre-4G)
HSPA+ (Evolved High Speed Packet Access) প্রসূত হাই স্পিড প্যাকেট এক্সেস
HSPA+ প্রযুক্তিতে প্রতি সেকেন্ডে 168mbit
পর্যন্ত স্পিড পাওয়া সম্ভব ।
► 4G = (Fourth Generation) চতুর্থ
প্রজন্ম
LTE (Long Term Evolution) দীর্ঘ মেয়াদী বিবর্তন
LTE প্রযুক্তিতে প্রতি সেকেন্ডে 299.6 Mbit
পর্যন্ত গতি পাওয়া সম্ভব .
আপনি যদি 3G নেটওয়ার্ক এলাকায় অবস্থান
করেন তবে আপনার মোবাইলে 3g
লেখা দেখাবে, আপনি যদি 3.5g বা 3.75G নেটওয়ার্ক
এলাকায়
অবস্থান করেন তবে আপনার মোবাইলে H
লেখা দেখাবে, আর আপনি যদি 3.8G বা 3.9G
নেটওয়ার্ক এলাকায় অবস্থান করেন
তবে আপনার মোবাইলে H+ লেখা দেখাবে,
মানুষ মাত্রই ভুল থাকে আমার দেয়া তথ্যর
মাঝে কোথাও ভুল থাকলে অবশ্যই কমেন্টস
করে জানাবেন, আপডেট করে দিবো...
50
Social Network / Facebook block
« Last post by bbasujon on August 13, 2013, 10:08:52 AM »
এবার ফেসবুকের ব্লক ঠেকান**
অনেকের এ্যাকাউন্ট কোন
কারণ ছাড়াই block হচ্ছে।
এতে lock
খুলতে photo verification করতে হয়।
যা ৯৯ %
ক্ষেত্রেহয়না। যদি আপনার
এ্যাকাউন্টে এ রকম
জটিল
পরিস্তিতি থেকে রক্ষা করতে চান
তাহলে।নিচে ধাপ অনুসারন করুন।
১. Settings & privacy এ যান
২. Security এ যান
3. Secure Browsing টা disable a
clickকরেন।
৪. এখানে বেশ কিছু question আছে।
আপনার পছন্দ মত কোন প্রশ্ন বাছাই
করে তার উত্তর ঠিক
করেন। এবার password দিয়ে সেভ
করেন।
ব্যাস আপনার কাজ শেষ।
*****************
তবে আরেকটি উপায়ও কাজটি করা যায়।
১. Settings & privacy এ যান ২. Security
এ যান
৩. Trusted Contacts এ যান
৪. এখানে আপনার ৩-৫ টি বন্ধুকে add
করুন
(যারা Trusted friend )
৫. এবার password দিয়ে সেভ করেন।
আপনার account a কোন সমস্যা হলে ঐ
বন্ধুদের সাহায্য নিয়ে আবার account
ফিরে পাবেন।
Pages: 1 ... 3 4 [5] 6 7 ... 10