General Category > Law of Bangladesh

ওয়াকফ সংক্রান্ত আইন

<< < (2/2)

bbasujon:
ধারা-৭৫। ওয়াকফ তহবিলের হিসাবঃ

    প্রশাসক বিধির দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ওয়াকফ তহবিলের প্রাপ্তি ও প্রদানের হিসাব রাখিবেন এবং নিরীক্ষণের দ্বারা পরীক্ষার জন্য সময়ে দাখিল করিবেন ।

 

ধারা-৭৬।ওয়াকফ তহবিলের হিসাব নিরীক্ষাঃ

    (১) সরকার কর্তৃক নিযুক্ত নিরীক্ষক দ্বারা প্রতি বত্‍সর ওয়াকফ বহুদিনের হিসাব নিরীক্ষাও পরীক্ষা করিতে হইবে ।

    (২) নিরীক্ষক লিখিত নোটিশ দ্বারা তাহার সম্মুখে যে কোনো দলিল হাজির করিতে অথবা হিসাব প্রস্তুতের জন্য দায়ী কোনো ব্যক্তিকে তাহার সম্মুখে হাজির হইতে নির্দেশ দিতে পারিবেন যাহাতে তিনি নিরীক্ষা কার্য সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য তাহার প্রয়োজন মত তথ্যাদি সংগ্রহ করিতে সমর্থ হন ।

    (৩) নিরীক্ষা সমাপ্ত করিয়া নিরীক্ষক সরকারের নিকট রিপোর্ট দাখিল করিবেনঃ

    তবে শর্ত এই যে, নিরীক্ষক উপযুক্ত মনে করিলে অন্তর্বতীকালিন রিপোর্ট দাখিল করিতে পারিবেন ।

    (৪) অন্যান্য বিষয়াদির মধ্যে নিরীক্ষকের প্রতিবেদনে সকল অনিয়মতান্ত্রিক অবৈধ অথবা ভ্রান্ত ব্যয় অথবা অর্থ বা অন্য সম্পত্তি আদায়ের ব্যর্থতা অথবা লোকসান অথবা অর্থের অথবা অবহেলার বা খারাপ পরিচালনার দ্বারা অন্য কোনো সম্পত্তি অপচয় এবং অন্য কোনো বিষয় যাহা নিরীক্ষাক রিপোর্ট করা প্রয়োজন বলিয়া মনে করেন, তাহার উল্লেখ থাকিবে । উক্ত রিপোর্টে আরও থাকিবে যে, নিরীক্ষকের মতানুযায়ী কোনো ব্যক্তি এই ধরনের ব্যয় অথবা ব্যর্থতার জন্য দায়ী এবং এইরুপ প্রত্যেক ক্ষেত্রে এইরুপ ব্যক্তি কর্তৃক কি পরিমাণ খরচ ও লোকসান প্রদেয় হইবে ।

 

ধারা-৭৭। নিরীক্ষকের রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার আদেশ দিবেনঃ

    সরকার নিরীক্ষকের রিপোর্ট পরীক্ষার করিবেন এবং উহাতে থাকা কোনো বিষয় সম্পর্কে যেকোনো ব্যক্তির কৈফিয়ত তলব করিতে পারিবেন এবং ইহা যেরুপ উপযুক্ত মনে করিয়া সেইরুপ আদেশ দিতে পারিবেন ।

 

ধারা-৭৮। সত্যায়িত পাওনা অর্থ সরকারী পাওনা হিসাবে আদায়যোগ্যঃ

    (১) ৭৬ ধারানুযায়ী কোনো ব্যক্তির নিকট হইতে পাওনা অর্থ সম্পর্কে নিরীক্ষকের রিপোর্টে উল্লেখ থাকিলে যদি না উক্ত সাটিফিকেট ৭৭ ধারার অধীন সরকার কর্তৃক সংশোধিত বা বাতিলকৃত হয় তাহা হইলে সংশোধিত সাটিফিকেট অনুযায়ী প্রদেয় প্রত্যেক অঙ্কের অর্থ সরকার কর্তৃক দাবীর নোটিশ পাইবার ষাট দিনের মধ্যে পরিশোধ করিতে হইবে ।

    (২) যদি (১) উপধারার বিধানুসারে এইরুপ পাওনা পরিশোধ করা না হয় তাহা সরকারী পাওনা হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে ।

নবম অধ্যায়

বিচারিক কার্যাবলী

 

ধারা-৭৯। কতেক ওয়াকফ মামলায় ডিক্রিজাত অর্থ জমাদানঃ

    কোনো ওয়াকফের অধীনে, অথবা পক্ষে, খাজনার অথবা অপর কোনো ত্রাণের ডিক্রি প্রদানের জন্য আদালতের আরজি করা হইলে বা এইরুপ ডিক্রি আদালত কর্তৃক জারি করা হইলে ৪৭ ধারানুসারে তালিকাভূক্তির জন্য যদি না দরখাস্ত করা হইয়া থাকে, তবে কোনো ডিক্রিজাত অর্থ থাকিলে উহা সেই আদালত কর্তৃক ডিক্রি জারি করা হইয়াছে ঐ আদালতে সেই সমস্ত জমা রাখিতে হইবে যেই পর্যন্ত না উক্ত ওয়াকফ কর্তৃক ৪৭ ধারামতে তালিকাভূক্তির জন্য দরখাস্ত করা হয়; অথবা ৫ ধারানুসারে উক্ত ওয়াকফকে উহা হইতে অব্যাহতি দেওয়া হয় ।

   

ধারা-৮০। প্রশাসকের অনুমোদন ব্যতীত মামলা ইত্যাদি আপোষ করার প্রতিবন্ধকতাঃ

    কোনো আদালতে মুতাওয়াল্লী কর্তৃক বা তাহার বিরুদ্ধে দায়ের করা কোনো মামলা, কার্যাবলী, অথবা আপিল প্রশাসকের পূর্ব অনুমোদন এবং বিচার পরিচালনাকারী আদালতের মঞ্জুরী ব্যতীত আপোষ করা যাইবে না ।

   

ধারা-৮১। মামলা হইতে তাহার নোটিশ প্রশাসককে দিতে হবেঃ

    (১) মুতাওয়াল্লী কর্তৃক বা তাঁহার পক্ষে রাজস্ব আদায়ের জন্য মামলা বা মোকদ্দমা ব্যতীত কোনো ওয়াকফ সম্পত্তি সংক্রান্ত অথবা মুতাওয়াল্লীরূপে কোনো মুতাওয়াল্লী প্রত্যেক মামলা বা মোকদদ্দমা, যে আদালতে অথবা যে ডেপুটি কমিশনার বা অন্য কর্তৃপক্ষের সম্মুখে অনুরুপ মামলা বা মোকদ্দমা রুজু করা হইয়াছে সেই আদালত অথবা ডেপুটি কমিশনার বা অন্য কর্তৃপক্ষ প্রশাসককে অনরুপ মামলা বা মোকদ্দমা রুজুকারী পক্ষের খরচে ক্ষেত্রমত, আরজি বা আবেদনপত্রের অনুলিপিসহ নোটিশ ইস্যু করিবেন ।

    (২) ১৯১৩ সালের সরকারী পাওনা আদায় আইনের অধীন সরকারী পাওনা ব্যতীত অন্য কোনো পাওনা আদায়ের উদ্দেশ্যে ডিক্রি জারী বা আদেশ কার্যকর করিতে কোনো ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রয়ের জন্য বিজ্ঞপ্তি দানের পূর্বে যে আদালত বা সংশ্লিষ্ট অন্য কর্তৃপক্ষের ডিক্রি বা আদেশের অধীন বিক্রয়ের নোটিশ দেওয়া হইবে সেই আদালত বা কর্তৃপক্ষ প্রশাসককে নোটিশ প্রদান করিবেন ।

    (৩) (১) উপ-ধারার অধীন নোটিশ দেওয়া না হইলে বিক্রয়ের মামলায় সম্পত্তির বিবরণ ওয়াকফ সম্পত্তিরুপে বা অন্য প্রকারে যাহাই দেওয়া হোক না কেন, উক্ত বিক্রয় বাতিল বলিয়া ঘোষিত হইবে যদি প্রশাসক বিক্রয় সম্পর্কে জ্ঞাত হইবার বার মাসের মধ্যে যে আদালত বা অন্য কর্তৃপক্ষের আদেশের অধীন বিক্রয় হইয়াছে তাহার নিকট এই উদ্দেশ্যে আবেদন করেন।

   

ধারা-৮২। প্রশাসকের দরখাস্তে ওয়াকফ সম্পর্কিত মোকদ্দমা বা কার্যধারায় তাহাকে পক্ষ করা যাইবেঃ

    কোনো ওয়াকফ বা যেকোনো ওয়াকফ সম্পর্কিত মোকদ্দমা বা কার্যধারায় উহা এই অধ্যাদেশ শুরু হইবার পূর্ব্যে বা পরে দায়েরকৃত বা উপস্থাপিত হউক না কেন প্রশাসক উহাতে হস্তক্ষেপ করিতে পারিবেন এবং তিনি দরখাস্ত করিলে তাহাকে পক্ষভূক্ত করা যাইবে এবং তিনি ওয়াকফের পক্ষে বা স্বার্থে এইরুপ মোকদ্দমা বা কার্যধারা পরিচালনা করিতে বা উহাতে আত্মপক্ষ সমর্থন করিতে অধিকারী হইবেন ।

   

ধারা-৮৩। প্রশাসক ওয়াকফ সম্পর্কে মোকদ্দমা বা কার্যধারা দায়ের করিতে পারিবেনঃ

    যদি কোনো মুতাওয়াল্লী না থাকেন অথবা মুতাওয়াল্লী এই ব্যাপারে যুক্তিসঙ্গত সময়ের মধ্যে কাজ করিতে অস্বীকার করেন বা অবহেলা করেন তাহা হইলে প্রশাসক ওয়াকফ আগন্তুক ব্যক্তি বা অন্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাহার নিজের নামে আদালতে মোকদ্দমা বা কার্যধারা দায়ের করিতে পারিবেন ।

    (ক)    কোনো ওয়াকফ সম্পত্তিতে অধিকার, স্বত্ব এবং স্বার্থ প্রতিষ্ঠার জন্য; অথবা

    (খ)    কোনো ওয়াকফ সম্পত্তির দখল দৃঢ় করিবার করিবার জন্য; অথবা

    (গ)    অন্যায়ভাবে দখলকৃত, হস্তান্তিরিত বা ইজারাকৃত যে কোনো ওয়াকফ সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য; অথবা

    (ঘ)    ওয়াকফ সম্পত্তিতে অন্যায়ভাবে সৃষ্ট কোন দায়-দায়িত্ব মুক্ত করিবার জন্য; অথবা

    (ঙ)    ওয়াকফের কোনো অর্থ উদ্ধার করিবার জন্য; অথবা

    (চ)    তাহার বিবেচনা মতে ওয়াকফের স্বার্থ অন্য যেকোনো প্রতিকারের জন্য ।

   

ধারা-৮৪।স্বত্বভোগী কর্তৃক বিশ্বাসভঙ্গঃ যেই ক্ষেত্রে কতকগুলি স্বত্বভোগীদের মধ্যে একজন স্বত্বভোগী-

    (ক) মুতাওয়াল্লীর সহিত একত্রিত হইয়া বিশ্বাসভঙ্গ করে, অথবা

    (খ) অপরাপর স্বত্বভোগীদের অমতে জ্ঞাতসারে উহা হইতে কোনো সুবিধা লাভ করে, অথবা

    (গ) এইরূপ বিশ্বাসভঙ্গ করা সম্বন্ধে বা করার ইচ্ছা জানিতে পারে এবং হয়ত উহা প্রকৃতপক্ষে গোপন করে, নতুবা ন্যায়সঙ্গত সময়ের মধ্যে অপরাপর স্বত্বভোগীদের স্বার্থ রক্ষার্থে কোনো পদপক্ষেপ না নেয়, অথবা

    (ঘ) মুতাওয়াল্লীকে প্রতারণা করিয়া তাহাকে বিশ্বাসভঙ্গের জন্য অপরাপর স্বত্বভোগীদিগকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবে ।

    এমতাবস্থায়, উক্ত স্বত্বভোগী এইরূপ বিশ্বাসভঙ্গের জন্য অপরাপর স্বত্বভোগীদিগকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবে ।

   

ধারা-৮৫। ওয়াকফ সম্পত্তি অর্জন করা বাবদ ক্ষতিপূরণ প্রশাসককে প্রদান করিতে হইবেঃ

    ১৮৯৪ সনের ভূমি হুকুম দখল আইন (১৮৯৪ সনের ১নং আইন) অনুসারে অথবা বর্তমানে বলবত্‍ অপর কোনো আইনানুযায়ী কোনো ওয়াকফ সম্পত্তি অর্জন করা হইলে এইরূপ সম্পত্তি বাবদ প্রদেয় ক্ষতিপূরণ প্রশাসককে প্রদান করিতে হইবে এবং উহা ৭৪ ধারার (৩) উপধারার উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ না করা পর্যন্ত ওয়াকফ তহবিলে জমা করিতে হইবে ।

   

ধারা-৮৬। মামলা অথবা কার্যাবলী বাবদ খরচাদিঃ

    ওয়াকফ সম্পত্তি অথবা যেই সকল সম্পত্তির মামলায়, অথবা কার্যাবলীতে প্রশাসককে পক্ষ করা হইয়াছে এবং আদালত কর্তৃক প্রশাসকের বিরুদ্ধে ডিক্রিকৃত খরচাইদ যাহা প্রশাসক বহন করেন, তাহা ওয়াকফ হইতে প্রদেয় হইবে ।

দশম অধ্যায়

[ধারা ৮৭ হইতে ধারা ৯৪ পর্যন্ত ১৯৬৬ সনের ১৩নং অধ্যাদেশ দ্বারা বাতিল করা হইয়াছে।]

 

একাদশ অধ্যায়

বিবিধ

 

ধারা-৯৫। ১৯৫১ সনের ২৮নং আইনের অধীন কতিপয় কার্য প্রশাসক কর্তৃক সম্পাদিত হইবেঃ

    সরকারী দখল ও প্রজাস্বত্ব আইন, ১৯৫০ (১৯৫১ সনের ২৮ নং আইন) এর ৫৮ ধারার ও ৫৯ ধারায় যাহাই বর্ণিত থাকুক না কেন ঐ আইনের ৫৮ ধারার (৪) উপধারা এবং ৫৯ ধারার (৪) উপধারার অধীন ওয়াকফ আল-আওলাদ সম্পত্তির ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে ওয়াকফ কমিশনারের কার্যাবলী এবং ঐ আইনের ৫৮ ধারার (৩) উপধারা এবং ৫৯ ধারা (১) (২) ও (৩) উপধারার অধীন ডেপুটি কমিশনারের কার্যাবলী এই অধ্যাদেশ বলবত্‍ হইবার তারিখ হইতে প্রশাসক কর্তৃক সম্পাদিত হইবে এবং ঐ আইনের ৫৯  ধারার (৩) উপধারায় বর্ণিত খরচা ওয়াকফ তহবিল হইতে মিটাইতে হইবে ।

   

ধারা-৯৬। সরকারী দাবী হিসাবে পাওনা অর্থ আদায় করিবার পদ্ধতিঃ

    (১) এই অধ্যাদেশের অধীন মুতাওয়াল্লী কর্তৃক ওয়াকফ তহবিল হইতে প্রদেয় কোনো অর্থ এবং উহার উপর আরোপযোগ্য কোনো খেসারত ও উহার জন্য কোনো খরচা বহন করা হইয়া থাকিলে তাহা সরকারী পাওনা হিসাবে আদায়যোগ্য হইবে ।

    (২) সরকারী পাওনা আদায় আইন, ১৯১৩ (১৯১৩ সনের ৩নং আইন) অনুসারে নির্ধারিত ফরমে প্রশাসক তাহার স্বাক্ষরে ডেপুটি কমিশনারের নিকট অধিযাচনপত্র(Requistion)পাঠাইবেন যাহাতে সরকারী দাবী হিসাবে আদায়যোগ্য অংকের উল্লেখ থাকিবে এবং ডেপুটি কমিশনার এইরুপ অধিযাচন(Requistion) পত্র পাইবার পর সরকারী পাওনা আদায় আইন, ১৯১৩ (১৯১৩ সনের ৩নং আইন) অনুসারে অর্থ আদায়ের জন্য অগ্রসর হইবেন ।

   

ধারা-৯৭। প্রশাসক এবং প্রত্যক্ষ অফিসার ও কর্মী ওয়াকফ সম্পর্কে গোপনীয়তা রক্ষা করিবেনঃ

    এই অধ্যাদেশের বিধানাবলীর শর্তে প্রশাসক এবং প্রত্যেক অফিসার ও তাহার অফিসের প্রত্যেক কর্মী তাহার পদের যোগ্যতায় ওয়াকফ সম্পর্কিত বিবরণ বা অন্য তথ্য জানিয়া থাকিলে উহার গোপনীয়তা রক্ষা করিবেন ।

 

ধারা-৯৮। প্রশাসক, নিরীক্ষক ইত্যাদিকে সরকারী কর্মচারী মনে করিতে হইবেঃ

    প্রশাসক, উপ-প্রশাসক, সহকারী প্রশাসক, পরিদর্শক নিরীক্ষক এবং এই অধ্যাদেশের দ্বারা বা কোনো কাজ করিবার জন্য প্রশাসক কর্তৃক নিযুক্ত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত অন্য যে কোনো ব্যক্তিকে দন্ডবিধি ১৮৬০ (১৮৬০ সনের ৪৫নং আইন)-এর ২১ ধারার অর্থানুসারে সরকারী কর্মচারী মনে করিতে হইবে ।

   

ধারা-৯৯। নোটিশ অথবা রিকুইজিশন জারীঃ

    এই অধ্যাদেশ মোতাবেক, নোটিশ কিংবা রিকুইজিশন, নোটিশ বা রিকুইজিশনে বর্ণিত ব্যক্তির উপর হয় ডাকযোগে কিংবা (১৯০৮ সালের দেওয়ানী কার্যবিধি অনযায়ী আদালত কর্তৃক সমন জারির ন্যায় (১৯০৮ সালের ৫নং আইন) অথবা বিধিতে বর্ণিত উপায়ে জারি করা যাইবে ।

   

ধারা-১০০। প্রশাসকের সমীপে ব্যক্তিগত কিংবা প্রতিনিধির মাধ্যমে হাজিরাঃ

    কোনো মুতাওয়াল্লী অথবা প্রশাসকের সমীপে হাজির হইবার যোগ্য কোনো ব্যক্তি বা অত্র অধ্যাদেশ সংক্রান্ত কোনো কার্যক্রম সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো অধঃস্তন কর্মকর্তা প্রশাসক কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে তদানুরুপ কর্মকর্তার অনুমতি দিয়া ব্যক্তিগতভাবে নতুবা তদকর্তৃক লিখিত কর্তৃত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তির মাধ্যমে হাজির হইতে পারেন ।

   

ধারা-১০১। অপরাধের বিচারঃ

    প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের নিম্নপদের নহে, এমন যে কোনো আদালত অত্র অধ্যাদেশে বর্ণিত অপরাধের বিচার করিতে পারেন না ।

   

ধারা-১০২। মোকদ্দমার ক্ষেত্রে বাধাঃ

    অত্র অধ্যাদেশে প্রকাশ্যভাবে বর্ণিত ক্ষেত্র ব্যতীত প্রশাসকের কোনো সিদ্ধান্ত কিংবা আদেশ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো মোকদ্দমায় বা আদালতের জন্য কোনো কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন করা যাইবে না।

   

ধারা-১০৩। এই অধ্যাদেশের সহিত অসংগতিপূর্ণ আদেশ, ইত্যাদির ফলাফলঃ

    এই অধ্যাদেশের কোথাও প্রকাশ্যভাবে বর্ণনা ব্যতীত এই অধ্যাদেশের প্রতিটি আদেশ এবং গৃহীত কার্যক্রম কোনো প্রমাণপত্র, কোনো আদালতের ডিক্রি বা আদেশ, দলিল বা অন্য কোনো ইন্সট্রুমেন্টের সহিত অসঙ্গিপূর্ণ হইলেও বহাল থাকিবে ।

দ্বাদশ অধ্যায়

 

বিধি ও উপ-বিধি

ধারা-১০৪। বিধি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারের ক্ষমতাঃ

    (১) অত্র অধ্যাদেশের উদ্দেশ্যে সম্পাদনকল্পে সরকার বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবেন ।

    (২) বিশেষভাবে এবং সাধারণ পূর্বে বর্ণিত ক্ষমতার পরিপন্থী নহে এমন বিধি নিম্নবর্ণিত ক্ষেত্রে বিধানের ব্যবস্থা করিতে পারিবেন । যেমন-

    (ক)    ধারা (৪) অনুযায়ী ওয়াকফ হইতে অব্যাহতি;

    (খ)    এমন বিষয় যাহা দ্বারা ওয়াকফের প্রকৃত আয় নিরুপণ সম্ভব;

    (গ)    বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার এবং অন্য কোনো ব্যক্তিকে প্রশাসক কর্তৃক ক্ষমতা প্রদান;

    (ঘ)    ওয়াকফ পরিচাললনার পরিকল্পনা প্রণয়ন;

    (ঙ)    প্রশাসক কর্তৃক পেশযোগ্য বাজেট, প্রতিবেদন, হিসাব-নিকাশ, রিটার্ন বা অন্য সম্পর্কিত;

    (চ)    ওয়াকফ তহবিল অডিট করণার্থে অডিটর নিয়োগ এবং তদীয় ভাতা সম্পর্কিত;

    (ছ)    ওয়াকফ তহবিলের হিসাবরক্ষণ, অডিট ও অডিট রিপোর্ট প্রকাশ প্রণালী এবং অডিট রিপোর্টের ফরম ও বিষয়বস্তুসমূহ;

    (জ)    ওয়াকফ তহবিলে অর্থ প্রদান এবং উক্ত অর্থ বিনিয়োগ সংরক্ষণ এবং বিতরণ;

    (ঝ)    প্রশাসকের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ এবং ধারা ২৭ ও ২৮-এ বর্ণিত কমিটি সংক্রান্ত;

    (ঞ)    ব্যবস্থাপনা প্রকল্প তৈরি এবং শিরনী, দরগা এবং প্রশাসক কর্তৃক ধারা ৩৪ মোতাবকে অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আয় বন্টন; এবং

    (ট)    ধারা ৯৯ মোতাবেক নোটিশ এবং রিকুইজেশন জারী ।

   

ধারা-১০৫। উপবিধি প্রণয়নে প্রশা

Navigation

[0] Message Index

[*] Previous page

Go to full version