Author Topic: বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর কিছু বাস্তব অস্তিত্ব  (Read 6191 times)

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
বিজ্ঞান কল্পকাহিনী পড়তে আমরা অনেকেই ভালোবাসি। অনেকে আবার এতটাই মগ্ন হয়ে যায় যে সেই কাহিনীর একটি কাল্পনিক জগৎ সে নিজেই নিজের ভেতরে গড়ে নেয়। আরো কল্পনা করে বাস্তবে এর অস্তিত্ব কেমন হবে। তবে সার কথা হল মনে প্রানে এখনও অনেকেই মনে করে থাকেন যে বিজ্ঞান কল্পকাহিনী এবং সিনেমার সবটুকুই বানোয়াট এবং মনগড়া। তবে বর্তমানে বাস্তবে সেই কল্পকাহিনীতে ব্যবহার করা কিছু প্রযুক্তি বাস্তবেও ব্যবহার করা হয়। এমনই কিছু আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরব
XM 25 গ্রেনেড লঞ্চার




এই লঞ্চারটি প্রায়ই হলিউডের আমেরিকান মেরিন সেনাদের ব্যবহার করতে দেখা যায়। যেমন দেখা গিয়েছিল ট্রান্সফর্মার মুভিতে। তবে এটি এখন বাস্তবেও ইউএস মেরিন সেনার একটি অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। একটি অন বোর্ড কম্পিউটার কন্ট্রোল এবং লেসার রেঞ্জফাইন্ডার এবং ২৫ মিমি ম্যাগাজিন প্রজেক্টাইলের ফিচার সমৃদ্ধ একটি ভয়াবহ মারনাস্ত্র। সাধারণত একটি নরমাল এ্যামোর (ammo) চাইতে ৩০০% কর্মক্ষম এবং ৭০০ মিটার রেঞ্জের টার্গেট কে তূলোর মত উড়িয়ে দিতে পারে। বর্তমানে মেরিন সেনাদের কয়েকটি শাখা এই লঞ্চার ব্যবহার করলেও ২০১২ সাল নাগাদ মেরিনদের আরো অনেক শাখাই এটি ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে।

MAARS System (torrent launcher) যুদ্ধ বট




দূর থেকে অপারেট করা করা যুদ্ধ রোবট এখন হলিউড সায়েন্স ফিকশান মুভিগুলোতে ডালভাত হয়ে গেছে। ইসরাইল ইদানিং একটি অটোম্যাটেড কিলিং জোন বানানোর চিন্তা ভাবনা করছে। তবে আমেরিকার একটি weapon farm এখনই একটি টরেন্ট বানিয়েছে যা একই সময়ে তার দুটি অটোম্যাটেড শটগান এইম এবং ফায়ার করবে এবং সাথে থাকবে গ্রেনেড লঞ্চার। এই ধরনেরই কিছু যুদ্ধ বট মেরিন রা ইরাকে পাঠালেও সেগুলো আজ পর্যন্ত একটি ফায়ার ও করেনি। এর পেছনের রহস্য অবশ্য আমার জানা নেই। হয়ত, এগুলো হাতির দাঁতের মতই শুধু দেখানোর জন্যে!!

এ্যাকটিভ ডেনিয়েল সিস্টেম




এ্যাকটিভ ডেনিয়েল সিস্টেম একটি মিলিমিটার ওয়েভ রেডিয়েশান লঞ্চার যা রেডিয়েশান ফায়ার করে থাকে। যে এলাকার এই রেডিয়েশান থ্রো করা হবে সেখানকার মানুষ নিজেদের চামড়া পুড়ে যাওয়ার মত যন্ত্রনা অনুভব করবে। যদিও প্রকৃতপক্ষে পারমানেন্ট কোন ড্যামেজ হয় না। এটি একটি নন লিথাল ওয়েপান এবং এর এই পেইন রে শত্রুপক্ষকে মারাত্বক ভাবে যখম করে দিতে পারে। তবে এই এনার্জি ওয়েপনের এখনও অনেক সিস্টেম ডিলে থাকার কারনে একে তেমন একটা ব্যবহার করা হয়না। তবে আশা করা হয় বিজ্ঞানীরা শীঘ্রই এর একটি হালকা ভার্সন রিলিজ করবে।

লং রেঞ্জ এ্যাকুয়েস্টিক ডিভাইস


http://s.techtunes.com.bd/tDrive/tuner/sohanboy/17633/MIKE.jpg
ম্যানুফ্যাকচারার এক অস্ত্র বলতে নারাজ তবে মেরিন না এটাকেও তাদের অস্ত্রের তালিকায় একেও খুব গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে থাকে। এর মাধ্যমে সাউন্ড ওয়েভের ন্যারো বিম ফায়ার করা হয় যা ৩০০ মিটার রেঞ্জের মধ্যেও পরিস্কার শোনা যায়। তবে, আমাদের দেশের নেতারা এই অস্ত্রটি অনেক পছন্দ করবেন বলে মনে হয় Wink

ড্রোন


http://s.techtunes.com.bd/tDrive/tuner/sohanboy/17633/DRONES.jpg

এর নাম শুনলে নাকি আল-কায়েদা দের আত্বার পানি শুকিয়ে যায়। তবে এটি মেরিনদের সবচাইতে বিতর্কিত যুদ্ধাস্ত্র। এর আল্ট্রারসনিক সাউন্ড রেঞ্জের কারণে ইতোমধ্যে অনেক সিভিলিয়ানের মৃত্যু ঘটেছে।

ফ্ল্যাশ ব্যাং গ্রেনেড




যুদ্ধ ক্ষেত্রে বিপদের সময় প্রতিপক্ষকে আচমকা হতভম্ব করে দিতেই এই গ্রেনেড টি লঞ্চ করা হয়েছিল। তবে এর রেকর্ড খুব একটা সুবিধার নয়। এ পর্যন্ত এর লঞ্চিং এর সময় অন্তত একজন সেনার প্রানহানী এবং অন্যদের শ্রবনশক্তি তে মারাত্বক ক্ষতি করেছে এই গ্রেনেড।

টিজার শকওয়েভ ব্যারিয়ার



বিভিন্ন এ্যাকশান মুভিতে সচারচর এরকম শকওয়েভ ব্যারিয়ার দেখানো হয়। যেটা পাস করতে গেলেই দুশমন কতক্ষন কাপাকাপি করে শেষ হয়ে যায়। ছবিতে দেখানো যন্ত্রটি সেই কনসেপ্টের বাস্তব রুপ। লাল বোতাম চাপ দেয়ার সাথে সাথে মুহুর্তেই সিঙ্গেল ডিরেকশানে ২৪টি ইলেক্ট্রিফাইড প্রোব রিলিজ হবে। তবে এখনও চেষ্টা চালানো হচ্ছে এর ডিরেকশান নাম্বার বাড়ানোর।

পাল্সেটিং লেড লঞ্চার




এটি ফায়ার করার সাথে সাথেই বের হয়ে আসে ৩৬টি পাল্সেটিং রেড রে। অনেকটা কনসার্টের লাইটিং এর মত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়। তবে এই লাইটের দিকে মনেজগ দিলেই নিজেকে অসুস্থ অনুভব করে থাকে মানুষ।

অকিউলার ইন্টারাপশান ডিভাইস




আপনি যখন মোটামুটি শিউর আপনাকে আপনার শত্রু টার্গেট বানিয়ে ফেলেছে এবং ফায়ার হতে আর হয়ত কিছু সময়ই বাকী আছে। এই মুহুর্তে হয়ত কিছুই করার থাকেনা। ভয়ে শরীর শক্ত হয়ে আসে। তবে মেরিন রা এই কনসেপ্ট কে ব্রেক করেছে। শত্রু ট্রিগার চাপার আগেই তাকে একটা ওয়ার্নিং দিয়ে হকচকিয়ে দেয়ার মত কাজ করা হয় এই অস্ত্রটি দিয়ে। শুক্ষ একটি সবুজ লেজার পয়েন্টার এই কারিশমা করে থাকে। তবে ইরাকে মেরিন না ফ্রন্ডলি ফায়ারিং এর সময় নিজেদের অনেককেই ইনজুরি করে দিয়েছিল।

আগমনের অপেক্ষায় – ১০০ কিলোওয়াট লেজার বীম লঞ্চার




Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection