Author Topic: শিশু অধিকার ও লংঘন সংক্রান্ত আইন  (Read 14765 times)

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
(১৯৭৪ সালের ৩৯ নম্বর আইন)

ঢাকা, ২২ জুন, ১৯৭৪

সংসদ কর্তৃক নিম্নলিখিত আইনটি ২১ জুন ১৯৭৪ তারিখে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করিয়াছে এবং এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করা যাইতেছে :

শিশুদের হেফাজত, রক্ষণ ও পরিচালনা এবং বাল-অপরাধীদের বিচার ও সাজা সম্পর্কিত আইন একীভূত ও সংশোধনকল্পে প্রণীত আইন ৷

যেহেতু শিশুদের হেফাজত, রক্ষণ ও পরিচালনা এবং বাল-অপরাধীদের বিচার ও সাজা সম্পর্কিত আইন একীভূত ও সংশোধন করিবার জন্য এটি আইন প্রণয়ন সমীচীন ;

সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :

প্রথম ভাগ

প্রাথমিক

 

১ ৷ সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন ৷ -
(১)    এই আইন শিশু আইন, ১৯৭৪ নামে অভিহিত হইবে ৷
(২)   

সরকার সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যেইরূপ নির্ধারণ করিবেন সেইরূপ এলাকাসমূহে এবং সেই সকল তারিখে এই আইন বলবত্‍ হইবে ৷

২৷ সংজ্ঞাসমূহ ৷- বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোনো কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

(ক)' প্রাপ্ত বয়স্ক ' অর্থ এইরূপ ব্যক্তি যিনি শিশু নহেন ৷

(খ) অনুমোদিত আবাস ' অর্থ এইরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান যাহা শিশুদেরকে গ্রহণ ও হেফাজত করিবার জন্য অথবা তাহাদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ নিরোধের উদ্দেশ্যে এবং উহার তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত কোনো শিশুকে তাহার জন্মগত ধর্মের  বিধান মোতাবেক পালন করিবার বা করিবার সুযোগ প্রদানের জন্য কোনো সমিতি অথবা ব্যক্তিবর্গ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এবং সরকার কর্তৃক স্বীকৃত;

(গ) 'ভিক্ষা করা' অর্থ-

(অ)
   

গান গাওয়া, নাচ দেখানো, ভাগ্য গণনা করা, পবিত্র স্তবক পাঠ করা অথবা কলাকৌশল দেখানো, ভান করিয়া হউক বা না হউক, প্রভৃতি দ্বারা, কোনো প্রকাশ্য স্থানে ভিক্ষা চাওয়া বা গ্রহণ করা;

(আ)
   ভিক্ষা চাহিবার বা গ্রহণের উদ্দেশ্যে কোনো বেসরকারি আঙিনায় প্রবেশ করা

(ই)
   কোনো ক্ষত, ঘা, জখমী, বিকলাঙ্গতা, কিংবা ব্যধি, ভিক্ষা প্রাপ্তি বা আদায়ের উদ্দেশ্যে প্রদর্শন করা বা অনাবৃত করিয়া রাখা;

(ঈ)
   

জীবন ধারণের দৃশ্যতঃ কোনো উপায় নাই বলিয়া প্রকাশ্য স্থান সমূহে এইরূপ অবস্থায় ও পন্থায় ঘুরিয়া বেড়ানো বা অবস্থান করা যাহা দ্বারা বুঝা যায় এইরূপ ভাবেই ভিক্ষা চাহিয়া বা গ্রহণ করিয়া তিনি বাঁচিয়া আছেন, এবং

(উ)
   

 ভিক্ষা চাওয়া বা গ্রহণ করিবার উদ্দেশ্যে নিজেকে আলামত হিসাবে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া,

(ঘ)
   

'প্রত্যয়িত ইনষ্টিটিউট' অর্থ সরকার কর্তৃক স্থাপিত কোনো প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান অথবা ১৯ ধারার অধীনে সরকার কর্তৃক প্রত্যয়িত কোনো প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, শিল্প বিদ্যালয় অথবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান;

(ঙ)
   

'প্রধান পরিদর্শক'  অর্থ ৩০ ধারার অধীনে নিয়োগ প্রাপ্ত প্রত্যয়িত ইনষ্টিটিউট সমূহের প্রধান পরিদর্শক;

(চ)
   

'শিশু' অর্থ ১৬ বত্সরের কম বয়স্ক কোনো ব্যক্তি এবং প্রত্যয়িত ইনিস্টিটিউটে বা অনুমোদিত আবাসে প্রেরিত অথবা আদালত কর্তৃক কোনো আত্নীয় বা অন্য উপযুক্ত ব্যক্তির হেফাজতে সোপর্দকৃত শিশুর ক্ষেত্রে সেই শিশু যে তাহার পূর্ণ সময়কাল আটক থাকে, উক্ত সময়ে তাহার বয়স ১৬ বত্‍সর পূর্ণ হইলেও;

(ছ)
   'কার্যবিধি'  অর্থ ১৯৯৮ সনের ফৌজদারি কার্যবিধি (১৮৯৮ সনের ৫ নং আইন);

(জ)
   

 ''অভিভাবক'' বলিতে কোনো শিশু কিংবা বাল-অপরাধীদের ক্ষেত্রে এইরূপ ব্যক্তি অর্ন্তভূক্ত যিনি আদালতের মতে, শিশু বা বাল-অপরাধী সম্পর্কে গৃহীত কার্যধারা মানিয়া লইতে উক্ত শিশু বা বাল-অপরাধীর যথার্থ দায়িত্ব অথবা নিয়ন্ত্রণের ভার সাময়িকভাবে গ্রহণ করেন;

(ঝ)
    ''কিশোর আদালত' অর্থ ৩ ধারার অধীনে প্রতিষ্ঠিত আদালত;

(ঞ)
   

''নিরাপদ স্থান'' বলিতে রিমান্ড হোম অথবা এইরূপ অন্য কোনো উপযুক্ত স্থান কিংবা প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভূক্ত যাহার দখলদার বা ব্যবস্থাপক সাময়িকভাবে শিশুকে গ্রহণ করিতে ইচ্ছুক যেখানে অনুরূপ রিমান্ড হোম বা অন্য উপযুক্ত স্থান কিংবা প্রতিষ্ঠান নাই সেখানে, কেবল পুরুষ শিশুদের ক্ষেত্রে, এইরূপ ব্যবস্থা সম্পন্ন থানা যাহার মধ্যে শিশুগণকে অন্যান্য অপরাধী হইতে পৃথকভাবে হেফাজতে রাখার বন্দোবস্ত রহিয়াছে;

(ট)
    ''নির্ধারিত''  অর্থ এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি দ্বারা নির্ধারিত

(ঠ)
    ''প্রবেশন অফিসার''  অর্থ ৩১ ধারার অধীনে নিয়োগপ্রাপ্ত-প্রবেশন অফিসার;

(ড)
   

 ''তত্ত্বাবধান'' অর্থ শিশুর পিতা-মাতা, অভিভাবক, আত্নীয় কিংবা কোনো উপযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক শিশুর যথাযথ দেখাশুনা ও হেফাজত নিশ্চিত করিবার উদ্দেশ্যে কোনো প্রবেশন অফিসার বা অন্য কোনো ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে শিশুকে ন্যস্ত রাখা; এবং

(ণ)
    ''বাল-অপরাধী'' অর্থ এইরূপ কোনো শিশু যাহাকে অপরাধ করিতে দেখা গিয়াছে ৷
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
দ্বিতীয় ভাগ

এই আইনের অধীন এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতসমূহের ক্ষমতা ও দায়িত্ব

ধারা-৩: কিশোর আদালতসমূহ

কার্যবিধিতে কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তি দ্বারা কোনো স্থানীয় এলাকার জন্য এক বা একাধিক কিশোর আদালত প্রতিষ্ঠা করতে পারিবেন ।

ধারা-৪: কিশোর আদালতের ক্ষমতা প্রয়োগের এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতসমূহ

এই আইন দ্বারা ,কোনো কিশোর আদালতের উপর অর্পিত ক্ষমতা সমূহ প্রয়োগ করিতে পারিবেন-
(ক)    হাইকোর্ট বিভাগ
(খ)    দায়রা আদালত
(গ)    অতিরিক্ত দায়রা জজ এবং সহকারী দায়রা জজের আদালত
(ঘ)    মহাকুমা ম্যাজিস্ট্রেট, এবং
(ঙ)    প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট

তাহা, মূল মামলার বিচারিক আদালত বা আপীল আদালত অথবা পুনর্বিচারের এখতিয়ার সম্পন্ন আদালত যাহাই হোক না কেন ।

ধারা-৫: কিশোর আদালতের ক্ষমতাসমূহ, প্রভৃতি

(১) কোনো স্থানীয় এলাকার জন্য কিশোর আদালত গঠন করা হইলে এইরূপ আদালত অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত কোনো শিশুর সকল মামলার বিচার করিবেন এবং এই আইনের অধীনে অন্যান্য সকল কার্যধারার কাজকর্মও নিষ্পত্তি করিবেন ,কিন্তু এই আইনের ৬ষ্ঠ ভাগে উল্লিখিত কোনো অপরাধের জন্য অভিযুক্ত কোনো প্রাপ্ত বয়স্কের মামলার বিচার করিবার ক্ষমতা এইরূপ আদালতের থাকিবে না ।

(২) কোনো স্থানীয় এলাকার জন্য কিশোর আদালত গঠন করা না হইলে ,কোনো অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত শিশুর বিরুদ্ধে আনীত কোনো মামলার বিচার করা অথবা এই আইনের অধীন অন্য কোনো কার্যধারার কাজকর্ম বা নিষ্পত্তি করার ক্ষমতা প্রদত্ত আদালত ব্যতীত অন্য কোনো আদালতের থাকিবে না ।

(৩) কোনো কিশোর আদালত অথবা ৪ ধারার অধীনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত দায়রা আদালতের অধস্তন কোনো আদালতের নিকট যখন প্রতীয়মান হয় যে,কোনো শিশু যে অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছে তাহা কেবল দায়রা আদালতেই বিচার্য ,তখন উহা মামলাটি অবিলম্বে দায়রা আদালতে ,এই আইনে বিবৃত পদ্ধতিতে বিচারের জন্য বদলী করিবেন ।

ধারা-৬: শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্কের একত্রে বিচার অনুষ্ঠিত হইবে না

(১) কার্যবিধির ২৩৯ ধারা বা আপাততঃ বলবত্ অন্য কোনো আইনে কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও কোনো শিশুকে কোনো প্রাপ্ত বয়স্কের সঙ্গে কোনো অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত বা বিচার করা চলিবে না ।

(২) যদি কার্যবিধির ২৩৯ ধারা বা আপাততঃ বলবত্‍ অন্য কোনো আইনের অধীনে অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত কোনো শিশুকে প্রাপ্ত বয়স্কের সঙ্গে বিচার করা যাইত কিন্তু (১) উপ-ধারার  বিধানাবলীর কারণে তা করা যায় না ,তাহা হইলে আদালত উক্ত অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ করিয়া উক্ত শিশুর এবং উক্ত প্রাপ্ত বয়স্কের বিচার পৃথকভাবে করিবার নির্দেশ দিবেন ।

ধারা-৭: কিশোর আদালতের অধিবেশন, প্রভৃতি

(১) কিশোর আদালত নির্ধারিত স্থানে, দিনে এবং পদ্ধতিতে উহার অধিবেশন বসিবে ।

(২) কোনো শিশু অভিযুক্ত রহিয়াছে এমন কোনো মামলার বিচারের ক্ষেত্রে , আদালত যে ভবনে বা কামরায় ,যে দিবসে বা যে সময়ে সাধারণত অধিবেশন বসে, তত্‍ ভিন্ন অন্য কোনো ভবন বা কামরায় অথবা অন্য কোনো দিবসে বা সময়ে অধিবেশন বসিবে ।

ধারা-৮ : দায়রার বিচার্য মামলায় প্রাপ্ত বয়স্ককে দায়রায় সোপর্দ করিতে হইবে

(১) কোনো শিশু কোনো অপরাধ সংঘটনের দায়ে কোনো প্রাপ্ত বয়স্কের সহিত একত্রে অভিযুক্ত হইলে এবং উক্ত অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণকারী আদালতের মতে মামলাটি দায়রা আদালতে প্রেরণের উপযুক্ত বলিয়া প্রতীয়মান হইলে,আদালত মামলাটির শিশু সর্ম্পকিত অংশ উহার প্রাপ্তবয়স্ক সর্ম্পকিত অংশ হইতে পৃথক করিয়া ফেলিবার  পর নির্দেশ দিবেন যে, শুধুমাত্র প্রাপ্ত বয়স্ককে দায়রা আদালতে বিচারের জন্য সোপর্দ করিতে হইবে ।

(২) অতঃপর শিশু সর্ম্পকিত মামলাটি উক্ত স্থানীয় এলাকার জন্য কোনো কিশোর আদালত থাকিলে , উক্ত আদালতে অথবা না থাকিলে এবং উক্ত অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণকারী আদালত ৪ ধারার অধীনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হইয়া থাকিলে ৪ ধারার অধীনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো আদালতে বদলী করিতে হইবে ।

তবে শর্ত থাকে যে, শিশু সর্ম্পকিত মামলাটি যদি কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিল অনুসারে শুধুমাত্র দায়রা আদালতে বিচার্য হয় তাহা হইলে ৫ (৩) ধারার অধীনে দায়রা আদালতে বদলী করিতে হইবে ।

ধারা-৯: কিশোর আদালতে উপস্থিত ব্যক্তিগণ

এই আইনের বিধান ব্যতীত ,নিম্নলিখিত ব্যক্তিগণ ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি কিশোর আদালতের এজলাসে উপস্থিত থাকিবেন না :
(ক)    আদালতের সদস্যগণ ও অফিসারগণ;
(খ)    আদালতের উত্থাপিত মামলা অথবা কার্যধারার পক্ষগণ এবং পুলিশ অফিসারগণ মামলা অথবা কার্যধারার সহিত সরাসরি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিগণ;
(গ)    শিশুর পিতামাতা অথবা অভিভাবক; এবং
(ঘ)    উপস্থিত হইবার জন্য আদালত কর্তৃক বিশেষভাবে অনুমোদিত অন্যান্য ব্যক্তিগণ ।

ধারা-১০: আদালত হইতে যে সকল ব্যক্তি প্রত্যাহারিত হইবেন

কোনো মামলা বা কার্যধারার শুনানীর কোনো পর্যায়ে আদালত যদি শিশুটির স্বার্থে তাহার পিতামাতা, অভিভাবক অথবা দম্পত্তি অথবা শিশু নিজে সমেত কোনো ব্যক্তিকে আদালত হইতে প্রত্যাহার করা সমীচীন মনে করেন তাহা হইলে আদালত এইরূপ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিবেন এবং অনুরূপ ব্যক্তিগণ আদালত ত্যাগ করিবেন ।

ধারা-১১: হাজিরা হইতে শিশুর অব্যাহতি

কোনো মামলা বা কার্যধারার শুনানীর কোনো পর্যায়ে আদালত যদি উক্ত শুনানীর উদ্দেশ্যে শিশুটির হাজির থাকা অনাবশ্যক বলিয়া মনে করেন, তবে আদালত তাহাকে হাজিরা হইতে অব্যাহতি প্রদান করিতে এবং তাহার অনুপস্থিতিতেই উক্ত মামলা বা কার্যধারার শুনানী চালাইয়া যাইতে পারিবেন ।

ধারা-১২: শিশুর সাক্ষ্য প্রদানকালে কতিপয় ব্যক্তির আদালত হইতে প্রত্যাহার

শালীনতা অথবা নৈতিকতা বিরোধী কোনো অপরাধ সংক্রান্ত মামলা বা কার্যধারার শুনানীর কোনো পর্যায়ে যদি কোনো শিশুকে সাক্ষী হিসেবে তলব করা হয়, তবে উক্ত মামলা বা কার্যধারার শুনানীকারী আদালত উহার মতে উপযুক্ত ব্যক্তিগণকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিবেন এবং তদনুসারে তাহারা প্রত্যাহার হইবেন । তবে উক্ত মামলা বা কার্যধারার পক্ষগণ, তাহাদের আইন-উপদেষ্টাগণ এবং মামলা বা কার্যধারা সংশ্লিষ্ট অফিসারগণকে এই ধারার অধীনে প্রত্যাহার করিতে হইবে না ।

ধারা-১৩ : অভিযুক্ত শিশুর পিতা-মাতার আদালতে হাজিরা, প্রভৃতি

(১) এই আইনের অধীনে আদালতে নীত শিশুর পিতামাতা অথবা অভিভাবক বর্তমান থাকিলে এবং তাহার সন্ধান পাওয়া গেলে অথবা তিনি যুক্তিসঙ্গত দূরত্বে বসবাস করিলে ,এই আইনের অধীনে যে আদালতে কোনো কার্যধারা গ্রহণ করা হয় সেই আদালতে হাজির হইতে নির্দেশ দেয়া যাইতে পারে ,যদি না আদালত এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে তাহাকে হাজির হইতে নির্দেশ দেয়া যুক্তিসঙ্গত হইবে না ।

(২) শিশুটিকে গ্রেফতার করা হইলে যে থানায় তাহাকে আনা হয় সেই থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অবিলম্বে শিশুর পিতা-মাতা অথবা অভিভাবককে ,যদি তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যায়,এইরূপ গ্রেফতার সর্ম্পকে অবহিত করিবেন এবং যে আদালতে শিশুটিকে হাজির করা হইবে সেই আদালতে হাজির হইবার জন্য তারিখ নির্দিষ্ট করিয়া তাহার প্রতি নির্দেশ দানের ব্যবস্থা করাইবেন ।

(৩) যে পিতা-মাতা বা অভিভাবককে এই ধারার অধীনে হাজির হইবার নির্দেশ দেওয়া হইবে তাহাকে শিশুটির যথার্থ দায়িত্বশীল বা নিয়ন্ত্রণকারী পিতা-মাতা বা অভিভাবক হইতে হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে ,এইরূপ পিতা-মাতা বা অভিভাবক যদি পিতা না হইয়া থাকেন তবে পিতাকেও হাজির হইতে নির্দেশ দেওয়া যাইতে পারে ।

(৪) যে ক্ষেত্রে এই কার্যধারা রুজু হওয়ার  পূর্বে শিশুটিকে আদালতের আদেশ দ্বারা তাহার পিতা-মাতার হেফাজত বা দায়িত্ব হইতে অপসারণ করা হইয়াছে সেইক্ষেত্রে কোনো প্রকারেই এই ধারার অধীনে শিশুটির পিতা-মাতাকে আদালতে হাজির হইতে নির্দেশ দেওয়া যাইবে না ।

(৫) এই ধারার কোনো কিছু শিশুর মাতা বা মহিলা অভিভাবককে হাজির হওয়ার নির্দেশ দান করে বলিয়া গণ্য হইবে না, তবে এইরূপ কোনো মাতা বা মহিলা অভিভাবক কোনো উকিল বা এজেন্টের মাধ্যমে আদালতে হাজির হইতে পারেন ।

ধারা-১৪: মারাত্নক রোগাক্রান্ত শিশুকে অনুমোদিত স্থানে প্রেরণ

(১) এই আইনের কোনো বিধান অনুযায়ী আদালতে নীত কোনো শিশু যদি এইরূপ রোগাক্রান্ত থাকে যে তাহাকে দীর্ঘদিন চিকিত্সা করা প্রয়োজন, অথবা এইরূপ শারীরিক বা মানসিক যন্ত্রণাগ্রস্ত হয় যে তাহার চিকিত্সা প্রয়োজন, তাহা হইলে আদালত শিশুটিকে কোনো হাসপাতালে অথবা এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি অনুযায়ী স্বীকৃত কোনো স্থানে প্রয়োজনীয় চিকিত্সার জন্য যতদিন আবশ্যক মনে করেন ততদিনের জন্য প্রেরণ করিবেন ।

(২) যে ক্ষেত্রে আদালত (১) উপধারার অধীনে কোনো সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত শিশুর ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন সেই ক্ষেত্রে আদালত শিশুটির বৈবাহিক সূত্রে কোনো অংশীদার বা তাহার অভিভাবকের নিকট, যে ক্ষেত্রে যাহা হয়, তাহাকে ফেরত দেওয়ার পূর্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা শিশুটির স্বার্থের অনুকূল হইবে বলিয়া সন্তুষ্ট হইলে ,শিশুটির অনুরূপ বৈবাহিক সূত্রে অংশীদার অথবা অভিভাবককে এই মর্মে নির্দেশ দিবেন যে, তাহাদের শিশুটি পুনঃসংক্রামিত হইবে না এই মর্মে ডাক্তারী পরীক্ষা দাখিল পূর্বক আদালতের সন্তুষ্টি বিধান করিতে হইবে ।

ধারা-১৫: আদেশ প্রদানকালে আদালত যে সকল বিষয় বিবেচনা করিবেন

এই আইনের অধীনে কোনো আদেশ প্রদানের উদ্দেশ্যে আদালত নিম্নলিখিত বিষয়গুলির প্রতি লক্ষ্ রাখিবেন -
(ক)    শিশুর চরিত্র ও বয়স ;
(খ)    শিশুর জীবন যাপনের পরিবেশ ;
(গ)    প্রবেশন অফিসার কর্তৃক প্রণীত রির্পোট ; এবং
(ঘ)    শিশুটির স্বার্থে যে সকল বিষয় বিবেচনায় গ্রহণ করিতে হইবে বলিয়া আদালত মনে করেন সে সকল বিষয়:

তবে শর্ত থাকে যে ,যখন কোনো শিশু কোনো অপরাধ করিয়াছে মর্মে পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যাদি লিপিবদ্ধ করিবার পর উপরি উক্ত বিষয়াদি বিবেচনার্থে গ্রহণ করিবেন ।

ধারা-১৬ : প্রবেশন অফিসারের রির্পোট এবং অন্যান্য রির্পোট গোপনীয় গণ্য করিতে হইবে

১৫ ধারায় আদালত কর্তৃক বিবেচিত প্রবেশন অফিসারের রির্পোট অথবা অন্য কোনো রির্পোট গোপনীয় বলিয়া গণ্য হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে ,এইরূপ রির্পোট যদি শিশুটি বা তাহার পিতামাতা কিংবা অভিভাবকের চরিত্র ,স্বাস্থ্য অথবা আচরণ অথবা জীবন যাপনের পরিবেশ সংক্রান্ত হয় তবে আদালত সমীচীন মনে করিলে উক্ত রির্পোটের সারমর্ম ,উক্ত শিশু কিংবা সংশ্লিষ্ট পিতামাতা অথবা অভিভবাককে জানাইতে পারিবেন এবং তাহাদিগকে রির্পোটে বর্ণিত বিষয়াদির সহিত প্রাসঙ্গিক হয়,এইরূপ সাক্ষ্য প্রদানের সুযোগ দিতে পারিবেন ।

ধারা-১৭ ; মামলায় জড়িত শিশুর পরিচয় ,ইত্যাদি প্রকাশ নিষিদ্ধ

কোনো সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন বা সংবাদফলক প্রভৃতি অথবা সংবাদ এজেন্সী এই আইনের অধীনে আদালতে উত্থাপিত কোনো মামলা বা কার্যধারায় কোনো শিশু জড়িত থাকিলে উহার বিস্তারিত বর্ণণা এবং এইরূপ শিশকে শনাক্তকরণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য করে এইরূপ কিছু বা শিশুর ছবি প্রকাশ করিবে না ;

তবে শর্ত থাকে যে, মামলার বিচারকারী অথবা কার্যধারা গ্রহণকারী আদালত ,যদি উহার মতে এইরূপ রির্পোট প্রকাশ করা শিশু কল্যাণের স্বার্থে অনুকূল হইবে এবং সংশ্লিষ্ট শিশুর স্বার্থের কোনো ক্ষতি হইবে না বলিয়া মনে করেন ,তবে কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া উক্ত আদালত এইরূপ কোনো রির্পোট প্রকাশের অনুমতি দিতে পারিবেন ।

ধারা-১৮ : আওতা বহির্ভূত না হইলে ১৮৯৮ সনের ফৌজদারী কার্যবিধির বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে

এই আইন অথবা ইহার অধীনে প্রণীত বিধির সুস্পষ্ট বিধান অনুযায়ী ব্যতীত , এই আইনের অধীনে মামলার বিচার এবং কার্যধারা গ্রহণের ক্ষেত্রে কার্যবিধিতে বর্ণিত বিধানাবলী অনুসরণ করিতে হইবে
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
তৃতীয় ভাগ

প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান সমূহ

১৯৷ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা ও প্রত্যয়ন ৷-
(১)   

সরকার শিশু এবং বাল-অপরাধীদেরকে গ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করিতে পারিবেন ৷
 (২)   

সরকার প্রত্যায়ন করিতে পারিবেন যে (১) উপ-ধারার অধীনে প্রতিষ্ঠিত নহে এইরূপ কোনো প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট অথবা কোনো শিশু বিদ্যালয় কিংবা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিশু অথবা বাল-অপরাধীদের জন্য উপযুক্ত ৷

২০৷ রিমান্ড হোম ৷-

কোনো আদালত অথবা পুলিশ কর্তৃক প্রেরিত শিশুদের আটক রাখা, রোগ নির্ণয় এবং শ্রেণী বিভাগের উদ্দেশ্যে সরকার রিমান্ড হোম প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনা করিতে পারিবেন ৷

২১৷ ইনস্টিটিউট ইত্যাদি প্রত্যয়ন অথবা স্বীকৃতি দানের শর্তাবলী ৷-

এই আইনের উদ্দেশ্যে কোনো প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, শিল্প বিদ্যালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা অনুমোদিত যে শর্তাবলী সাপেক্ষ প্রত্যয়ন অথবা স্বীকৃতি দান করা যাইবে সরকার সেই শর্তাবলী নির্ধারণ করিবেন ৷       

২২৷ প্রত্যয়িত ইনস্টিটিউট সমূহের ব্যবস্থাপনা ৷-

(১) নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনার জন্য ১৯(১) ধারার অধীনে প্রতিষ্ঠিত প্রত্যেকটি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের জন্যে সরকার একজন তত্ত্বাবধায়ক এবং একটি পরিদর্শক কমিটি নিয়োগ করিবেন, এবং অনুরূপ তত্ত্বাবধায়ক এবং কমিটি এই আইনের উদ্দেশ্যে ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপক বলিয়া গণ্য হইবেন ৷

(২) ১৯(২) ধারার অধীনে প্রত্যয়িত প্রতিটি ইনস্টিটিউট, বিদ্যালয় অথবা প্রতিষ্ঠান উহার গভর্নিং বডির ব্যবস্থাধীন থাকিবে এবং উহার সদস্যগণ এই আইনের উদ্দেশ্যে ইনস্টিটিউট, বিদ্যালয় অথবা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক বলিয়া গণ্য হইবেন ৷

২৩৷ ব্যবস্থাপকগণের সহিত পরামর্শ ৷-

কোনো শিশুকে কোনো প্রত্যয়িত ইনস্টিটিউটে প্রেরণের পূর্বে আদালত উহার ব্যবস্থাপকগণের সহিত পরামর্শ করিবেন ৷

২৪৷ প্রত্যয়িত ইনস্টিটিউট ও অনুমোদিত আবাস সমূহে ডাক্তারী পরিদর্শন ৷-

সরকার কর্তৃক এতদসংক্রান্ত ক্ষমতা প্রদত্ত কোনো রেজিষ্টার্ড চিকিত্‍সক প্রত্যয়িত  ইনস্টিটিউট বা অনুমোদিত আবাসের স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাদি এবং উহার বাসিন্দাগণের স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রধান পরিদর্শকের নিকট রিপোর্ট প্রদানের উদ্দেশ্যে উহার ব্যবস্থাপক বা অন্যান্য ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে নোটিশ প্রদান পূর্বক বা বিনা নোটিশে যে কোনো সময়ে যে কোনো প্রত্যয়িত ইনস্টিটিউট অথবা অনুমোদিত আবাস পরিদর্শন করিতে পারিবেন ৷

২৫৷ সরকারের প্রত্যয়নপত্র প্রত্যাহারে ক্ষমতা ৷-

সরকার কোনো প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনায় অসন্তষ্ট হইলে, উহার ম্যানেজারের প্রতি নোটিশ জারি করিয়া যে কোনো সময়ে ঘোষণা করিতে পারিবেন যে, উক্ত  ইনস্টিটিউটের প্রত্যাযন পত্র নোটিশে উল্লেখিত তারিখে প্রত্যাহার করা হইল এবং উক্ত তারিখ হইতে উক্ত প্রত্যাহার কার্যকর হইবে এবং ইনস্টিটিউট অতঃপর প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট বলিয়া গণ্য হইবে না :

তবে শর্ত থাকে যে, এইরূপ নোটিশ জারির পূর্বে প্রত্যয়িত ইনস্টিটিউটের ম্যানেজারকে কেন প্রত্যায়ন পত্র প্রত্যাহার করা হইবে না, তাহার কারণ দর্শাইবার জন্য যুক্তসঙ্গত সুযোগ প্রদান করা হইবে ৷

২৬৷ ব্যবস্থাপক কর্তৃক প্রত্যয়ন পত্র সমর্পণ ৷ -

কোনো প্রত্যয়িত ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপকগণ, প্রধান পরিদর্শকের মাধ্যমে তাহাদের অভিপ্রায় উল্লেখ করিয়া সরকারকে ছয় মাসের লিখিত নোটিশ প্রদান করিয়া ইনস্টিটিউটের প্রত্যায়ন পত্র সমর্পণ করিতে পারিবেন এবং তদনুসারে নোটিশ প্রদানের তারিখ হইতে ছয় মাস অতিবাহিত হইলে এবং উক্ত সময়ের পূর্বে নোটিশটি প্রত্যাহার না করা হইলে, প্রত্যায়ন পত্রের সমর্পণ কার্যকর হইবে এবং ইনস্টিটিউটের প্রত্যায়িত মর্যাদা লোপ পাইবে ৷

২৭৷ প্রত্যায়ন পত্র প্রত্যাহার অথবা সমর্পণের ফলাফল ৷-

কোনো প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপকগণ উহার প্রত্যায়নপত্র প্রত্যাহার বা সমর্পণ সংক্রান্ত নোটিশ ক্ষেত্রমত প্রাপ্তি বা প্রদানের তারিখের পর এই আইনের অধীনে কোনো শিশু কিংবা বাল-অপরাধীকে কোনো প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটে গ্রহণ করিবেন না :

তবে শর্ত থাকে যে উপরি উক্ত তারিখে প্রত্যায়ন পত্রের প্রত্যাহার বা সমপর্ণ কার্যকর না হওয়া অবধি ইনস্টিটিউটে আটক কোনো শিশু অথবা বাল-অপরাধীকে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, বাসস্থান, বস্ত্র ও খাদ্য প্রদানের ব্যাপারে ব্যবস্থাপকগণের দায় দায়িত্ব যতক্ষণ সরকার অন্য প্রকার নির্দেশ প্রদান না করেন ততক্ষণ পর্যন্ত অব্যাহত থাকিবে ৷

২৮৷ প্রত্যায়ন পত্র প্রত্যাহার বা সমর্পণের পর নিবাসীগণ সম্পর্কে ব্যবস্থা ৷-

কোনো ইনস্টিটিউটের প্রত্যায়িত মর্যাদা লোপ পাইলে সেখানে আটক শিশু অথবা বাল অপরাধীকে সম্পূর্ণরূপে অথবা সরকার কর্তৃক আরোপিত শর্তে খালাস দিতে হইবে অথবা এই আইনের খালাস ও বদলি সংক্রান্ত বিধানাবলী মোতাবেক প্রধান পরিদর্শকের আদেশক্রমে অন্য কোনো প্রত্যয়িত ইনস্টিটিউটে বদলি করা যাইতে পারে ৷

২৯৷ প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট এবং অনুমোদিত আবাস পরিদর্শন ৷-

প্রত্যেকটি প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট এবং অনুমোদিত আবাস ও উহার সকল বিভাগ সকল সময়ে প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটের প্রধান পরিদর্শক, পরিদর্শক অথবা সহকারী পরিদর্শক কর্তৃক পরিদর্শনের জন্য উম্মুক্ত থাকিবে এবং প্রতি ছয় মাসে অন্ততঃ একবার পরিদর্শন করা হইবে ৷

তবে শর্ত থাকে যে, যে যেক্ষেত্রে শুধুমাত্র বালিকাদের অভ্যর্থনার জন্য এইরূপ কোনো ইনস্টিটিউট থাকে এবং প্রধান পরিদর্শক এইরূপে পরিদর্শন না করেন, সে ক্ষেত্রে, সম্ভব হইলে, প্রধান পরিদর্শক কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে অনুমোদিত কোনো মহিলা এইরূপ পরিদর্শন করিবেন ৷
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
চতুর্থ ভাগ

অফিসারবৃন্দ, তাহাদের ক্ষমতা ও কর্তব্য

৩০ ৷ প্রধান পরিদর্শক, ইত্যাদি নিয়োগ ৷ -

(১)  সরকার, প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটের জন্য একজন প্রধান পরিদর্শক এবং তাহার সহায়তাকল্পে সরকারী বিবেচনামতে উপযুক্ত সংখ্যক পরিদর্শক ও সহকারী পরিদর্শক নিয়োগ করিবেন ৷

(২) প্রধান পরিদর্শকের এই আইনে বর্ণিত এবং যেরূপ নির্ধারণ করা হয় সেইরূপ ক্ষমতা ও কর্তব্য থাকিবে ৷

(৩) প্রত্যেক পরিদর্শক বা সহকারী পরিদর্শক, প্রধান পরিদর্শকের সেইরূপ ক্ষমতা লাভ করিবেন ও কর্তব্য পালন করিবেন যেইরূপ সরকার নির্দেশ দিবেন এবং প্রধান পরিদর্শকের নির্দেশানুযায়ী কাজ করিবেন ৷

৩১৷ প্রবেশন অফিসার নিয়োগ ৷-

(১) সরকার প্রত্যেক জেলায় একজন প্রবেশন অফিসার নিয়োগ করিতে পারিবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, যে ক্ষেত্রে কোনো জেলায় এইরূপ নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি না থাকে যে ক্ষেত্রে কোনো জেলায় এইরূপ নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি না থাকে যে ক্ষেত্রে মামলা বিশেষের জন্য এই জেলায় আদালত কর্তৃক সময়ে সময়ে অন্য যে কোনো ব্যক্তি প্রবেশন অফিসার রূপে নিযুক্ত হইবেন ৷

(২) প্রবেশন অফিসার স্থানীয় কিশোর আদালত অথবা সেখানে এইরূপ আদালত নাই সেখানে দায়রা আদালতের তত্ত্বাবধানে এবং পরিচালনায় এই আইনের অধীন তদীয় কর্তব্য সম্পাদন করিবেন ৷

(৩) প্রবেশন অফিসার, এই আইনের অধীনে প্রণীত বিধি এবং আদালতের নির্দেশাবলী সাপেক্ষ-
(ক)    যুক্তিসঙ্গত বিরতিতে নিজে শিশুকে পরিদর্শন করিবেন অথবা করিতে সুযোগ দিবেন;
(খ)    লক্ষ্য রাখিবেন যে, শিশুটিকে আত্নীয় অথবা যাহার তত্ত্বাবধানে রাখা হইয়াছে তিনি মুচলেকার শর্ত পালন করিতেছেন;
(গ)    শিশুর আচরণ সম্পর্কে আদালত রিপোর্ট দিবেন ;
(ঘ)    উপদেশ দিবেন, সহায়তা করিবেন এবং বন্ধু ভাবাপন্ন করিয়া তুলিবেন এবং প্রয়োজনে তাহার জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের চেষ্টা করিবেন; এবং
(ঙ)    অন্য কোনো নির্ধারিত কর্তব্য পালন করিবেন ৷
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
পঞ্চম ভাগ

দুস্থ ও অবহেলিত শিশুদের যত্ন ও হেফাজতের জন্য ব্যবস্থা

৩২ ৷ যে সকল শিশুকে গৃহহীন, দুস্থ ইত্যাদি অবস্থায় পাওয়া যায় ৷ -

(১) কোনো প্রবেশন অফিসার কিংবা সাব-ইন্সপেক্টরের নিম্ন পদমর্যাদার নয় এমন পুলিশ অফিসার অথবা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতা প্রদত্ত অন্য কোনো ব্যক্তি কিশোর আদালত বা ৪ ধারা অধীনে ক্ষমতা প্রাপ্ত আদালতে, তাহার মতে শিশু বিবেচিত কোনো ব্যক্তিকে হাজির করিতে পারিবেন, যাহার-

(ক) কোনো গৃহ, নির্দিষ্ট কোনো বাসস্থান অথবা জীবন ধারণের কোনো দৃশ্যমান উপায় নাই, অথবা নিয়মিত ও যথাযথভাবে অভিভাবকের ক্ষমতা প্রয়োগ করিতে পারেন এইরূপ কোনো পিতা মাতা বা অভিভাবক নাই; অথবা

(খ) ভিক্ষা করিতে দেখা গিয়াছে অথবা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কোনো কাজ এইরূপ অবস্থায় করিতে দেখা যায় যাহা উক্ত শিশুর মঙ্গলের পরিপন্থী ;

(গ) দুস্থ অবস্থায় নিপতিত দেখা যায় অথবা যাহার পিতা মাতা বা অভিভাবক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করিতেছে ; অথবা

(ঘ) এইরূপ পিতা-মাতা অথবা অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে রহিয়াছে, যিনি প্রায়ই স্বভাবতঃ শিশুটিকে অবহেলা করে অথবা তাহার সহিত নিষ্ঠুর আচরণ করে; অথবা

(ঙ) যাহাকে সাধারণত কোনো কুখ্যাত অপরাধী অথবা পতিতার সঙ্গেঁ পাওয়া যায় যে তাহার পিতা মাতা কিংবা অভিভাবক নহে; অথবা

(চ) যে এইরূপ কোনো বাড়িতে অবস্থান করিতেছে অথবা প্রায়ই যাতায়াত করিতেছে যাহা পতিতা বৃত্তির কাজে কোনো পতিতার ব্যবহারের অধীনে রহিয়াছে এবং সে উক্ত পতিতার শিশু নহে; অথবা

(ছ) যে প্রকারান্তরে কোনো অসত্‍ সঙ্গে পতিত হইতে পারে অথবা নৈতিক বিপদের সম্মুখীন হইতে পারে অথবা অপরাধের জীবনে প্রবেশ করিতে পারে ৷

(২) উপ-ধারা (১) -এ উল্লেখিত কোনো শিশুকে যে আদালতে হাজির করা হয় সে আদালত তথ্যাদি পরীক্ষা করিবেন এবং এইরূপ পরীক্ষার সারমর্ম লিপিবদ্ধ করিবেন এবং যদি মনে করেন যে, আরও তদন্ত করিবার পর্যাপ্ত কারণ রহিয়াছে তবে তদুদ্দেশ্যে তারিখ ধার্য করিবেন ৷

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীনে তদন্তের জন্য ধার্য দিবসে অথবা অন্য কোনো পরিবর্তিত তারিখ যে পর্যন্ত কার্যধারা মুলতবি থাকে সেই তারিখে আদালত এই আইনের অধীনে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইতে পারে উহার পক্ষে এবং বিপক্ষে যে সকল প্রাসঙ্গিক সাক্ষ্য প্রদত্ত হইতে পারে তাহা শুনিবেন এবং লিপিবদ্ধ করিবেন এবং যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপে পুনরায় তদন্ত করিতে পারেন ৷

(৪) এইরূপ তদন্ত করিয়া আদালত যদি সন্তুষ্ট হন যে, উক্ত ব্যক্তি (১) উপ-ধারায় বর্ণিত একটি শিশু এবং তদানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন তাহা হইলে আদালত তাহাকে কোনো প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটে অথবা অনুমোদিত আবাসে প্রেরণের আদেশ দিতে পারিবেন অথবা তাহাকে কোনো আত্নীয় কিংবা আদালতে কর্তৃক উল্লেখিত এবং শিশুটির বয়স ১৮ বত্সর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অথবা কোনো সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য তত্ত্বাবধান করিতে ইচ্ছুক অন্য কোনো ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে নির্ধারিত পদ্ধতিতে সোপর্দ করিবার আদেশ দিতে পারিবেন ৷

(৫) যে আদালত শিশুকে কোনো আত্নীয় অথবা অন্য উপযুক্ত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে প্রেরণের আদেশ দেন, আদেশ প্রদানকালে এইরূপ আত্নীয় অথবা অন্য ব্যক্তিকে জামিনদার ছাড়া এই মর্মে একটি মুচলেকা সম্পাদনের নির্দেশ দিতে পারিবেন যে, তিনি শিশুটির সদাচারণের জন্য এবং শিশুটির সত্‍ এবং পরিশ্রমী জীবন যাপনের নিশ্চয়তা বিধানের অন্যান্য যে সকল শর্ত আদালত আরোপ করিবেন সেই সকল শর্ত পালনের জন্য দায়ী থাকিবেন না ৷

৬) যে আদালত শিশুটিকে আত্নীয় অথবা অন্য উপযুক্ত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে সোপর্দের জন্য এই ধারার অধীনে আদেশ প্রদান করেন সেই আদালত অতিরিক্ত আদেশ প্রদান করিতে পারেন যে, শিশুকে প্রবেশন অফিসার অথবা কর্তৃক উল্লেখিত অন্য ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে রাখা যাইতে পারে ৷

৩৩ ৷ অবাধ শিশু ৷-

(১) যে ক্ষেত্রে কোনো শিশুর পিতা মাতা বা অভিভাবক কোনো কিশোর আদালতে অথবা ৪ ধারার অধীনে ক্ষমতা প্রাপ্ত আদালতে অভিযোগ করেন যে তিনি শিশুটিকে নিয়ন্ত্রণ করিতে অক্ষম, সে ক্ষেত্রে আদালত তদন্তের পর যদি সন্তুষ্ট হন যে শিশুটি সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন  তবে অনধিক তিন বত্‍সর মেয়াদে তাহাকে কোনো প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটে অথবা অনুমোদিত আবাসে প্রেরণের আদেশ দিতে পারেন ৷

(২) আদালত যদি সন্তষ্ট হন যে, শিশুটির বাড়ির পরিবেশ সন্তোষজনক, শিশুটিকে প্রত্যায়িত ইন্সিটিউটে অথবা অনুমোদিত আবাসে প্রেরণের পরিবর্তে শুধুমাত্র তাহাকে তত্ত্বাবধান করা প্রয়োজন, তাহা হইলে শিশুটিকে অনধিক তিন মাসের মেয়াদে কোনো প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত করিতে পারিবেন ৷
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
ষষ্ঠ ভাগ

শিশু সম্পর্কিত বিশেষ অপরাধসমূহ

৩৪ ৷ শিশুর প্রতি নিষ্ঠুরতার দণ্ড ৷-

যাহার হেফাজত, দায়িত্ব বা তত্ত্বাবধানে কোনো শিশু রহিয়াছে এইরূপ কোনো ১৬ বত্‍সরের উপর বয়স্ক ব্যক্তি যদি অনুরূপ শিশুকে এইরূপ পন্থায় আক্রমন, উত্‍পীড়ন, অবহেলা, অর্জন অথবা অরক্ষিত অবস্থায় পরিত্যাগ করে অথবা করায় যাহার ফলে শিশুটির অহেতুক দুর্ভোগ হয়ে কিংবা তাহার স্বাস্থ্যের ক্ষতি এবং তাহার দৃষ্টি শক্তি নষ্ট হয়, শরীরের কোনো অঙ্গ বা ইন্দ্রিয়ের ক্ষতি হয় এবং কোনো মানসিক বিকৃতি ঘটে তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি দুই বত্‍সর পর্যন্ত মেয়াদের কারাদন্ড অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে ৷

৩৫ ৷ শিশুকে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োগের দণ্ড ৷-

কোনো ব্যক্তি যদি শিশুকে ভিক্ষার উদ্দেশ্যে নিয়োগ করেন অথবা কোনো শিশুর দ্বারা ভিক্ষা করান অথবা শিশুর হেফাজত, তত্ত্বাবধান ও দেখাশুনার জন্য দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তি যদি ভিক্ষার উদ্দেশ্যে শিশুর নিয়োগদানে অজ্ঞতার ভান করে কিংবা উত্‍সাহ প্রদান করে, অথবা ভিক্ষার উদ্দেশ্যে কোনো শিশুকে আলামতরূপে ব্যবহার করেন তাহা হইলে তিনি এক বত্‍সর পর্যন্ত মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা তিনশত টাকা পর্যন্ত অর্থ দণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ৷

৩৬ ৷ শিশুর দায়িত্বে থাকাকালে পানোম্মত হওয়ার দণ্ড ৷-

কোনো শিশুর দায়িত্বে থাকাকালে কোনো ব্যক্তিকে যদি কোনো প্রকাশ্য স্থানে, তাহা কোনো ভবন হউক বা না হউক, পানোণ্মত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং তাহার মাতলামির কারণে তিনি শিশুটির তত্ত্বাবধান করিতে সমর্থ না হন তাহা হইলে তিনি একশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ৷

৩৭ ৷ শিশুকে নেশাজাতীয় পানীয় কিংবা বিপজ্জনক ঔষধ প্রদানের দণ্ড৷ -

যদি কোনো শিশুকে অসুস্থতা অথবা অন্য জরুরী কারণে, যথাযথ যোগ্যতা সম্পন্ন ডাক্তারের আদেশ ব্যতীত কোনো ব্যক্তি কোনো প্রকাশ্য স্থানে, তাহা ভবন হউক বা না হউক, কোনো নেশাগ্রস্তকারী সুরা অথবা বিপজ্জনক ঔষধ প্রদান করেন বা করান, তিনি এক বত্‍সর পর্যন্ত মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ৷

৩৮ ৷ শিশুকে সুরা কিংবা বিপজ্জনক ঔষধ বিক্রয়ের স্থানে প্রবেশের অনুমতি প্রদানের দণ্ড ৷-

যিনি শিশুকে সুরা কিংবা বিপদজ্জনক ঔষধ বিক্রয়ের স্থানে লইয়া যান, অথবা এইরূপ স্থানের স্বত্বাধিকারী, মালিক কিংবা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হইয়াও শিশুকে যিনি অনুরূপ স্থানে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করেন অথবা যিনি অনুরূপ স্থানে শিশুর যাওয়ার কারণ ঘটান তিনি পাঁচ শত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ৷

৩ঌ ৷ শিশুকে বাজী ধরিতে বা ঋণ লইতে উস্কানি দেওয়ার দণ্ড ৷-

যে ব্যক্তি উচ্চারিত বা লিখিত শব্দ দ্বারা কিংবা ইঙ্গিত দ্বারা বা প্রকারান্তরে কোনো শিশুকে কোনো বাজী ধরতে বা পণ ভিত্তিক লেনদেনে অংশ গ্রহণ করিতে অথবা শেয়ার লইতে বা স্বার্থসম্পন্ন হইতে উস্কানি দেন কিংবা দেওয়ার চেষ্টা করেন অথবা অনুরূপভাবে কোনো শিশুকে ঋণ গ্রহণ করিতে কিংবা ঋণ গ্রহণমূলক লেনদেনে অংশ গ্রহণ করিতে উস্কানি দেন, তিনি ছয় মাস পর্যন্ত মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা দুইশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ৷

৪০ ৷ শিশুর নিকট হইতে দ্রব্যাদি বন্ধক গ্রহণ বা ক্রয় করিবার দণ্ড -

যে ব্যক্তি কোনো শিশুর নিকট হইতে কোনো দ্রব্য, তাহা উক্ত শিশু কর্তৃক নিজ তরফ হইতে বা অন্য ব্যক্তির তরফ হইতে প্রদেয় হউক না কেন, বন্ধক গ্রহণ করেন তিনি এক বত্সর পর্যন্ত কোনো মেয়াদের কারাদণ্ড কিংবা পাঁচশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ৷

৪১ ৷ শিশুকে পতিতালয়ে থাকার অনুমতি প্রদানের দণ্ড ৷-

যে ব্যক্তি চার বত্‍সরের বেশী বয়স্ক শিশুকে পতিতালয়ে বাস করিতে কিংবা প্রায়শ যাতায়াত করিতে সুযোগ বা অনুমতি দেয় তিনি দুই বত্‍সর পর্যন্ত কোনো মেয়ায়েদ কারাদণ্ড অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ৷

৪২ ৷ অসত্‍ পথে পরিচালনা করানো বা করিতে উত্‍সাহ প্রদানের দণ্ড ৷-

যে ব্যক্তি ১৬ বত্‍সরের কম বয়স্ক কোনো বালিকার সত্যিকার দায়িত্ব সম্পন্ন হইয়া বা তাহার নিয়ন্ত্রণকারী হইয়া তাহাকে অসত্‍ পথে পরিচালিত কিংবা বেশ্যাবৃত্তিতে প্রবৃত্ত করায় তা তজ্জন্য উত্‍সাহ দেয় অথবা তাহার স্বামী ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তিকে তাহার সহিত যৌন সহবাস করায় বা তজ্জন্য উত্‍সাহ দেয়, তিনি দুই বত্‍সর পর্যন্ত মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড অথবা উভয়বিধ দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন ৷

ব্যাখ্যা : এই ধারার উদ্দেশ্যে, সেই ব্যক্তি কোনো বালিকাকে অসত্‍ পথে পরিচালিত করাইয়াছেন বা তজ্জন্য উত্‍সাহ দিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন, যদি সেই ব্যক্তি বালিকাটিকে কোনো পতিতা কিংবা ভ্রষ্ট চরিত্র বলিয়া জ্ঞাত ব্যক্তির সহিত বাস করিতে বা তাহার অধীনে চাকরিতে নিয়োজিত হইতে বা থাকিতে জ্ঞাতসারে অনুমতি দিয়া থাকেন ৷

৪৩ ৷ অল্পবয়স্ক বালিকাকে অসত্‍ পথে ঝুঁকির সম্মখীন করা ৷-

কোনো ব্যক্তির নালিশের প্রেক্ষিতে যদি আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, ১৬ বত্‍সরের কম বয়স্ক কোনো বালিকা তাহার পিতা-মাতা বা অভিভাবকের জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে অসত্‍ পথে পরিচালিত হওয়া বা বেশ্যা বৃত্তিতে লিপ্ত হওয়ার ঝুঁকির সম্মুখীন হইয়াছে  তাহা হইলে আদালত এইরূপ ব্যাপারে উপযুক্ত সতর্কতা অবলম্বন এবং তদারকী করিবার জন্য একটি মুচলেকা সম্পাদন করিতে পিতা-মাতা অথবা অভিভাবককে নির্দেশ দিতে পারিবেন ৷

৪৪ ৷ শিশু কর্মচারীকে শোষণের দণ্ড ৷ -

(১) যে ব্যক্তি শিশুকে ভৃত্যের চাকরি অথবা কারখানা কিংবা অন্য প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের কাজে নিয়োগের ভান করিয়া কোনো শিশুকে হস্তগত করে কিন্তু কার্যত শিশুটিকে তাহার নিজ স্বার্থে শোষণ করে বা কাজে লাগায়, আটকাইয়া রাখে অথবা তাহার উপার্জন ভক্ষণ করেন তিনি এক হাজার টাকা পর্যন্ত দণ্ডনীয় হইবেন ৷

(২) যে ব্যক্তি (১) উপ-ধারায় বা (২) উপ-ধারায় উল্লিখিত পদ্ধতিতে শোষিত বা কাজে লাগানো শিশুর শ্রমের ফল যে ব্যক্তি ভোগ করে অথবা যাহার নৈতিকতা বিরোধী বিনোদনের জন্য শিশুকে ব্যবহার করা হয় তিনি দুষ্কর্মে সহায়তার জন্য দায়ী হইবেন ৷

৪৫ ৷ শিশু  অথবা বাল-অপরাধীর পলায়নে সহায়তার দণ্ড ৷-

যে ব্যক্তি-

ক) কোনো প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটে কিংবা অনুমোদিত আবাসে আটক কিংবা তথা হইতে লাইসেন্সমূলে অন্য স্থানে প্রদত্ত কোনো শিশু বা বাল অপরাধীকে ইনস্টিটিউট আবাস অথবা যে ব্যক্তির নিকট শিশুকে লাইসেন্সমূলে রাখা হইয়াছিল তাহার নিকট হইতে পলায়ন করিতে অথবা এই আইনের অধীনে যে ব্যক্তির হেফাজতে সোর্পদ করা হয় তাহার নিকট হইতে পলায়নে জ্ঞাতসারে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সাহায্য করে বা প্রলুব্ধ করে; বা

(খ) কোনো শিশু বা বাল-অপরাধী প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটে বা অনুমোদিত আবাস হইতে অথবা তাহাকে লাইসেন্সমূলে যাহার তত্ত্বাবধানে রাখা হইয়াছিল কিংবা এই আইনের অধীনে যাহার হেফাজতে সোপর্দ করা হইয়াছিল, তাহার নিকট পালাইয়া যাওয়ার পর তাহাকে পুনরায় উক্ত স্থান বা ব্যক্তির নিকট প্রত্যাবর্তন করা হইতে জ্ঞাতসারে আশ্রয় দেয়, লুকাইয়া রাখে কিংবা বা অনুরূপ কাজে সাহায্য করে;

দুই মাস পর্যন্ত মেয়াদের কারাদণ্ড কিংবা  দুইশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড  অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবে ৷

৪৬ ৷ শিশু সম্পর্কিত রিপোর্ট অথবা ছবি প্রকাশের দণ্ড ৷-

যিনি ১৭ ধারায় বিধানাবলী লংঘন করিয়া কোনো রিপোর্ট বা ছবি প্রকাশ করেন তিনি দুইমাস পর্যন্ত মেয়াদের কারাদণ্ড অথবা দুইশত টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড, অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন ৷

৪৭ ৷ এই ভাগে বর্ণিত অপরাধ আমলযোগ্য অপরাধ ৷

কার্যবিধিতে কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও এই ভাগের অধীনে কৃত সকল অপরাধ আমলযোগ্য হইবে ৷
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
সপ্তম ভাগ

বাল-অপরাধীগণ

৪৮ ৷ গ্রেফতারকৃত শিশুর জামিন ৷ -

যে ক্ষেত্রে আপাত দৃষ্টিতে ১৬ বত্‍সরের কম বয়স্ক কোনো ব্যক্তিকে জামিনের অযোগ্য অপরাধের দায়ে গ্রেফতার করা হয় এবং অবিলম্বে আদালতে হাজির করা যায় না, সে ক্ষেত্র পর্যন্ত জামানত পাওয়া গেলে, তাহাকে যে থানায় আনা হইয়াছে সেই থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার জামিনে খালাস দিতে পারেন, কিন্তু যে ক্ষেত্রে খালাস দেওয়া হইলে উক্ত ব্যক্তি কোনো কুখ্যাত অপরাধীর সাহচর্য লাভ করিবে অথবা নৈতিক বিপদের সম্মুখীন হইবে অথবা যে ক্ষেত্রে তাহাকে খালাস দেওয়ার কারণে ন্যায় বিচারের উদ্দেশ্যে বা অভিপ্রায় ব্যাহত হয় সে ক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তিকে খালাস দেওয়া যাইবে না ৷

৪ঌ ৷ জামিনে খালাস প্রাপ্ত নহে এইরূপ শিশুর হেফাজত ৷-

(১) যে ক্ষেত্রে আপাত দৃষ্টিতে ১৬ বত্‍সরের কম বয়স্ক কোনো ব্যক্তি গ্রেফতার হওয়ার পর ৪৮ ধারার অধীনে না পায়, সে ক্ষেত্রে যত দিন তাহাকে আদালতে হাজির করা না যায় ততদিন পর্যন্ত তাহাকে রিমান্ড হোম অথবা কোনো নিরাপদ স্থানে আটক রাখিবার জন্য থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন ৷

(২) যে শিশু জামিনে খালাসপ্রাপ্ত হয় নাই তাহাকে বিচারে প্রেরন করিয়া আদালত তাহাকে কোনো রিমান্ড হোম অথবা নিরাপদ স্থানে আটক রাখিবার জন্য আদেশ দিবেন ৷

৫০ ৷ গ্রেফতারের পর প্রবেশন অফিসারের নিকট পুলিশ কর্তৃক তথ্য পেশ ৷-

কোনো শিশুকে গ্রেফতারের পর অবিলম্বে তাহা প্রবেশন অফিসারকে অবহিত করা পুলিশ অফিসার অথবা অন্য কোনো গ্রেফতারকারী ব্যক্তির কর্তব্য, যাহার উদ্দেশ্যে হইতেছে আদালতকে উহার আদেশ প্রদানে সহায়তার নিমিত্ত উক্ত শিশুর পূর্ব পরিচয় এবং পারিবারিক ইতিহাস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য অবিলম্বে উদ্যোগ লইতে প্রবেশন অফিসারকে সামর্থ্য করা ৷

৫১ ৷ শিশুকে সাজা প্রদানে বাধা-নিষেধ ৷-

(১) অন্য কোনো আইনে বিপরীত কিছু থাকা সত্ত্বেও কোনো শিশুকে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা কারাদণ্ড প্রদান করা যাইবে না:

তবে শর্ত থাকে যে, কোনো শিশুকে যখন এইরূপ মারাত্বক ধরনের অপরাধ করিতে দেখা যায় যে, তজ্জন্য এই আইনের অধীনে প্রদান যোগ্য কোনো শাস্তি আদালতের মতে পর্যাপ্ত নহে, অথবা আদালত যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, শিশুটি এত বেশী অবাধ্য অথবা ভ্রষ্ট চরিত্রের যে তাহাকে কোনো প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করা চলে না এবং অন্যান্য যে সকল আইনানুগ পন্থায় মামলাটির সুরাহা হইতে পারে উহাদের কোনো একটিও তাহার জন্য উপযুক্ত নহে, তাহা হইলে আদালত শিশুটিকে কারাদণ্ড প্রদান অথবা যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপ স্থানে বা শর্তে আটক রাখিবার আদেশ দিতে পারেন;

আরও শর্ত থাকে যে, এইরূপ আদেশে আটকের মেয়াদ তাহার অপরাধের জন্য প্রদেয় দণ্ডের সর্বোচ্চ মেয়াদের অধিক হইবে না :

আরও শর্ত থাকে যে, এইরূপ আটক থাকাকালে কোনো সময়ে আদালত উপযুক্ত মনে করিলে নির্দেশ দিতে পারেন যে এইরূপে আটক রাখার পরিবর্তে বা অপরাধীকে তাহার বয়স ১৮ বত্‍সর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটে রাখিতে হইবে ৷

(২) কারাদণ্ডে দণ্ডিত কোনো বাল-অপরাধীকে প্রাপ্ত বয়স্ক বন্দীর সঙ্গে মেলামেশা করিতে দেওয়া যাইবে না ৷

৫২ ৷ শিশুকে প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটে সোপর্দ ৷ -

কোনো শিশু মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইলে আদালতে তাহার ক্ষেত্রে সমীচীন বিবেচনা করিলে অন্যূন্ দুই বত্‍সর এবং অনধিক দশ বত্‍সর মেয়াদে আটক রাখিবার জন্য কোনো প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটে সোপর্দ করিতে আদেশ দিতে পারেন কিন্তু কোনো ক্রমেই আটকের মেয়াদ শিশুর বয়স ১৮ বত্‍সর পূর্ণ হওয়ার পর আর বৃদ্ধি করা যাইবে না ৷

৫৩ ৷ বাল-অপরাধীকে খালাস দেওয়া অথবা উপযুক্ত হেফাজতে সোপর্দ করিবার ক্ষমতা ৷-

(১) আদালত উপযুক্ত বিবেচনা করিলে, কোনো বাল-অপরাধীকে ৫২ ধারার অধীনে প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটে আটক রাখিবার নির্দেশদানের পরিবর্তে তাহাকে-

(ক) যথাযথ সাবধান করিবার পর খালাস দিতে পারিবেন, অথবা

(খ) সদাচরণের উদ্দেশ্যে প্রবেশনে মুক্তি প্রদান করিতে পারিবেন এবং তাহার পিতা-মাতা বা অন্য প্রাপ্ত বয়স্ক অথবা অন্য উপযুক্ত ব্যক্তি উক্ত বাল অপরাধীর অনধিক তিন বত্‍সর কাল সদাচারণের জন্য দায়ী থাকিবেন এই মর্মে জামিনসহ অথবা বিনা জামিনে, আদালত যেরূপ নির্দেশ  দিবেন সেইরূপ মুচলেকা দানের পর বাল অপরাধীকে তাহার পিতা-মাতা অথবা অন্য প্রাপ্ত বয়স্ক কোনো আত্নীয় অথবা অন্য উপযুক্ত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে সোর্পদ করিতে পারিবেন এবং আদালত আরও আদেশ দিতে পারিবেন যে, বাল অপরাধীকে প্রবেশন অফিসারের তত্ত্বাবধানে রাখিতে হইবে ৷

(২) প্রবেশন অফিসারের নিকট হইতে রিপোর্ট পাওয়া অথবা প্রকারান্তরে যদি আদালেতর নিকট প্রতীয়মান হয় যে, বাল অপরাধী তাহার প্রবেশন কালে সদাচারণ করে নাই, তাহা হইলে আদালত যেইরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপ তদন্ত করিবার পর বাল অপরাধীকে প্রবেশন কালের অসমাপ্ত সময়ের জন্য প্রত্যায়িত ইনিস্টিটিউটে আটক রাখিবার আদেশ দিতে পারিবেন ৷

৫৪ ৷ পিতা-মাতাকে জরিমানা, ইত্যাদি পরিশোধের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা ৷-

(১) যে ক্ষেত্রে কোনো শিশু অর্থদণ্ড দণ্ডনীয় অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়, যে ক্ষেত্রে আদালতে যদি এই মর্মে সন্তষ্ট না হন যে, শিশুর পিতা মাতা অথবা অভিভাবককে খুঁজিয়া  পাওয়া যাইবে না অথবা শিশুর প্রতি যথাযথ যত্নবান হইতে অবহেলা করিয়া তিনি শিশুকে অপরাধ সংঘটনে সাহায্য করেন নাই, তাহা হইলে আদালত শিশুর পিতা মাতা অথবা অভিভাবককে জরিমানা পরিশোধের আদেশ প্রদান করিবেন ৷

(২) যে ক্ষেত্রে শিশুর পিতা-মাতা অথবা অভিভাবক (১) উপ-ধারার অধীনে জরিমানা প্রদানের আদেশ প্রাপ্ত হইয়াছেন সে ক্ষেত্রে কার্যবিধির বিধান মোতাবেক উক্ত অর্থ আদায় করা যাইবে ৷
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
অষ্টম ভাগ

শিশু এবং বাল-অপরাধীদেরকে আটক, ইত্যাদির ব্যবস্থা

৫৫ ৷ শিশুকে নিরাপদ স্থানে আটক রাখা ৷-

(১) কোনো প্রবেশন অফিসার অথবা কম পক্ষে সহকারী সাব-ইনপেক্টরের পদমর্যাদা সম্পন্ন পুলিশ অফিসার অথবা সরকার কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতা প্রদত্ত ব্যক্তি যে কোনো শিশু যাহার সম্পর্কে এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে যে, সে অপরাধ করিয়াছে বা করিতে পারে বলিয়া সম্ভাবনা রহিয়াছে তাহাকে কোনো নিরাপদ স্থানে লইয়া যাইতে পারে ৷

(২) যে শিশু কোনো নিরাপদ স্থানে এরূপে আনীত হইয়াছে তাহাকে এবং যে শিশু নিরাপদ স্থানে আশ্রয় লাভ করিতে চায় তাহাকেও আদালতে হাজির না করা পর্যন্ত আটক রাখা যাইতে পারে :

তবে শর্ত থাকে যে, আদালতের কোনো বিশেষ আদেশ না থাকিলে, এইরূপ আটক রাখার মেয়াদ ২৪ ঘন্টার অধিক হইবে না, আটক স্থান হইতে আদালত পর্যন্ত যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সময় উক্ত মেয়াদ বহির্ভূত থাকিবে ৷

(৩) আদালত তাহার উপর অতঃপর বর্ণিত আদেশ প্রদান করিতে পারেন ৷

৫৬ ৷ শিশুর যত্ন এবং আটক রাখার ব্যাপারে আদালতের ক্ষমতা ৷-

(১) যে ক্ষেত্রে আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, উহার সমক্ষে হাজিরকৃত কোনো শিশু সম্পর্কে এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ রহিয়াছে যে, সে ৫৫ ধারায় বর্ণিত অপরাধ করিয়াছে বা করিবে বলিয়া সম্ভাবনা রহিয়াছে এবং তাহার স্বার্থে এই আইনের অধীনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন তাহা হইলে আদালত, শিশুটি সম্পর্কে অপরাধ সংঘটনের অপরাধে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করিবার জন্য সঙ্গত সময় অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত শিশুকে তত্ত্বাবধান করা ও আটক রাখার জন্য অথবা প্রয়োজন মোতাবেক অন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয় উহার চাহিদা অনুযায়ী আদেশ প্রদান করিতে পারিবেন ৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে প্রদত্ত আটকাদেশ, উক্ত উপধারায় উল্লিখিত অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে রুজুকৃত মামলার পরিসমাপ্তি, দোষী সাবাস্ত হওয়া, অব্যাহতি প্রদান কিংবা খালাস দেওয়ার মাধ্যমে না ঘটা পর্যন্ত  বলবত্‍ থাকিবে ৷

(৩) কোনো ব্যক্তি শিশুর অভিভাবকত্ব দাবী করা সত্ত্বেও এই ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশ কার্যকর করা হইবে ৷

৫৭ ৷ ক্ষতিগ্রস্ত শিশুকে কিশোর আদালতে প্রেরণ করিতে হইবে ৷-

শিশু সম্পর্কে অপরাধ সংঘটনের জন্য কোনো ব্যক্তি যে আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হয় অথবা অনুরূপ কোনো অপরাধের বিচারের জন্য কোনো ব্যক্তিকে যে আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত হয় অথবা অনুরূপ কোনো অপরাধের বিচারের জন্য কোনো ব্যক্তিকে যে আদালতে হাজির করা হয় সেই আদালত সংশ্লিষ্ট শিশুকে কোনো কিশোর আদালতে অথবা যেখানে কোনো কিশোর আদালত নাই ৪ ধারার অধীনে ক্ষমতা প্রদত্ত আদালতে হাজির হইবার নির্দেশ দিবেন, যাহাতে উক্ত আদালত যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপ আদেশ প্রদান করিতে পারেন ৷

৫৮ ৷ ক্ষতিগ্রস্ত শিশুকে সোপর্দের আদেশ ৷-

যে আদালতে ৫৭ ধারা অনুযায়ী কোনো শিশুকে পেশ করা হয় সেই আদালত আদেশ দিতে পারেন যে,

(ক) শিশুর বয়স ১৮ বত্‍সর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত অথবা, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে আরও সংশ্লিষ্ট মেয়াদের জন্য এইরূপ সংক্ষিপ্ততর মেয়াদের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া শিশুটিকে প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট অথবা কোনো অনুমোদিত আবাসে সোপর্দ করিতে হইবে, অথবা

(খ) শিশুর আত্নীয় কিংবা উপযুক্ত ব্যক্তি শিশুর যথাযথ তত্ত্বাবধান, নিয়ন্ত্রণ এবং হেফাজত করিতে এবং প্রয়োজন হইলে অনধিক ৩ বত্‍সরের জন্য তত্ত্বাবধান করা সহ অন্যান্য যে সকল শর্ত আদালত শিশুর স্বার্থে আরোপ করিতে পারে সেই সকল শর্ত পালন করিতে আগ্রহী এবং সক্ষম এই মর্মে জামিনে আদালতে যেরূপ নির্দেশ দিবেন সেইরূপে মুচলেকা দানের পর শিশুকে উক্ত আত্নীয় বা অন্য উপযুক্ত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে সোপর্দ করিতে হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, যদি শিশুটির পিতামাতা অথবা অভিভাবক থাকে যিনি, আদালতের মতে শিশুর যথাযথ তত্ত্বাবধান, নিয়ন্ত্রণ ও হেফাজত করিবার জন্য উপযুক্ত বা সক্ষম তবে আদালত শিশুটিকে তাহার জিম্মায় রাখিতে অনুমতি দিতে পারেন অথবা তিনি নির্ধারিত ফরমে এবং যে সকল শর্ত আদালত শিশুর স্বার্থে আরোপ করিতে পারেন সেই সকল শর্ত পূরণের জন্য জামানতসহ বা বিনা জামানতে একটি মুচলেকা প্রদান করিলে আদালত শিশুকে তাহার তত্ত্বাবধানে সোপর্দ করিতে পারে ৷

৫ঌ ৷ ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের তত্ত্বাবধান ৷-

 যে আদালত পূর্ববর্তী বিধানাবলীর অধীনে শিশুকে তাহার পিতা-মাতা অভিভাবক অথবা অন্য উপযুক্ত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে সোপর্দের আদেশ প্রদান করেন সেই আদালত আরও আদেশ দিতে পারেন যে, তাহাকে তত্ত্বাবধানে রাখিতে হইবে ৷

৬০ ৷ তদারক ভঙ্গ ৷-

 প্রবেশন অফিসারের নিকট হইতে অন্য প্রকারে রিপোর্ট পাইয়া যদি আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, যে শিশু সম্পর্কে তদারকী আদেশ প্রদান করা হইয়াছে, সেই শিশু সম্পর্কিত আদেশ ভঙ্গ করা হইয়াছে তাহা হইলে আদালত যেরূপ তদন্ত করা উপযুক্ত মনে করেন সেইরূপ তদন্তের পর কোনো প্রত্যায়িত ইনষ্টিটিউটে শিশুটিকে আটক রাখিবার আদেশ দিতে পারেন ৷

৬১ ৷ শিশুর তল্লাশী পরোয়ানা ৷-

(১) কিশোর আদালত অথবা ৪ ধারার অধীনে ক্ষমতা প্রদত্ত আদালতের নিকট যদি যে ব্যক্তি শিশুর স্বার্থে কাজ করিতেছে তত্‍কর্তৃক শপথ গ্রহণ পূর্বক ও দৃঢ়চিত্তে ঘোষিত তথ্য হইতে প্রতীয়মান হয় যে, শিশুটি সম্পর্কে একটি অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে অথবা জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হইলে সংঘটিত হইবে বলিয়া সন্দেহ করিবার যুক্তিসংগত কারণ রহিয়াছে তাহা হইলে আদালত এইরূপ শিশুকে তল্লাশী করিবার জন্য এবং যদি দেখা যায় যে, ইতিপূর্বে বর্ণিত পন্থায় শিশুর সহিত ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্ব্যবহার করা বা তাহাকে অবহেলা করা হইয়াছে বা হইতেছে অথবা শিশুটি সম্পর্কে কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে তবে তাহাকে আদালতে হাজির করিতে না পারা পর্যন্ত  কোনো নিরাপদ স্থানে লইয়া আটক রাখিবার জন্য কোনো পুলিশ অফিসারকে কর্তৃত্ব প্রদান করিয়া একটি পরোয়ানা উহাতে তাহার নাম উল্লেখ পূর্বক জারী করিতে পারিবেন ৷ যে আদালতে শিশুটিকে হাজির করা হয় সেই আদালত প্রথমত তাহাকে নির্ধারিত পদ্ধতিতে কোনো নিরাপদ স্থানে প্রেরণ করিতে পারেন ৷

(২) এই ধারার অধীনে সমন প্রদানকারী আদালত উক্ত সমন দ্বারা নির্দেশ দিতে পারেন যে শিশুটি সম্পর্কে কোনো অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত যে কোনো ব্যক্তি গ্রেফতার করিয়া উহার নিকট হাজির করিতে হইবে অথবা নির্দেশ দিতে পারেন যে, যদি এইরূপ ব্যক্তি এই মর্মে একটি মুচলেকা সম্পাদন করেন যে, তিনি আদালত কর্তৃক অন্য কোনো প্রকার নির্দেশ প্রদত্ত না হওয়া পর্যন্ত সময়ে এবং তাহার পর আদালত হাজিরা দিতে থাকিবেন তাহা হইলে যে অফিসারের ব্যক্তিকে হাজত হইতে মুক্তি দেবেন ৷

(৩) তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তি সমন কার্যকরী পুলিশ অফিসারের সঙ্গে থাকিবেন ৷ যদি তিনি ইহা চাহেন এবং সমন প্রদানকারী আদালত যদি নির্দেশ দেন তাহা হইলে তাহার সঙ্গে একজন যথাযথআবে যোগ্যতাসম্পন্ন ডাক্তারও থাকিবেন ৷

(৪) এই ধারার অধীনে কোনো তথ্য অথবা সমনে শিশুটির নাম জানা থাকিলে উল্লেখ করিতে হইবে ৷

Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
নবম ভাগ

সোপর্দকৃত শিশুদের ভরণপোষণ ও তাহাদের পরিচালনা

৬২ ৷ পিতা-মাতার অবদান ৷ -

(১) যে আদালত কোনো শিশু বা বাল- অপরাধীকে কোনো প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট অথবা অনুমোদিত আবাসে আটক রাখা অথবা তাহার কোনো আত্নীয় কিংবা উপযুক্ত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে সোপর্দ করিবার আদেশ প্রদান করেন সেই আদালত উক্ত শিশু বা বাল-অপরাধীকে ভরণপোষণের জন্য দায়ী পিতা-মাতা বা অন্য ব্যক্তিকে তাহার ভরণপোষণের জন্য সমর্থ হইলে নির্ধারিত পদ্ধতিতে অবদান রাখিতে আদেশ প্রদান করিতে পারেন ৷

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীনে কোনো আদেশ প্রদানের পূর্বে আদালত শিশু বা বাল অপরাধীর ভরণ পোষণের জন্য দায়ী পিতা-মাতা অথবা অন্য ব্যক্তির অবস্থা সম্পর্কে তদন্ত করিবেন এবং যদি কোনো সাক্ষাত্‍ প্রমাণ পাওয়া যায় তবে তাহা ক্ষেত্রমত পিতামাতা অথবা এইরূপ অন্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে লিপিবদ্ধ করিবেন ৷

(৩) এই ধারার অধীনে প্রদত্ত আদেশ, আদালতের নিকট দায়ীপক্ষের আবেদনক্রমে বা পক্ষান্তরে আদালত কর্তৃক রদবদল হইতে পারে ৷

(৪) শিশু কিংবা বাল-অপরাধীকে ভরণপোষণ করিবার জন্য দায়ী ব্যক্তির মধ্যে এই ধারার উদ্দেশ্যে জারজত্বের ক্ষেত্রে অনুমিত পিতা অন্তর্ভূক্ত হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, শিশু বা বাল অপরাধী জারজ হইলেও তাহার ভরণপোষণের জন্য কার্যবিধির ৪৮৮ ধারার অধীনে আদেশ প্রদান করা হইয়া থাকিলে আদালত সাধারণত অনুমিত পিতার বিরুদ্ধে অবদান রাখার আদেশ দিবেন না কিন্তু ভরণপোষণ জন্য উক্ত আদেশের অধীনে পাওয়া সমুদয় অর্থ কিংবা উহার অংশ বিশেষ আদালত যাহার নাম উল্লেখ করিবেন তাহাকে প্রদান করিতে পারেন এবং এই অর্থ অথবা বাল-অপরাধীর ভরণপোষণের জন্য প্রয়োগ করিতে হইবে ৷

৬৩ ৷ ধর্ম সংক্রান্ত বিধান ৷-

(১) এই আইনের অধীনে শিশুকে যে প্রত্যয়িত ইনস্টিট্উট অনুমোদিত আবাস অথবা উপযুক্ত ব্যক্তি অথবা অন্য ব্যক্তির নিকট শিশুকে সোপর্দ করা হইবে তাহা নির্ধারণের জন্য আদালত শিশুর ধর্মীয় নাম বা আখ্যা নিরূপণ করিবেন এবং এইরূপ প্রত্যয়িত ইনস্টিটিউট, অনুমোদিত আবাস অথবা অন্য উপযুক্ত ব্যক্তি নির্বাচনকালে শিশুর নিজ ধর্মে শিক্ষা-দীক্ষার জন্য যে সকল সুবিধা প্রদত্ত হয় উহার প্রতি লক্ষ্য রাখিতে হইবে ৷

(২) শিশুকে যে ক্ষেত্রে এইরূপ কোনো প্রত্যয়ত ইনস্টিটিউট অথবা অনুমোদিত আবাসের তত্ত্বাবধানে সোপর্দ করা হয় যেখানে তাহার নিজ ধর্ম সংক্রান্ত শিক্ষা-দীক্ষার কোনো সুযোগ-সুবিধা নাই অথবা এইরূপ কোনো ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে ন্যস্ত করা হয় যিনি শিশুকে তদীয় ধর্মমতে পালন করিবার জন্য কোনো বিশেষ সুযোগ দিতে পারেন না সে ক্ষেত্রে এইরূপ প্রত্যয়িত ইনষ্টিটিউট অথবা অনুমোদিত আবাসের কর্তৃপক্ষ অথবা উপযুক্ত ব্যক্তি শিশুকে তাহার নিজ ধর্ম ছাড়া অন্য ৯ ধর্ম অনুযায়ী লালন-পালন করিবেন না ৷

(৩) যে ক্ষেত্রে প্রধান পরিদর্শকের দৃষ্টিগোচর করা হয় যে, (২) উপ-ধারার বিধান ভঙ্গ করা হইয়াছে সে ক্ষেত্রে তিনি প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট অনুমোদিত আবাস অথবা উপযুক্ত ব্যক্তির জিম্মা হইতে শিশুটিকে তাহার মতে অন্য কোনো উপযুক্ত প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট অথবা অনুমোদিত আবাসে বদলি করিবেন ৷

৬৪ ৷ লাইসেন্সমূলে বাহিরে প্রেরণ ৷-

(১)কোনো বাল-অপরাধী বা শিশু কোনো প্রত্যয়িত ইনস্টিটিউটে অথবা অনুমোদিত আবাসে আটক থাকাকালে, উক্ত ইনস্টিটিউটে অথবা আবাসের ব্যবস্থাপকগণ যে কোনো সময়ে প্রধান পরিদর্শকের সম্মতি লইয়া, লাইসেন্সমূলে, শিশুকে হিতকর বৃত্তি বা পেশায় গ্রহণ করিতে আগ্রহী লাইসেন্সে উল্লেখিত কোনো বিশ্বাসভাজন এবং সম্মানিত ব্যক্তির সহিত বাস করিতে নির্ধারিত শর্তে অনুমতি দিতে পারিবেন ৷

(২) এইরূপে মঞ্জুরকৃত কোনো লাইসেন্স, যে সকল শর্তে উহার মঞ্জুর করা হইয়াছিল উহার কোনো একটি শর্ত ভঙ্গের কারণে প্রত্যহারকৃত অথবা বাজেয়াপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকিবে ৷

(৩) প্রত্যয়িত ইনস্টিটিউট অথবা অনুমোদিত আবাসের ব্যবস্থাপকগণ যে কোনো সময় লিখিত আদেশ দ্বারা এইরূপ কোনো লাইসেন্স প্রত্যাহার করিতে এবং বাল অপরাধী বা শিশুকে ক্ষেত্রমত ইনস্টিটিউট অথবা আবাসে ফিরিয়া যাইতে আদেশ দিতে পারেন এবং বাল অপরাধী বা শিশুকে, যাহার দায়িত্বে ন্যস্ত করিবার লাইসেন্স প্রদান করা হইয়াছে তাহার অভিপ্রায় অনুযায়ী অনুরূপ আদেশ প্রদত্ত হইবে ৷

(৪) যদি বাল-অপরাধী বা শিশু প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট অথবা অনুমোদিত আবাসে ফিরিয়া যাইতে অস্বীকার করে বা ব্যর্থ হয় তাহা হইলে ক্ষেত্রমত উক্ত ইনস্টিটিউট অথবা আবাসে ব্যবস্থাপকগণ প্রয়োজন হইলে শিশুকে গ্রেফতার করিতে অথবা করাইতে পারিবে এবং তাহাকে ক্ষেত্রমত উক্ত ইনস্টিটিউট অথবা অনুমোদিত আবাসে ফেরত লইতে বা লইবার ব্যবস্থা করিতে পারিবেন ৷

(৫) এই ধারা অধীনে প্রদত্ত লাইসেন্স অনুসরণ কোনো বাল-অপরাধী বা শিশু যতদিন  প্রত্যয়িত ইনস্টিটিউট অথবা অনুমোদিত আবাসে অনুপস্থিত থাকে সেই সময় কাল ক্ষেত্রমত ইনস্টিটিউট অথবা আবাসে তাহার আটক থাকাকালের অংশ বিশেষ বলিয়া গণ্য হইবে ৷

তবে শর্ত থাকে যে, লাইসেন্স প্রত্যাহার বা বাজেয়াপ্ত হওয়ার কারণে যখন বাল-অপরাধী বা শিশু ক্ষেত্রমত ইনস্টিটিউট বা আবাসে ফিরিয়া যাইতে ব্যর্থ হয় এইরূপ ব্যর্থতার পর যে সময় অতিবাহিত হয় তাহা, যে সময়ে সে ক্ষেত্র মত ইনস্টিটিউটে বা আবাসে আটক ছিল সেই সময়ের সহিত একত্রে হিসাব করা হইতে বাদ যাইবে ৷

৬৫ ৷ পলাতক শিশু সম্পর্কে পুলিশের কার্য ব্যবস্থা ৷-

(১) আপাততঃ বলবত্‍ কোনো আইনের বিপরীতে কিছু থাকা সত্ত্বেও কোনো পুলিশ অফিসার, কোনো প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট অথবা অনুমোদিত আবাস অথবা যে ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে থাকার জন্য শিশুকে নির্দেশ দান করা হইয়াছিল তাহার তত্ত্বাবধান হইতে পলাতক শিশু অথবা বাল-অপরাধীকে পরোয়ানা ব্যতীতই গ্রেফতার করিতে পারিবেন এবং উক্ত শিশু বা বাল-অপরাধীর কোনো অপরাধ রেজিস্টিভূক্ত না করিয়া বা তাহার বিরুদ্ধে মামলা না চালাইয়া তাহাকে প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট বা অনুমোদিত আবাস কিংবা উক্ত ব্যক্তির নিকট ফেরত পাঠাইবেন এবং এইরূপে পলাতক হওয়ার কারণে উক্ত শিশু অথবা বাল-অপরাধী কোনো অপরাধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে ৷

(২) প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট বা অনুমোদিত আবাস হইতে পলাতক শিশুকে গ্রেফতার করা হইলে তাহাকে ক্ষেত্রমত উক্ত ইনস্টিটিউট বা আবাসে অপসারণ করা সাপেক্ষে কোনো নিরাপদ স্থানে আটক রাখা হইবে ৷
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
দশম ভাগ

বিবিধ

৬৬ ৷ বয়স অনুমান ও নির্ধারণ ৷-

(১) অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হইয়া বা না হইয়া কোনো ব্যক্তি সাক্ষ্যদানের উদ্দেশ্য ব্যতীত প্রকারান্তরে কোনো ফৌজদারী আদালতে আনীত হইলে, এবং আদালতের নিকট তাহাকে শিশু বলিয়া প্রতীয়মান হইলে আদালত উক্ত ব্যক্তির বয়স সম্পর্কে তদন্ত করিবেন এবং তদুদ্দেশ্যে মামলার শুনানিকালে যে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়া যায় তাহা গ্রহণ করিবেন এবং তাহার বয়সের যতদূর সম্ভব কাছাকাছি বর্ণনা দিয়া উক্ত তদন্ত ফল লিপিবদ্ধ করিবেন ৷

(২) আদালতের আদেশ অথবা রায় এইরূপ ব্যক্তির বয়স নির্ভূলভাবে আদালত কর্তৃক বর্ণিত হয় নাই বলিয়া পরবর্তীকালে প্রমাণ পাওয়া গেলেও বাতিল হইবে না এবং আদালতে হাজিরকৃত ব্যক্তির বয়স বলিয়া আদালত কর্তৃক অনুমিত বা ঘোষিত বয়স এই আইনের উদ্দেশ্যে উক্ত ব্যক্তির প্রকৃত বয়স বলিয়া গণ্য হইবে এবং যে ক্ষেত্রে আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় যে, হাজিরকৃত ব্যক্তির বয়স ১৬ বত্‍সর বা তদূর্ধ সেক্ষেত্রে এই ব্যক্তি এই আইনের উদ্দেশ্যে শিশু বলিয়া গণ্য হইবে না ৷

৬৭। খালাস ।-

(১) সরকার যে কোনো সময়ে কোনো শিশু বা বাল অপরাধীকে প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট অথবা অনুমোদিত আবাস হইতে সর্ম্পূণভাবে অথবা সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট শর্তে খালাসের আদেশ প্রদান করিতে পারেন ।

(২) সরকার যে কোনো সময়ে, কোনো শিশুকে যে ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে এই আইনের অধীনে সোর্পদ করা হয়, তাহার নিকট হইতে সর্ম্পূণভাবে অথবা সরকার কর্তৃক নির্দিষ্ট শর্তে মুক্তি দিতে পারেন ।

৬৮ । বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বদলী ।-

(১) সরকার কোনো শিশু অথবা বাল-অপরাধীকে এক প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটে অথবা অনুমোদিত আবাস হইতে অন্য প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট বা অনুমোদিত আবাসে বদলীর আদেশ দিতে পারেন ।

(২) প্রধান পরিদর্শক কোনো শিশুকে এ প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট অথবা অনুমোদিত আবাস হইতে  অন্য প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট বা অনুমোদিত আবাসে বদলীর আদেশ দিতে পারেন ।

৬৯ । মিথ্যা তথ্য প্রদানের জন্য ক্ষতিপূরণ ।-

(১) ৬১ ধারার বিধানের অধীনে কোনো ব্যক্তি যে মামলা সর্ম্পকে তথ্য প্রদান করিয়াছে সেই মামলা সর্ম্পকে আদালত ইহার মতে প্রয়োজনীয় তদন্ত করিবার পর যদি মনে করেন যে, এইরূপ তথ্য মিথ্যা এবং তুচ্ছ এবং বিরক্তিকর তাহা হইলে আদালত কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া নির্দেশ দিবেন যে এইরূপ তথ্য সরবরাহকারী, যাহার বিপক্ষে উক্ত তথ্য প্রদান করিয়াছে তাহাকে অনূর্ধ্ব ১০০ টাকা পর্যন্ত যে পরিমাণ অর্থ আদালত নির্ধারণ করিবে সেই পরিমাণ অর্থ ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদান করিবে ।

(২) ক্ষতিপূরণ দানের আদেশ প্রদানের পূর্বে আদালত, তথ্য প্রদানকারী উক্ত ক্ষতিপূরণ কেন প্রদান করিবেন না তাহার কারণ দর্শাইবার জন্য তাহাকে আহবান জানাইবেন এবং তথ্য প্রদানকারী কোনো কারণ দর্শাইলে তাহা বিবেচনা করিয়া দেখিবেন ।

(৩) ক্ষতিপূরণ দানের নির্দেশমূলক আদেশ দ্বারা আদালত আরোও আদেশ প্রদান করিতে পারেন যে, অনুরূপ ক্ষতিপূরণ দানে ব্যর্থ ব্যক্তি অনধিক ৩০ দিনের মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করিবে ।

(৪) উপ-ধার (৩) এর অধীনে কোনো ব্যক্তি কারাদণ্ড প্রাপ্ত হইলে দণ্ডবিধির (১৮৬০ সনের ৪৫ নং আইন) ৬৮ ও ৬৯ ধারার বিধানাবলী যতদূর সম্ভব ততদূর প্রযোজ্য হইবে ।

(৫) এই ধারার অধীনে ক্ষতিপূরণ দানের জন্য আদিষ্ট ব্যক্তি এইরূপ আদেশ প্রাপ্তির কারণে উক্ত তথ্য সংক্রান্ত কোনো দেওয়ানী দায়দায়িত্ব হইতে অব্যাহতি পাইবে না, তবে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রদত্ত যে কোনো অর্থ এহেন বিষয় সম্পর্কিত কোনো পরবর্তীকালীন দেওয়ানী মোকদ্দমার ক্ষেত্রে হিসাবের অর্ন্তভূক্ত হইবে, বিবেচনা করা যাইবে ।

৭০ । দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে অযোগ্যতা নিরসন ।-

শিশু কোনো অপরাধ করিয়া ফেলিয়াছে এই অবস্থায় তাহাকে পাওয়া গেলে তাহার অপরাধ সংঘটনের ঘটনা দণ্ডবিধির ৭৫ ধারার  অধীনে অথবা কার্যবিধির ৫৬৫ ধারার অধীনে কার্যকর হইবে না, অথবা কোনো অফিসে চাকরি বা আইনের অধীনে নির্বাচনের ক্ষেত্রে অযোগ্যতা হিসাবে কাজ করিবে না ।

৭১ । ''সাজা'' এবং ''দন্ডিত'' শব্দগুলি শিশুদের সর্ম্পকে ব্যবহৃত হ্ইবে না ।-

এই আইনে যেইরূপ বিধান করা হইয়াছে সেইরূপ ব্যতীত, এই আইনের অধীনে যে সকল শিশু বা বাল অপরাধী সর্ম্পকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তাহাদের ক্ষেত্রে দোষী সাব্যস্ত এবং দণ্ডিত শব্দগুলির ব্যবহার চলিবে না এবং কোনো আইনে কোনো ব্যক্তির সর্ম্পকে দোষী সাব্যস্ত অথবা দণ্ডাদেশ বলিতে শিশু অথবা বাল অপরাধীর ক্ষেত্রে কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি দোষী সাব্যস্তকরণ অথবা উহার উপর প্রদত্ত কোনো আদেশ বুঝিতে হইবে বা ব্যাখ্যাত হইবে ।

৭২ । শিশুর উপর জিম্মাদারের নিয়ন্ত্রণ ।-

এই আইনের বিধানাবলীর অধীনে যে ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে শিশুকে সোর্পদ করা হইয়াছে, সেই ব্যক্তি শিশুটিকে উহার পিতার ন্যায় নিয়ন্ত্রণ করিবেন এবং তাহার ভরণপোষণের জন্য দায়ী থাকিবেন, এবং শিশুটিকে তাহার পিতামাতা অথবা অন্য কোন ব্যক্তি দাবী করা সত্ত্বেও আদালত কর্তৃক বর্ণিত সময়ের জন্য শিশুটি অব্যাহতভাবে উক্ত ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে থাকিবে ।

৭৩ । এই আইনের অধীনে গৃহীত মুচলেকা ।-

কার্যবিধির ৪২ অধ্যায়ের বিধানাবলী যতদূর সম্ভব, এই আইনের অধীনে গৃহীত মুচলেকার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে ।

৭৪ । প্রধান পরিদর্শক, প্রবেশন অফিসার, প্রভৃতি সরকারী কর্মচারী ।-

প্রধান পরিদর্শক, সহকারী পরিদর্শকগণ, প্রবেশন অফিসারগণ এবং এই আইনের কোনো বিধানের অধীনে কাজ করিতে অনুমতি প্রদত্ত অথবা অধিকার প্রাপ্ত অন্যান্য ব্যক্তি দণ্ডবিধির (১৮৬০ সনের ৪৫ নং আইন) এর ২১ ধারার অর্থ অনুযায়ী গণ কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন ।

৭৫ । এই আইনে গৃহীত ব্যবস্থার হেফাযত ।-

এই আইনের অধীনে কোনো ব্যক্তি সরল বিশ্বাসে কোনো কাজ করিয়া থাকিলে বা করিবার অভিপ্রায় করিলে তজ্জন্য তাহার বিরুদ্ধে কোনো মোকদ্দমা মামলা অথবা আইনানুগ কার্যধারা রুজ্জু করা চলিবে না ।

৭৬ । আপিল ও পূর্ণবিচার ।-

(১) কার্যবিধিতে কোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও এই আইনের বিধানাবলীর অধীনে কোনো আদালত কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের উপর আপিল করা চলিবে-
(ক)     দায়রা আদালতে, যদি আদেশটি কোনো শিশু আদালত অথবা ৪ ধারার অধীনে ক্ষমতা প্রদত্ত কোনো ম্যাজিস্ট্রেট প্রদান করিয়া থাকেন ; এবং
(খ)    হাইর্কোট বিভাগে, যদি আদেশটি কোনো দায়রা জজ আদালত অথবা অতিরিক্ত দায়রা জজের আদালত অথবা সহকারী দায়রা জজের আদালতে প্রদান করিয়া থাকেন ।

(২) এই আইনের অধীনে কোনো আদালত কর্তৃক প্রদত্ত কোনো আদেশ পূর্ণবিচার করিবার জন্য হাইর্কোট বিভাগের ক্ষমতাকে ক্ষুন্ন করিবে না ।

৭৭ । বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা ।-

(১) সরকার এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণ কল্পে বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবেন ।

(২) পূর্বোক্ত ক্ষমতার সামগ্রিকতা ক্ষুন্ন না করিয়া বিশেষ করিয়া নিম্নলিখিত বিষয়ে বিধান করিতে পারিবেন-
(ক)   

কিশোর আদালত এবং ৪ ধারার অধীনে ক্ষমতাপ্রদত্ত অন্যান্য আদালত কর্তৃক এই আইনের অধীনে মামলার বিচার ও কার্যধারার শুনানীর জন্য অনুসরণীয় পদ্ধতি ;
(খ)    ধারা ৭(১) এর অধীনে কিশোর আদালতের এজলাসের স্থান, তারিখ ও পদ্ধতি;
(গ)   

এই আইনের উদ্দেশ্যে যে সকল শর্ত সাপেক্ষ প্রতিষ্ঠানসমূহ, শিল্প বিদ্যালয়সমূহ অথবা অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ, প্রত্যায়ন অথবা অনুমোদিত আবাসকে স্বীকৃতিদান করা যাইবে সেই শর্তাবলী ;
(ঘ)    প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউটসমূহেরসংস্থাপন,প্রত্যায়ন,ব্যবস্থাপনা,রক্ষণাবেক্ষণ,রেকর্ড ও হিসাব রক্ষণ সংক্রান্ত;
(ঙ)   

প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট সমূহের বাসিন্দাদের শিক্ষা-দীক্ষা ও প্রশিক্ষণ এবং তাহাদের অনুপস্থিতি হেতু ছুটি;

(চ)
   পরিদর্শকগণের নিয়োগ ও চাকরীর মেয়াদ;

(ছ)
   

প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট ও অনুমোদিত আবাসসমূহের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলা;

(জ)
   

প্রত্যায়িত ইনস্টিটিউট ও অনুমোদিত আবাসসমূহের অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলা;

(ঝ)
   

যে সকল শর্ত সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠানসমূহকে ১৪ (২) ধারার উদ্দেশ্যে অনুমোদিত স্থানরূপে স্বীকৃতি দান করা হইবে ;

(ঞ)
   প্রধান পরিদর্শক ও প্রবেশন অফিসারের ক্ষমতা ও কর্তব্য;

(ট)
   ৩২ ও ৫৫ ধারার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ক্ষমতা প্রদান পদ্ধতি;

(ঠ)
   ৫৮ ধারার অনুবিধির অধীনে প্রদেয় মুচলেকার ফরম;

(ড)
   শিশুকে ৬১(১) ধারার অধীনে নিরাপদ স্থানে পাঠাইবার পদ্ধতি;

(ঢ)
   শিশুর ভরণপোষণের জন্য অবদান রাখিতে;

(ণ)
   

৬৪ ধারার অধীনে শিশুকে লাইসেন্সমূলে খালাস দেওয়ার শর্তাবলী এবং এইরূপ লাইসেন্সের ফরম;

(ত)
   শিশুকে এই আইনের অধীন কোনো ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে সোর্পদের শর্তাবলী এবং সোর্পদকৃত শিশুর প্রতি এইরূপ ব্যক্তির বাধ্যবাধকতা; এবং

(থ)
   গ্রেফতারকৃত অথবা বিচারের জন্য পুলিশ হেফাযতে প্রেরিত শিশুকে আটক রাখার পদ্ধতি ।

৭৮ । রহিতকরণ ,ইত্যাদি ।-

(১) Bengal Children Act, 1922 ( ১৯২২ সনের ২ নং আইন) এতদ্বারা রহিত করা হইল ।

(২) যে এলাকায় এই আইন ১(২) ধারার অধীনে বলবত্‍ করা হয় সেই এলাকায় বলবত্‍ এর তারিখ হইতে রিফরমেটরী আইন,১৮৯৭ (১৮৯৭ সনের ৮ নং আইন) রহিত করা হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে ।

(৩) যে এলাকায় এই আইন বলবত্‍ করা হইবে সেই এলাকায় ফৌজদারি কার্যবিধির ২৯-খ এবং ৩৯৯ ধারার বিধানাবলীর প্রয়োগ রহিত হইবে ।

তথ্যসুত্রঃ

শিশু আইন ও অধিকার
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
জাতীয় শিশুনীতি

(ডিসেম্বর, ১৯৯৪)

প্রথম অধ্যায়

 ভূমিকাঃ

দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শিশুদের জন্য সুষ্ঠু কার্যক্রম গ্রহণ অপরিহার্য ৷ প্রত্যেক শিশুকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় সকলের অংশগ্রহণ একান্ত বাঞ্ছনীয় ৷ শিশুরাই দেশের ভবিষ্যত্‍ কর্ণধার ৷ জাতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শিশুদের উন্নয়নের সার্বিক কার্যক্রম অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রহন ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন ৷

বাংলাদেশর জাতীয় নীতিতে প্রথম থেকেই শিশু উন্নয়নের চিন্তা স্থান পেয়েছে ৷ বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ (৪) ধারা অনুযায়ী শিশুদের অগ্রগতির জন্য রাষ্ট্র বিশেষ বিধান প্রণয়ন করতে পারে ৷ শিশু উন্নয়নের লক্ষ্যে ১ঌ৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন ও ১ঌ৭৬ সালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ৷ জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদে স্বাক্ষরদানকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান প্রথম দিকে এবং এর বিভিন্ন ধারাসমূহ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ৷ সংবিধানের মৌলিক নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এবং জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের উপর ভিত্তি করে শিশুদের নিরাপত্তা, কল্যাণ নিশ্চিত করার  উদ্দেশ্যে সরকার জাতীয় শিশুনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৷

দ্বিতীয় অধ্যায়

শিশুর সংজ্ঞা

বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনে শিশুর বয়সসীমা ভিন্ন ভিন্নভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে৷ বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে ১৪ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ছেলে-মেয়েদের শিশু হিসেবে গণ্য করা হবে৷

তৃতীয় অধ্যায়

বাংলাদেশের শিশু পরিস্থিতি

বাংলাদেশে ১ঌঌ১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সের জনসংখ্যা ৫ কোটি ৬৪ লক্ষ ২ঌ হাজার ২২৭ জন (মোট জনসংখ্যার ৫০.৬৩%)৷ দেশে সম্পদের স্বল্পতা, অনুন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের অভাবে অনেক শিশু শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং বাসস্থানের মত মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত ৷

স্বাস্থ্য ও পুষ্টিঃ

২০০০ সালের মধ্যে ''সবার জন্য স্বাস্থ্য'' নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়েছে ৷ তবে এখনও অনেক শিশু নানা রোগ এবং পুষ্টিহীনতার সম্মুখীন ৷ ১ঌঌ১ সালে বাংলাদেশে মোট মৃতের প্রায় অর্ধেক ছিল ৫ বছরের কম বয়সী শিশু ৷ প্রতি ১০০০ শিশুর মধ্যে মাত্র ১০০ জনের কম জন্ম নেয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ধাত্রীর হাতে এবং ৩০০ জনের বেশী শিশুর জন্মকালীন ওজন স্বাভাবিক ওজনের চেয়ে কম থাকে ৷ জন্মের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ১২ জন শিশু মারা যায় ৷ তন্মধ্যে ৮ জন জন্মকালীন আঘাতের কারণে, ৩ জন গর্ভাবস্থায় পূর্ণতা প্রাপ্তি না ঘটার কারণে এবং অপর ১ জন অন্যান্য কারণে মৃত্যুবরণ করে ৷ আরও ২৩ জন শিশু মারা যায় জন্মের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ৷ এর মধ্যে ১৬ জন মারা যায় পূর্ণতাপ্রাপ্তি না ঘটায় এবং ৫ জন মারা যায় প্রসব পরবর্তী ধনুষ্টংকারে ৷ এক সপ্তাহ বয়স থেকে এক বছর বয়সের মধ্যে আরও ৭৫ জন শিশু মারা যায় ৷ এর মধ্যে ১১ জন ধনুষ্টংকারে, ২৪ জন নিউমোনিয়াসহ জটিল শ্বাসনালী সর্ম্পকিতরোগে এবং ১৩ জন মারা যায় ডায়রিয়ায় ৷ এক থেকে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে আরও ৭৪ জন শিশু মারা যায় ৷ এ হিসেবে প্রতি বছর ৫ বছরের কম বয়সের প্রায় ৮ লক্ষ শিশু নানা প্রতিরোধযোগ্য রোগে মৃত্যুবরণ করে ৷ ইউনিসেফ কর্তৃক সম্প্রতি প্রকাশিত '' The Progress of Nation" ঌ৩ -তে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর সংখ্যা প্রতি হাজারে ১৩৩ জন উল্লেখ করা হয়েছে ৷

এদেশে ১২-১৮ মাস বয়সের মধ্যে শতকরা ঌ০ জনের বেশী শিশু পুষ্টিহীন হয়ে পড়ে ৷ শুধুমাত্র দারিদ্র এবং খাদ্যের অভাবেই এমন হচ্ছে না বরং ঘন ঘন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়া এবং পুষ্টি সর্ম্পকে অভিভাবকদের সঠিক জ্ঞান না থাকাও এর অন্যতম কারণ ৷ বাংলাদেশে সবচেয়ে গরীব পরিবারগুলোর শতকরা ১০ ভাগ তাদের মোট পারিবারিক আয়ের শতকরা ৭৫ থেকে ৮০ ভাগ পর্যন্ত খাদ্য বাবদ ব্যয় করে ৷ ভিটামিন 'এ' এর অভাবে প্রতিদিন প্রায় ১০০ টি শিশু অন্ধ হয়ে যায় এবং অর্ধেকের বেশী অন্ধ হওয়ার ১ সপ্তাহের মধ্যে মারা যায় ৷ ৬ থেকে ৭২ মাস বয়সের ১০ লক্ষ শিশু কম বেশী ভিটামিন 'এ' এর অভাবে ভোগে ৷

বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা ৩৮ জনই শরীরে আয়োডিন স্বল্পতাজনিত বিভিন্ন রোগের আক্রমনের সম্মুখীন ৷ শতকরা ১০ জনের গলগন্ড রয়েছে এবং ৩ জন অন্যান্য আইডিডি জটিলতায় ভুগছে ৷ উত্তারাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় শতকরা ৫০ থেকে ৭০ জন লোক বর্তমানে গলগন্ডের রোগী ৷

বাংলাদেশের ঌ৬% লোকের বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও মাত্র ১৬% লোক তাদের সব ধরণের কাজে টিউবওয়েলের বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করে থাকে ৷ পয়ঃ নিষ্কাশনও একটি বড় সমস্যা ৷ গ্রামাঞ্চলে ৩৩% এবং শহরাঞ্চলে ৫৫% পরিবার স্যানিটারি পায়খানা ব্যবহার করে ৷ প্রয়োজনীয় সংখ্যক জলাবদ্ধ পায়খানার অভাবে জনসাধারণ খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করে ৷ ফলে রোগ জীবাণু ছড়ানোর আশংকা বাড়ছে এবং এসব কারনে সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবারের অল্প বয়স্ক শিশুরা ৷

 

শিক্ষাঃ

সরকার ২০০০ সালের মধ্যে 'সবার জন্য শিক্ষা' কর্মসূচী গ্রহণ করেছে তথাপিও দেশের শিক্ষা অবকাঠামোর অপ্রতুলতা এবং পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে অনেক শিশু শিক্ষা লাভ করতে পারে না ৷ যদিও শতকরা ৮৬ ভাগ ছেলে-মেয়ে স্কুলে ভর্তি হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই প্রায় ৪০% প্রথম দু এক বছরের মধ্যে স্কুল ত্যাগ করে৷ স্কুলে মেয়েদের ভর্তির হার ছেলেদের চেয়ে কম (৫৩% : ৪৭%) ৷ ছেলেদের চেয়ে অধিক হারে মেয়েরা স্কুল ত্যাগ করে ৷ প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার আগেই স্কুল ত্যাগ করার প্রবণতা রোধ করা এবং যারা কখনও স্কুলে ভর্তি হয় না এরকম শিশুদের অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করাই দেশের শিশু শিক্ষা ব্যবস্থাপনার প্রধান লক্ষ্য৷ এক হিসাবে দেখা যায়, দেশের ৬ থেকে ১০ বছর বয়সের ১ কোটি ৭৫ লক্ষ শিশুর মধ্যে প্রায় ২.৫ লক্ষ (১৪%) প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করার আগেই স্কুল ছেড়ে দেয় ৷ প্রাথমিক শিক্ষার প্রসারের জন্য অগ্রাধিকার এর ভিত্তিতে বর্তমান একাধিক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে ৷

শিশু শ্রমঃ

অর্থনৈতিক কারণে এবং পারিবারিক প্রয়োজনে বেশ কিছু সংখ্যাক শিশু অতি অল্প বয়সেই নানা ধরণের শ্রমে নিয়োজিত হতে বাধ্য হয় ৷ শহর, গ্রাম উভয় অঞ্চলেই শিশু শ্রমিক নিয়োগ করা হয় ৷ সরকারের পরিসংখ্যান বিভাগের হিসেব মতে দেশের মোট শ্রমিকের ১২% শিশু শ্রমিক; এ হিসেবে কেবল মাত্র নিবন্ধনকৃত শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিশু শ্রমিকদের ধরা হয়েছে ৷ অনিবন্ধনকৃত বা ননফরমাল সেক্টরে কর্মরত শিশু শ্রমিকদের হিসেব করলে এ সংখ্যা আরো বাড়বে ৷ শুধু শহরাঞ্চলেই চরম দারিদ্র্য ও বঞ্চনার মাঝে ১৫ বছরের কম বয়সী যে সকল শিশু শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে তাদের সংখ্যা ১ঌঌ০ সালে প্রায় ২ঌ লক্ষ বলে এক সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে ৷

দেশের প্রচলিত আইনে শিল্প কারখানায় শিশু শ্রম নিষিদ্ধ হলেও জীবিকার প্রয়োজনে শৈশব অবস্থায় অনেক শিশুকে নানা ধরনের শ্রমে নিয়োজিত হতে হচ্ছে ৷

শিশুর আইনগত অধিকারঃ

শিশুদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও তাদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন সময়ে দেশে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে ৷ এ সমস্ত আইন বিবাহ, বিবাহ-বিচ্ছেদ, অভিভাবকত্ব, কর্মসংস্থান, শিশু শ্রম, শিশু পাচার ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিশুদের স্বার্থ ও অধিকার রক্ষার জন্য প্রণীত হয়েছে ৷ এছাড়া ১ঌ৭৪ সালের বাংলাদেশ শিশু আইনে শিশু সংক্রান্ত অপরাধের জন্য শাস্তি ও শিশু অপরাধীদের সংশোধনের বিষয়াবলী লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ৷ এ আইনে শিশুদের হেফাজত (Custody), সংরক্ষণ (Protection) ও  (Correction) সংশোধনের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷

সমাজে অসুবিধাগ্রস্ত শিশুঃ

সমাজে অসুবিধাগ্রস্থ শিশুদের মধ্যে এতিম ও দুঃস্থ শিশু, গৃহহীন/পথ-শিশুর সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, নদী ভাঙ্গন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নানাবিধ রোগ, দুর্ঘটনা ও মানবসৃষ্ট সংকটের কারণে বহুলোক জীবিকার অন্বেষণে শহরমুখী হচ্ছে । ফলে শহরাঞ্চলে দুর্দশাগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ৷ পারিবারিক ও সামাজিক কারণেও অনেক শিশু দুর্দশায় পতিত হয় ৷

 

প্রতিবন্ধী শিশুঃ

দেশে প্রতিবন্ধীর সংখ্যাও অনেক (মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০%) এর মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু ৷ প্রতিদিন ভিটামিন 'এ' এর অভাবে ১০০ টি শিশু অন্ধত্ব বরণ করে ৷ জন্মগত কারণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, দূর্ঘটনা, অপুষ্টি ও বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণে অনেক শিশু প্রতিবন্ধী হয়ে যায় ৷

মেয়ে শিশুঃ

দেশে ছেলে শিশু ও মেয়ে শিশুর অবস্থা ভিন্নতর ৷ সচেতন ও অসচেতনভাবে ছেলে ও মেয়ে শিশুর মধ্যে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয় ৷ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পুষ্টি, নিরাপত্তা সকল ক্ষেত্রে মেয়ে শিশুরা কম সুবিধা ভোগ করে থাকে ৷ ছেলে শিশুর তুলনায় মেয়ে শিশুর মৃত্যুর হার বেশী ৷

চতুর্থ অধ্যায়

শিশুনীতির লক্ষ্যসমূহ

উপরোক্ত পরিস্থিতির আলোকে শিশুদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার নিশ্চিত করার নিমিত্তে নিম্নলিখিত ৬টি প্রধান লক্ষ্য চিহ্নিত করা হয়েছে :

(ক) জন্ম ও বেঁচে থাকা : জন্মের পর শিশুর বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তার স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং শারীরিক নিরাপত্তা বিধান ৷

(খ) শিক্ষা ও মানসিক বিকাশঃ শিশুর সার্বিক মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে তার শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং তার নৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক মূল্যবোধের বিকাশ সাধান ৷

(গ) পারিবারিক পরিবেশ: পারিবারিক পরিবেশ শিশুর সঠিক উন্নয়নের একটি প্রধান শর্ত বিধায় পারিবারিক পরিবেশের উন্নতি বিধানে পদক্ষেপ গ্রহণ ৷

(ঘ) বিশেষ অসুবিধাগ্রস্থ শিশুর সাহায্য : বিশেষ অবস্থায় পতিত অসুবিধাগ্রস্ত শিশুদের জন্য বিশেষ সাহায্যের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ৷ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা এবং সমতা বিধান করা ৷

(ঙ) শিশুদের সর্বোত্তম স্বার্থ :সকল জাতীয়, সামাজিক বা পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত পর্যায়ে শিশুর সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষার নীতি অবলম্বন ৷

(চ) আইনগত অধিকার :   জাতীয়, সামাজিক বা পারিবারিক কর্মকাণ্ডে শিশুর আইনগত অধিকার সংরক্ষণ ৷
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
পঞ্চম অধ্যায়

বাস্তবায়ন পদক্ষেপসমূহ :

 (ক) জন্ম ও বেঁচে থাকা :

(১)  সকল শিশুর নিরাপদ জন্মগ্রহণ ও বাঁচার অধিকার নিশ্চিত করা ৷ এ লক্ষ্যে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্য, পরিচর্যা এবং পরিবার পরিকল্পনা সেবার মাধ্যমে শিশুর নিরাপদ জন্ম এবং বেড়ে উঠার ব্যবস্থা নেয়া এবং প্রসূতি পূর্ব ও প্রসূতি পরবর্তী প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ৷ কর্মজীবী মহিলাদের প্রসূতিকালীন ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেয়া ৷

(২) শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য মায়েদেরকে উদ্বুদ্ধ করা ৷ কর্মজীবী মহিলারা যাতে তাদের কর্মস্থলে বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়াতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ৷

(৩) শিশুর খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করা ৷ সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে মায়েদের এবং শিশু লালন-পালনকারীদের শিশু পুষ্টি সর্ম্পকে জ্ঞান দান করা ৷ ভালো ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তোলা ৷ বিশেষ করে অন্ধত্ব নিবারণে শিশুদের ভিটামিন 'এ' সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে উদ্বৃদ্ধ করা ৷

(৪) শিশুদেরকে ইপিআই টিকাদান কর্মসূচীর আওতায় জীবননাশকারী ৬টি মারাত্মক রোগ থেকে রক্ষা করা ৷ পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমে ডায়রিয়া, শ্বাসনালী সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধের এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে বসবাসের অভ্যাস করা ৷

(৫) সকল শিশুকে সমন্বিত স্বাস্থ্য পরিচর্যার আওতায় আনা এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রাথমিক ও স্বাস্থ্য পরিচর্যার উপর জোর দেয়া ৷ সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মায়েদেরকে শিশু বিকাশ, শিশু পুষ্টি বিষয়ে প্রাথমিক জ্ঞান দান করা এবং মায়েদের শিশু সংক্রান্ত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচীতে সম্পৃক্ত করা যাতে পরিবারের সকল সদস্য শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্যা সর্ম্পকে অবহিত হতে পারে ৷

(খ) শিক্ষা:

(১) সকল শিশুর জন্য অবৈতনিক সার্বজনীন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা ৷

(২) মেয়ে শিশুর শিক্ষার জন্য ৮ ম শ্রেণী পর্যন্ত বাধ্যতামূলক অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ৷

(৩)    প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ হতে বঞ্চিত শিশুদের জন্য উপযোগী শিক্ষার ব্যবস্থা করা ৷

(৪) স্কুল ত্যাগী শিশুদের বিশেষতঃ ভর্তি না হতে পারা মেয়ে শিশুদের শিক্ষা লাভের সুযোগ দেয়ার জন্য অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানসমূহের (মাদ্রাসা) উপযুক্ত ব্যবহারের নিশ্চয়তা প্রদান করা ৷

(৫) শৈশবের শুরুতেই শিশুদের সার্বিক উন্নয়ন/ শিক্ষাদান এবং অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কর্মসূচী বাস্তবায়নের পক্ষে সমর্থন ও জোরালো প্রচারনা চালানো ৷

(৬) শ্রমের মর্যাদা সর্ম্পকে উপলব্ধি ও কঠোর পরিশ্রমের প্রতি শিশুদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে তাদের জন্য প্রণীত সিলেবাসে এসব বিষয়ে আলোকপাত করা ৷

(৭) সাধারণ শিক্ষার সাথে সাথে শিশুদের জন্য তাদের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গী ও মানসিক প্রবণতা অনুযায়ী উপযুক্ত বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা ৷ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষানবীশ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বিভিন্ন বৃত্তিমুলক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করতে উদ্বুদ্ধ করা ৷

(৮) শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক শিশুসাহিত্য, ছড়া, কবিতা ও গল্পের বই বিনা মূল্যে/ হ্রাসকৃত মূল্যে সরবরাহ নিশ্চিত করা ৷ বিশেষ অসুবিধাগ্রস্ত শিশুদের জন্য উপযোগী বই, পুস্তক প্রকাশনা এবং বিতরণের ব্যবস্থা নেয়া ৷

(৯) সরকারী/আধা সরকারী সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থ শিশুদের জন্য সহজলভ্য করা ৷

(গ) মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশ:

(১) সকল শিশুর সুস্থ মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের লক্ষ্যে নিয়মিত কার্যক্রম গ্রহণ করা ৷

(২)  সকল শিশুকে তার স্বকীয়তা ও যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষিত করা ৷ তাকে আত্মনির্ভরশীল হয়ে দেশের উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালনে যোগ্য করে তোলা ৷

(৩) শিশুর সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদান করা ৷

(৪)  শিশুকে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ ও ধর্মীয় চেতনার আলোকে চারিত্রিক ও নৈতিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা ৷

(৫) সকল শিশুকে এমনভাবে গড়ে তোলা যেন তারা দেশ ও বিশ্বকে জানে, প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শিখে এবং পরিবেশ সংরক্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান লাভ করে ৷

(৬) শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশের লক্ষ্যে তাদের উপযোগী পূর্ণ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ, চিত্রশালা, যাদুঘর, নৃত্য ও সংগীত বিদ্যালয়, চিত্রাংকন বিদ্যালয় এবং শরীরচর্চা কেন্দ্র গড়ে তোলা ৷

(৭) শিশুকে তার শৈশবে সকল প্রকার খেলাধুলা, শরীর চর্চা, সংগীত, অভিনয়, আবৃত্তি, নৃত্য এসব বিষয়ে উত্‍সাহিত করা যেন সে নিজের ভিতরের প্রতিশ্রুতিকে বিকশিত করে দেশের সাংস্কৃতিক মানকে উঁচু করতে সক্ষম হয় ৷

(ঘ)   পারিবারিক পরিবেশ:

(১)   শিশুর নিরাপত্তা, শিক্ষা ও উন্নয়নে পিতা-মাতা, অভিভাবক, সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রাথমিক দায়িত্ব নিশ্চিত করা ৷

(২) সকল শিশুকে এমনভাবে গড়ে তোলা যেন তারা পারস্পরিক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় মানব জাতির পক্ষে বিশ্ব শান্তি, বিশ্ব সংস্কৃতি, সংহতি ও বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের মহান আদর্শে অনুপাণিত হয় ৷

(৩)  কর্মজীবী মহিলাদের সন্তানদের জন্য '' দিবাকালীন শিশু যত্ন কেন্দ্র'' স্থাপন করা ৷

(ঙ) আইনগত অধিকার :

(১)    প্রচলিত আইনগুলোর প্রয়োগ/সংশোধন করার সময়ে শিশু স্বার্থ রক্ষার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া ৷

(২)   যে কোন অপরাধের জন্য শিশুর উপর দৈহিক বা মানসিক পীড়ন পরিহার নিশ্চিত করা ৷

(৩)  অভিযুক্ত শিশুর প্রতি মানবিক আচরণ প্রদর্শন ও তার মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ৷

(৪) বিপথগামী শিশুকে সংশোধন করাই হবে প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার মূল লক্ষ্য ৷

(চ) বিশেষ অসুবিধাগ্রস্ত শিশু:

(১) পরিত্যক্ত, অবহেলিত, অনাথ, দুঃস্থ ও আশ্রয়হীন শিশুদের উপযুক্ত পরিবেশে আশ্রয়, ভরণ-পোষণ, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা ৷

(২) প্রাকৃতিক দূর্যোগসহ সকল প্রতিকূল অবস্থায় শিশুদের ত্রাণ সামগ্রী বণ্টনের ক্ষেত্রে বিশেষ অসুবিধাগ্রস্ত শিশুদের অগ্রাধিকার প্রদান করা ৷

(৩) দুর্যোগে সকল শিশুকে রক্ষার জন্য বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা ৷

(৪) সমস্ত শিশুকে মানব সৃষ্ট সংকট, ঝুঁকিপূর্ণ কায়িকশ্রম, শোষণ এবং দূষিত পরিবেশের ভয়াবহতা হতে রক্ষা করা ৷

(৫) শিশু শ্রম, শিশু অপব্যবহার, শিশু নির্যাতন ও শিশু পাচার কার্যকরভাবে বন্ধ করা এং অপরাধী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা ৷

(ছ)    প্রতিবন্ধী শিশু :

(১)  যে সকল শিশু শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী তাদের জন্য বিশেষ শিক্ষা, চিকিত্‍সা, আশ্রয়, যত্ন , প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা ৷

(২)  শৈশবকালীন প্রতিবন্ধীত্ব প্রতিরোধকল্পে বিভিন্ন কর্মসূচী বিশেষ করে টিকাদানের মাধ্যমে পোলিও, মাইলাটিস, আয়োডিন বা ভিটামিন 'এ' এর অভাবজনিত পংগুত্ব নির্মুলকল্পে কর্মসূচীর ব্যবস্থা  গ্রহণ করা ৷

(জ)   মেয়ে শিশু :

(১) মেয়ে শিশু ও ছেলে শিশুর মধ্যে বৈষম্য দূরীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা ৷

(ঝ)      সবার আগে শিশু :

(১)  সর্বাবস্থায় শিশুর প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার প্রদান ৷

(২)   শিশুদের সর্ম্পকে প্রয়োজনীয় প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য সংগ্রহ ও গবেষণা অব্যাহত রাখা ৷

(৩)   প্রতি বছর শিশুদের অবস্থার উন্নয়ন সর্ম্পকে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করা এবং বহুল প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া ৷

(৪) নির্ধারিত দিনে ''জাতীয় শিশু দিবস''/ ''বিশ্ব শিশু দিবস'' পালন করা ৷
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
ষষ্ঠ অধ্যায়

কর্মকৌশল:

১ । ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত ব্যবস্থাপনা:

শিশুরা যে পরিবেশে জন্মলাভ করে সে পরিবেশকে উন্নত, সুন্দর ও প্রগতিশীল করে গড়ে তুলে শিশুদের সার্বিক কল্যাণের জন্য পরিবার, গোষ্ঠী তথা সমাজভিত্তিক ব্যবস্থাপনার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেয়া হবে ৷

২ । সরকারী ব্যবস্থাপনা:

শিশুদের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকারী সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ গ্রাম পর্যায়ে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে ৷ বিশেষতঃ আশ্রয়হীন, অসহায়, অবহেলিত, পরিত্যক্ত, অসুবিধাগ্রস্ত ও প্রতিবন্ধী শিশুদের ভরণ-পোষণ, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যে তাদেরকে সরকার কর্তৃক পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহে লালন-পালনের ব্যবস্থা জোরদার করা হবে ৷ এ উদ্দেশ্যে প্রয়োজনে নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে ৷

৩ । বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান:

সরকারী ব্যবস্থাপনার সম্পূরক হিসেবে শিশুদের সার্বিক কল্যাণে বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসমূহের সহায়তা নেয়া হবে এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে এরূপ কর্মকাণ্ড পরিচালনায় উত্‍সাহিত করা হবে ৷

 

সপ্তম অধ্যায়

জাতীয় শিশু পরিষদ:

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রীকে সভাপতি করে 'জাতীয় শিশু পরিষদ' গঠন করা হবে ৷ শিশু কল্যাণ সম্পৃক্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীবর্গ, সচিবগণ এবং শিশুর সাথে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ এ পরিষদের সদস্য হবেন ৷

পরিষদের কার্য পরিধি:

(১) ''জাতীয় শিশু পরিষদ'' শিশু কল্যাণ সর্ম্পকিত সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদ হিসাবে দায়িত্ব পালন করা ৷

(২)     দেশের সকল শিশুর স্বার্থ ও অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা ৷

(৩) শিশুর স্বার্থ ও অধিকার সংরক্ষণে প্রচলিত আইনসমূহের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা ৷

(৪) প্রয়োজনে নতুন আইন ও বিধিমালা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত প্রদান ৷

(৫) শিশু অধিকারসমূহের পূর্ণ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনে বিদ্যমান আইনসমূহের সময়োপযোগী সংশোধন, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা ৷

(৬) ''শিশুর অধিকার সনদ'' এর সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা ৷

অষ্টম অধ্যায়

উপসংহার:

দেশের শিশুদের প্রতি অঙ্গীকারস্বরূপ এ ''জাতীয় শিশুনীতি'' গ্রহণ করা হলো ৷ শিশুদের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে এবং তাদের যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ ''শিশুনীতি'' কার্যকরী ভূমিকা রাখবে ৷ এ জাতীয় শিশুনীতির আওতায় বাংলাদেশের সকল শিশু গোত্র, বর্ণ, লিঙ্গ, ভাষা, ধর্ম বা অন্য কোন মতাদর্শ, সামাজিক প্রতিপত্তি, সম্পদ, জন্ম বা অন্য কোন মর্যাদা নির্বিশেষে সকল অধিকার ও সুবিধাসমূহ সমানভাগে ভোগ করবে ৷

তথ্যসূত্র : মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়,গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার,ঢাকা ৷
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
মুসিলম বিবাহ আইন

(১৯৩৯ সালের ৮নং আইন)

[ ১৯৩৯ সালের ১৭ই মার্চ তারিখে গভর্ণর-জেনারেলের সম্মতিপ্রাপ্ত ]

    [ মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহিতা মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদের উপর আণীত মামলা সম্পর্কিত মুসলিম আইনের বিভিন্ন ব্যবস্থাবলীর একত্রীকরণ ও পরিস্কার ব্যাখ্যার জন্য এবং বিবাহিতা মুসলমান মহিলার ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগের ফলে তাহার বিবাহ সম্পর্কের ক্ষেত্রে সৃষ্ট সন্দেহ দূরীকরণার্থে প্রণীত এাক্ট ]।

    যেহেতু, মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহিতা মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদের উপর আনীত মামলা সম্পর্কিত মুসলিম আইনের বিভিন্ন ব্যবস্থা একত্রীকরণ ও উহাদের পরিস্কার ব্যাখ্যার জন্য এবং বিবাহিতা মুসলমান মহিলার ইসলাম ধর্ম পরিত্যাগের ফলে তাহার বিবাহ সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সৃষ্ট সন্দেহ দূরীকরণার্থে, এক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুভব করা যাইতেছে, সেইহেতু এতদ্বারা নিম্নলিখিত আইন পাশ করা হইতেছে :   

    ১।  (ক) সংক্ষিপ্ত শিরোনামঃ অত্র আইনকে ১৯৩৯ সালের মুসলমান বিবাহ বিচ্ছেদ আইন নামে অভিহিত করা যাইতে পারে।

           (খ) ইহা সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য হইবে।

    ২। বিবাহ বিচ্ছেদের ডিক্রির হেতুবাদঃ নিম্নলিখিত যে কোন এক বা একাধিক হেতুবাদে মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহিতা কোন মহিলা তাহার বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য ডিক্রি লাভের অধিকারিণী হইবেন, যথাঃ

        i) চার বত্‍সর যাবত্‍ স্বামী নিরুদ্দেশ হইলে;

        ii) স্বামী দুই বত্‍সর যাবত্‍ স্ত্রীর ভরণ-পোষণ দানে অবহেলা প্রদর্শন করিলে অথবা ব্যর্থ হইলে;

        ii-ক) স্বামী ১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশের ব্যবস্থা লঙ্খন করিরা অতিরিক্ত স্ত্রী গ্রহণ করলে;

        iii) স্বামী সাত বত্‍সর বা তদুর্ধ্ব সময়ের জন্য কারাদন্ডে দন্ডিত হইলে;

        iv) স্বামী কোন যুক্তসঙ্গত কারণ ব্যতীত তিন বত্‍সর যাবত্‍ তাহার দাম্পত্য দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হইলে;

        v) বিবাহকালে স্বামীর পুরুষত্বহীনতা থাকিলে এবং উহা বর্তমানেও চলিতে থাকলে;

        vi) দুই বত্‍সর যাবত্‍ স্বামী পাগল হইয়া থাকিলে অথবা কুষ্ঠ ব্যাধিতে কিংবা ভয়ানক ধরণের উপদংশ রোগে ভুগিতে থাকলে;

       vii) আঠার বত্‍সর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তাহাকে তাহার পিতা অথবা অন্য অভিভাবক বিবাহ করাইয়া থাকিলে এবং উণিশ বত্‍সর বয়স পূর্ণ হইবার পূর্বেই সে উক্ত বিবাহ অস্বীকার করিয়া থাকিলে; তবে, অবশ্য ঐ সময়ের মধ্যে যদি দাম্পত্য মিলন অনুষ্ঠিত না হইয়া থাকে;

       viii) স্বামী তাহার (স্ত্রীর) সহিত নিষ্ঠুর আচরণ করিলে, অর্থাত্‍   

        ক) অভ্যাসগতভাবে তাহাকে আঘাত করিলে বা নিষ্ঠুর আচরণ দ্বারা, উক্ত আচরণ দৈহিক পীড়নের পর্যায়ে না পড়িলও, তাহার জীবন শোচনীয় করিয়া তুলিয়াছে এমন হইলে;.

        খ) স্বামীর দূর্নাম রহিয়াছে বা কলঙ্কিত জীবন যাপন করে এমন স্ত্রীলোকদের সহিত মেলামেশা করিলে, অথবা

        গ) তাহাকে দূর্ণীত জীবন যাপনে বাধ্য করিবার চেষ্টা করিলে, অথবা

        ঘ) তাহার সম্পত্তি হস্তান্তর করিলে অথবা উহার উপর তাহার বৈধ অধিকার প্রয়োগে বাধা প্রদান করিলে, অথবা

        ঙ) তাহার ধর্মীয় কর্তব্য পালনে বাধা সৃষ্টি করিলে, অথবা

        চ) একাধিক স্ত্রী থাকিলে, সে কোরানের নির্দেশ অনুযায়ী ন্যায়পরায়নতার সহিত তাহার সঙ্গে আচরণ না করিলে;

        ix) মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য বৈধ হেতু হিসাবে স্বীকৃত অন্য যে কোন কারণেঃ

        তবে অবশ্য-

        ক) কারাদন্ডাদেশ চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত ৩ নং হেতু বাদে কোন ডিক্রি প্রদান করা যাইবে না,

        খ) ১ নং হেতুবাদে প্রদত্ত ডিক্রিটি উহার প্রদানের তারিখ হইতে ৬ মাস পর্যন্ত কার্যকরী হইবে না এবং স্বামী উক্ত সময়ের মধ্যে স্বয়ং অথবা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কো এজেন্টের মাধ্যমে উপস্থিত হইয়া এই মর্মে যদি আদালতকে খুশী করিতে পারে যে, দাম্পত্য কর্তব্য পালনে প্রস্তুত রহিয়াছে, তাহা হইলে আদালত ডিক্রিটি রদ করিবেন; এবং

        গ) ৫ নং হেতুবাদে ডিক্রি প্রদানের পূর্বে, স্বামীর আবেদনক্রমে আদালতের আদেশের এক বত্‍সরের মধ্যে যে পুরুষত্বহীনতা হইতে মুক্তি লাভ করিয়াছে বা তাহার পুরুষত্বহীনতার অবসান ঘটিয়াছে এই মর্মে আদালতকে সন্তুষ্ট করিবার জন্য আদালত তাহাকে আদেশ দান করিতে পারেন এবং যদি সে উক্ত সময়ের মধ্যে আদালতকে এই মর্মে সন্তুষ্ট করিতে পারে, তাহা হইলে উক্ত হেতুবাদে কোন ডিক্রি প্রদান করা যাইবে না।   

    ৩। স্বামীর ঠিকানা জানা না থাকিলে তাহার উত্তরাধিকারীগণের উপর নোটিশ জারী করিতে হইবে

    যে মামলায় ২ ধারায় (১) উপ-ধারা প্রযোজ্য, সেখানে-

    ক) আর্জিতে ঐ সমস্ত লোকের নাম-ঠিকানা লিখিতে হইবে যাহারা আর্জি পেশ করিবার সময় স্বামী মারা গেলে মুসলিম আইনে স্বামীর উত্তরাধিকারী হইতেন;

    খ) ঐ ধরণের ব্যক্তিগণের উপর নোটিশ জারী করিতে হইবে, এবং

    গ) উক্ত মামলায় ঐ সকল ব্যক্তির বক্তব্য পেশ করিবার অধিকার থাকিবে।

    তবে অবশ্য ম্বামীর চাচা ও ভাই থাকিলে উহারা উত্তরাধিকারী না হইলেও উহাদিগকে অবশ্যই পক্ষভূক্ত করিতে হইবে।

    ৪। ধর্মান্তরের ফলঃ

কোন বিবাহিতা মুসলমান মহিলা ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করিলে অথবা ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্মে দীক্ষা গ্রহন করিলে উহাতেই তাহা বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটিবে না।

    তবে, অবশ্য এই জাতীয় ধর্ম ত্যাগ বা অন্য ধর্ম গ্রহণের পর মহিলাটি ২ ধারায় বর্ণিত অন্য কোন হেতুবাদে তাহার বিবাহ বিচ্ছিদের জন্য ডিক্রি গ্রহণের অধিকারিণী হইবেনঃ

    আরও এই যে, অত্র ধারার ব্যবস্থাবলী ঐ মহিলার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইবে না, যে কোন ধর্ম হইতে মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত হইয়াছিল এবং বর্তমানে স্বীয় পুরাতন ধর্মে পুনরায় দীক্ষা গ্রহণ করিল।

    ৫। দেহমোহরের অধিকার ক্ষুন্ন হইবে নাঃ

অত্র আইনে সন্নিবেশিত কোন কিছুই কোন বিবাহিতা মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদের ফলে মুসলিম আইন অনুযায়ী তাহার প্রাপ্ত দেনমোহর অথবা উহার কোন অংশের উপর তাহার কোন অধিকারকেই ক্ষুন্ন করিবে না।

    ৬। ১৯৩৭ সালের মুসলিম ব্যক্তিগত আইন (শরিয়ত) প্রয়োগ আইনের ৫ ধারাটিকে এতদ্বারা বাতিল ঘোষণা করা হইল [ ১৯৪২ সালের ২৫ নং এ্যাক্ট দ্বারা বাতিল ঘোষিত হয় ]
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ১ঌ২ঌ

[ ১ঌ২ঌ সনের ১ঌ নং আইন]

বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠান নিবারণ করিবার জন্য আইন: যেহেতু বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠান প্রতিরোধ করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয় ;সেহেতু এই আইন  প্রনয়ন করা হল :


ধারা

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, এলাকা ও প্রয়োগ :

(ক) এই আইনকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ১৯২৯ নামে অভিহিত করা হবে।

(খ) সমগ্র বাংলাদেশ এর আওতাভুক্ত এবং বাংলাদেশের সকল নাগরিকের উপরই, তাহারা যেখানেই থাকুক না কেন, ইহা প্রযোজ্য হবে।

(গ) ১৯৩০ সনের এপ্রিলের প্রথম দিন হতে এই আইন বলবত্‍ হবে।
 

ধারা

২। সংজ্ঞা :

বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কিছু না থাকলে, এই আইনে -

    (ক) শিশু বলতে ঐ ব্যক্তিকে বুঝায়, যার বয়স পুরুষ হলে একুশ বত্রের নিচে এবং নারী হইলে আঠার বত্সরের নিচে।
    (খ) “বাল্যবিবাহ” বলতে ঐ বিবাহকে বুঝায় যার চুক্তিবদ্ধ পক্ষগণের যেকোন একপক্ষ শিশু ;

    (গ) বিবাহের চুক্তি পক্ষ বলতে পক্ষগণের যেকোন এক পক্ষকে বুঝায় যার বিবাহ তদ্দরা অনুষ্ঠিত হয়েছে বা হওয়ার জন্য প্রস্তুত ;

    (ঘ) “নাবালক” বলতে ঐ ব্যক্তিকে বুঝায় যার বয়স পুরুষ হলে একুশ বত্সরের নিচে এবং নারী হলে আঠার বত্সরের নিচে ;

    (ঙ) “মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন” বলতে ১ঌ৮২ সনের চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অধ্যাদেশ (১ঌ৮২ সনের ৩৫ নং আইন) বা ১ঌ৮৩ সনে ঢাকা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন অধ্যাদেশ (১ঌ৮৩ সনের ৪০নং আইন) বা ১ঌ৮৪ সনের খুলনা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন অধ্যাদেশের অধীন গঠিত কর্পোরেশনকে বুঝায় যার এখতিয়ারের মধ্যে কোন বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে বা হওয়ার জন্য প্রস্তুত

    (চ) “পৌরসভা” বলতে ১ঌ৭৭ সনের পৌরসভা অধ্যাদেশের (১ঌ৭৭ সনের ২৬ নং আইন) অধীনে গঠিত পৌরসভাবে বুঝায় যার এখতিয়ারের মধ্যে কোন বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে বা হওয়ার জন্য প্রস্তুত ; এবং

    (ছ) “ইউনিয়ন পরিষদ” বলতে ১ঌ৮৩ সনের স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) অধ্যাদেশের (১ঌ৮৩ সনের ৫১ নং আইন) অধীনে গঠিত ইউনিয়ন পরিষদকে বুঝায় যার এখতিয়ারের মধ্যে কোন বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে বা হওয়ার জন্য প্রস্তুত।

ধারা

৩। শিশু বিবাহকারী একুশ বত্সর বয়সের নিচে পুরুষ লোকের শাস্তি বালিত করা হয়েছে।

...

ধারা

৪। শিশু বিবাহকারীর শাস্তি:
যে কেউ একুশ বত্‍সর বয়সোর্ধ্ব পুরুষ বা আঠারো বয়সোর্ধ্ব মহিলা হয়ে কোন বাল্যবিবাহের চুক্তি করলে, একমাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাবাসে বা এক হাজার টাকা পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য জরিমানায় বা উভয়বিধ শাস্তিযোগ্য হবে।

ধারা

৫। বাল্যবিবাহ সম্পন্নকারীর শাস্তি :
যে কেউ যেকোন বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠান, পরিচালনা বা নির্দেশ করলে তিনি এক মাস পর্যন্ত  বিনাশ্রম কারাবাসে, এক হাজার টাকা পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য জরিমানায় বা উভয়বিধ দন্ডে শাস্তিযোগ্য হবেন, যদি না তিনি প্রমাণ করেন যে, তার বিশ্বাস করার কারণ ছিল যে, উক্ত বিবাহ কোন বাল্যবিবাহ ছিল না।


ধারা

৬। বাল্যবিবাহ সংশ্লিষ্ট পিতা-মাতার বা অভিভাবকদের জন্য শাস্তি :
যেক্ষেত্রে কোন নাবালক কোন বাল্যবিবাহের চুক্তি করে, সেক্ষেত্রে ঐ নাবালকের ভারপ্রাপ্ত যেকোন ব্যক্তি, পিতা-মাতা হইক বা অভিভাবক হইক বা অন্য কোন সামর্থ্যে হউক, আইনসম্মত হউক বা বেআইনী হউক যদি উক্ত বিবাহে উত্সাহ প্রদানের কোন কাজ করেন, অথবা উহা অনুষ্ঠিত হওয়া হতে নিবারণ করতে অবহেলার দরুন ব্যর্থ হন, তিনি এক মাস পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য বিনাশ্রম কারাবাসে বা একহাজার টাকা পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য জরিমানায় বা উভয়বিধ দন্ডে শাস্তিযোগ্য হবেন :

তবে শর্ত থাকে যে, কোন মহিলাই কারাবাসে শাস্তিযোগ্য হবে না।

এই ধারার উদ্দেশ্যে যদি না এবং যতক্ষণ না বিপরীত কিছূ প্রমাণিত হয়, এই অনুমান করতে হবে যে, যেক্ষেত্রে কোন নাবালকের বাল্যবিবাহের চুক্তি করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে উক্ত নাবালকের ভারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ঐ বিবাহ অনুষ্ঠিত হওয়া হতে নিবারণ করতে অবহেলার দরুণ ব্যর্থ হয়েছেন।

ধারা

৭। ৩ ধারা অধীনে অপরাধের জন্য কারাবাস প্রদান করা হবে না :
১৮ঌ৭ সনের সাধারণ দফা আইনের ২৫ ধারায় অথবা দন্ডবিধির ৪ ধারায় অন্তর্ভূক্ত যেকোন কিছু থাকা সত্ত্বেও ৩ ধারার অধীনে কোন অপরাধীকে দন্ডদানকারী আদালত (এই মর্মে) নির্দেশ দান করবে না যে, আরোপিত জরিমানা অনাদায়ে তাকে যেকোন মেয়াদের কারাবাস ভোগ করতে হবে।

 

ধারা

৮। এই আইনের অধীনে এখতিয়ার :
১৮ঌ৮ সনের ফৌজদারী কার্যবিধি কোডের ১ঌ০ ধারায় অন্তভুক্ত যে কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও, প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের আদালত ব্যতীত কোন আদালতই এই আইনের অধীন কোন অপরাধের অধিগ্রহণ বা বিচার করবে না।

ধারা

৯। অপরাধের বিচারার্থে অধিগ্রহণ করিবার পদ্ধতি :
কোন আদালতই ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা বা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন কর্তৃক অথবা যদি উক্ত এলাকায় কোন ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভা বা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন না থাকে, তা হলে সরকার এতদপক্ষে নির্ধারণ করতে পারেন এমন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আনীত অভিযোগের ভিত্তি ব্যতীত এই আইনের কোন অপরাধের বিচারার্থে অধিগ্রহণ করবেন না, এবং ঐরূপ অধিগ্রহণ কোন ক্ষেত্রেই যে তারিখে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে বলা হয়, সেই তারিখ হতে এক বত্সর অতিবাহিত হওয়ার পর করা হবে না।

ধারা

১০। এই আইনের অধীন অপরাধের প্রারম্ভিক অনুসন্ধান :
এই আইনের অধীন কোন অপরাধের বিচারার্থে অধিগ্রহণকারী আদালত ১ঌঌ৮ সনের ফৌজদারী কার্যবিধি কোডের ২০৩ ধারা মোতাবেক সংশ্লিষ্ট অভিযোগ খারিজ না করলে, হয় ঐ কোডের ২০২ ধারা মোতাবেক স্বয়ং অনুসন্ধান করবে, অথবা উহার অধঃস্তন কোন প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটকে ঐরূপ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিবে।

ধারা

১১। অভিযোগকারীর নিকট হইতে জামানত গ্রহণের ক্ষমতা বাতিল করা হয়েছে।

...

ধারা

১২। এই আইন অমান্য করিয়া নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষমতা :
(১) এই আইনে অন্তর্গত বিপরীত কোন কিছু থাকা সত্ত্বেও আদালত এই আইন লংঘনক্রমে বাল্য বিবাহ ব্যবস্থিত হয়েছে বা অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য প্রস্তুত, এই মর্মে কোন অভিযোগের মাধ্যমে বা অন্যভাবে উহার নিকট উপস্থাপিত তথ্য হতে সন্তুষ্ট করে ঐরূপ বিবাহ নিষিদ্ধ করে এই আইনের ২, ৪, ৫ ও ৬ ধারায় উল্লিখিত যেকোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।

(২) উপধারা (১) মোতাবেক কোন নিষেধাজ্ঞাই কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে জারি করা যাবে না, যদি না আদালত ঐরূপ ব্যক্তিকে পূর্বাহ্নে নোটিস প্রদান করে এবং তাহাকে নিষেধাজ্ঞা জারির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর সুযোগ দেয়।

(৩) আদালত স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়েছে বা সংক্ষুব্ধ কোন ব্যক্তির আবেদনক্রমে (১) উপধারা মোতাবেক প্রদত্ত যেকোন আদেশ প্রত্যাহার করতে বা পরিবর্তন করতে পারে।

(৪) যেক্ষেত্রে এইরূপ আবেদনপত্র পাওয়া যায়, সেইক্ষেত্রে আদালত উহার সমক্ষে ব্যক্তিগতভাবে অথবা উকিল মারফত আবেদনকারীকে একটি আগ-শুনানির সুযোগ দিবেন এবং যদি আদালত আবেদনপত্র বা আংশিকভাবে প্রত্যাখ্যান করেন, তা হলে এইরূপ করার কারণ লিপিবদ্ধ করে রাখবেন।

(৫) যে কেউ এই ধারার (১) উপধারা অনুসারে তার বিরুদ্ধে প্রদত্ত নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েও সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, তাহা হলে তাকে তিনমাস পর্যন্ত মেয়াদের কারাদন্ডে অথবা এক হাজার টাকা পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য জরিমানায় অথবা উভয়দন্ডে দন্ডিত করা যাবে।

    তবে শর্ত থাকে যে, কোন মহিলাকে কারাদন্ডে দন্ডিত করা যাবে না।
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection