Author Topic: নারী অধিকার ও লংঘন সংক্রান্ত আইন  (Read 22938 times)

bbasujon

  • Administrator
  • VIP Member
  • *****
  • Posts: 1826
  • I want to show my performance at any where
    • View Profile
    • Higher Education
ধারা-২১। অপরাধের বিচার পদ্ধতি (Procedure in trial of offences) :

[উপধারা- (১) ১৫ ধারার (১) উপধারার অধীনে নিযুক্ত কর্তৃপক্ষ ব্যতীত অন্য কোনো আদালত অত্র আইনে দন্ডনীয় কোনো অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তির বিচার করিবেন না]।

উপধারা- (২) ১৫ ধারায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষ বা শ্রম আপীল ট্রাইব্যুনাল, যেইখানে প্রযোজ্য :

(ক) কোনো পক্ষ নিম্নোক্ত মর্মে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করিলে :

(i)  আইনের ব্যত্যয় ঘটার পিছনে কোনো যুক্তিসঙ্গত ভ্রান্তি বিদ্যমান ছিল বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পাওনা টাকার পরিমাণ নির্ধারণের ব্যাপারে কোনো যুক্তিগ্রাহ্য বিরোধ ছিল; অথবা

(ii)  মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তি আপ্রাণ চেষ্টা করা সত্ত্বেও বিশেষ কোনো জরুরী পরিস্থিতি উদ্ভব হওয়ার কারণে তাত্‍ক্ষণিকভাবে মজুরী পরিশোধ করিতে ব্যর্থ হইয়াছেন; অথবা

(iii) সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মজুরীর জন্য আবেদন পেশ করিতে বা মজুরী গ্রহণে ব্যর্থ হইয়াছিলেন- তবে ২০ ধারার (১) উপধারার অধীনে দন্ডযোগ্য অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার শুরু করিবার পূর্বে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে উক্ত ব্যত্যয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।

(খ) অনুরূপ অপরাধ সংঘটনের জন্য অত্র আইনে দায়েরকৃত ঘটনার অভিযোগের প্রেক্ষিতে (ক) অনুচ্ছেদের বিধান সাপেক্ষে অপরাধটি আমলে আনিবেন।

উপধারা- (৩) পরিদর্শক কর্তৃক বা পরিদর্শকের অনুমোদনসহ অভিযোগ দায়ের করা না হইলে কোনো আদালত ৪ বা ৬ ধারা লঙ্ঘন বা ২৬ ধারায় আনীত বিধিমালা লঙ্ঘন সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আমলে নিবেন না।

[শর্ত থাকে যে, কারখানাসমূহের প্রধান পরিদর্শকের পূর্ব অনুমোদন ব্যতীত আদালতে বিচারাধীন কোনো মামলা প্রত্যাহার করা যাইবে না।]

উপধারা- (৪) ২০ ধারার (১) উপধারায় অপরাধের ক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ করিবার সময় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ১৫ ধারার কোনো কার্যক্রমে ইতিমধ্যে আরোপিত জরিমানার বিষয়টি বিবেচনা করিবেন।

ধারা-২২।  মামলা করার বিধি-নিষেধ (Bar of suits) :

উপধারা- (১) কোনো আদালত নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে মজুরী আদায় বা কর্তিত মজুরী আদায় সংক্রান্ত মামলা বিবেচনা করিবেন না। যদি দাবীকৃত অর্থ -

(ক) ১৫ ধারার অধীনে দায়েরকৃত আবেদনের বিষয়বস্তু হইয়া থাকে, বাদী কর্তৃক ইতিমধ্যে দাখিল করা হইয়াছে এবং যদি তাহা উক্ত ধারায় নিযুক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট বা ১৭ ধারায় আপীল বিচারাধীন থাকিয়া থাকে; অথবা

(খ) ১৫ ধারায় প্রদত্ত কোনো নির্দেশের বিষয়বস্তু হইয়া থাকে, যদিও তা বাদীর প্রাপ্য নয়; অথবা

(গ) ১৫ ধারার কার্যক্রমে বাদীর প্রাপ্য নয় বলিয়া স্থিরীকৃত হইয়া থাকিলে; অথবা

(ঘ) যদি ৫ ধারার অধীনে দরখাস্তমূলে তাহা আদায় করা যাইত।

ধারা-২৩। চুক্তি নাকচ (Contracting out)

অত্র আইন বলবত হইবার পূর্বে বা পরে সম্পাদিত কোনো চুক্তি দ্বারা কোনো নিযুক্ত ব্যক্তি অত্র অাইনে তাহাকে চুক্তি প্রদত্ত কোনো অধিকার পরিত্যাগ করিয়া থাকেন, তবে ইহার ফলে তিনি যতটুকু হইতে বঞ্চিত হইয়াছেন, তাহা বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে।

 ধারা-২৪।  [বাতিল]

ধারা-২৫। অাইনের সার-সংক্ষেপ প্রদর্শন (Display by notice of abstracts of the Act) :

কোনো কারখানায় নিযুক্ত ব্যক্তিদের মজুরী পরিশোধের জন্য দায়ী ব্যক্তি অত্র আইনের এবং এর অধিনে প্রণীত বিধিমালার সার-সংক্ষেপ সম্বলিত নোটিশ বাংলা ভাষায় অনুরূপ কারখানায় টাঙ্গাইয়া রাখার ব্যবস্থা করিবেন।

ধারা-২৬। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা (Rule-making power) :

উপধারা- (১) ১৫ ও ১৭ ধারায় উল্লিখিত কর্তৃপক্ষ এবং অাদালত কর্তৃক অনুসৃত পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণের জন্য [সরকার] বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

উপধারা- (২) [সরকারী গেজেটে] প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অত্র আইনের বিধানসমূহ কার্যকরকরণের জন্য [সরকার] বিধিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবেন।

উপধারা- (৩) পূর্বোক্ত ক্ষমতাসমূহের সাধারণত ব্যাহত না করিয়া এবং বিশেষত (২) উপধারা মোতাবেক বিধিসমূহ দ্বারা-

(ক) অত্র আইন প্রয়োগের রেকর্ডপত্র, রেজিস্টার, রিটার্ন এবং নোটিশ সংরক্ষণের নির্দেশ দিতে এবং এর প্রকার নির্ধারণ করা যাইতে পারে;

(খ) চাকরিস্থলে বা আঙ্গিনায় প্রকাশ্য স্থানে উক্ত নিযুক্ত ব্যক্তিদের মজুরী হার নির্দেশিত করিয়া নোটিশ প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়া যাইতে পারে;

(গ) নিযুক্ত ব্যক্তিদের মজুরী নির্ণয়ের জন্য মালিক কর্তৃক ব্যবহৃত ওজন, পরিমাপ বা পরিমাপ যন্ত্রসমূহ নিয়মিত পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা যাইতে পারে;

(ঘ) কোন কোন দিনে মজুরী পরিশোধ করা হইবে, তাহা জানাইবার জন্য নোটিশ দেয়ার প্রকার নির্ধারণ করা যাইতে পারে;

(ঙ) ৮ ধারার (১) উপধারার অধীনে কোনো কাজ করা বা না করার দরুন জরিমানা আরোপ করা যাইতে পারে এবং তাহা অনুমোদনের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারণ করা যাইতে পারে।

(চ) ৮ ধারায় জরিমানা আরোপ এবং ১০ ধারায় উল্লিখিত কর্তনের পদ্ধতি নির্ধারণ করিয়া দেয়া যাইতে পারে;

(ছ) ঌ ধারার (২) উপধারার শর্ত মোতাবেক যেই যেই অবস্থায় কর্তন করা যাইবে, তাহা নির্ধারণ করিয়া দেয়া যাইতে পারে;

(জ) যেই যেই উদ্দেশ্যে আদায়কৃত জরিমানা ব্যয় করা হইবে, তাহা অনুমোদন করিবার জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারণ করিয়া দেয়া যাইতে পারে;

(ঝ) ১২ ধারার (খ) অনুচ্ছেদে উল্লিখিত অগ্রিম প্রদানের সীমা এবং তাহা আদায়ের জন্য কিস্তির সীমা নির্ধারণ করিয়া দেয়া যাইতে পারে;

(ঞ) অত্র আইনের অধীনে কোনো কার্যক্রমের জন্য খরচার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যাইতে পারে;

(ট) অত্র আইনের অধীনে কোনো কার্যক্রমের জন্য প্রদেয় কোর্ট ফির পরিমাণ নির্ধারণ করিয়া দেয়া যাইতে পারে এবং

(ঠ) ২৫ ধারায় প্রদেয় নোটিশে প্রদর্শনযোগ্য সারাংশ নির্ধারণ করিয়া দেয়া যাইতে পারে।

উপধারা- (৪) অত্র ধারায় কোনো বিধি প্রণয়নের সময় [সরকার] এইরূপ বিধান রাখিতে পারিবেন যে, এইরূপ বিধিমালার লঙ্ঘন দুইশত টাকা জরিমানায় দন্ডযোগ্য হইবে।

উপধারা- (৫) এই ধারায় প্রণীত সকল বিধিসমূহ পূর্ব প্রকাশের শর্ত  সাপ

তথ্যসূত্র : শ্রম ও শিল্প অাইন
Acquire the knowledge and share the knowledge so that knowing,learning then sharing - all are the collection