Daffodil Computers Ltd.

E-Health / Protect Your Health => E- Health For Men => Topic started by: bbasujon on January 16, 2012, 04:47:44 PM

Title: সব সময় কর্মক্ষম থাকুন
Post by: bbasujon on January 16, 2012, 04:47:44 PM
দিনের বেশিরভাগ সময় বসে থাকা যাদের অভ্যাস এদের হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি খুব বেশি। হার্ট এ্যাটাকের পেছনে এমন অনেক উপাদান আছে যা বদলানো যায় না, যেমন-বয়স, জেন্ডার, গোত্র, হৃদরোগের পারিবারিক ইতিহাস। তবে বেশিরভাগ সময় বসে থাকা যাদের দৈনন্দিন জীবন-যাপনের অংশ, অর্থাৎ যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেনইনা-এ এমন এক ঝুঁকি যাকে সামলানো যায় সহজেই। আর নিয়মিত ব্যায়াম করলে এর সুফল পড়ে অন্যান্য ঝুঁকির উপর। যেমন-মনের চাপ, স্থলতা, উচ্চরক্তচাপ, রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইড ও কোলেস্টেরলের উচু মান এবং ডায়াবেটিস জীবনকে চলমান রাখার, নড়ে চড়ে উঠার আরও অনেক সুফল আছে।

বসে দিন কাটানোর অভ্যাস বদলানো যায় না?

নিউইউর্ক সিটির মন্টেফায়োরে মেডিকেল সেন্টারে ক্লিনিক্যাল মেডিসিনের প্রফেসর বরার্ট ওস্টাফিল্ড বলেন, ‘নিজের জীবন যাপনের প্রভু তো নিজেই।’ ডা: ওস্টফিল্ড জোর দিয়ে বলেন, স্বাস্থ্যকর অভ্যাসে অভ্যস- হলে, নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করলে, সুষম খাবার খেলে বড় রকমের পরিবর্তন আনা যায় জীবনে। ‘দিনে বসে থাকার যে জীবন-এ হলো হৃদ স্বাস্থ্যর জন্য বড় বিপর্যয়-সর্বোপরি সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যই। আমাদেরকে সক্রিয় হতে হবে, ডেস্কে বসে বসে বা সোফায় সারাদিন বসে দিন কাটানোর জন্য জীবন নয়।’

ডাক্তারকে দেখান এবং সচল হন, চলমান হন। আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশনের বিশ্লেষকরা হৃদস্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য হৃদস্বাস্থ্যকর ব্যায়ামের একটি কর্মসূচী বাতলে দিয়েছেন। এর মূল কথা হলো সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনে ৩০-৬০ মিনিটের মাঝারি ধরনের শরীরর্চ্চা। তবে যে কোনও ব্যায়ামের কর্মসূচী শুরু করার আগে ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করা ভালো। ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া ভালো -

০ যদি হয় মধ্য বয়স বা এর বেশি বয়স

০ সমিতি নিষ্ক্রিয় জীবন

০ শরীরের ওজন বেশি

০ হৃদরোগের ঝুঁকি রয়েছে

০ অন্য কোনও রোগ রয়েছে সক্রিয় থাকার উপায়, ডাক্তার বলে দিলেন, এবার শুরু হোক শরীরের চর্চা।

১. প্রথমে গা গরম এরপর শীতল হওয়া: প্রথমে হাত পা একটু ছোড়াছুড়ি করে, স্ট্রেচিং করে গা গরম করা, এতে হাড়ের গিটের নমনীয়তা বাড়বে, বাড়বে পেশির নমনীয়তা। পা, পিঠ, কোমর স্ট্রেচ কর এবং এরপর পাঁচ মিনিট হাটা। এরপর ব্যায়ামের পর্ব শেষ করে এরকম হালকা স্ট্রেচিং করে শীতল হওয়া।

২. হার্টের স্পন্দন হার যেন বাড়ে: হৃদযন্ত্র ও রক্তনালীর ব্যায়াম প্রয়োজন। তাই করা চাই এরোবিক ব্যায়াম। দ্রুতহাটা, জগিং, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, গলফ খেলা। সপ্তাহের প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে ৬০ মিনিট।

৩. দেহে হোক শক্তি বৃদ্ধি: স্ট্রেংথ ট্রেনিং যেমন ভার উত্তোলন, ইয়োগাব্যায়াম, পুশআপ, বৈঠক, ডাম্ববেল ভাজা এমনকি মনোহারী দোকানের বাজার থলিতে করে বাসায় নেয়া, সিড়ি বেয়ে উঠা, লন্ডির কাপড় তুলে নিয়ে হাটা-এসব করলে শরীরের সার্বিক বলশক্তি, ভারসাম্য, সমন্বয় ও পেশিটোল বাড়বে।

৪. কাজের ফাঁকে ফাঁকে শরীর চর্চা: কাজের ফাঁকে ফাঁকে বা অলস অবসর সময়ে করা যায় উঠ-বস, আসন পিডি হয়ে বসা, হাতের গুল ফুলানো-এসব করা যায় টিভি দেখতে দেখতে। ফোন করার সময় হাটা, উঠ বস, বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা। গাড়ি দূরে পার্ক করে হেটে অফিসে যাওয়া বা বাড়িতে আসা। প্রতিদিনের হাটার সময় পেডোমিটার পরে নেওয়া।

৫. এসব লক্ষ্যে উদ্বুদ্ধ হওয়া: জিমে যোগ দিতে পারেন, ফিটন্যাস প্রোগ্রামে, বন্দুদের সঙ্গে একত্রে শরীরচর্চা আরও প্রনোদিত করবে এসব কাজে। ‘ব্যায়াম হলো প্রকৃত যৌবন ঝর্ণা।’ বলেন ওস্টফিল্ড’ হাটা উপবোগ করলে, হাটুন। টেনিস খেলতে পছন্দ, টেনিস খেলুন। কেন নয় ওয়াটার পলো? যে শরীর চর্চা উপভোগ্য মনে হবে তা করলেই ভালো হবে। ব্যায়াম না করার চেয়ে যে কোন ব্যায়ামই শ্রেয়।

অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী
পরিচালক, ল্যাবরেটরী সার্ভিসেস
বারডেম, ঢাকা।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ফেব্রুয়ারী ০৬, ২০১০